Ajker Patrika

গুজরাটের বীভৎসতা জয় করে যেভাবে ‘বিগ বস’ হলেন কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকী

আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৪০
গুজরাটের বীভৎসতা জয় করে যেভাবে ‘বিগ বস’ হলেন কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকী

ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে ওঠে আসা ত্রিশোর্ধ্ব যুবক মুনাওয়ার ফারুকী। খুব ছোট বেলায় তাঁর মা আত্মহত্যা করেছিলেন। মা হারানোর মানসিক ধকল না কাটতেই ২০০২ সালে যখন একটু বড়, মারাত্মক ট্রমার সম্মুখীন হন। গুজরাটের ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার বীভৎসতা তাঁর শৈশবের মানসপটে গেঁথে যায়।

নিজের কষ্টকে চাপা দিয়ে মানুষকে হাসাতে চেয়েছেন তিনি। এই পথে কোনো কিছুই তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। গুজরাটের যন্ত্রণার অধ্যায় পেছনে ফেলে মুম্বাইয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত। কিন্তু সেই যাত্রাও মসৃণ হয়নি। ২০২১ সালে ‘হিন্দুবিরোধী’ কমেডি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

যে অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেটার সঙ্গে তাঁর কমেডির ন্যূনতম কোনো সংযোগ ছিল না। তারপরও তাঁকে ৩৫ দিনের মতো কারাগারে থাকতে হয়েছিল। তবে কোনো বাঁধাই মুনাওয়ার ফারুকীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভারতের সবচেয়ে বড় রিয়্যালিটি শো বিগ বস সিজন-১৭ এর চূড়ান্ত বিজয়ী হয়েছেন তিনি; জিতে নিয়েছেন ৫০ লাখ রুপি। 

বিগ বস সেটে সালমান খানের সঙ্গে মুনাওয়ার ফারুকী। ছবি: ইনস্টাগ্রামএক সময়, তাঁর তেমন কোনো অনুসারী ছিল না, বরং বিপুল পরিমাণ বিদ্বেষী ছিল। তবে বিদ্বেষীদের সংখ্যার চেয়ে নিশ্চয়ই এখন ফারুকীর ভক্তের সংখ্যা অনেক বেশি। তার খানিকটা প্রমাণ যেন পাওয়া যায়, বিগ বস জেতার পর তিনি যখন তাঁর নিজের এলাকা মুম্বাইয়ের ডুংরিতে ফিরেছেন তখন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিল হাজারো মানুষ। 

তবে এই অর্জনের পথটা মুনাওয়ার ফারুকীর জন্য মসৃণ ছিল না, তাই উঠে এসেছে তাঁর নিজের বক্তব্য থেকে। তিনি বলেছেন, তাঁর শৈশব ছিল বিয়োগান্ত ঘটনায় পরিপূর্ণ। একেবারেই শিশু অবস্থায় মা আত্মহত্যা করেন। ২০০২ সালে মুখোমুখি হতে হয় গুজরাট দাঙ্গার। সে সময় পরিস্থিতি এতটাই কঠিন ছিল যে, একবার তিনি টানা ১২ দিন কারফিউয়ের কারণে ঘর থেকেই বের হতে পারেননি। 

যাই হোক, একটু বড় হয়ে আর দশটার তরুণের মতোই স্বপ্নের শহর মুম্বাইয়ে চলে আসেন মুনাওয়ার ফারুকী। কিন্তু পরিণত বয়সের আগেই এমন সব কাজ করে তাঁকে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে যা খুব একটা প্রচলিত নয়। বিগ বসের সেটে এসেও ফারুকী তাঁর অতীত জীবনের বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যাননি বরং ক্রমাগত নিজের আন্ডারডগ অস্তিত্বকে একটু একটু করে বিকশিত করেছেন। এমনভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন, যেখানে সাধারণ মানুষও স্বপ্ন দেখতে পারে। 

বিগ বসের সেটে মুনাওয়ার তাঁর সহ-প্রতিযোগীদের খানিকটা খোঁচা দিয়েই বলেন, ‘আমি ডুংরি থেকে এসেছি। বিগ বসে ভোট না পেলে আপনাকে সেট থেকে বের করে দেওয়া হবে, কিন্তু আমাদের ছোট্ট বাড়িতে ঘুমের মধ্যে যদি আপনি এক ইঞ্চি বাড়তি নড়াচড়া করেন তবে আপনাকে ঘর থেকেই বের করে দেওয়া হবে।’ 

সহ-প্রতিযোগীদের খোঁচা দিলেও আমজনতার সঙ্গে মুনাওয়ারের যোগাযোগ করার ক্ষমতা অসাধারণ এবং এটিই মূলত তাঁর স্ট্যান্ড কমেডির ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মঞ্চে মুনাওয়ার ফারুকী যেন, একজন তরুণ কলেজছাত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি তাঁর দাঙ্গা কবলিত জীবন নিয়ে, ভারতে মুসলমানদের নিয়ে প্রচলিত মনোভাব নিয়ে খোঁচা দিয়ে পারফর্ম করেছেন। তাঁর র‍্যাপ গানেও একই ধরনে বিষয়বস্তুগুলো উঠে এসেছে। জীবনে ধাক্কা খেয়েছেন কিন্তু মুনাওয়ার ভেঙে পড়েননি। 

নিজের অতীতের বিষয়ে মুনাওয়ার ফারুকী খুবই সাহসী। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমি আমার অতীতকে আমার কাজে তুলে ধরি মূলত, আমার অতীত নিয়ে আমি কতটা গর্বিত তা প্রকাশ করার জন্য। এটা কখনই সহানুভূতি অর্জনের জন্য নয় কিংবা শুধু মানুষকে বলার জন্য নয় যে, আমি কত কষ্ট করে এত দূর এসেছি।’ 

নিকট অতীতে মুনাওয়ার ফারুকীর জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা বোধ হয় বিনা কারণে জেলে যাওয়া। ২০২১ সালে মুনাওয়ার ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে স্ট্যান্ডআপ কমেডির জন্য ১৪টি শহর সফরের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ইন্দোরে যান মুনাওয়ার ফারুকীরা। কিন্তু শো শুরুর আগেই তাঁকে ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, ‘হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত হানার’ অভিযোগে। অথচ তিনি সে ধরনের কোনো কমেডিই করেননি। পরে পুলিশও বলেছে, তাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। তারপরও বিনা কারণে, মুনাওয়ার ফারুকী ৩৫ দিনে কারাগারে ছিলেন। 

ডুংরির শিশুদের সঙ্গে মুনাওয়ার ফারুকী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ঘটনাটি ফারুকীকে বিরাট ধাক্কা দিয়েছিল। একপর্যায়ে তিনি তাঁর স্ট্যান্ডআপ কমেডি, র‍্যাপ গান দুটোই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। আক্ষেপ করে তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত ঘৃণাই জিতল, হেরে গেল এক শিল্পী। এখানেই সব শেষ।’ 

এর দুই মাস পর জীবনকে নতুন মোড় দিতে মুনাওয়ার ফারুকী অংশ নেন টিভি শো ‘লক আপে’। বলিডউ অভিনেত্রী ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রনৌত উপস্থাপিত এই শোর বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হন মুনাওয়ার। এই শোতে বিজয়ী হওয়ার ঘটনা মুনাওয়ারের জীবনকে নয়া মোড় দেয়। যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। সেই শো শেষ হওয়ার পর কঙ্গনা ‘মুসলিম’ মুনাওয়ারের ব্যাপক প্রশংসা করেন। 

সেই শো সত্যিকার অর্থেই মুনাওয়ারের জীবন ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর কর্মজীবন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। সেই সময়ের পর তিনি দারুণ কিছু র‍্যাপ তৈরি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্পটিফাই ও ইউটিউবে তাঁর গানের লাখ লাখ শ্রোতা দেখা যায়। তাঁর ইনস্টাগ্রাম আবারও সবার সামনে ফিরে আসে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপার, তিনি আবারও স্ট্যান্ডআপ কমেডিতে ফিরে আসেন। বিগ বসের সেটেও মুনাওয়ার ফারুকী তাঁর স্বভাবসুলভ চপলতা, প্রাণচাঞ্চল্য ধরে রেখেছিলেন। 

যাই হোক, বিগ বস জয় মুনাওয়ার ফারুকীর জীবনকে যেন আপাত পূর্ণতা দিয়েছে। অন্তত বিশ্লেষকেরা তাই মনে করেন। তাদের মত, দর্শক মুনাওয়ার ফারুকীকে স্বভাবসুলভ চপলতা, প্রাণচাঞ্চল্য ও সরস কমেডির জন্যই পছন্দ করেছে। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিম আলীর মতে, ভারতের জন মানুষের একটা বড় অংশই মনে করে—ফারুকীর জীবনের গল্প, তাঁর কমেডির ঢঙ তাদের জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।

অনেকে বলছেন, ফারুকী যেভাবে নিজেকে ভারতের ‘সবচেয়ে ঘৃণিত’ তরুণ থেকে ‘প্রিয়তম’ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অপ্রচলিত যে উপায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। আসিম আলীর মতে, ‘এটি তাঁর জীবনকে সংগ্রামের একটি ধারায় আবদ্ধ করেছে দিয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন, গণমাধ্যমে পক্ষপাতদুষ্ট আক্রমণের শিকার হয়েছিলে। কিন্তু তারপরও ভারতে একজন তারকা হিসেবেই নিজের অবস্থান অর্জন করে নিয়েছেন।’ তবে ফারুকীর হয়ে সবাই খুশি নয়। জনপ্রিয় হিন্দি টিভি চ্যানেলের এক উপস্থাপক ফারুকীর জয়কে ‘উদ্বেগজনক, কষ্টদায়ক এবং হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। 

ফারুকীর এই জয় কেবল তাঁর একার নয়। এই জয় তাঁর মুম্বাইয়ের এলাকা ডুংরিও দরিদ্রদের জয়। তবে এসব ছাপিয়ে অনেকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা তুলেছেন। অনেকে তাঁর দাম্পত্য জীবন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অবশ্য নিজের প্রেমহীন দাম্পত্যের কথা স্বীকার করেছেন। যাই হোক, ব্যক্তির জীবনে উত্থান-পতন, ইতিবাচক-নেতিবাচক গল্প জড়িয়ে থাকে। মুনাওয়ারেরও আছে। তবে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনোই বিতর্কিত হতে চাইনি, তাঁরাই আমাকে এমন বানিয়েছে। আমি তো কমেডি নিয়েই সুখী ছিলাম।’ 

বিবিসি থেকে অনূদিত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাকিস্তান-বিরোধী থিম: মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ হলো বলিউডের ‘ধুরন্ধর’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ধুরন্ধর সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
ধুরন্ধর সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।

বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।

নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।

ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইউরোভিশন ট্রফি ফিরিয়ে দিলেন নেমো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২৪ সালের ইউরোভিশন ট্রফি জিতেছিলেন নেমো। ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালের ইউরোভিশন ট্রফি জিতেছিলেন নেমো। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।

‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র‍্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।

ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’

নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’

ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।

নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।

নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্‌যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে চুমকির সমালোচনা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফারজানা চুমকি। ছবি: সংগৃহীত
ফারজানা চুমকি। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।

কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।

যেভাবে ঘটনা শুরু

১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’

তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’

রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’

এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।

এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’

চুমকির বক্তব্য

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সৌদির রেড সি ফেস্টিভ্যালে সেরা রোহিঙ্গা ভাষার ‘লস্ট ল্যান্ড’

বিনোদন ডেস্ক
‘লস্ট ল্যান্ড’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘লস্ট ল্যান্ড’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।

‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।

লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।

পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।

এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

নির্বাচিত সেরাদের তালিকা

সিনেমা

লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)

জুরি পুরস্কার

হিজরা (শাহাদ আমিন)

পরিচালক

আমির ফখের এলদিন (ইউনান)

চিত্রনাট্য

সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)

অভিনেতা

জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)

অভিনেত্রী

সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)

সেরা তথ্যচিত্র

ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)

সৌদি চলচ্চিত্র

হিজরা (শাহাদ আমিন)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত