নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকারীদের পরিণতি হাসিনার চেয়ে খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোট গ্রহণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের বাইরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় একটি পক্ষ ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে সাদিক কায়েম বলেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাদের পরিণতি খুনি হাসিনা ও ছাত্রলীগের চেয়ে খারাপ হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে সবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাকে বেছে নেবে, আমরা তাকেই মেনে নেব।’
সংবাদ সম্মেলনে সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য। এই নির্বাচনে হার অথবা জিতার কিছু নেই। আমরা সবাই জুলাই সহযোদ্ধা ছিলাম। আমরা সবাই একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। এই আন্দোলনে আমরা সবাই প্রত্যেকে পরিচয় ভুলে গিয়ে কমন গোল নিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আজকে দেশের আজাদি এনেছি। এখন এই জুলাই বিপ্লবপরবর্তী সবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে চাই, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যাকে বেছে নেবে, আমরা তাকেই মেনে নেব।’
নির্বাচন বানচাল করতে একটা পক্ষ তৎপর উল্লেখ করে এ প্রার্থী বলেন, ‘আজকে এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটা পক্ষ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে। সে জায়গায় আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। যাঁরা এই ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন, আপনাদের হুঁশিয়ার করতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থান এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করেছিল এবং খুনি হাসিনার পতন করেছিল। যারা আবার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাদের পরিণতি খুনি হাসিনা ও ছাত্রলীগের চেয়ে খারাপ হবে।’
সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের অ্যারেস্ট করতে হবে। তাদের থানায় দিতে হবে এবং তাদের যারা নির্দেশ দিয়েছে, তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
সাদিক কায়েম আরও বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচন শহীদদের আকাঙ্ক্ষা, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা। এই ডাকসু নির্বাচন সফল করা আমাদের সবার একান্ত দায়িত্ব। নির্বাচন বানচাল করার জন্য যারা চেষ্টা করছে, তাদের আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।’
সাদিক বলেন, ‘কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর যদি জোরপূর্বক কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে এটা হিতে বিপরীত হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ম্যান্ডেট পেয়ে যাদেরকে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবে, আমরা তাদের মেনে নেব। আমরা আশা করব, যাঁরা বিভিন্ন ধরনের অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন, আপনারা এই সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট মেনে নিন।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা, জালিয়াতি, প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো দলের হুমকিকে ভয় পায় না। ছাত্রলীগ বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে চেষ্টা করেছিল গত বছর জুলাইয়ে তারা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার, আপনারা এই চেষ্টায় ফিরে যাইয়েন না।’
ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ফরহাদ আরও বলেন, ‘আপনারা গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছেন, আবার ছাত্রলীগ হয়ে যাইয়েন না। আবার এই বহিরাগত নিয়ে এসে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে আইসেন না, শিক্ষার্থীরা ভয় পায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এগুলো নিশ্চিতভাবে প্রতিহত করবে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান করব, আমরা যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব, যেকোনো অপপ্রচার, যেকোনো হয়রানী, যেকোনো নাটক মঞ্চস্থের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকব।’
নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকারীদের পরিণতি হাসিনার চেয়ে খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোট গ্রহণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের বাইরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় একটি পক্ষ ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে সাদিক কায়েম বলেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাদের পরিণতি খুনি হাসিনা ও ছাত্রলীগের চেয়ে খারাপ হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে সবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাকে বেছে নেবে, আমরা তাকেই মেনে নেব।’
সংবাদ সম্মেলনে সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য। এই নির্বাচনে হার অথবা জিতার কিছু নেই। আমরা সবাই জুলাই সহযোদ্ধা ছিলাম। আমরা সবাই একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। এই আন্দোলনে আমরা সবাই প্রত্যেকে পরিচয় ভুলে গিয়ে কমন গোল নিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আজকে দেশের আজাদি এনেছি। এখন এই জুলাই বিপ্লবপরবর্তী সবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে চাই, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যাকে বেছে নেবে, আমরা তাকেই মেনে নেব।’
নির্বাচন বানচাল করতে একটা পক্ষ তৎপর উল্লেখ করে এ প্রার্থী বলেন, ‘আজকে এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটা পক্ষ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে। সে জায়গায় আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। যাঁরা এই ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন, আপনাদের হুঁশিয়ার করতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থান এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করেছিল এবং খুনি হাসিনার পতন করেছিল। যারা আবার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাদের পরিণতি খুনি হাসিনা ও ছাত্রলীগের চেয়ে খারাপ হবে।’
সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের অ্যারেস্ট করতে হবে। তাদের থানায় দিতে হবে এবং তাদের যারা নির্দেশ দিয়েছে, তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
সাদিক কায়েম আরও বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচন শহীদদের আকাঙ্ক্ষা, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা। এই ডাকসু নির্বাচন সফল করা আমাদের সবার একান্ত দায়িত্ব। নির্বাচন বানচাল করার জন্য যারা চেষ্টা করছে, তাদের আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।’
সাদিক বলেন, ‘কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর যদি জোরপূর্বক কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে এটা হিতে বিপরীত হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ম্যান্ডেট পেয়ে যাদেরকে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবে, আমরা তাদের মেনে নেব। আমরা আশা করব, যাঁরা বিভিন্ন ধরনের অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন, আপনারা এই সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট মেনে নিন।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা, জালিয়াতি, প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো দলের হুমকিকে ভয় পায় না। ছাত্রলীগ বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে চেষ্টা করেছিল গত বছর জুলাইয়ে তারা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার, আপনারা এই চেষ্টায় ফিরে যাইয়েন না।’
ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ফরহাদ আরও বলেন, ‘আপনারা গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছেন, আবার ছাত্রলীগ হয়ে যাইয়েন না। আবার এই বহিরাগত নিয়ে এসে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে আইসেন না, শিক্ষার্থীরা ভয় পায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এগুলো নিশ্চিতভাবে প্রতিহত করবে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান করব, আমরা যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব, যেকোনো অপপ্রচার, যেকোনো হয়রানী, যেকোনো নাটক মঞ্চস্থের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকব।’
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ফজলুল হক মুসলিম হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরাই এগিয়ে আছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৮৪১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদুল পেয়েছেন ১৮১ ভোট।
৫ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে একাধিক হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। সুফিয়া কামাল হল, জিয়া হল, ফজলুল হক মুসলিম হল এবং শহীদুল্লাহ হলের ফলাফলে তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
১০ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১১৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদ পেয়েছেন ৪৩৪ ভোট।
১৫ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শহীদুল্লাহ হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৯৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদুল পেয়েছেন ১৯৯ ভোট। অন্যদিকে উমামা ১৪০, শামীম ১৬১, আব্দুল কাদের ৫৬ ও জামাল ২৬ ভোট পেয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে