
ঈদে হইচইয়ে মুক্তি পেল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে সিরিজটি। গল্প গড়ে উঠেছে আব্বাস নামের এক ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে, নানা অঞ্চলে যার আটজন স্ত্রী রয়েছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন সম্পর্কের খবর। কার সঙ্গে জড়ালেন সম্পর্কে? কী করছেন যুক্তরাষ্ট্রে? নতুন সিনেমার কী খবর? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

অনেক দিন হলো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এদিকে ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পেল আপনার পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শকেরা সিরিজের ভিন্নধর্মী গল্প, লোকজ আবহ আর মোশাররফ করিমের অভিনয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করছেন। অনেকে বলেছেন, এটা একটা পলিটিক্যাল ফোক ফ্যান্টাসি, যা আগে দেখা যায়নি।
আব্বাস একজন অনাথ, এতিম। পরোপকার করতেই আটজন পোড় খাওয়া নারীকে বিয়ে করে? বিয়ে না দেখিয়ে বিষয়টা অন্যভাবে দেখানো যেত কি?
হ্যাঁ, অন্যভাবে দেখানো যেত। তবে এই ‘বিয়ে’গুলো আসলে প্রতীকী। একজন মানুষ, যিনি নারীদের পাশে দাঁড়ান, সংসার ভেঙে যাওয়া নারীদের নতুন জীবনের সুযোগ করে দেন। সমাজ এটাকে বিয়ে বলেই ধরে নেয়। এই মেটাফোর দিয়েই আমরা গল্পটা বলতে চেয়েছি।
আটটা এপিসোডে আট নারীকে ঘিরে আটটি গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গল্পগুলো কি পরিপূর্ণভাবে বলা গেল?
গল্পগুলো আমরা ছোটগল্পের স্টাইলে সাজিয়েছি। কিছু গল্প হয়তো একটু অসম্পূর্ণ বা খোলা মনে হতে পারে; কারণ, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল—প্রতিটি চরিত্র যেন দর্শকের মনে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। সব উত্তর গল্পে নয়, দর্শকের অনুভবে রেখে দিতে চেয়েছি।
এই আট নারীর বাসস্থান কি কাছাকাছি অঞ্চলে? নাকি দূরে দূরে? কেউ কারও সম্পর্কে জানতে পারে না কেন? তাদের অবস্থান আর আব্বাসের মুভমেন্ট কি সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হলো?
এই নারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকে—চট্টগ্রাম, বগুড়া, যশোর, খুলনা, দিনাজপুর, ঢাকার আশপাশে। আব্বাস ট্রাকচালক, ফলে তার চলাচল বিস্তৃত। এটাও গল্পের একটি ডিভাইস, যাতে তার ভৌগোলিক বিচরণ বিশ্বাসযোগ্য হয়। কেউ কাউকে না চেনা—এটাও আজকের দিনে ইন্টারনেট যুগে প্রশ্ন তুলতে পারে। তবে এটাকে নাটকীয় ছাড় হিসেবে নিতে হবে।
সিরিজের এন্ড ক্লাইমেক্সে দেখা গেল, স্ত্রীরা একে একে আব্বাসকে ছেড়ে চলে গেল। কেউ তাকে বোঝার চেষ্টা করল না, বা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল না—এটা কেন?
এটাই গল্পের মূল ট্র্যাজেডি। আব্বাস যতটা নিঃস্বার্থ ভেবেছিল সম্পর্কগুলো, বাস্তবে মানুষ তার মতো ভাবেনি, ভাবে না। তারা তাকে ভালোবেসেছে, কিন্তু সেই ভালোবাসায় দ্বিধা ছিল, শঙ্কা ছিল। এই ফেয়ারি টেল বা গল্পের শেষটা একটু বিষণ্ন; কারণ, বাস্তবেও সব ভালোবাসা স্থায়ী হয় না।
বোহেমিয়ান ঘোড়ার দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
প্রাথমিকভাবে ভাবছি নতুন সিজনের কথা। যদি দর্শকের আগ্রহ ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকে, তাহলে নিশ্চয় দ্বিতীয় সিজনের গল্প নিয়ে বসা যাবে। আব্বাসের জীবন তো এখানেই শেষ না।
চারদিকে যখন রহস্য, থ্রিলার, অ্যাকশনের জয়জয়কার, তখন কি এমন একটা গল্পনির্ভর সিরিজ বানানো ঝুঁকি মনে হয়নি?
অবশ্যই ঝুঁকি মনে হয়েছে, ঝুঁকি ছিল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বাংলার দর্শক শুধু রহস্য বা অ্যাকশনেই আটকে নেই। তারা গল্প চায়—ভালো গল্প, নতুন আঙ্গিকের গল্প। সে বিশ্বাস থেকেই সাহস করেছি এমন গল্পনির্ভর একটি সিরিজ বানানোর।
সিনেমা নিয়ে নতুন কোনো খবর আছে?
একটা নতুন ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, তাই এখনই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এবারের গল্পটা একটু গভীর, আরেকটু নিরীক্ষাধর্মী।
ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখার সুযোগ হয়েছে?
না, এখনো সব দেখা হয়নি। তবে যেগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো অবশ্যই দেখতে চাই।
কদিন আগে দেখলাম, ‘ইন আ রিলেশনশিপ’ স্ট্যাটাস দিয়েছেন?
(হাসি) ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা ব্যক্তিগতই রাখতে চাই। তবে হ্যাঁ, নতুন একটা সম্পর্কের শুরু হয়েছে। সময় বলে দেবে বাকিটা।
বেশ লম্বা সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, কী করছেন? ওখানে স্থায়ী হওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
হ্যাঁ, কিছুদিন হলো এখানে আছি। সিনেমা আর লেখালেখি নিয়ে সময় কাটাচ্ছি। নিউইয়র্ক আমার প্রিয় শহর। তবে চূড়ান্তভাবে থাকার ভাবনা নাই। এই শহরটা আমাদের মতো গল্পকারদের জন্য এক আশ্চর্য ল্যাবরেটরি—প্রতিদিন শিখছি, দেখছি, ভাঙছি, গড়ছি। আমাদের জানা-পড়া একটু কম, তাই সময় নিচ্ছি নিজেকে আরও একটু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। এই সময়টাকে আত্মশুদ্ধির, আত্মসন্ধানের মতো করে নিচ্ছি। যখন মনে হবে পরের সিনেমার জন্য মানুষ তৈরি, প্রযোজক তৈরি, তখনই ফিরব আলোছায়ার খেলায়। স্থায়ীভাবে (যুক্তরাষ্ট্রে) থাকব কি না, সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে নিউইয়র্ক আমাকে অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
দেশে ফিরবেন কবে?
নতুন করে পড়াশোনায় যোগ দিচ্ছি। শেষ হলে ফিরব।
আপনার ‘সিনেমা পাঠশালা’ কেমন চলছে? জুলাইতে নতুন ব্যাচ শুরু করবেন শুনলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
সিনেমা পাঠশালা আমার একান্ত স্বপ্নের জায়গা। জুলাইতে ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু হবে, প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এটা শুধুই একটা ক্লাসরুম না, একটা আড্ডা, একটা চর্চাকেন্দ্র, একটা নির্মাণশালা, যেখানে সিনেমার ভাষা নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায়, ঝুঁকি নেওয়া যায়। এখানে শেখার চেয়ে প্রশ্ন করাটাকে বেশি গুরুত্ব দিই। ক্লাসরুমের কাঠামোটা খুব অলটারনেটিভ—নির্দিষ্ট পাঠ্যবই নেই, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিশ্ব সিনেমার চর্চা, ছাত্রদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
অনেক দিন হলো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এদিকে ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পেল আপনার পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শকেরা সিরিজের ভিন্নধর্মী গল্প, লোকজ আবহ আর মোশাররফ করিমের অভিনয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করছেন। অনেকে বলেছেন, এটা একটা পলিটিক্যাল ফোক ফ্যান্টাসি, যা আগে দেখা যায়নি।
আব্বাস একজন অনাথ, এতিম। পরোপকার করতেই আটজন পোড় খাওয়া নারীকে বিয়ে করে? বিয়ে না দেখিয়ে বিষয়টা অন্যভাবে দেখানো যেত কি?
হ্যাঁ, অন্যভাবে দেখানো যেত। তবে এই ‘বিয়ে’গুলো আসলে প্রতীকী। একজন মানুষ, যিনি নারীদের পাশে দাঁড়ান, সংসার ভেঙে যাওয়া নারীদের নতুন জীবনের সুযোগ করে দেন। সমাজ এটাকে বিয়ে বলেই ধরে নেয়। এই মেটাফোর দিয়েই আমরা গল্পটা বলতে চেয়েছি।
আটটা এপিসোডে আট নারীকে ঘিরে আটটি গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গল্পগুলো কি পরিপূর্ণভাবে বলা গেল?
গল্পগুলো আমরা ছোটগল্পের স্টাইলে সাজিয়েছি। কিছু গল্প হয়তো একটু অসম্পূর্ণ বা খোলা মনে হতে পারে; কারণ, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল—প্রতিটি চরিত্র যেন দর্শকের মনে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। সব উত্তর গল্পে নয়, দর্শকের অনুভবে রেখে দিতে চেয়েছি।
এই আট নারীর বাসস্থান কি কাছাকাছি অঞ্চলে? নাকি দূরে দূরে? কেউ কারও সম্পর্কে জানতে পারে না কেন? তাদের অবস্থান আর আব্বাসের মুভমেন্ট কি সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হলো?
এই নারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকে—চট্টগ্রাম, বগুড়া, যশোর, খুলনা, দিনাজপুর, ঢাকার আশপাশে। আব্বাস ট্রাকচালক, ফলে তার চলাচল বিস্তৃত। এটাও গল্পের একটি ডিভাইস, যাতে তার ভৌগোলিক বিচরণ বিশ্বাসযোগ্য হয়। কেউ কাউকে না চেনা—এটাও আজকের দিনে ইন্টারনেট যুগে প্রশ্ন তুলতে পারে। তবে এটাকে নাটকীয় ছাড় হিসেবে নিতে হবে।
সিরিজের এন্ড ক্লাইমেক্সে দেখা গেল, স্ত্রীরা একে একে আব্বাসকে ছেড়ে চলে গেল। কেউ তাকে বোঝার চেষ্টা করল না, বা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল না—এটা কেন?
এটাই গল্পের মূল ট্র্যাজেডি। আব্বাস যতটা নিঃস্বার্থ ভেবেছিল সম্পর্কগুলো, বাস্তবে মানুষ তার মতো ভাবেনি, ভাবে না। তারা তাকে ভালোবেসেছে, কিন্তু সেই ভালোবাসায় দ্বিধা ছিল, শঙ্কা ছিল। এই ফেয়ারি টেল বা গল্পের শেষটা একটু বিষণ্ন; কারণ, বাস্তবেও সব ভালোবাসা স্থায়ী হয় না।
বোহেমিয়ান ঘোড়ার দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
প্রাথমিকভাবে ভাবছি নতুন সিজনের কথা। যদি দর্শকের আগ্রহ ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকে, তাহলে নিশ্চয় দ্বিতীয় সিজনের গল্প নিয়ে বসা যাবে। আব্বাসের জীবন তো এখানেই শেষ না।
চারদিকে যখন রহস্য, থ্রিলার, অ্যাকশনের জয়জয়কার, তখন কি এমন একটা গল্পনির্ভর সিরিজ বানানো ঝুঁকি মনে হয়নি?
অবশ্যই ঝুঁকি মনে হয়েছে, ঝুঁকি ছিল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বাংলার দর্শক শুধু রহস্য বা অ্যাকশনেই আটকে নেই। তারা গল্প চায়—ভালো গল্প, নতুন আঙ্গিকের গল্প। সে বিশ্বাস থেকেই সাহস করেছি এমন গল্পনির্ভর একটি সিরিজ বানানোর।
সিনেমা নিয়ে নতুন কোনো খবর আছে?
একটা নতুন ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, তাই এখনই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এবারের গল্পটা একটু গভীর, আরেকটু নিরীক্ষাধর্মী।
ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখার সুযোগ হয়েছে?
না, এখনো সব দেখা হয়নি। তবে যেগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো অবশ্যই দেখতে চাই।
কদিন আগে দেখলাম, ‘ইন আ রিলেশনশিপ’ স্ট্যাটাস দিয়েছেন?
(হাসি) ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা ব্যক্তিগতই রাখতে চাই। তবে হ্যাঁ, নতুন একটা সম্পর্কের শুরু হয়েছে। সময় বলে দেবে বাকিটা।
বেশ লম্বা সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, কী করছেন? ওখানে স্থায়ী হওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
হ্যাঁ, কিছুদিন হলো এখানে আছি। সিনেমা আর লেখালেখি নিয়ে সময় কাটাচ্ছি। নিউইয়র্ক আমার প্রিয় শহর। তবে চূড়ান্তভাবে থাকার ভাবনা নাই। এই শহরটা আমাদের মতো গল্পকারদের জন্য এক আশ্চর্য ল্যাবরেটরি—প্রতিদিন শিখছি, দেখছি, ভাঙছি, গড়ছি। আমাদের জানা-পড়া একটু কম, তাই সময় নিচ্ছি নিজেকে আরও একটু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। এই সময়টাকে আত্মশুদ্ধির, আত্মসন্ধানের মতো করে নিচ্ছি। যখন মনে হবে পরের সিনেমার জন্য মানুষ তৈরি, প্রযোজক তৈরি, তখনই ফিরব আলোছায়ার খেলায়। স্থায়ীভাবে (যুক্তরাষ্ট্রে) থাকব কি না, সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে নিউইয়র্ক আমাকে অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
দেশে ফিরবেন কবে?
নতুন করে পড়াশোনায় যোগ দিচ্ছি। শেষ হলে ফিরব।
আপনার ‘সিনেমা পাঠশালা’ কেমন চলছে? জুলাইতে নতুন ব্যাচ শুরু করবেন শুনলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
সিনেমা পাঠশালা আমার একান্ত স্বপ্নের জায়গা। জুলাইতে ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু হবে, প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এটা শুধুই একটা ক্লাসরুম না, একটা আড্ডা, একটা চর্চাকেন্দ্র, একটা নির্মাণশালা, যেখানে সিনেমার ভাষা নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায়, ঝুঁকি নেওয়া যায়। এখানে শেখার চেয়ে প্রশ্ন করাটাকে বেশি গুরুত্ব দিই। ক্লাসরুমের কাঠামোটা খুব অলটারনেটিভ—নির্দিষ্ট পাঠ্যবই নেই, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিশ্ব সিনেমার চর্চা, ছাত্রদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ঈদে হইচইয়ে মুক্তি পেল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে সিরিজটি। গল্প গড়ে উঠেছে আব্বাস নামের এক ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে, নানা অঞ্চলে যার আটজন স্ত্রী রয়েছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন সম্পর্কের খবর। কার সঙ্গে জড়ালেন সম্পর্কে? কী করছেন যুক্তরাষ্ট্রে? নতুন সিনেমার কী খবর? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

অনেক দিন হলো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এদিকে ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পেল আপনার পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শকেরা সিরিজের ভিন্নধর্মী গল্প, লোকজ আবহ আর মোশাররফ করিমের অভিনয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করছেন। অনেকে বলেছেন, এটা একটা পলিটিক্যাল ফোক ফ্যান্টাসি, যা আগে দেখা যায়নি।
আব্বাস একজন অনাথ, এতিম। পরোপকার করতেই আটজন পোড় খাওয়া নারীকে বিয়ে করে? বিয়ে না দেখিয়ে বিষয়টা অন্যভাবে দেখানো যেত কি?
হ্যাঁ, অন্যভাবে দেখানো যেত। তবে এই ‘বিয়ে’গুলো আসলে প্রতীকী। একজন মানুষ, যিনি নারীদের পাশে দাঁড়ান, সংসার ভেঙে যাওয়া নারীদের নতুন জীবনের সুযোগ করে দেন। সমাজ এটাকে বিয়ে বলেই ধরে নেয়। এই মেটাফোর দিয়েই আমরা গল্পটা বলতে চেয়েছি।
আটটা এপিসোডে আট নারীকে ঘিরে আটটি গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গল্পগুলো কি পরিপূর্ণভাবে বলা গেল?
গল্পগুলো আমরা ছোটগল্পের স্টাইলে সাজিয়েছি। কিছু গল্প হয়তো একটু অসম্পূর্ণ বা খোলা মনে হতে পারে; কারণ, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল—প্রতিটি চরিত্র যেন দর্শকের মনে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। সব উত্তর গল্পে নয়, দর্শকের অনুভবে রেখে দিতে চেয়েছি।
এই আট নারীর বাসস্থান কি কাছাকাছি অঞ্চলে? নাকি দূরে দূরে? কেউ কারও সম্পর্কে জানতে পারে না কেন? তাদের অবস্থান আর আব্বাসের মুভমেন্ট কি সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হলো?
এই নারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকে—চট্টগ্রাম, বগুড়া, যশোর, খুলনা, দিনাজপুর, ঢাকার আশপাশে। আব্বাস ট্রাকচালক, ফলে তার চলাচল বিস্তৃত। এটাও গল্পের একটি ডিভাইস, যাতে তার ভৌগোলিক বিচরণ বিশ্বাসযোগ্য হয়। কেউ কাউকে না চেনা—এটাও আজকের দিনে ইন্টারনেট যুগে প্রশ্ন তুলতে পারে। তবে এটাকে নাটকীয় ছাড় হিসেবে নিতে হবে।
সিরিজের এন্ড ক্লাইমেক্সে দেখা গেল, স্ত্রীরা একে একে আব্বাসকে ছেড়ে চলে গেল। কেউ তাকে বোঝার চেষ্টা করল না, বা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল না—এটা কেন?
এটাই গল্পের মূল ট্র্যাজেডি। আব্বাস যতটা নিঃস্বার্থ ভেবেছিল সম্পর্কগুলো, বাস্তবে মানুষ তার মতো ভাবেনি, ভাবে না। তারা তাকে ভালোবেসেছে, কিন্তু সেই ভালোবাসায় দ্বিধা ছিল, শঙ্কা ছিল। এই ফেয়ারি টেল বা গল্পের শেষটা একটু বিষণ্ন; কারণ, বাস্তবেও সব ভালোবাসা স্থায়ী হয় না।
বোহেমিয়ান ঘোড়ার দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
প্রাথমিকভাবে ভাবছি নতুন সিজনের কথা। যদি দর্শকের আগ্রহ ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকে, তাহলে নিশ্চয় দ্বিতীয় সিজনের গল্প নিয়ে বসা যাবে। আব্বাসের জীবন তো এখানেই শেষ না।
চারদিকে যখন রহস্য, থ্রিলার, অ্যাকশনের জয়জয়কার, তখন কি এমন একটা গল্পনির্ভর সিরিজ বানানো ঝুঁকি মনে হয়নি?
অবশ্যই ঝুঁকি মনে হয়েছে, ঝুঁকি ছিল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বাংলার দর্শক শুধু রহস্য বা অ্যাকশনেই আটকে নেই। তারা গল্প চায়—ভালো গল্প, নতুন আঙ্গিকের গল্প। সে বিশ্বাস থেকেই সাহস করেছি এমন গল্পনির্ভর একটি সিরিজ বানানোর।
সিনেমা নিয়ে নতুন কোনো খবর আছে?
একটা নতুন ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, তাই এখনই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এবারের গল্পটা একটু গভীর, আরেকটু নিরীক্ষাধর্মী।
ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখার সুযোগ হয়েছে?
না, এখনো সব দেখা হয়নি। তবে যেগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো অবশ্যই দেখতে চাই।
কদিন আগে দেখলাম, ‘ইন আ রিলেশনশিপ’ স্ট্যাটাস দিয়েছেন?
(হাসি) ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা ব্যক্তিগতই রাখতে চাই। তবে হ্যাঁ, নতুন একটা সম্পর্কের শুরু হয়েছে। সময় বলে দেবে বাকিটা।
বেশ লম্বা সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, কী করছেন? ওখানে স্থায়ী হওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
হ্যাঁ, কিছুদিন হলো এখানে আছি। সিনেমা আর লেখালেখি নিয়ে সময় কাটাচ্ছি। নিউইয়র্ক আমার প্রিয় শহর। তবে চূড়ান্তভাবে থাকার ভাবনা নাই। এই শহরটা আমাদের মতো গল্পকারদের জন্য এক আশ্চর্য ল্যাবরেটরি—প্রতিদিন শিখছি, দেখছি, ভাঙছি, গড়ছি। আমাদের জানা-পড়া একটু কম, তাই সময় নিচ্ছি নিজেকে আরও একটু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। এই সময়টাকে আত্মশুদ্ধির, আত্মসন্ধানের মতো করে নিচ্ছি। যখন মনে হবে পরের সিনেমার জন্য মানুষ তৈরি, প্রযোজক তৈরি, তখনই ফিরব আলোছায়ার খেলায়। স্থায়ীভাবে (যুক্তরাষ্ট্রে) থাকব কি না, সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে নিউইয়র্ক আমাকে অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
দেশে ফিরবেন কবে?
নতুন করে পড়াশোনায় যোগ দিচ্ছি। শেষ হলে ফিরব।
আপনার ‘সিনেমা পাঠশালা’ কেমন চলছে? জুলাইতে নতুন ব্যাচ শুরু করবেন শুনলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
সিনেমা পাঠশালা আমার একান্ত স্বপ্নের জায়গা। জুলাইতে ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু হবে, প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এটা শুধুই একটা ক্লাসরুম না, একটা আড্ডা, একটা চর্চাকেন্দ্র, একটা নির্মাণশালা, যেখানে সিনেমার ভাষা নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায়, ঝুঁকি নেওয়া যায়। এখানে শেখার চেয়ে প্রশ্ন করাটাকে বেশি গুরুত্ব দিই। ক্লাসরুমের কাঠামোটা খুব অলটারনেটিভ—নির্দিষ্ট পাঠ্যবই নেই, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিশ্ব সিনেমার চর্চা, ছাত্রদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
অনেক দিন হলো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এদিকে ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পেল আপনার পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শকেরা সিরিজের ভিন্নধর্মী গল্প, লোকজ আবহ আর মোশাররফ করিমের অভিনয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করছেন। অনেকে বলেছেন, এটা একটা পলিটিক্যাল ফোক ফ্যান্টাসি, যা আগে দেখা যায়নি।
আব্বাস একজন অনাথ, এতিম। পরোপকার করতেই আটজন পোড় খাওয়া নারীকে বিয়ে করে? বিয়ে না দেখিয়ে বিষয়টা অন্যভাবে দেখানো যেত কি?
হ্যাঁ, অন্যভাবে দেখানো যেত। তবে এই ‘বিয়ে’গুলো আসলে প্রতীকী। একজন মানুষ, যিনি নারীদের পাশে দাঁড়ান, সংসার ভেঙে যাওয়া নারীদের নতুন জীবনের সুযোগ করে দেন। সমাজ এটাকে বিয়ে বলেই ধরে নেয়। এই মেটাফোর দিয়েই আমরা গল্পটা বলতে চেয়েছি।
আটটা এপিসোডে আট নারীকে ঘিরে আটটি গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গল্পগুলো কি পরিপূর্ণভাবে বলা গেল?
গল্পগুলো আমরা ছোটগল্পের স্টাইলে সাজিয়েছি। কিছু গল্প হয়তো একটু অসম্পূর্ণ বা খোলা মনে হতে পারে; কারণ, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল—প্রতিটি চরিত্র যেন দর্শকের মনে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। সব উত্তর গল্পে নয়, দর্শকের অনুভবে রেখে দিতে চেয়েছি।
এই আট নারীর বাসস্থান কি কাছাকাছি অঞ্চলে? নাকি দূরে দূরে? কেউ কারও সম্পর্কে জানতে পারে না কেন? তাদের অবস্থান আর আব্বাসের মুভমেন্ট কি সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হলো?
এই নারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকে—চট্টগ্রাম, বগুড়া, যশোর, খুলনা, দিনাজপুর, ঢাকার আশপাশে। আব্বাস ট্রাকচালক, ফলে তার চলাচল বিস্তৃত। এটাও গল্পের একটি ডিভাইস, যাতে তার ভৌগোলিক বিচরণ বিশ্বাসযোগ্য হয়। কেউ কাউকে না চেনা—এটাও আজকের দিনে ইন্টারনেট যুগে প্রশ্ন তুলতে পারে। তবে এটাকে নাটকীয় ছাড় হিসেবে নিতে হবে।
সিরিজের এন্ড ক্লাইমেক্সে দেখা গেল, স্ত্রীরা একে একে আব্বাসকে ছেড়ে চলে গেল। কেউ তাকে বোঝার চেষ্টা করল না, বা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল না—এটা কেন?
এটাই গল্পের মূল ট্র্যাজেডি। আব্বাস যতটা নিঃস্বার্থ ভেবেছিল সম্পর্কগুলো, বাস্তবে মানুষ তার মতো ভাবেনি, ভাবে না। তারা তাকে ভালোবেসেছে, কিন্তু সেই ভালোবাসায় দ্বিধা ছিল, শঙ্কা ছিল। এই ফেয়ারি টেল বা গল্পের শেষটা একটু বিষণ্ন; কারণ, বাস্তবেও সব ভালোবাসা স্থায়ী হয় না।
বোহেমিয়ান ঘোড়ার দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
প্রাথমিকভাবে ভাবছি নতুন সিজনের কথা। যদি দর্শকের আগ্রহ ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকে, তাহলে নিশ্চয় দ্বিতীয় সিজনের গল্প নিয়ে বসা যাবে। আব্বাসের জীবন তো এখানেই শেষ না।
চারদিকে যখন রহস্য, থ্রিলার, অ্যাকশনের জয়জয়কার, তখন কি এমন একটা গল্পনির্ভর সিরিজ বানানো ঝুঁকি মনে হয়নি?
অবশ্যই ঝুঁকি মনে হয়েছে, ঝুঁকি ছিল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বাংলার দর্শক শুধু রহস্য বা অ্যাকশনেই আটকে নেই। তারা গল্প চায়—ভালো গল্প, নতুন আঙ্গিকের গল্প। সে বিশ্বাস থেকেই সাহস করেছি এমন গল্পনির্ভর একটি সিরিজ বানানোর।
সিনেমা নিয়ে নতুন কোনো খবর আছে?
একটা নতুন ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, তাই এখনই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এবারের গল্পটা একটু গভীর, আরেকটু নিরীক্ষাধর্মী।
ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখার সুযোগ হয়েছে?
না, এখনো সব দেখা হয়নি। তবে যেগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো অবশ্যই দেখতে চাই।
কদিন আগে দেখলাম, ‘ইন আ রিলেশনশিপ’ স্ট্যাটাস দিয়েছেন?
(হাসি) ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা ব্যক্তিগতই রাখতে চাই। তবে হ্যাঁ, নতুন একটা সম্পর্কের শুরু হয়েছে। সময় বলে দেবে বাকিটা।
বেশ লম্বা সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, কী করছেন? ওখানে স্থায়ী হওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
হ্যাঁ, কিছুদিন হলো এখানে আছি। সিনেমা আর লেখালেখি নিয়ে সময় কাটাচ্ছি। নিউইয়র্ক আমার প্রিয় শহর। তবে চূড়ান্তভাবে থাকার ভাবনা নাই। এই শহরটা আমাদের মতো গল্পকারদের জন্য এক আশ্চর্য ল্যাবরেটরি—প্রতিদিন শিখছি, দেখছি, ভাঙছি, গড়ছি। আমাদের জানা-পড়া একটু কম, তাই সময় নিচ্ছি নিজেকে আরও একটু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। এই সময়টাকে আত্মশুদ্ধির, আত্মসন্ধানের মতো করে নিচ্ছি। যখন মনে হবে পরের সিনেমার জন্য মানুষ তৈরি, প্রযোজক তৈরি, তখনই ফিরব আলোছায়ার খেলায়। স্থায়ীভাবে (যুক্তরাষ্ট্রে) থাকব কি না, সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে নিউইয়র্ক আমাকে অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
দেশে ফিরবেন কবে?
নতুন করে পড়াশোনায় যোগ দিচ্ছি। শেষ হলে ফিরব।
আপনার ‘সিনেমা পাঠশালা’ কেমন চলছে? জুলাইতে নতুন ব্যাচ শুরু করবেন শুনলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
সিনেমা পাঠশালা আমার একান্ত স্বপ্নের জায়গা। জুলাইতে ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু হবে, প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এটা শুধুই একটা ক্লাসরুম না, একটা আড্ডা, একটা চর্চাকেন্দ্র, একটা নির্মাণশালা, যেখানে সিনেমার ভাষা নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায়, ঝুঁকি নেওয়া যায়। এখানে শেখার চেয়ে প্রশ্ন করাটাকে বেশি গুরুত্ব দিই। ক্লাসরুমের কাঠামোটা খুব অলটারনেটিভ—নির্দিষ্ট পাঠ্যবই নেই, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিশ্ব সিনেমার চর্চা, ছাত্রদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৬ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৬ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

ঈদে হইচইয়ে মুক্তি পেল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে সিরিজটি। গল্প গড়ে উঠেছে আব্বাস নামের এক ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে, নানা অঞ্চলে যার আটজন স্ত্রী রয়েছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন সম্পর্কের খবর। কার সঙ্গে জড়ালেন...
১৮ জুন ২০২৫
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৬ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

ঈদে হইচইয়ে মুক্তি পেল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে সিরিজটি। গল্প গড়ে উঠেছে আব্বাস নামের এক ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে, নানা অঞ্চলে যার আটজন স্ত্রী রয়েছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন সম্পর্কের খবর। কার সঙ্গে জড়ালেন...
১৮ জুন ২০২৫
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৬ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

ঈদে হইচইয়ে মুক্তি পেল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে সিরিজটি। গল্প গড়ে উঠেছে আব্বাস নামের এক ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে, নানা অঞ্চলে যার আটজন স্ত্রী রয়েছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন সম্পর্কের খবর। কার সঙ্গে জড়ালেন...
১৮ জুন ২০২৫
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৬ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৬ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

ঈদে হইচইয়ে মুক্তি পেল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে সিরিজটি। গল্প গড়ে উঠেছে আব্বাস নামের এক ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে, নানা অঞ্চলে যার আটজন স্ত্রী রয়েছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন সম্পর্কের খবর। কার সঙ্গে জড়ালেন...
১৮ জুন ২০২৫
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৬ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৬ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৬ ঘণ্টা আগে