অভিনয় করবেন বলেই কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ্জাক। তবে সে সুযোগ এক দিনে আসেনি। শত কষ্ট আর বাধার মুখে পড়েও হাল ছাড়েননি। আজ নায়করাজের জন্মদিনে সেই সংগ্রামের দিনগুলোর কথা লিখেছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর।
খায়রুল বাসার নির্ঝর

কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাজ্জাকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সাল ১৯৬৪। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কলকাতায় আর নয়, মুম্বাই গিয়ে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজবেন। তবে পরিচালক পীযূষ বসুর পরামর্শে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। শুরু হয় ঢাকায় তাঁর উদ্বাস্তুজীবন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, সিনেমায় অভিনয়ের সেই স্বপ্ন তখনো অধরা। ঢাকায় এসে দেখলেন, এখানে বাংলা সিনেমা হয়-ই না বলা চলে। অল্পবিস্তর যেগুলো হয়, চলে না তেমন। বরং উর্দু সিনেমার বাজার রমরমা তখন। ভাষা না জানায় তাতেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
পরিচয় হয় কয়েকজন নাট্যকর্মীর সঙ্গে। শুরু করেন মঞ্চনাটকে অভিনয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ—নানা জায়গায় বেশ কিছু নাটক করেছেন ওই সময়। তবে দুটো অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নাটকটাও ছাড়তে হয়। একবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ডিম ছোড়াছুড়ি শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নাট্যদল। আরেকবার ব্রিটিশ কাউন্সিলে শো করতে গিয়ে পড়ে যান দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে। ‘হঠাৎ মারামারি লেগে ছুরি বের করেছে সব। ওই যে দৌড় মারলাম, বললাম, আর নাটক করব না। নাটকে এগুলো কেন?’ নাটক ছেড়ে সহকারী পরিচালকের কাজ শুরু করলেন রাজ্জাক।
কিন্তু পরিচালকের সহকারী হিসেবে যৎসামান্য অর্থ যা পান, সংসার তাতে চলে না। ভীষণ টানাপোড়েনের দিন। তত দিনে পরিবারে আরেক নতুন সদস্য এসেছে। বাচ্চাদের দুধ কেনার টাকা জোগাড় করাই বড় চ্যালেঞ্জ তখন। প্রযোজকদের অফিসে অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রত্যেকে—কেউ হাসিমুখে, কেউ কটু কথা শুনিয়ে। রাজ্জাক তবু হাল ছাড়ছেন না, মনে তবু আশা—কিছু একটা হবে।
রাজ্জাক বলেন, ‘কলকাতা থেকে যা টাকা নিয়ে এসেছিলাম, প্রায় শেষের দিকে। আমার তখন বেশ স্ট্রাগলিং পিরিয়ড চলছে। দুটো বাচ্চা, তাদের ফিড করা। আমি তখন দিশেহারা হয়ে গেলাম, কী করব! একবেলা খাই, একবেলা খাই না। হেঁটে চলি।’ তখন সদ্যই ঢাকায় টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলা সংবাদ পাঠক হিসেবে সাক্ষাৎকার দিলেন রাজ্জাক। নির্বাচিতও হলেন। তবে প্রযোজক জামান আলী খানের আপত্তিতে কাজটি করা হলো না। তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেন, ওকে নিয়েন না, ও আর্টিস্ট মানুষ, ওর ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাবে। বলা চলে, তিনিই রাজ্জাককে সেদিন বাঁচিয়ে দিলেন। সুযোগ পাইয়ে দিলেন ধারাবাহিক নাটক ‘ঘরোয়া’য় অভিনয়ের। সপ্তাহে একটা শো। ৬৫ টাকা। অন্নসংস্থানের একটা ব্যবস্থা অন্তত হলো। তার চেয়ে বড় কথা, সাহস এল মনে।
এর মধ্যেই রাজ্জাকের যোগাযোগ হয় জহির রায়হানের সঙ্গে। তিনি কথা দিয়েছিলেন, ‘হাজার বছর ধরে’ নামের নতুন সিনেমায় রাজ্জাককে নায়ক হিসেবে নেবেন। একদিন রাজ্জাক খবর পেলেন, জহির রায়হান তাঁকে খুঁজছেন। গিয়ে শুনলেন, হাজার বছর ধরে নয়, তাঁকে নিয়ে ‘বেহুলা’ সিনেমা করবেন তিনি। ৫০০ টাকায় সাইন হলো। তবে বেঁকে বসল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টার সিনে করপোরেশন। রাজ্জাককে তারা কিছুতেই নায়ক হিসেবে নেবে না। তবে অটল ছিলেন জহির রায়হান, ‘জহির ভাইয়ের একটাই কথা ছিল, যদি এই ছবি হয়, তাহলে রাজ্জাককে নেব, নাহলে ছবি হবে না।’ নানা বাধা পেরিয়ে শুটিং শেষ হলো, ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেল এবং ছবি সুপারহিট। বেহুলা দিয়ে রাজ্জাকের পায়ের তলায় শক্ত ভিতটা তৈরি করে দিলেন জহির রায়হান। এরপর তাঁর পরিচালনায় আরও কয়েকটি আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। ১৯৭২ সালে জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়া পর্যন্ত দুজনের সম্পর্ক ছিল ভীষণ মধুর। পেশাদার সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্জাক জড়িয়ে পড়েছিলেন জহির রায়হানের ব্যক্তিগত জীবনযাপন ও সংকটে। সে গল্প বলব আরেক দিন।

কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাজ্জাকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সাল ১৯৬৪। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কলকাতায় আর নয়, মুম্বাই গিয়ে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজবেন। তবে পরিচালক পীযূষ বসুর পরামর্শে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। শুরু হয় ঢাকায় তাঁর উদ্বাস্তুজীবন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, সিনেমায় অভিনয়ের সেই স্বপ্ন তখনো অধরা। ঢাকায় এসে দেখলেন, এখানে বাংলা সিনেমা হয়-ই না বলা চলে। অল্পবিস্তর যেগুলো হয়, চলে না তেমন। বরং উর্দু সিনেমার বাজার রমরমা তখন। ভাষা না জানায় তাতেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
পরিচয় হয় কয়েকজন নাট্যকর্মীর সঙ্গে। শুরু করেন মঞ্চনাটকে অভিনয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ—নানা জায়গায় বেশ কিছু নাটক করেছেন ওই সময়। তবে দুটো অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নাটকটাও ছাড়তে হয়। একবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ডিম ছোড়াছুড়ি শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নাট্যদল। আরেকবার ব্রিটিশ কাউন্সিলে শো করতে গিয়ে পড়ে যান দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে। ‘হঠাৎ মারামারি লেগে ছুরি বের করেছে সব। ওই যে দৌড় মারলাম, বললাম, আর নাটক করব না। নাটকে এগুলো কেন?’ নাটক ছেড়ে সহকারী পরিচালকের কাজ শুরু করলেন রাজ্জাক।
কিন্তু পরিচালকের সহকারী হিসেবে যৎসামান্য অর্থ যা পান, সংসার তাতে চলে না। ভীষণ টানাপোড়েনের দিন। তত দিনে পরিবারে আরেক নতুন সদস্য এসেছে। বাচ্চাদের দুধ কেনার টাকা জোগাড় করাই বড় চ্যালেঞ্জ তখন। প্রযোজকদের অফিসে অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রত্যেকে—কেউ হাসিমুখে, কেউ কটু কথা শুনিয়ে। রাজ্জাক তবু হাল ছাড়ছেন না, মনে তবু আশা—কিছু একটা হবে।
রাজ্জাক বলেন, ‘কলকাতা থেকে যা টাকা নিয়ে এসেছিলাম, প্রায় শেষের দিকে। আমার তখন বেশ স্ট্রাগলিং পিরিয়ড চলছে। দুটো বাচ্চা, তাদের ফিড করা। আমি তখন দিশেহারা হয়ে গেলাম, কী করব! একবেলা খাই, একবেলা খাই না। হেঁটে চলি।’ তখন সদ্যই ঢাকায় টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলা সংবাদ পাঠক হিসেবে সাক্ষাৎকার দিলেন রাজ্জাক। নির্বাচিতও হলেন। তবে প্রযোজক জামান আলী খানের আপত্তিতে কাজটি করা হলো না। তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেন, ওকে নিয়েন না, ও আর্টিস্ট মানুষ, ওর ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাবে। বলা চলে, তিনিই রাজ্জাককে সেদিন বাঁচিয়ে দিলেন। সুযোগ পাইয়ে দিলেন ধারাবাহিক নাটক ‘ঘরোয়া’য় অভিনয়ের। সপ্তাহে একটা শো। ৬৫ টাকা। অন্নসংস্থানের একটা ব্যবস্থা অন্তত হলো। তার চেয়ে বড় কথা, সাহস এল মনে।
এর মধ্যেই রাজ্জাকের যোগাযোগ হয় জহির রায়হানের সঙ্গে। তিনি কথা দিয়েছিলেন, ‘হাজার বছর ধরে’ নামের নতুন সিনেমায় রাজ্জাককে নায়ক হিসেবে নেবেন। একদিন রাজ্জাক খবর পেলেন, জহির রায়হান তাঁকে খুঁজছেন। গিয়ে শুনলেন, হাজার বছর ধরে নয়, তাঁকে নিয়ে ‘বেহুলা’ সিনেমা করবেন তিনি। ৫০০ টাকায় সাইন হলো। তবে বেঁকে বসল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টার সিনে করপোরেশন। রাজ্জাককে তারা কিছুতেই নায়ক হিসেবে নেবে না। তবে অটল ছিলেন জহির রায়হান, ‘জহির ভাইয়ের একটাই কথা ছিল, যদি এই ছবি হয়, তাহলে রাজ্জাককে নেব, নাহলে ছবি হবে না।’ নানা বাধা পেরিয়ে শুটিং শেষ হলো, ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেল এবং ছবি সুপারহিট। বেহুলা দিয়ে রাজ্জাকের পায়ের তলায় শক্ত ভিতটা তৈরি করে দিলেন জহির রায়হান। এরপর তাঁর পরিচালনায় আরও কয়েকটি আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। ১৯৭২ সালে জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়া পর্যন্ত দুজনের সম্পর্ক ছিল ভীষণ মধুর। পেশাদার সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্জাক জড়িয়ে পড়েছিলেন জহির রায়হানের ব্যক্তিগত জীবনযাপন ও সংকটে। সে গল্প বলব আরেক দিন।
অভিনয় করবেন বলেই কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ্জাক। তবে সে সুযোগ এক দিনে আসেনি। শত কষ্ট আর বাধার মুখে পড়েও হাল ছাড়েননি। আজ নায়করাজের জন্মদিনে সেই সংগ্রামের দিনগুলোর কথা লিখেছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর।
খায়রুল বাসার নির্ঝর

কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাজ্জাকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সাল ১৯৬৪। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কলকাতায় আর নয়, মুম্বাই গিয়ে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজবেন। তবে পরিচালক পীযূষ বসুর পরামর্শে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। শুরু হয় ঢাকায় তাঁর উদ্বাস্তুজীবন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, সিনেমায় অভিনয়ের সেই স্বপ্ন তখনো অধরা। ঢাকায় এসে দেখলেন, এখানে বাংলা সিনেমা হয়-ই না বলা চলে। অল্পবিস্তর যেগুলো হয়, চলে না তেমন। বরং উর্দু সিনেমার বাজার রমরমা তখন। ভাষা না জানায় তাতেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
পরিচয় হয় কয়েকজন নাট্যকর্মীর সঙ্গে। শুরু করেন মঞ্চনাটকে অভিনয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ—নানা জায়গায় বেশ কিছু নাটক করেছেন ওই সময়। তবে দুটো অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নাটকটাও ছাড়তে হয়। একবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ডিম ছোড়াছুড়ি শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নাট্যদল। আরেকবার ব্রিটিশ কাউন্সিলে শো করতে গিয়ে পড়ে যান দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে। ‘হঠাৎ মারামারি লেগে ছুরি বের করেছে সব। ওই যে দৌড় মারলাম, বললাম, আর নাটক করব না। নাটকে এগুলো কেন?’ নাটক ছেড়ে সহকারী পরিচালকের কাজ শুরু করলেন রাজ্জাক।
কিন্তু পরিচালকের সহকারী হিসেবে যৎসামান্য অর্থ যা পান, সংসার তাতে চলে না। ভীষণ টানাপোড়েনের দিন। তত দিনে পরিবারে আরেক নতুন সদস্য এসেছে। বাচ্চাদের দুধ কেনার টাকা জোগাড় করাই বড় চ্যালেঞ্জ তখন। প্রযোজকদের অফিসে অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রত্যেকে—কেউ হাসিমুখে, কেউ কটু কথা শুনিয়ে। রাজ্জাক তবু হাল ছাড়ছেন না, মনে তবু আশা—কিছু একটা হবে।
রাজ্জাক বলেন, ‘কলকাতা থেকে যা টাকা নিয়ে এসেছিলাম, প্রায় শেষের দিকে। আমার তখন বেশ স্ট্রাগলিং পিরিয়ড চলছে। দুটো বাচ্চা, তাদের ফিড করা। আমি তখন দিশেহারা হয়ে গেলাম, কী করব! একবেলা খাই, একবেলা খাই না। হেঁটে চলি।’ তখন সদ্যই ঢাকায় টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলা সংবাদ পাঠক হিসেবে সাক্ষাৎকার দিলেন রাজ্জাক। নির্বাচিতও হলেন। তবে প্রযোজক জামান আলী খানের আপত্তিতে কাজটি করা হলো না। তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেন, ওকে নিয়েন না, ও আর্টিস্ট মানুষ, ওর ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাবে। বলা চলে, তিনিই রাজ্জাককে সেদিন বাঁচিয়ে দিলেন। সুযোগ পাইয়ে দিলেন ধারাবাহিক নাটক ‘ঘরোয়া’য় অভিনয়ের। সপ্তাহে একটা শো। ৬৫ টাকা। অন্নসংস্থানের একটা ব্যবস্থা অন্তত হলো। তার চেয়ে বড় কথা, সাহস এল মনে।
এর মধ্যেই রাজ্জাকের যোগাযোগ হয় জহির রায়হানের সঙ্গে। তিনি কথা দিয়েছিলেন, ‘হাজার বছর ধরে’ নামের নতুন সিনেমায় রাজ্জাককে নায়ক হিসেবে নেবেন। একদিন রাজ্জাক খবর পেলেন, জহির রায়হান তাঁকে খুঁজছেন। গিয়ে শুনলেন, হাজার বছর ধরে নয়, তাঁকে নিয়ে ‘বেহুলা’ সিনেমা করবেন তিনি। ৫০০ টাকায় সাইন হলো। তবে বেঁকে বসল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টার সিনে করপোরেশন। রাজ্জাককে তারা কিছুতেই নায়ক হিসেবে নেবে না। তবে অটল ছিলেন জহির রায়হান, ‘জহির ভাইয়ের একটাই কথা ছিল, যদি এই ছবি হয়, তাহলে রাজ্জাককে নেব, নাহলে ছবি হবে না।’ নানা বাধা পেরিয়ে শুটিং শেষ হলো, ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেল এবং ছবি সুপারহিট। বেহুলা দিয়ে রাজ্জাকের পায়ের তলায় শক্ত ভিতটা তৈরি করে দিলেন জহির রায়হান। এরপর তাঁর পরিচালনায় আরও কয়েকটি আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। ১৯৭২ সালে জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়া পর্যন্ত দুজনের সম্পর্ক ছিল ভীষণ মধুর। পেশাদার সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্জাক জড়িয়ে পড়েছিলেন জহির রায়হানের ব্যক্তিগত জীবনযাপন ও সংকটে। সে গল্প বলব আরেক দিন।

কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাজ্জাকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সাল ১৯৬৪। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কলকাতায় আর নয়, মুম্বাই গিয়ে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজবেন। তবে পরিচালক পীযূষ বসুর পরামর্শে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। শুরু হয় ঢাকায় তাঁর উদ্বাস্তুজীবন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, সিনেমায় অভিনয়ের সেই স্বপ্ন তখনো অধরা। ঢাকায় এসে দেখলেন, এখানে বাংলা সিনেমা হয়-ই না বলা চলে। অল্পবিস্তর যেগুলো হয়, চলে না তেমন। বরং উর্দু সিনেমার বাজার রমরমা তখন। ভাষা না জানায় তাতেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
পরিচয় হয় কয়েকজন নাট্যকর্মীর সঙ্গে। শুরু করেন মঞ্চনাটকে অভিনয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ—নানা জায়গায় বেশ কিছু নাটক করেছেন ওই সময়। তবে দুটো অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নাটকটাও ছাড়তে হয়। একবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ডিম ছোড়াছুড়ি শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নাট্যদল। আরেকবার ব্রিটিশ কাউন্সিলে শো করতে গিয়ে পড়ে যান দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে। ‘হঠাৎ মারামারি লেগে ছুরি বের করেছে সব। ওই যে দৌড় মারলাম, বললাম, আর নাটক করব না। নাটকে এগুলো কেন?’ নাটক ছেড়ে সহকারী পরিচালকের কাজ শুরু করলেন রাজ্জাক।
কিন্তু পরিচালকের সহকারী হিসেবে যৎসামান্য অর্থ যা পান, সংসার তাতে চলে না। ভীষণ টানাপোড়েনের দিন। তত দিনে পরিবারে আরেক নতুন সদস্য এসেছে। বাচ্চাদের দুধ কেনার টাকা জোগাড় করাই বড় চ্যালেঞ্জ তখন। প্রযোজকদের অফিসে অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রত্যেকে—কেউ হাসিমুখে, কেউ কটু কথা শুনিয়ে। রাজ্জাক তবু হাল ছাড়ছেন না, মনে তবু আশা—কিছু একটা হবে।
রাজ্জাক বলেন, ‘কলকাতা থেকে যা টাকা নিয়ে এসেছিলাম, প্রায় শেষের দিকে। আমার তখন বেশ স্ট্রাগলিং পিরিয়ড চলছে। দুটো বাচ্চা, তাদের ফিড করা। আমি তখন দিশেহারা হয়ে গেলাম, কী করব! একবেলা খাই, একবেলা খাই না। হেঁটে চলি।’ তখন সদ্যই ঢাকায় টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলা সংবাদ পাঠক হিসেবে সাক্ষাৎকার দিলেন রাজ্জাক। নির্বাচিতও হলেন। তবে প্রযোজক জামান আলী খানের আপত্তিতে কাজটি করা হলো না। তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেন, ওকে নিয়েন না, ও আর্টিস্ট মানুষ, ওর ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাবে। বলা চলে, তিনিই রাজ্জাককে সেদিন বাঁচিয়ে দিলেন। সুযোগ পাইয়ে দিলেন ধারাবাহিক নাটক ‘ঘরোয়া’য় অভিনয়ের। সপ্তাহে একটা শো। ৬৫ টাকা। অন্নসংস্থানের একটা ব্যবস্থা অন্তত হলো। তার চেয়ে বড় কথা, সাহস এল মনে।
এর মধ্যেই রাজ্জাকের যোগাযোগ হয় জহির রায়হানের সঙ্গে। তিনি কথা দিয়েছিলেন, ‘হাজার বছর ধরে’ নামের নতুন সিনেমায় রাজ্জাককে নায়ক হিসেবে নেবেন। একদিন রাজ্জাক খবর পেলেন, জহির রায়হান তাঁকে খুঁজছেন। গিয়ে শুনলেন, হাজার বছর ধরে নয়, তাঁকে নিয়ে ‘বেহুলা’ সিনেমা করবেন তিনি। ৫০০ টাকায় সাইন হলো। তবে বেঁকে বসল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টার সিনে করপোরেশন। রাজ্জাককে তারা কিছুতেই নায়ক হিসেবে নেবে না। তবে অটল ছিলেন জহির রায়হান, ‘জহির ভাইয়ের একটাই কথা ছিল, যদি এই ছবি হয়, তাহলে রাজ্জাককে নেব, নাহলে ছবি হবে না।’ নানা বাধা পেরিয়ে শুটিং শেষ হলো, ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেল এবং ছবি সুপারহিট। বেহুলা দিয়ে রাজ্জাকের পায়ের তলায় শক্ত ভিতটা তৈরি করে দিলেন জহির রায়হান। এরপর তাঁর পরিচালনায় আরও কয়েকটি আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। ১৯৭২ সালে জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়া পর্যন্ত দুজনের সম্পর্ক ছিল ভীষণ মধুর। পেশাদার সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্জাক জড়িয়ে পড়েছিলেন জহির রায়হানের ব্যক্তিগত জীবনযাপন ও সংকটে। সে গল্প বলব আরেক দিন।

হঠাৎ করে আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হঠাৎ করে আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জল আর বেশি দূর গড়াতে না দিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমা জানালেন, তাঁর সংসার ভাঙার খবর সত্য নয়। স্বামীর সঙ্গে সুখে আছেন তিনি। বিচ্ছেদের খবর তাঁকে বিস্মিত করেছে।
পূর্ণিমার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে তাঁর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’ এরপরেই শুরু হয় গুঞ্জন।
বিষয়টি টের পেয়ে ২২ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন পূর্ণিমা। কিন্তু তাতেও থামছিল না গুঞ্জন। অবশেষে গতকাল বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী।
ফেসবুকে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিন শেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে। এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসারজীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।’
২০২২ সালের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে।

হঠাৎ করে আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জল আর বেশি দূর গড়াতে না দিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমা জানালেন, তাঁর সংসার ভাঙার খবর সত্য নয়। স্বামীর সঙ্গে সুখে আছেন তিনি। বিচ্ছেদের খবর তাঁকে বিস্মিত করেছে।
পূর্ণিমার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে তাঁর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’ এরপরেই শুরু হয় গুঞ্জন।
বিষয়টি টের পেয়ে ২২ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন পূর্ণিমা। কিন্তু তাতেও থামছিল না গুঞ্জন। অবশেষে গতকাল বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী।
ফেসবুকে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিন শেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে। এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসারজীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।’
২০২২ সালের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে।

অভিনয় করবেন বলেই কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ্জাক। তবে সে সুযোগ এক দিনে আসেনি। শত কষ্ট আর বাধার মুখে পড়েও হাল ছাড়েননি। আজ নায়করাজের জন্মদিনে সেই সংগ্রামের দিনগুলোর...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। এটা শেষ করেই শুটিং করবেন দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ কয়েকটি নাটকের। মনোজ বলেন, ‘বুসানে সাতটি মাস অভিনয়টা খুব মিস করেছি। ওখানে থাকতেই এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কথা হয়েছে। সাত মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। খুব ভালো লাগছে।’
সাত মাসের এই কোর্স সম্পর্কে মনোজ বলেন, ‘এই কোর্সে মূলত প্রযোজনা বিষয়ে পড়াশোনা হয়েছে। এ ছাড়া প্র্যাকটিকালি শেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সিনেমাকে মার্কেটে উপস্থাপন করতে হয়। বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে মার্কেট আছে সেখানে আমাদের পিচিং করানো হয়। এটা খুব এক্সাইটিং ছিল। এ ছাড়া পড়াশোনার ধরন, শিক্ষক, বিষয়—সবই ভালো ছিল।’
মনোজ আরও বলেন, ‘এই কোর্সে এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, রান্না করা, খাওয়া, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা—মনে হচ্ছিল আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির দারুণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে। ১৫টি দেশের নতুন বন্ধু পেয়েছি। এ এক বিশাল পাওয়া।’
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত মনোজ। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন তিনি। এই কোর্সের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হিসেবে অনেক কাজে দেবে বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক হিসেবে কোর্সটি আমার অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কীভাবে সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করতে হয়, কীভাবে একটি প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয়, ফান্ড কালেক্ট করতে হয়—এসব বিষয়ে এই কোর্সে জোর দেওয়া হয়েছে।’
মনোজ জানিয়েছেন, তাঁর সেয়ানা সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করে আগামী বছরের প্রথম ভাগে শুরু করতে চান শুটিং। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান।

চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। এটা শেষ করেই শুটিং করবেন দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ কয়েকটি নাটকের। মনোজ বলেন, ‘বুসানে সাতটি মাস অভিনয়টা খুব মিস করেছি। ওখানে থাকতেই এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কথা হয়েছে। সাত মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। খুব ভালো লাগছে।’
সাত মাসের এই কোর্স সম্পর্কে মনোজ বলেন, ‘এই কোর্সে মূলত প্রযোজনা বিষয়ে পড়াশোনা হয়েছে। এ ছাড়া প্র্যাকটিকালি শেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সিনেমাকে মার্কেটে উপস্থাপন করতে হয়। বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে মার্কেট আছে সেখানে আমাদের পিচিং করানো হয়। এটা খুব এক্সাইটিং ছিল। এ ছাড়া পড়াশোনার ধরন, শিক্ষক, বিষয়—সবই ভালো ছিল।’
মনোজ আরও বলেন, ‘এই কোর্সে এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, রান্না করা, খাওয়া, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা—মনে হচ্ছিল আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির দারুণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে। ১৫টি দেশের নতুন বন্ধু পেয়েছি। এ এক বিশাল পাওয়া।’
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত মনোজ। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন তিনি। এই কোর্সের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হিসেবে অনেক কাজে দেবে বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক হিসেবে কোর্সটি আমার অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কীভাবে সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করতে হয়, কীভাবে একটি প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয়, ফান্ড কালেক্ট করতে হয়—এসব বিষয়ে এই কোর্সে জোর দেওয়া হয়েছে।’
মনোজ জানিয়েছেন, তাঁর সেয়ানা সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করে আগামী বছরের প্রথম ভাগে শুরু করতে চান শুটিং। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান।

অভিনয় করবেন বলেই কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ্জাক। তবে সে সুযোগ এক দিনে আসেনি। শত কষ্ট আর বাধার মুখে পড়েও হাল ছাড়েননি। আজ নায়করাজের জন্মদিনে সেই সংগ্রামের দিনগুলোর...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
হঠাৎ করে আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।

মবল্যান্ড
রোনান বেনেট পরিচালিত ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘মবল্যান্ড’-এর কেন্দ্রে আছে দুটি পরিবার—দ্য হারিগানস ও দ্য স্টিভেনসন। সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। নিজেদের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলা করতে হ্যারি দা সুজা নামের একজনকে নিয়োগ দেয় হারিগানস পরিবার। স্টিভেনসন পরিবারের সব রকমের হামলা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সে। মবল্যান্ড সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, পিয়ার্স ব্রসনান, হেলেন মিরেন প্রমুখ। গত ৩০ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট প্লাসে। মবল্যান্ড নিয়ে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণ চিত্রনাট্য, অনবদ্য নির্মাণ। এই সিরিজে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো, অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আর টানটান গল্প।’

ব্ল্যাক র্যাবিট
জ্যাক ও ভিন্স—দুই ভাইয়ের গল্প। এক ভাই নিউইয়র্ক শহরে রেস্টুরেন্ট চালায়। ব্ল্যাক র্যাবিট নামের রেস্টুরেন্টটি যখন জমজমাট, তখন একদিন হঠাৎ ফিরে আসে ভিন্সের ভাই জ্যাক। সে ঋণে জর্জরিত। জ্যাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের বিপদও আসে। মিথ্যা, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুড ল এবং জেসন বেটম্যান। নেটফ্লিক্সে ‘ব্ল্যাক র্যাবিট’ সিরিজটি প্রচার শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। গল্প কোথাও গতি হারায়নি, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল।’

ওজার্ক
আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ওজার্ক’। নেটফ্লিক্সে এই পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে চারটি সিজন। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব। তবে সবশেষ ২০২২ সালে প্রচারিত চতুর্থ সিজনে ১৪টি পর্ব ছিল। বড় অঙ্কের একটি অর্থ পাচারের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা মার্টি বার্ড ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। স্ত্রীকে নিয়ে মিসৌরির ওকার্ড হ্রদ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মাফিয়া ও অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মার্টি বার্ড। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘নির্মাতারা খুবই কৌশলী। প্রথম পর্ব এমন নাটকীয়ভাবে তৈরি করেছে যে বাকি পর্বগুলো দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম পর্ব যেভাবে মনোযোগ কেড়ে নেয়, তাতে পুরোটা না দেখে ওঠা কঠিন।’

বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।

মবল্যান্ড
রোনান বেনেট পরিচালিত ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘মবল্যান্ড’-এর কেন্দ্রে আছে দুটি পরিবার—দ্য হারিগানস ও দ্য স্টিভেনসন। সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। নিজেদের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলা করতে হ্যারি দা সুজা নামের একজনকে নিয়োগ দেয় হারিগানস পরিবার। স্টিভেনসন পরিবারের সব রকমের হামলা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সে। মবল্যান্ড সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, পিয়ার্স ব্রসনান, হেলেন মিরেন প্রমুখ। গত ৩০ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট প্লাসে। মবল্যান্ড নিয়ে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণ চিত্রনাট্য, অনবদ্য নির্মাণ। এই সিরিজে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো, অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আর টানটান গল্প।’

ব্ল্যাক র্যাবিট
জ্যাক ও ভিন্স—দুই ভাইয়ের গল্প। এক ভাই নিউইয়র্ক শহরে রেস্টুরেন্ট চালায়। ব্ল্যাক র্যাবিট নামের রেস্টুরেন্টটি যখন জমজমাট, তখন একদিন হঠাৎ ফিরে আসে ভিন্সের ভাই জ্যাক। সে ঋণে জর্জরিত। জ্যাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের বিপদও আসে। মিথ্যা, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুড ল এবং জেসন বেটম্যান। নেটফ্লিক্সে ‘ব্ল্যাক র্যাবিট’ সিরিজটি প্রচার শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। গল্প কোথাও গতি হারায়নি, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল।’

ওজার্ক
আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ওজার্ক’। নেটফ্লিক্সে এই পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে চারটি সিজন। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব। তবে সবশেষ ২০২২ সালে প্রচারিত চতুর্থ সিজনে ১৪টি পর্ব ছিল। বড় অঙ্কের একটি অর্থ পাচারের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা মার্টি বার্ড ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। স্ত্রীকে নিয়ে মিসৌরির ওকার্ড হ্রদ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মাফিয়া ও অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মার্টি বার্ড। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘নির্মাতারা খুবই কৌশলী। প্রথম পর্ব এমন নাটকীয়ভাবে তৈরি করেছে যে বাকি পর্বগুলো দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম পর্ব যেভাবে মনোযোগ কেড়ে নেয়, তাতে পুরোটা না দেখে ওঠা কঠিন।’

অভিনয় করবেন বলেই কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ্জাক। তবে সে সুযোগ এক দিনে আসেনি। শত কষ্ট আর বাধার মুখে পড়েও হাল ছাড়েননি। আজ নায়করাজের জন্মদিনে সেই সংগ্রামের দিনগুলোর...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
হঠাৎ করে আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চঞ্চল ও ফারিণ।
ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার কোয়েল মল্লিকের ডাকে গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফারিণ। সেখানেই চঞ্চল জানান, তাঁরা দুজনেই সেদিন সিনেমা নিয়ে আলাপ করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তবে আগে থেকে তাঁরা জানতেন না অনিরুদ্ধ তাঁদের একসঙ্গে ডেকেছেন। তাই একে অপরকে দেখে দুজনেই চমকে গিয়েছিলেন।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানতাম না দুজনেই কলকাতায় আছি, পুরোটাই কাকতালীয়। সিনেমার শুটিং আর টোনিদা অর্থাৎ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি মিটিং করার জন্য আমি কলকাতায় আসি। আর ও (ফারিণ) এখানে টোনিদার সঙ্গে মিটিং করতে আসে। দুজনেই যাওয়ার পর দেখা হয় এবং তখন জানতে পারি দুজনেই এখানে আছি।’
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দুজনকে একই সিনেমায় দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘সেটা এখনো নিশ্চিত না। তবে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা আছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
চঞ্চলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফারিণকেও বলতে শোনা যায়, ‘কথা হচ্ছে। দেখা যাক। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে খুদে বার্তায় ফারিণ জানান, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না তিনি।
টালিউড সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা পুরস্কার। এরপর বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’ এবং অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল ফারিণের। ভিসা জটিলতার কারণে দুটি সিনেমা থেকেই সরে আসেন তিনি।
গত বছর সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে যাত্রা শুরু চঞ্চল চৌধুরীর। এতে তিনি অভিনয় করেন কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে। সম্প্রতি চঞ্চল শেষ করেছেন শেকড় সিনেমার শুটিং। তাঁর হাতে রয়েছে অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধারা’। এতে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চঞ্চল ও ফারিণ।
ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার কোয়েল মল্লিকের ডাকে গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফারিণ। সেখানেই চঞ্চল জানান, তাঁরা দুজনেই সেদিন সিনেমা নিয়ে আলাপ করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তবে আগে থেকে তাঁরা জানতেন না অনিরুদ্ধ তাঁদের একসঙ্গে ডেকেছেন। তাই একে অপরকে দেখে দুজনেই চমকে গিয়েছিলেন।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানতাম না দুজনেই কলকাতায় আছি, পুরোটাই কাকতালীয়। সিনেমার শুটিং আর টোনিদা অর্থাৎ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি মিটিং করার জন্য আমি কলকাতায় আসি। আর ও (ফারিণ) এখানে টোনিদার সঙ্গে মিটিং করতে আসে। দুজনেই যাওয়ার পর দেখা হয় এবং তখন জানতে পারি দুজনেই এখানে আছি।’
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দুজনকে একই সিনেমায় দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘সেটা এখনো নিশ্চিত না। তবে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা আছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
চঞ্চলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফারিণকেও বলতে শোনা যায়, ‘কথা হচ্ছে। দেখা যাক। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে খুদে বার্তায় ফারিণ জানান, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না তিনি।
টালিউড সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা পুরস্কার। এরপর বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’ এবং অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল ফারিণের। ভিসা জটিলতার কারণে দুটি সিনেমা থেকেই সরে আসেন তিনি।
গত বছর সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে যাত্রা শুরু চঞ্চল চৌধুরীর। এতে তিনি অভিনয় করেন কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে। সম্প্রতি চঞ্চল শেষ করেছেন শেকড় সিনেমার শুটিং। তাঁর হাতে রয়েছে অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধারা’। এতে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

অভিনয় করবেন বলেই কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ্জাক। তবে সে সুযোগ এক দিনে আসেনি। শত কষ্ট আর বাধার মুখে পড়েও হাল ছাড়েননি। আজ নায়করাজের জন্মদিনে সেই সংগ্রামের দিনগুলোর...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
হঠাৎ করে আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে