Ajker Patrika

১৩ সিনেমায় মাতবে ঈদ, হল পাওয়া নিয়ে রয়ে গেছে শঙ্কা

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮: ৪০
১৩ সিনেমায় মাতবে ঈদ, হল পাওয়া নিয়ে রয়ে গেছে শঙ্কা

সারা বছর দেশের প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিত সিনেমা মুক্তি না পেলেও ঈদ এলেই পাল্টে যায় চিত্র। তড়িঘড়ি করে নির্মাণ শেষ করে ঈদে আসতে চান নির্মাতারা। এই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর ঈদের সিনেমার সংখ্যা বাড়ছেই। গত বছর রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ৮টি সিনেমা। এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। নিকট অতীতে এক ঈদে এত সিনেমা মুক্তির নজির নেই। দেশে হলের সংখ্যা কম থাকায় এত সিনেমা কোথায় চলবে, লগ্নি উঠে আসবে কি না, এই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে সংশ্লিষ্টব্যক্তিদের। তবে মুক্তির সিদ্ধান্তে অনড় নির্মাতা-প্রযোজকেরা। সবাই নিজেদের জায়গা থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার। 

আলোচনায় এগিয়ে শাকিব ও রাজ 
ঈদের সিনেমার আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে শাকিব খান ও শরিফুল রাজ। গত বছর হিমেল আশরাফের পরিচালনায় ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন শাকিব খান। এবার একই পরিচালকের ‘রাজকুমার’ সিনেমায় দেখা যাবে তাঁকে। তবে সিনেমার গানগুলো তেমন আলোচনা সৃষ্টি করতে পারেনি যেমনটা হয়েছিল প্রিয়তমার বেলায়। বিশেষ করে ‘আমি একাই রাজকুমার’ গানটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। 
অন্যদিকে প্রায় দেড় বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন শরিফুল রাজ। ঈদে একটি নয়, তিনটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তাঁর। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ ও মিশুক মনি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’। গান, টিজার ও ট্রেলার প্রকাশের পর প্রশংসিত হচ্ছে সিনেমা তিনটি। 

প্রচারণার হাতিয়ার এখন সোশ্যাল মিডিয়া
একসময় সিনেমা মুক্তির আগে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হতো, টিভি ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপা হতো, মাইকিং করতে দেখা যেত। সময়ের সঙ্গে প্রচারণায় এসেছে ভিন্নতা। প্রচারণায় সবাই এখন মনোযোগী সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে। সেখানেই সিনেমার গান, টিজার ও ট্রেলার রিলিজ হচ্ছে। অভিনয়শিল্পীরা তাঁদের ফেসবুক পেজ ও প্রোফাইলে শেয়ার দিয়ে হলে দর্শকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। অনেক তারকা আবার ভিডিও বার্তায় শুভকামনা জানাচ্ছেন। এদিকে এগিয়ে আছে মোস্তফা কামাল রাজের ওমর। এই সিনেমাকে শুভকামনা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ৯১ জন তারকা। 

হল নিয়ে শঙ্কা
২০০৯ সালের এক ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। তখনো দেশে হল ছিল প্রায় পাঁচ শ। এরপর থেকেই পর্যায়ক্রমে কমতে থাকে হলের সংখ্যা। এখন দেশে নিয়মিত সিঙ্গেল স্ক্রিন চালু রয়েছে ৬০টির মতো। ঈদের সময় এই তালিকা বেড়ে হয় ১৫০ থেকে ১৬০টির মতো। সঙ্গে আছে মাল্টিপ্লেক্সে ৩৫টি হল। এই অবস্থায় এক ঈদে ১৩টি সিনেমা মুক্তি দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত মনে করছেন সিনেমাসংশ্লিষ্টরা। ঈদের আর দুই দিন বাকি থাকলেও এখনো হল সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেনি বেশির ভাগ সিনেমা। অনেকেই মনে করছেন শেষের দিকে এসে ছিটকে যেতে পারে মুক্তির তালিকায় থাকা একাধিক সিনেমা। হল নিয়ে শঙ্কা থাকলেও প্রচারণায় থেমে নেই সিনেমার কলাকুশলীরা। হলের জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান তাঁরা। এখন দেখার বিষয়, শঙ্কা কাটিয়ে মুক্তির তালিকায় থাকা সিনেমাগুলো আলোর মুখ দেখে কি না।

মুক্তির তালিকায় থাকা ১৩ সিনেমা
রাজকুমার

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: হিমেল আশরাফ
অভিনয়ে: শাকিব খান, কোর্টনি কফি, তারিক আনাম খান
প্রযোজনা: আরশাদ আদনান
গল্প: প্রেম, পারিবারিক সম্পর্ক আর স্বপ্নবাজ এক তরুণের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজকুমার। 

কাজলরেখা
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: গিয়াস উদ্দিন সেলিম
অভিনয়ে: শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, ইরেশ যাকের প্রমুখ
প্রযোজনা: সরকারি অনুদানে নির্মিত
গল্প: কিশোরী কাজলরেখাকে বনবাসে পাঠায় তার বাবা। সেখানে সুচরাজার জীবন বাঁচায় কাজলরেখা। তাকে বিয়ে করতে চায় সুচরাজা। কিন্তু পরচিয় গোপন করে সুচরাজাকে বিয়ে করে কঙ্কনদাসী। 

দেয়ালের দেশ
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: মিশুক মনি
অভিনয়ে: শরিফুল রাজ, শবনম বুবলী, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা প্রমুখ
প্রযোজনা: সরকারি অনুদানে নির্মিত
গল্প: নিম্নশ্রেণির দুজন মানুষ রাজ ও বুবলীর মধ্যে প্রেম হয়। হঠাৎ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বুবলী। এরপর তার লাশ নিয়েই বসবাস শুরু করে রাজ। 

ওমর
চিত্রনাট্য: সিদ্দিক আহমেদ
পরিচালনা: মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
অভিনয়ে: শরিফুল রাজ, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, নাসির উদ্দীন খান প্রমুখ 
প্রযোজনা: খোরশেদ আলম
গল্প: লন্ডন থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে ছোট মির্জার বন্ধু রাজ। হঠাৎ খুন হয় ছোট মির্জা। সেই খুনকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে রাজ ও নাসির উদ্দীন। অন্যদিকে ভাইকে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে বড় মির্জা চরিত্রের শহীদুজ্জামান সেলিম। 

মায়া- দ্য লাভ 
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: জসিম উদ্দিন জাকির
অভিনয়ে: আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, বুবলী, রোশান প্রমুখ। 
প্রযোজনা: আলীনুর আসিক ভূঁইয়া
গল্প: রোশান ও বুবলী একে অপরকে ভালোবাসে। তাদের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদুল হাসান মিঠু। এদিকে বুবলীকে মনে মনে ভালোবাসে সাইমন। বুবলীর জন্য সব করতে প্রস্তুত সে। অন্যদিকে, নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা ছেড়ে বুবলীর টানে চলে আসে মিলন। 

লিপস্টিক 
চিত্রনাট্য: আব্দুল্লাহ্ জহির বাবু 
পরিচালনা: কামরুজ্জামান রোমান
অভিনয়ে: আদর আজাদ, পূজা চেরি প্রমুখ
প্রযোজনা: স্মার্ট মাল্টিমিডিয়া
গল্প: গ্রামের কিশোরী বুচির চোখেমুখে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। বুচির নায়িকা হওয়ার জার্নি নিয়েই তৈরি হয়েছে লিপস্টিক। 

সোনার চর 
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: জাহিদ হোসেন 
অভিনয়ে: মৌসুমী, ওমর সানী, জায়েদ খান, স্নিগ্ধা প্রমুখ। 
প্রযোজনা: জাহাঙ্গীর শিকদার
গল্প: ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে আসার সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। 

মেঘনা কন্যা
চিত্রনাট্য: ফাহমিদুর রহমান ও আহমেদ খান হীরক
পরিচালনা: ফুয়াদ চৌধুরী
অভিনয়ে: ফজলুর রহমান বাবু, কাজী নওশাবা, সাজ্জাদ হোসেন, সেমন্তী সৌমি প্রমুখ। 
প্রযোজনা: আজাদ ফিল্মস এবং এস জে মোশনস পিকচার্স
গল্প: নারী পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম ও শহরের দুই নারীর শিকল ভাঙার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। 

আহারে জীবন 
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: ছটকু আহমেদ
অভিনয়ে: ফেরদৌস আহমেদ, পূর্ণিমা, জয় চৌধুরী, মিশা সওদাগর প্রমুখ। 
প্রযোজনা: সরকারি অনুদানে নির্মিত
গল্প: করোনাকালীন সময়ের অসহায়ত্ব, মানবিকতা আর সম্পর্কের টানাপোড়েনের নানা গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।

পটু
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: আহমেদ হুমায়ুন
অভিনয়ে: ইভান সাইর, আফরা শাইয়ারা, শোয়েব মনির, দিলরুবা হোসেন মুখ। 
প্রযোজনা: জাজ মাল্টিমিডিয়া 
গল্প: রাজশাহীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের জীবনাচরণের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্য। 

মোনা: জ্বীন ২ 
পরিচালনা: কামরুজ্জামান রোমান
অভিনয়ে: তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, সুপ্রভাত ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। 
প্রযোজনা: জাজ মাল্টিমিডিয়া 
গল্প: জিনের উৎপাতে বাড়ির মালিক নিজ বাড়ি ছেড়ে মাদ্রাসা ভাড়া দেয়। কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক জিনের উৎপাতে সেই বাড়ি ছেড়ে দেয়। জিন কেন উৎপাত করছে? সেই রহস্য নিয়েই নিয়েই মোনা সিনেমার গল্প। 

ডেডবডি
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: মোহাম্মদ ইকবাল
অভিনয়ে: ওমর সানী, রোশান, শ্যামল মাওলা, অন্বেষা রায় প্রমুখ। 
প্রযোজনা: মোহাম্মদ ইকবাল
গল্প: ঘুমালেই স্বপ্নে পচা-গলা লাশ দেখতে পায় শ্যামল মাওলা। একসময় তাদের বশে চলে যায় সে। আক্রমণ করতে শুরু করে নারীদের। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শ্যামলকে ঠেকাতে এগিয়ে আসে ওমর সানী ও জিয়াউল রোশান। 

গ্রীন কার্ড
পরিচালনা: কাজী হায়াত ও রওশন আরা নিপা। 
অভিনয়ে: কাজী মারুফ, নুসরাত তিসা, নাজিদা সৈয়দ প্রমুখ। 
প্রযোজনা: কাজী মারুফ
গল্প: উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো এক ছেলে কাজী মারুফ। সেখানে স্থায়ী হওয়ার গ্রিন কার্ডের প্রয়োজন। সেই কার্ড পাওয়া কতটা কঠিন এবং কার্ড না পেলে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা দেখা যাবে এ সিনেমায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে চুমকির সমালোচনা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফারজানা চুমকি। ছবি: সংগৃহীত
ফারজানা চুমকি। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।

কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।

যেভাবে ঘটনা শুরু

১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’

তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’

রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’

এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।

এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’

চুমকির বক্তব্য

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সৌদির রেড সি ফেস্টিভ্যালে সেরা রোহিঙ্গা ভাষার ‘লস্ট ল্যান্ড’

বিনোদন ডেস্ক
‘লস্ট ল্যান্ড’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘লস্ট ল্যান্ড’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।

‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।

লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।

পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।

এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

নির্বাচিত সেরাদের তালিকা

সিনেমা

লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)

জুরি পুরস্কার

হিজরা (শাহাদ আমিন)

পরিচালক

আমির ফখের এলদিন (ইউনান)

চিত্রনাট্য

সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)

অভিনেতা

জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)

অভিনেত্রী

সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)

সেরা তথ্যচিত্র

ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)

সৌদি চলচ্চিত্র

হিজরা (শাহাদ আমিন)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যৌথ চেষ্টায় মেলেনি অনুমতি

বাতিল হলো আতিফ আসলামের কনসার্ট, হতাশ শিল্পীরা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি না পাওয়ায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে স্থগিত হয়েছে বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা চারটি কনসার্ট। তাই শঙ্কা ছিল ১৩ ডিসেম্বর ঘোষণা দেওয়া পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে। আয়োজক পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছিল, নির্ধারিত সময়েই হবে এই কনসার্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই হলো সত্যি। নিরাপত্তার কারণে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে আতিফের কনসার্ট।

এ মাসে দুটি কনসার্টে পারফর্ম করতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল আতিফের। তবে স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ইনক ও স্পিরিটস অব জুলাই। সেভাবেই চলছিল প্রস্তুতি। দর্শকদের যাতায়াত সহজ করতে বিআরটিসির ফ্রি শাটল সার্ভিসেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন থেকে মেলেনি অনুমতি। বৃহস্পতিবার রাতে আতিফ আসলামের ফেসবুক পেজ থেকে কনসার্ট বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেইন স্টেজ ইনক ফেসবুকে জানায়, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নিরাপত্তার বিধিনিষেধের কারণে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। দর্শকদের টিকিটের মূল্য শিগগির ফেরত দেওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।

আজ পূর্বাচলের নিউ প্রজেক্ট টাউনের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আতিফ আসলামের এই কনসার্ট। আতিফের সঙ্গে পারফর্ম করার কথা বাংলাদেশের নেমেসিস ব্যান্ড এবং ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের। হঠাৎ করে কনসার্ট বাতিলের ঘোষণায় অন্য সবার মতো হতাশ হয়েছেন শিল্পীরাও। দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুক পেজে আতিফ আসলাম লিখেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশি ভক্তরা, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় নির্ধারিত কনসার্টে আমরা পারফর্ম করছি না। কারণ, কনসার্টের আয়োজক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় স্থানীয় অনুমতি, নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও লজিস্টিকস (সরঞ্জাম/ব্যবস্থাপনা) বিষয়গুলো ঠিক করতে পারেননি।’

ফুয়াদ আল মুক্তাদির বলেন, ‘আমরা ভীষণ এক্সাইটেড ছিলাম পারফর্ম করার জন্য। কয়েক দিন ধরে আমরা ইভেন্ট কোম্পানির কাছ থেকে আপডেট নিচ্ছিলাম, আর যা যা আপডেট পেয়েছিলাম, তাতে মনে হচ্ছিল সব ঠিকই আছে। সাউন্ড কোম্পানির সঙ্গেও ডাবল-চেক করেছিলাম। সবাইকে বুকিং দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানলাম, সিকিউরিটির কারণে শো ক্যানসেল হয়েছে। কনসার্ট বারবার ক্যানসেল হওয়ায় মিউজিশিয়ান, সাউন্ড কোম্পানি ভেনডোর্স, স্পনসর সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এমনকি দর্শকেরাও। আমরা সবার মতো অপেক্ষা করছি, পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, আমরাও খুব আপসেট।’

কনসার্টে স্থগিত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে নেমেসিস। ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কনসার্টের অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট আপডেট জানতে আয়োজকদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতিবার, আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, সব ব্যবস্থা যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আয়োজকেরা অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রগুলো নিশ্চিত করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। বাংলাদেশে লাইভ ইভেন্টগুলোকে ঘিরে চলমান অনিশ্চয়তা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার জন্য, বিশেষ করে আমাদের মতো শিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই ঘটনা সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের নাটকে মৌ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিজয় দিবসের নাটকে মৌ
‘ডাক্তার বাড়ি’ নাটকে মৌ। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে নাটকটি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করছেন অরুণ চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ডাক্তার বাড়ি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা একটি বাড়ি থেকে কীভাবে সহায়তা পেয়েছিলেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক ডাক্তারের মেয়ে মল্লিকা তার বাবাকে না জানিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দেয়। একসময় দুষ্কৃতকারীরা ডাক্তারকে হুমকি দেয় বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বের করে দিতে হবে। ভয় পেয়ে যায় সে। কিন্তু মল্লিকা তার বাবাকে বোঝায় একটা দিন অপেক্ষা করার জন্য। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জে হয়েছে নাটকটির শুটিং।

ডাক্তার বাড়ি নাটকে মল্লিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ। তাঁর বাবার চরিত্রে আছেন নরেশ ভুঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে আহসান হাবিব নাসিমকে। নতুন এই নাটক নিয়ে মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কাজ অনেক কম করা হয়েছে আমার। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ধারণ করতে।’

নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি বাড়ির গল্প। গল্প অনুযায়ী পর্দায় সেই সময়ের আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং করেছি নবাবগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়িতে। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।’

এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌ অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘আর্তনাদ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আকা রেজা গালিব। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘গহীন অতল’। এই ওয়েব ফিল্মে মৌ অভিনয় করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। ফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাক্রমে এক রাতে মৌ অভিনীত চরিত্রটি খুন করে ফেলে তার মেয়ের গোপন প্রেমিককে। এই ঘটনা গোপন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত