
ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে ওঠে আসা ত্রিশোর্ধ্ব যুবক মুনাওয়ার ফারুকী। খুব ছোট বেলায় তাঁর মা আত্মহত্যা করেছিলেন। মা হারানোর মানসিক ধকল না কাটতেই ২০০২ সালে যখন একটু বড়, মারাত্মক ট্রমার সম্মুখীন হন। গুজরাটের ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার বীভৎসতা তাঁর শৈশবের মানসপটে গেঁথে যায়।
নিজের কষ্টকে চাপা দিয়ে মানুষকে হাসাতে চেয়েছেন তিনি। এই পথে কোনো কিছুই তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। গুজরাটের যন্ত্রণার অধ্যায় পেছনে ফেলে মুম্বাইয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত। কিন্তু সেই যাত্রাও মসৃণ হয়নি। ২০২১ সালে ‘হিন্দুবিরোধী’ কমেডি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যে অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেটার সঙ্গে তাঁর কমেডির ন্যূনতম কোনো সংযোগ ছিল না। তারপরও তাঁকে ৩৫ দিনের মতো কারাগারে থাকতে হয়েছিল। তবে কোনো বাঁধাই মুনাওয়ার ফারুকীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভারতের সবচেয়ে বড় রিয়্যালিটি শো বিগ বস সিজন-১৭ এর চূড়ান্ত বিজয়ী হয়েছেন তিনি; জিতে নিয়েছেন ৫০ লাখ রুপি।
এক সময়, তাঁর তেমন কোনো অনুসারী ছিল না, বরং বিপুল পরিমাণ বিদ্বেষী ছিল। তবে বিদ্বেষীদের সংখ্যার চেয়ে নিশ্চয়ই এখন ফারুকীর ভক্তের সংখ্যা অনেক বেশি। তার খানিকটা প্রমাণ যেন পাওয়া যায়, বিগ বস জেতার পর তিনি যখন তাঁর নিজের এলাকা মুম্বাইয়ের ডুংরিতে ফিরেছেন তখন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিল হাজারো মানুষ।
তবে এই অর্জনের পথটা মুনাওয়ার ফারুকীর জন্য মসৃণ ছিল না, তাই উঠে এসেছে তাঁর নিজের বক্তব্য থেকে। তিনি বলেছেন, তাঁর শৈশব ছিল বিয়োগান্ত ঘটনায় পরিপূর্ণ। একেবারেই শিশু অবস্থায় মা আত্মহত্যা করেন। ২০০২ সালে মুখোমুখি হতে হয় গুজরাট দাঙ্গার। সে সময় পরিস্থিতি এতটাই কঠিন ছিল যে, একবার তিনি টানা ১২ দিন কারফিউয়ের কারণে ঘর থেকেই বের হতে পারেননি।
যাই হোক, একটু বড় হয়ে আর দশটার তরুণের মতোই স্বপ্নের শহর মুম্বাইয়ে চলে আসেন মুনাওয়ার ফারুকী। কিন্তু পরিণত বয়সের আগেই এমন সব কাজ করে তাঁকে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে যা খুব একটা প্রচলিত নয়। বিগ বসের সেটে এসেও ফারুকী তাঁর অতীত জীবনের বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যাননি বরং ক্রমাগত নিজের আন্ডারডগ অস্তিত্বকে একটু একটু করে বিকশিত করেছেন। এমনভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন, যেখানে সাধারণ মানুষও স্বপ্ন দেখতে পারে।
বিগ বসের সেটে মুনাওয়ার তাঁর সহ-প্রতিযোগীদের খানিকটা খোঁচা দিয়েই বলেন, ‘আমি ডুংরি থেকে এসেছি। বিগ বসে ভোট না পেলে আপনাকে সেট থেকে বের করে দেওয়া হবে, কিন্তু আমাদের ছোট্ট বাড়িতে ঘুমের মধ্যে যদি আপনি এক ইঞ্চি বাড়তি নড়াচড়া করেন তবে আপনাকে ঘর থেকেই বের করে দেওয়া হবে।’
সহ-প্রতিযোগীদের খোঁচা দিলেও আমজনতার সঙ্গে মুনাওয়ারের যোগাযোগ করার ক্ষমতা অসাধারণ এবং এটিই মূলত তাঁর স্ট্যান্ড কমেডির ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মঞ্চে মুনাওয়ার ফারুকী যেন, একজন তরুণ কলেজছাত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি তাঁর দাঙ্গা কবলিত জীবন নিয়ে, ভারতে মুসলমানদের নিয়ে প্রচলিত মনোভাব নিয়ে খোঁচা দিয়ে পারফর্ম করেছেন। তাঁর র্যাপ গানেও একই ধরনে বিষয়বস্তুগুলো উঠে এসেছে। জীবনে ধাক্কা খেয়েছেন কিন্তু মুনাওয়ার ভেঙে পড়েননি।
নিজের অতীতের বিষয়ে মুনাওয়ার ফারুকী খুবই সাহসী। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমি আমার অতীতকে আমার কাজে তুলে ধরি মূলত, আমার অতীত নিয়ে আমি কতটা গর্বিত তা প্রকাশ করার জন্য। এটা কখনই সহানুভূতি অর্জনের জন্য নয় কিংবা শুধু মানুষকে বলার জন্য নয় যে, আমি কত কষ্ট করে এত দূর এসেছি।’
নিকট অতীতে মুনাওয়ার ফারুকীর জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা বোধ হয় বিনা কারণে জেলে যাওয়া। ২০২১ সালে মুনাওয়ার ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে স্ট্যান্ডআপ কমেডির জন্য ১৪টি শহর সফরের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ইন্দোরে যান মুনাওয়ার ফারুকীরা। কিন্তু শো শুরুর আগেই তাঁকে ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, ‘হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত হানার’ অভিযোগে। অথচ তিনি সে ধরনের কোনো কমেডিই করেননি। পরে পুলিশও বলেছে, তাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। তারপরও বিনা কারণে, মুনাওয়ার ফারুকী ৩৫ দিনে কারাগারে ছিলেন।

ঘটনাটি ফারুকীকে বিরাট ধাক্কা দিয়েছিল। একপর্যায়ে তিনি তাঁর স্ট্যান্ডআপ কমেডি, র্যাপ গান দুটোই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। আক্ষেপ করে তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত ঘৃণাই জিতল, হেরে গেল এক শিল্পী। এখানেই সব শেষ।’
এর দুই মাস পর জীবনকে নতুন মোড় দিতে মুনাওয়ার ফারুকী অংশ নেন টিভি শো ‘লক আপে’। বলিডউ অভিনেত্রী ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রনৌত উপস্থাপিত এই শোর বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হন মুনাওয়ার। এই শোতে বিজয়ী হওয়ার ঘটনা মুনাওয়ারের জীবনকে নয়া মোড় দেয়। যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। সেই শো শেষ হওয়ার পর কঙ্গনা ‘মুসলিম’ মুনাওয়ারের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
সেই শো সত্যিকার অর্থেই মুনাওয়ারের জীবন ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর কর্মজীবন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। সেই সময়ের পর তিনি দারুণ কিছু র্যাপ তৈরি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্পটিফাই ও ইউটিউবে তাঁর গানের লাখ লাখ শ্রোতা দেখা যায়। তাঁর ইনস্টাগ্রাম আবারও সবার সামনে ফিরে আসে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপার, তিনি আবারও স্ট্যান্ডআপ কমেডিতে ফিরে আসেন। বিগ বসের সেটেও মুনাওয়ার ফারুকী তাঁর স্বভাবসুলভ চপলতা, প্রাণচাঞ্চল্য ধরে রেখেছিলেন।
যাই হোক, বিগ বস জয় মুনাওয়ার ফারুকীর জীবনকে যেন আপাত পূর্ণতা দিয়েছে। অন্তত বিশ্লেষকেরা তাই মনে করেন। তাদের মত, দর্শক মুনাওয়ার ফারুকীকে স্বভাবসুলভ চপলতা, প্রাণচাঞ্চল্য ও সরস কমেডির জন্যই পছন্দ করেছে। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিম আলীর মতে, ভারতের জন মানুষের একটা বড় অংশই মনে করে—ফারুকীর জীবনের গল্প, তাঁর কমেডির ঢঙ তাদের জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।
অনেকে বলছেন, ফারুকী যেভাবে নিজেকে ভারতের ‘সবচেয়ে ঘৃণিত’ তরুণ থেকে ‘প্রিয়তম’ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অপ্রচলিত যে উপায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। আসিম আলীর মতে, ‘এটি তাঁর জীবনকে সংগ্রামের একটি ধারায় আবদ্ধ করেছে দিয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন, গণমাধ্যমে পক্ষপাতদুষ্ট আক্রমণের শিকার হয়েছিলে। কিন্তু তারপরও ভারতে একজন তারকা হিসেবেই নিজের অবস্থান অর্জন করে নিয়েছেন।’ তবে ফারুকীর হয়ে সবাই খুশি নয়। জনপ্রিয় হিন্দি টিভি চ্যানেলের এক উপস্থাপক ফারুকীর জয়কে ‘উদ্বেগজনক, কষ্টদায়ক এবং হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফারুকীর এই জয় কেবল তাঁর একার নয়। এই জয় তাঁর মুম্বাইয়ের এলাকা ডুংরিও দরিদ্রদের জয়। তবে এসব ছাপিয়ে অনেকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা তুলেছেন। অনেকে তাঁর দাম্পত্য জীবন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অবশ্য নিজের প্রেমহীন দাম্পত্যের কথা স্বীকার করেছেন। যাই হোক, ব্যক্তির জীবনে উত্থান-পতন, ইতিবাচক-নেতিবাচক গল্প জড়িয়ে থাকে। মুনাওয়ারেরও আছে। তবে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনোই বিতর্কিত হতে চাইনি, তাঁরাই আমাকে এমন বানিয়েছে। আমি তো কমেডি নিয়েই সুখী ছিলাম।’
বিবিসি থেকে অনূদিত

ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে ওঠে আসা ত্রিশোর্ধ্ব যুবক মুনাওয়ার ফারুকী। খুব ছোট বেলায় তাঁর মা আত্মহত্যা করেছিলেন। মা হারানোর মানসিক ধকল না কাটতেই ২০০২ সালে যখন একটু বড়, মারাত্মক ট্রমার সম্মুখীন হন। গুজরাটের ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার বীভৎসতা তাঁর শৈশবের মানসপটে গেঁথে যায়।
নিজের কষ্টকে চাপা দিয়ে মানুষকে হাসাতে চেয়েছেন তিনি। এই পথে কোনো কিছুই তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। গুজরাটের যন্ত্রণার অধ্যায় পেছনে ফেলে মুম্বাইয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত। কিন্তু সেই যাত্রাও মসৃণ হয়নি। ২০২১ সালে ‘হিন্দুবিরোধী’ কমেডি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যে অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেটার সঙ্গে তাঁর কমেডির ন্যূনতম কোনো সংযোগ ছিল না। তারপরও তাঁকে ৩৫ দিনের মতো কারাগারে থাকতে হয়েছিল। তবে কোনো বাঁধাই মুনাওয়ার ফারুকীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভারতের সবচেয়ে বড় রিয়্যালিটি শো বিগ বস সিজন-১৭ এর চূড়ান্ত বিজয়ী হয়েছেন তিনি; জিতে নিয়েছেন ৫০ লাখ রুপি।
এক সময়, তাঁর তেমন কোনো অনুসারী ছিল না, বরং বিপুল পরিমাণ বিদ্বেষী ছিল। তবে বিদ্বেষীদের সংখ্যার চেয়ে নিশ্চয়ই এখন ফারুকীর ভক্তের সংখ্যা অনেক বেশি। তার খানিকটা প্রমাণ যেন পাওয়া যায়, বিগ বস জেতার পর তিনি যখন তাঁর নিজের এলাকা মুম্বাইয়ের ডুংরিতে ফিরেছেন তখন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিল হাজারো মানুষ।
তবে এই অর্জনের পথটা মুনাওয়ার ফারুকীর জন্য মসৃণ ছিল না, তাই উঠে এসেছে তাঁর নিজের বক্তব্য থেকে। তিনি বলেছেন, তাঁর শৈশব ছিল বিয়োগান্ত ঘটনায় পরিপূর্ণ। একেবারেই শিশু অবস্থায় মা আত্মহত্যা করেন। ২০০২ সালে মুখোমুখি হতে হয় গুজরাট দাঙ্গার। সে সময় পরিস্থিতি এতটাই কঠিন ছিল যে, একবার তিনি টানা ১২ দিন কারফিউয়ের কারণে ঘর থেকেই বের হতে পারেননি।
যাই হোক, একটু বড় হয়ে আর দশটার তরুণের মতোই স্বপ্নের শহর মুম্বাইয়ে চলে আসেন মুনাওয়ার ফারুকী। কিন্তু পরিণত বয়সের আগেই এমন সব কাজ করে তাঁকে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে যা খুব একটা প্রচলিত নয়। বিগ বসের সেটে এসেও ফারুকী তাঁর অতীত জীবনের বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যাননি বরং ক্রমাগত নিজের আন্ডারডগ অস্তিত্বকে একটু একটু করে বিকশিত করেছেন। এমনভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন, যেখানে সাধারণ মানুষও স্বপ্ন দেখতে পারে।
বিগ বসের সেটে মুনাওয়ার তাঁর সহ-প্রতিযোগীদের খানিকটা খোঁচা দিয়েই বলেন, ‘আমি ডুংরি থেকে এসেছি। বিগ বসে ভোট না পেলে আপনাকে সেট থেকে বের করে দেওয়া হবে, কিন্তু আমাদের ছোট্ট বাড়িতে ঘুমের মধ্যে যদি আপনি এক ইঞ্চি বাড়তি নড়াচড়া করেন তবে আপনাকে ঘর থেকেই বের করে দেওয়া হবে।’
সহ-প্রতিযোগীদের খোঁচা দিলেও আমজনতার সঙ্গে মুনাওয়ারের যোগাযোগ করার ক্ষমতা অসাধারণ এবং এটিই মূলত তাঁর স্ট্যান্ড কমেডির ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মঞ্চে মুনাওয়ার ফারুকী যেন, একজন তরুণ কলেজছাত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি তাঁর দাঙ্গা কবলিত জীবন নিয়ে, ভারতে মুসলমানদের নিয়ে প্রচলিত মনোভাব নিয়ে খোঁচা দিয়ে পারফর্ম করেছেন। তাঁর র্যাপ গানেও একই ধরনে বিষয়বস্তুগুলো উঠে এসেছে। জীবনে ধাক্কা খেয়েছেন কিন্তু মুনাওয়ার ভেঙে পড়েননি।
নিজের অতীতের বিষয়ে মুনাওয়ার ফারুকী খুবই সাহসী। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমি আমার অতীতকে আমার কাজে তুলে ধরি মূলত, আমার অতীত নিয়ে আমি কতটা গর্বিত তা প্রকাশ করার জন্য। এটা কখনই সহানুভূতি অর্জনের জন্য নয় কিংবা শুধু মানুষকে বলার জন্য নয় যে, আমি কত কষ্ট করে এত দূর এসেছি।’
নিকট অতীতে মুনাওয়ার ফারুকীর জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা বোধ হয় বিনা কারণে জেলে যাওয়া। ২০২১ সালে মুনাওয়ার ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে স্ট্যান্ডআপ কমেডির জন্য ১৪টি শহর সফরের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ইন্দোরে যান মুনাওয়ার ফারুকীরা। কিন্তু শো শুরুর আগেই তাঁকে ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, ‘হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত হানার’ অভিযোগে। অথচ তিনি সে ধরনের কোনো কমেডিই করেননি। পরে পুলিশও বলেছে, তাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। তারপরও বিনা কারণে, মুনাওয়ার ফারুকী ৩৫ দিনে কারাগারে ছিলেন।

ঘটনাটি ফারুকীকে বিরাট ধাক্কা দিয়েছিল। একপর্যায়ে তিনি তাঁর স্ট্যান্ডআপ কমেডি, র্যাপ গান দুটোই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। আক্ষেপ করে তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত ঘৃণাই জিতল, হেরে গেল এক শিল্পী। এখানেই সব শেষ।’
এর দুই মাস পর জীবনকে নতুন মোড় দিতে মুনাওয়ার ফারুকী অংশ নেন টিভি শো ‘লক আপে’। বলিডউ অভিনেত্রী ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রনৌত উপস্থাপিত এই শোর বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হন মুনাওয়ার। এই শোতে বিজয়ী হওয়ার ঘটনা মুনাওয়ারের জীবনকে নয়া মোড় দেয়। যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। সেই শো শেষ হওয়ার পর কঙ্গনা ‘মুসলিম’ মুনাওয়ারের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
সেই শো সত্যিকার অর্থেই মুনাওয়ারের জীবন ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর কর্মজীবন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। সেই সময়ের পর তিনি দারুণ কিছু র্যাপ তৈরি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্পটিফাই ও ইউটিউবে তাঁর গানের লাখ লাখ শ্রোতা দেখা যায়। তাঁর ইনস্টাগ্রাম আবারও সবার সামনে ফিরে আসে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপার, তিনি আবারও স্ট্যান্ডআপ কমেডিতে ফিরে আসেন। বিগ বসের সেটেও মুনাওয়ার ফারুকী তাঁর স্বভাবসুলভ চপলতা, প্রাণচাঞ্চল্য ধরে রেখেছিলেন।
যাই হোক, বিগ বস জয় মুনাওয়ার ফারুকীর জীবনকে যেন আপাত পূর্ণতা দিয়েছে। অন্তত বিশ্লেষকেরা তাই মনে করেন। তাদের মত, দর্শক মুনাওয়ার ফারুকীকে স্বভাবসুলভ চপলতা, প্রাণচাঞ্চল্য ও সরস কমেডির জন্যই পছন্দ করেছে। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিম আলীর মতে, ভারতের জন মানুষের একটা বড় অংশই মনে করে—ফারুকীর জীবনের গল্প, তাঁর কমেডির ঢঙ তাদের জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।
অনেকে বলছেন, ফারুকী যেভাবে নিজেকে ভারতের ‘সবচেয়ে ঘৃণিত’ তরুণ থেকে ‘প্রিয়তম’ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অপ্রচলিত যে উপায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। আসিম আলীর মতে, ‘এটি তাঁর জীবনকে সংগ্রামের একটি ধারায় আবদ্ধ করেছে দিয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন, গণমাধ্যমে পক্ষপাতদুষ্ট আক্রমণের শিকার হয়েছিলে। কিন্তু তারপরও ভারতে একজন তারকা হিসেবেই নিজের অবস্থান অর্জন করে নিয়েছেন।’ তবে ফারুকীর হয়ে সবাই খুশি নয়। জনপ্রিয় হিন্দি টিভি চ্যানেলের এক উপস্থাপক ফারুকীর জয়কে ‘উদ্বেগজনক, কষ্টদায়ক এবং হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফারুকীর এই জয় কেবল তাঁর একার নয়। এই জয় তাঁর মুম্বাইয়ের এলাকা ডুংরিও দরিদ্রদের জয়। তবে এসব ছাপিয়ে অনেকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা তুলেছেন। অনেকে তাঁর দাম্পত্য জীবন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অবশ্য নিজের প্রেমহীন দাম্পত্যের কথা স্বীকার করেছেন। যাই হোক, ব্যক্তির জীবনে উত্থান-পতন, ইতিবাচক-নেতিবাচক গল্প জড়িয়ে থাকে। মুনাওয়ারেরও আছে। তবে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনোই বিতর্কিত হতে চাইনি, তাঁরাই আমাকে এমন বানিয়েছে। আমি তো কমেডি নিয়েই সুখী ছিলাম।’
বিবিসি থেকে অনূদিত

কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
১ দিন আগে
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
১ দিন আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
১ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’। প্রকাশ করছে আধখানা মিউজিক।
জানা গেছে, ৮টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। এর কিছু গান তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় কবিদের কবিতা থেকে, বাকিগুলো অর্ণব ও তাঁর বন্ধুরা লিখেছেন। জীবনানন্দ দাশ, শ্রীজাত, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার বিভিন্ন কবির কবিতা নিয়ে গান তৈরি করেছেন তিনি। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। ভাল্লাগে না অ্যালবামের গানগুলো প্রকাশ পাবে অর্ণবের অফিশিয়াল স্পটিফাই চ্যানেলে। পরবর্তী সময়ে গানগুলো ভিডিও আকারে প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে।
অ্যালবাম প্রসঙ্গে অর্ণব বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম আসছে আমার। ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই কাজটা নিয়ে। কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। আরও আছে আমার বন্ধু তৌফিকের লেখা গান, রাজীবের লেখা গান। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’
পূর্ণাঙ্গ অ্যালবামের চেয়ে শিল্পীরা ইদানীং একক গানই প্রকাশ করেন বেশি। কারণ, অ্যালবামের তুলনায় সিঙ্গেল গানে এখন শ্রোতাদের আগ্রহ বেশি। অর্ণবও স্বীকার করেন সেটা। তবু অ্যালবামের দিকেই তাঁর আগ্রহ বেশি। কারণ হিসেবে অর্ণব বলেন, ‘আমার মনে হয় সিঙ্গেল গানে শিল্পীকে চেনা যায় না। শিল্পীর কাজ সময়কে তুলে ধরা। অ্যালবামে সেটা ভালো হয়। অনেকেই মনে করেন, মানুষ চায় না বলে অ্যালবাম বানিয়ে লাভ নেই। তবে স্পেশাল প্রজেক্ট ছাড়া সিঙ্গেল গানের মানে নেই। একটা ছবি দিয়ে যেমন এক্সিবিশন হয় না, তেমনি শিল্পীকেও চেনা যায় না। আমি ছবি আঁকার সঙ্গে গানকে মেলাই বারবার।’
২০০৫ সালে প্রকাশ পায় অর্ণবের প্রথম অ্যালবাম ‘চাই না ভাবিস’। এরপর প্রকাশ করেছেন ‘হোক কলরব’ (২০০৬), ‘ডুব’ (২০০৮), ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লাইভ’ (২০০৯), ‘রোদ বলেছে হবে’ (২০১০), ‘আধেক ঘুমে’ (২০১২), ‘খুব ডুব’ (২০১৫), ‘অন্ধ শহর’ (নতুন-পুরোনো মিলিয়ে, ২০১৭) এবং ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ২’ (রিমেক, ২০২২)।

কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’। প্রকাশ করছে আধখানা মিউজিক।
জানা গেছে, ৮টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। এর কিছু গান তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় কবিদের কবিতা থেকে, বাকিগুলো অর্ণব ও তাঁর বন্ধুরা লিখেছেন। জীবনানন্দ দাশ, শ্রীজাত, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার বিভিন্ন কবির কবিতা নিয়ে গান তৈরি করেছেন তিনি। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। ভাল্লাগে না অ্যালবামের গানগুলো প্রকাশ পাবে অর্ণবের অফিশিয়াল স্পটিফাই চ্যানেলে। পরবর্তী সময়ে গানগুলো ভিডিও আকারে প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে।
অ্যালবাম প্রসঙ্গে অর্ণব বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম আসছে আমার। ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই কাজটা নিয়ে। কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। আরও আছে আমার বন্ধু তৌফিকের লেখা গান, রাজীবের লেখা গান। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’
পূর্ণাঙ্গ অ্যালবামের চেয়ে শিল্পীরা ইদানীং একক গানই প্রকাশ করেন বেশি। কারণ, অ্যালবামের তুলনায় সিঙ্গেল গানে এখন শ্রোতাদের আগ্রহ বেশি। অর্ণবও স্বীকার করেন সেটা। তবু অ্যালবামের দিকেই তাঁর আগ্রহ বেশি। কারণ হিসেবে অর্ণব বলেন, ‘আমার মনে হয় সিঙ্গেল গানে শিল্পীকে চেনা যায় না। শিল্পীর কাজ সময়কে তুলে ধরা। অ্যালবামে সেটা ভালো হয়। অনেকেই মনে করেন, মানুষ চায় না বলে অ্যালবাম বানিয়ে লাভ নেই। তবে স্পেশাল প্রজেক্ট ছাড়া সিঙ্গেল গানের মানে নেই। একটা ছবি দিয়ে যেমন এক্সিবিশন হয় না, তেমনি শিল্পীকেও চেনা যায় না। আমি ছবি আঁকার সঙ্গে গানকে মেলাই বারবার।’
২০০৫ সালে প্রকাশ পায় অর্ণবের প্রথম অ্যালবাম ‘চাই না ভাবিস’। এরপর প্রকাশ করেছেন ‘হোক কলরব’ (২০০৬), ‘ডুব’ (২০০৮), ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লাইভ’ (২০০৯), ‘রোদ বলেছে হবে’ (২০১০), ‘আধেক ঘুমে’ (২০১২), ‘খুব ডুব’ (২০১৫), ‘অন্ধ শহর’ (নতুন-পুরোনো মিলিয়ে, ২০১৭) এবং ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ২’ (রিমেক, ২০২২)।

গুজরাটের যন্ত্রণার অধ্যায় পেছনে ফেলে মুম্বাইয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত। কিন্তু সেই যাত্রাও মসৃণ হয়নি। ২০২১ সালে ‘হিন্দুবিরোধী’ কমেডি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো বাঁধাই মুনাওয়ার ফারুকীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভারতের সবচেয়ে বড় রিয়্যালিটি শো বিগ বস সিজন-১৩ এর চূড়ান্ত বিজয়ী হ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
১ দিন আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
১ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে। সে সিনেমা নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় গেছেন ফারিণ। এবার আর ভিসা জটিলতা হয়নি।
কলকাতায় গিয়ে কোয়েল মল্লিকের ‘স্বার্থপর’ সিনেমার প্রিমিয়ারেও চঞ্চল ও অনিরুদ্ধের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ফারিণ। কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিচ্ছেন। সাধারণত দেশে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না ফারিণকে। তবে আনন্দবাজার পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘আমার লড়াই বা যাত্রাপথ খুব কঠিন ছিল। আমাদের এক টাকা পারিশ্রমিক বাড়াতে অনেকটা পথ পেরোতে হয়। তবে একটা নতুন নায়ক দুটো সিনেমা করেই পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ফেলেন। তাঁর সেই দাবি গ্রাহ্যও হয়। কাজের সময়ের বিষয়টিও আছে। তা হলে আমরা কোথায় এগোলাম? নারীকেন্দ্রিক সিনেমার বেলাতেও নায়িকা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ, ক্লিশে। হয় নারী নির্যাতন, নয় নারীর অধিকার। তার বাইরে আমাদের কেউ বের করতেই চান না। নারীর কাজ, তাঁর লড়াই নিয়ে সিনেমা হয় না। অথচ, সেই সিনেমা ভালো ব্যবসা না করলে, তখন দোষ দেওয়া হয়—নারীকেন্দ্রিক সিনেমা বলেই চলল না। তুমি নারীকেন্দ্রিক সিনেমাকে সেই বাজেট দিচ্ছ না। হিট হওয়ার মতো গল্প দিচ্ছ না। পুরুষের ক্ষেত্রে কিন্তু এসবের বিন্দুমাত্র খামতি নেই।’
বিয়ে নিয়েও কথা বলেছেন ফারিণ। একটা সময় মনে করা হতো, বিয়ে করলেই নায়িকাদের ক্যারিয়ার শেষ। সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে এখন। ফারিণ বলেন, ‘বিয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সত্যিই বিরোধ নেই। একজন নায়িকা কত বছর বয়সে বিয়ে করবেন, সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে কেন? আমার সঠিক সময় কোনটা, সেটা আমি ঠিক করব। আমি তো দেখছি, বিয়ের পর আমার কাজ বেড়েছে। হলিউড থেকে শুরু করে আমাদের দেশ—নায়িকার বিয়ে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামান না।’
টিভি নাটক দিয়ে পরিচিতি পেলেও ইদানীং ছোট পর্দায় অনেকটাই অনুপস্থিত ফারিণ। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, নাটকে মনের মতো চরিত্র পাচ্ছেন না বলেই বড় পর্দায় মনোযোগী হয়েছেন। ফারিণ বলেন, ‘আমি যখন ছোট পর্দায় কাজ করেছি, তখন সিনেমায় এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি যেটা রাজি হওয়ার মতো। যখন অতনু ঘোষের ‘‘আরো এক পৃথিবী’’ সিনেমায় কাজ করি, তখনো ছোট পর্দায় অভিনয় করেছি। এখন কী হয়েছে, ছোট পর্দায় নতুন করে আবিষ্কার করার কিছু নেই। সেই খিদে মেটাতে পারে বড় পর্দা। সেই জন্য দুই দেশের বড় পর্দায় নিজেকে দেখতে চাইছি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমারও সুযোগ আসছে। তার মানে এটা নয়, আমি আর ছোট পর্দায় অভিনয় করব না। ওই মাধ্যমই তো আমাকে তাসনিয়া ফারিণ বানিয়েছে।’

ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে। সে সিনেমা নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় গেছেন ফারিণ। এবার আর ভিসা জটিলতা হয়নি।
কলকাতায় গিয়ে কোয়েল মল্লিকের ‘স্বার্থপর’ সিনেমার প্রিমিয়ারেও চঞ্চল ও অনিরুদ্ধের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ফারিণ। কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিচ্ছেন। সাধারণত দেশে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না ফারিণকে। তবে আনন্দবাজার পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘আমার লড়াই বা যাত্রাপথ খুব কঠিন ছিল। আমাদের এক টাকা পারিশ্রমিক বাড়াতে অনেকটা পথ পেরোতে হয়। তবে একটা নতুন নায়ক দুটো সিনেমা করেই পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ফেলেন। তাঁর সেই দাবি গ্রাহ্যও হয়। কাজের সময়ের বিষয়টিও আছে। তা হলে আমরা কোথায় এগোলাম? নারীকেন্দ্রিক সিনেমার বেলাতেও নায়িকা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ, ক্লিশে। হয় নারী নির্যাতন, নয় নারীর অধিকার। তার বাইরে আমাদের কেউ বের করতেই চান না। নারীর কাজ, তাঁর লড়াই নিয়ে সিনেমা হয় না। অথচ, সেই সিনেমা ভালো ব্যবসা না করলে, তখন দোষ দেওয়া হয়—নারীকেন্দ্রিক সিনেমা বলেই চলল না। তুমি নারীকেন্দ্রিক সিনেমাকে সেই বাজেট দিচ্ছ না। হিট হওয়ার মতো গল্প দিচ্ছ না। পুরুষের ক্ষেত্রে কিন্তু এসবের বিন্দুমাত্র খামতি নেই।’
বিয়ে নিয়েও কথা বলেছেন ফারিণ। একটা সময় মনে করা হতো, বিয়ে করলেই নায়িকাদের ক্যারিয়ার শেষ। সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে এখন। ফারিণ বলেন, ‘বিয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সত্যিই বিরোধ নেই। একজন নায়িকা কত বছর বয়সে বিয়ে করবেন, সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে কেন? আমার সঠিক সময় কোনটা, সেটা আমি ঠিক করব। আমি তো দেখছি, বিয়ের পর আমার কাজ বেড়েছে। হলিউড থেকে শুরু করে আমাদের দেশ—নায়িকার বিয়ে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামান না।’
টিভি নাটক দিয়ে পরিচিতি পেলেও ইদানীং ছোট পর্দায় অনেকটাই অনুপস্থিত ফারিণ। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, নাটকে মনের মতো চরিত্র পাচ্ছেন না বলেই বড় পর্দায় মনোযোগী হয়েছেন। ফারিণ বলেন, ‘আমি যখন ছোট পর্দায় কাজ করেছি, তখন সিনেমায় এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি যেটা রাজি হওয়ার মতো। যখন অতনু ঘোষের ‘‘আরো এক পৃথিবী’’ সিনেমায় কাজ করি, তখনো ছোট পর্দায় অভিনয় করেছি। এখন কী হয়েছে, ছোট পর্দায় নতুন করে আবিষ্কার করার কিছু নেই। সেই খিদে মেটাতে পারে বড় পর্দা। সেই জন্য দুই দেশের বড় পর্দায় নিজেকে দেখতে চাইছি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমারও সুযোগ আসছে। তার মানে এটা নয়, আমি আর ছোট পর্দায় অভিনয় করব না। ওই মাধ্যমই তো আমাকে তাসনিয়া ফারিণ বানিয়েছে।’

গুজরাটের যন্ত্রণার অধ্যায় পেছনে ফেলে মুম্বাইয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত। কিন্তু সেই যাত্রাও মসৃণ হয়নি। ২০২১ সালে ‘হিন্দুবিরোধী’ কমেডি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো বাঁধাই মুনাওয়ার ফারুকীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভারতের সবচেয়ে বড় রিয়্যালিটি শো বিগ বস সিজন-১৩ এর চূড়ান্ত বিজয়ী হ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
১ দিন আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
১ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। স্পনসর পেলেই এই অবেলায় ২ মুক্তি দেবেন তাঁরা। সে সমস্যা মিটেছে এত দিনে। তাই এই অবেলায় ২ গানটির মুক্তির তারিখ জানিয়ে দিল শিরোনামহীন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে গানটি।
২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর এ গানের সিকুয়েল নিয়ে আসছে শিরোনামহীন। বাংলার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে গানটির ইংরেজি ভার্সন। শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে এটি।
এই অবেলায় ২ গানটি লিখেছেন জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন কাজী আহমেদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেরজাহান। নতুন গান নিয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এই অবেলায় প্রকাশের পর শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। গানটির সিকুয়েল হোক, সেটা সবাই চাইছিল। এর আগে আমাদের প্রথম অ্যালবামের হাসিমুখ গানের বেলায়ও এমনটা হয়েছিল। এই অবেলায় নিয়ে শ্রোতাদের ব্যাপক চাহিদা আমরা টের পাচ্ছিলাম। বাতিঘর অ্যালবামের পরিকল্পনার সময় তাই গানটির সিকুয়েল নিয়ে ভাবি। মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে গানটি। ভিডিও ধারণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। দারুণ একটা গল্প আছে গানের ভিডিওতে।’
এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন নিয়ে জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা—‘‘আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা।’
বাংলার সঙ্গে এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সনও মুক্তি পাবে।
অন্যদিকে ব্যান্ডটির ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছে শিরোনামহীনের বাতিঘর অ্যালবামের নবম গান ‘ক্লান্ত কফি শপ’।

প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। স্পনসর পেলেই এই অবেলায় ২ মুক্তি দেবেন তাঁরা। সে সমস্যা মিটেছে এত দিনে। তাই এই অবেলায় ২ গানটির মুক্তির তারিখ জানিয়ে দিল শিরোনামহীন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে গানটি।
২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর এ গানের সিকুয়েল নিয়ে আসছে শিরোনামহীন। বাংলার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে গানটির ইংরেজি ভার্সন। শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে এটি।
এই অবেলায় ২ গানটি লিখেছেন জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন কাজী আহমেদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেরজাহান। নতুন গান নিয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এই অবেলায় প্রকাশের পর শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। গানটির সিকুয়েল হোক, সেটা সবাই চাইছিল। এর আগে আমাদের প্রথম অ্যালবামের হাসিমুখ গানের বেলায়ও এমনটা হয়েছিল। এই অবেলায় নিয়ে শ্রোতাদের ব্যাপক চাহিদা আমরা টের পাচ্ছিলাম। বাতিঘর অ্যালবামের পরিকল্পনার সময় তাই গানটির সিকুয়েল নিয়ে ভাবি। মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে গানটি। ভিডিও ধারণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। দারুণ একটা গল্প আছে গানের ভিডিওতে।’
এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন নিয়ে জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা—‘‘আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা।’
বাংলার সঙ্গে এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সনও মুক্তি পাবে।
অন্যদিকে ব্যান্ডটির ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছে শিরোনামহীনের বাতিঘর অ্যালবামের নবম গান ‘ক্লান্ত কফি শপ’।

গুজরাটের যন্ত্রণার অধ্যায় পেছনে ফেলে মুম্বাইয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত। কিন্তু সেই যাত্রাও মসৃণ হয়নি। ২০২১ সালে ‘হিন্দুবিরোধী’ কমেডি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো বাঁধাই মুনাওয়ার ফারুকীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভারতের সবচেয়ে বড় রিয়্যালিটি শো বিগ বস সিজন-১৩ এর চূড়ান্ত বিজয়ী হ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
১ দিন আগে
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
১ দিন আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। গত ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
একই চরিত্র আবার আসছে পর্দায়। এবার সিনেমা নয়, ওয়েব সিরিজ আকারে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভ বাংলায় ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাবে ‘গণশত্রু: বাংলার আতঙ্ক’। পাঁচজন পরিচালক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সময়ের পাঁচজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্র নিয়ে বানিয়েছেন সিরিজটি। এতে রুদ্রনীল ঘোষ অভিনয় করেছেন হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে নির্মিত পর্বে। যেহেতু এর আগে চরিত্রটি মোশাররফ করিম করেছেন, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল, মোশাররফের চেয়ে এ চরিত্রে কতটা আলাদা রুদ্রনীলের অভিনয়?
রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘মোশাররফ করিম যেভাবে হুব্বা শ্যামলকে পোট্রে করার সুযোগ পেয়েছেন, সেটা পরিচালক ব্রাত্য বসুর নির্দেশে। মোশাররফ করিম অন্য দেশের মানুষ। হুব্বা শ্যামলকে ব্যক্তিগতভাবে অতটা জানা তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল। তিনি যতটা জেনেছেন, সেটা স্ক্রিপ্ট থেকে এবং পরিচালকের কথা অনুযায়ী। আর আমার এ ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে, এ চরিত্রের গল্প ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। তাই স্ক্রিপ্টের বাইরেও অনেকটা ধারণা আগে থেকেই আছে। তাই দুটোর মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। তবে গণশত্রু ওয়েব সিরিজে হুব্বা শ্যামলের উপস্থাপন অনেক বেশি তথ্যনিষ্ঠ হয়েছে।’
মোশাররফ করিম অভিনীত ‘হুব্বা’ দেখেছেন রুদ্রনীল। সিনেমাটি আরও ভালো হতে পারত বলে মত তাঁর। অভিনেতা বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছিল, আরেকটু অন্য রকম হলে ভালো হতো। চরিত্রটি জীবন্ত করে তোলার ক্ষেত্রে, এত ভালো একজন অভিনেতাকে যদি চরিত্রের উপাদানগুলো ঠিক করে দেওয়া হতো, তাহলে হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে তৈরি সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হতে পারত। কিন্তু হয়নি। তার মানে কোথাও একটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। এটা অভিনেতার দুর্বলতা নয়।’
মোশাররফ করিমকে অনেক পছন্দ করেন রুদ্রনীল। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে অভিনেতা বলেন, ‘মোশাররফ করিম আমার প্রিয় অভিনেতা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা দেখা করেছি, কথাও বলেছি বহুবার। আমাদের দুজনেরই ইচ্ছা আছে একসঙ্গে কাজ করার। কিছু পরিচালক চেষ্টা করছেন যাতে সেটা হয়। বিভিন্ন ধরনের চরিত্র বিভিন্ন এনার্জিতে করার ক্ষেত্রে আমাদের দুজনেরই নাকি অদ্ভুত ধরনের মিল আছে। এটা লোকে বলে। আমরা কেউ কারও দ্বারা প্রভাবিত একদমই নই। দুজনে বেড়ে উঠেছি দুটি দেশে। হুব্বা সিনেমাটি করার সময় মোশাররফ ভাইয়ের প্রতি আমার শুভেচ্ছা ছিল। একই চরিত্র যখন আমি করছি, নিশ্চয়ই মোশাররফ ভাইয়েরও আমার প্রতি সমান শুভেচ্ছা থাকবে।’

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। গত ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
একই চরিত্র আবার আসছে পর্দায়। এবার সিনেমা নয়, ওয়েব সিরিজ আকারে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভ বাংলায় ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাবে ‘গণশত্রু: বাংলার আতঙ্ক’। পাঁচজন পরিচালক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সময়ের পাঁচজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্র নিয়ে বানিয়েছেন সিরিজটি। এতে রুদ্রনীল ঘোষ অভিনয় করেছেন হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে নির্মিত পর্বে। যেহেতু এর আগে চরিত্রটি মোশাররফ করিম করেছেন, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল, মোশাররফের চেয়ে এ চরিত্রে কতটা আলাদা রুদ্রনীলের অভিনয়?
রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘মোশাররফ করিম যেভাবে হুব্বা শ্যামলকে পোট্রে করার সুযোগ পেয়েছেন, সেটা পরিচালক ব্রাত্য বসুর নির্দেশে। মোশাররফ করিম অন্য দেশের মানুষ। হুব্বা শ্যামলকে ব্যক্তিগতভাবে অতটা জানা তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল। তিনি যতটা জেনেছেন, সেটা স্ক্রিপ্ট থেকে এবং পরিচালকের কথা অনুযায়ী। আর আমার এ ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে, এ চরিত্রের গল্প ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। তাই স্ক্রিপ্টের বাইরেও অনেকটা ধারণা আগে থেকেই আছে। তাই দুটোর মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। তবে গণশত্রু ওয়েব সিরিজে হুব্বা শ্যামলের উপস্থাপন অনেক বেশি তথ্যনিষ্ঠ হয়েছে।’
মোশাররফ করিম অভিনীত ‘হুব্বা’ দেখেছেন রুদ্রনীল। সিনেমাটি আরও ভালো হতে পারত বলে মত তাঁর। অভিনেতা বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছিল, আরেকটু অন্য রকম হলে ভালো হতো। চরিত্রটি জীবন্ত করে তোলার ক্ষেত্রে, এত ভালো একজন অভিনেতাকে যদি চরিত্রের উপাদানগুলো ঠিক করে দেওয়া হতো, তাহলে হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে তৈরি সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হতে পারত। কিন্তু হয়নি। তার মানে কোথাও একটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। এটা অভিনেতার দুর্বলতা নয়।’
মোশাররফ করিমকে অনেক পছন্দ করেন রুদ্রনীল। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে অভিনেতা বলেন, ‘মোশাররফ করিম আমার প্রিয় অভিনেতা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা দেখা করেছি, কথাও বলেছি বহুবার। আমাদের দুজনেরই ইচ্ছা আছে একসঙ্গে কাজ করার। কিছু পরিচালক চেষ্টা করছেন যাতে সেটা হয়। বিভিন্ন ধরনের চরিত্র বিভিন্ন এনার্জিতে করার ক্ষেত্রে আমাদের দুজনেরই নাকি অদ্ভুত ধরনের মিল আছে। এটা লোকে বলে। আমরা কেউ কারও দ্বারা প্রভাবিত একদমই নই। দুজনে বেড়ে উঠেছি দুটি দেশে। হুব্বা সিনেমাটি করার সময় মোশাররফ ভাইয়ের প্রতি আমার শুভেচ্ছা ছিল। একই চরিত্র যখন আমি করছি, নিশ্চয়ই মোশাররফ ভাইয়েরও আমার প্রতি সমান শুভেচ্ছা থাকবে।’

গুজরাটের যন্ত্রণার অধ্যায় পেছনে ফেলে মুম্বাইয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত। কিন্তু সেই যাত্রাও মসৃণ হয়নি। ২০২১ সালে ‘হিন্দুবিরোধী’ কমেডি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো বাঁধাই মুনাওয়ার ফারুকীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভারতের সবচেয়ে বড় রিয়্যালিটি শো বিগ বস সিজন-১৩ এর চূড়ান্ত বিজয়ী হ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
১ দিন আগে
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
১ দিন আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
১ দিন আগে