মারুফ হোসেন

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান সম্মাননা ও পুরস্কার। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভিএসও বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন, ইউএসএআইডি আয়োজিত আইডিয়া কমপিটিশনে ‘সেভিং মাদার নেচার, সেভিং আস’ ২০২৩ ক্যাম্পেইনে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন। নাঈমের সংগঠনের নাম ‘শরুব ইয়ুথ টিম’।
নাঈমের জন্ম সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। শৈশব থেকে নিজ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সুপেয় পানির সংকট ইত্যাদি তাঁকে খুব নাড়া দিত। স্নাতক পর্যায়ে আসতেই চারদিকে দেখা দেয় করোনার প্রাদুর্ভাব। অন্য সবার মতো নাঈমও গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। দুরন্ত চটপটে নাঈমের কাছে ঘরে বন্দী থাকা বেমানান ঠেকল। ফেসবুকে খুলে ফেললেন ‘শ্যামনগরের রূপ বৈচিত্র্য’ নামে একটি গ্রুপ। সেখানে নিজের জন্মস্থান শ্যামনগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরবেন বলে ঠিক করলেন।
শ্যামনগর ও সুন্দরবন এলাকার বৈচিত্র্যময় আলোকচিত্র গ্রুপে পোস্ট করতে শুরু করলেন। বেশ সাড়াও মিলল। সে গ্রুপের সদস্য এখন ১৫ হাজার।
প্রকৃতির ছবি গ্রুপে পোস্ট করা থেকেই প্রকৃতি সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় আসে নাঈমের। সে জন্য ২০২১ সালের ২৫ জুলাই গড়ে তোলেন ‘শরুব ইয়ুথ টিম’ নামে একটি সংগঠন। অল্প কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে নিয়েই যাত্রা
শুরু। ৬ জন সদস্য নিয়ে শুরু হওয়া সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ৩১০ জন। দুর্যোগকালীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়া, নলকূপ স্থাপন, নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, ক্লাইমেট স্ট্রাইক, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠশালা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, পরিবেশ আন্দোলনসহ নানান কার্যক্রম পরিচালনা করছে শরুব ইয়ুথ টিম।
কিছু সুহৃদের অর্থায়ন ও সংগঠনের সদস্যদের চাঁদা শরুব ইয়ুথ টিমের অর্থের মূল উৎস। এ ছাড়া অনেক সময় সংগঠনের পাওয়া সম্মাননার অর্থ স্বেচ্ছাসেবামূলক ও মানবিক নানান কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে। পরিবেশ ও জলবায়ুকেন্দ্রিক কাজ করলেও সংগঠনটির সদস্যরা বন্যায় ত্রাণ নিয়ে ছোটেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। দুর্যোগে মানুষের হাতে পৌঁছে দেন খাদ্যসামগ্রী।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি নলকূপ স্থাপন করে ‘শরুব ইয়ুথ টিম’। সম্প্রতি একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির কষ্ট দূর করতে বড় একটি পানির ড্রাম স্থাপন করেছে সংগঠনটি। সে ড্রাম ২০০ শিক্ষার্থীর পানির কষ্ট দূর করেছে। ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে শ্যামনগরের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে নারীদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলার চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এ জন্য নয়টি পরিবারকে সেলাই মেশিন দিয়েছেন নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা। পরিবেশ ভালো রাখতে তাঁরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নানান জাতের গাছ লাগিয়েছেন। সংগঠনের সদস্যরা ১০ হাজারের মতো তালবীজ রোপণ করেছেন বিভিন্ন রাস্তার পাশে।
পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কে বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা প্রতি শুক্রবার ক্লাইমেট স্ট্রাইক করে থাকেন। সুন্দরবনের প্রকৃতিবিধ্বংসী কাজের বিরুদ্ধেও নানান আন্দোলন করে সংগঠনটি। শরুব ইয়ুথ টিমের সদস্য হেমাদ্রি রাজ হিমু বলেন, ‘আমরা সবাই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ভুক্তভোগী। একজন কথা বলার চেয়ে সবাই মিলে কথা বললে ফল হয়। সে জন্য পরিবেশবিষয়ক সংগঠনে যুক্ত হয়েছি।’ এহসানুল মাহবুব তানভীর জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া ঠেকাতে সংগঠনটির ‘আশার আলো’ নামে একটি পাঠশালা রয়েছে।
ভবিষ্যতে পরিবেশ আন্দোলনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চান নাঈম।

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান সম্মাননা ও পুরস্কার। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভিএসও বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন, ইউএসএআইডি আয়োজিত আইডিয়া কমপিটিশনে ‘সেভিং মাদার নেচার, সেভিং আস’ ২০২৩ ক্যাম্পেইনে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন। নাঈমের সংগঠনের নাম ‘শরুব ইয়ুথ টিম’।
নাঈমের জন্ম সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। শৈশব থেকে নিজ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সুপেয় পানির সংকট ইত্যাদি তাঁকে খুব নাড়া দিত। স্নাতক পর্যায়ে আসতেই চারদিকে দেখা দেয় করোনার প্রাদুর্ভাব। অন্য সবার মতো নাঈমও গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। দুরন্ত চটপটে নাঈমের কাছে ঘরে বন্দী থাকা বেমানান ঠেকল। ফেসবুকে খুলে ফেললেন ‘শ্যামনগরের রূপ বৈচিত্র্য’ নামে একটি গ্রুপ। সেখানে নিজের জন্মস্থান শ্যামনগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরবেন বলে ঠিক করলেন।
শ্যামনগর ও সুন্দরবন এলাকার বৈচিত্র্যময় আলোকচিত্র গ্রুপে পোস্ট করতে শুরু করলেন। বেশ সাড়াও মিলল। সে গ্রুপের সদস্য এখন ১৫ হাজার।
প্রকৃতির ছবি গ্রুপে পোস্ট করা থেকেই প্রকৃতি সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় আসে নাঈমের। সে জন্য ২০২১ সালের ২৫ জুলাই গড়ে তোলেন ‘শরুব ইয়ুথ টিম’ নামে একটি সংগঠন। অল্প কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে নিয়েই যাত্রা
শুরু। ৬ জন সদস্য নিয়ে শুরু হওয়া সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ৩১০ জন। দুর্যোগকালীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়া, নলকূপ স্থাপন, নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, ক্লাইমেট স্ট্রাইক, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠশালা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, পরিবেশ আন্দোলনসহ নানান কার্যক্রম পরিচালনা করছে শরুব ইয়ুথ টিম।
কিছু সুহৃদের অর্থায়ন ও সংগঠনের সদস্যদের চাঁদা শরুব ইয়ুথ টিমের অর্থের মূল উৎস। এ ছাড়া অনেক সময় সংগঠনের পাওয়া সম্মাননার অর্থ স্বেচ্ছাসেবামূলক ও মানবিক নানান কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে। পরিবেশ ও জলবায়ুকেন্দ্রিক কাজ করলেও সংগঠনটির সদস্যরা বন্যায় ত্রাণ নিয়ে ছোটেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। দুর্যোগে মানুষের হাতে পৌঁছে দেন খাদ্যসামগ্রী।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি নলকূপ স্থাপন করে ‘শরুব ইয়ুথ টিম’। সম্প্রতি একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির কষ্ট দূর করতে বড় একটি পানির ড্রাম স্থাপন করেছে সংগঠনটি। সে ড্রাম ২০০ শিক্ষার্থীর পানির কষ্ট দূর করেছে। ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে শ্যামনগরের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে নারীদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলার চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এ জন্য নয়টি পরিবারকে সেলাই মেশিন দিয়েছেন নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা। পরিবেশ ভালো রাখতে তাঁরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নানান জাতের গাছ লাগিয়েছেন। সংগঠনের সদস্যরা ১০ হাজারের মতো তালবীজ রোপণ করেছেন বিভিন্ন রাস্তার পাশে।
পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কে বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা প্রতি শুক্রবার ক্লাইমেট স্ট্রাইক করে থাকেন। সুন্দরবনের প্রকৃতিবিধ্বংসী কাজের বিরুদ্ধেও নানান আন্দোলন করে সংগঠনটি। শরুব ইয়ুথ টিমের সদস্য হেমাদ্রি রাজ হিমু বলেন, ‘আমরা সবাই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ভুক্তভোগী। একজন কথা বলার চেয়ে সবাই মিলে কথা বললে ফল হয়। সে জন্য পরিবেশবিষয়ক সংগঠনে যুক্ত হয়েছি।’ এহসানুল মাহবুব তানভীর জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া ঠেকাতে সংগঠনটির ‘আশার আলো’ নামে একটি পাঠশালা রয়েছে।
ভবিষ্যতে পরিবেশ আন্দোলনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চান নাঈম।
মারুফ হোসেন

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান সম্মাননা ও পুরস্কার। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভিএসও বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন, ইউএসএআইডি আয়োজিত আইডিয়া কমপিটিশনে ‘সেভিং মাদার নেচার, সেভিং আস’ ২০২৩ ক্যাম্পেইনে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন। নাঈমের সংগঠনের নাম ‘শরুব ইয়ুথ টিম’।
নাঈমের জন্ম সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। শৈশব থেকে নিজ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সুপেয় পানির সংকট ইত্যাদি তাঁকে খুব নাড়া দিত। স্নাতক পর্যায়ে আসতেই চারদিকে দেখা দেয় করোনার প্রাদুর্ভাব। অন্য সবার মতো নাঈমও গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। দুরন্ত চটপটে নাঈমের কাছে ঘরে বন্দী থাকা বেমানান ঠেকল। ফেসবুকে খুলে ফেললেন ‘শ্যামনগরের রূপ বৈচিত্র্য’ নামে একটি গ্রুপ। সেখানে নিজের জন্মস্থান শ্যামনগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরবেন বলে ঠিক করলেন।
শ্যামনগর ও সুন্দরবন এলাকার বৈচিত্র্যময় আলোকচিত্র গ্রুপে পোস্ট করতে শুরু করলেন। বেশ সাড়াও মিলল। সে গ্রুপের সদস্য এখন ১৫ হাজার।
প্রকৃতির ছবি গ্রুপে পোস্ট করা থেকেই প্রকৃতি সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় আসে নাঈমের। সে জন্য ২০২১ সালের ২৫ জুলাই গড়ে তোলেন ‘শরুব ইয়ুথ টিম’ নামে একটি সংগঠন। অল্প কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে নিয়েই যাত্রা
শুরু। ৬ জন সদস্য নিয়ে শুরু হওয়া সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ৩১০ জন। দুর্যোগকালীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়া, নলকূপ স্থাপন, নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, ক্লাইমেট স্ট্রাইক, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠশালা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, পরিবেশ আন্দোলনসহ নানান কার্যক্রম পরিচালনা করছে শরুব ইয়ুথ টিম।
কিছু সুহৃদের অর্থায়ন ও সংগঠনের সদস্যদের চাঁদা শরুব ইয়ুথ টিমের অর্থের মূল উৎস। এ ছাড়া অনেক সময় সংগঠনের পাওয়া সম্মাননার অর্থ স্বেচ্ছাসেবামূলক ও মানবিক নানান কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে। পরিবেশ ও জলবায়ুকেন্দ্রিক কাজ করলেও সংগঠনটির সদস্যরা বন্যায় ত্রাণ নিয়ে ছোটেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। দুর্যোগে মানুষের হাতে পৌঁছে দেন খাদ্যসামগ্রী।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি নলকূপ স্থাপন করে ‘শরুব ইয়ুথ টিম’। সম্প্রতি একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির কষ্ট দূর করতে বড় একটি পানির ড্রাম স্থাপন করেছে সংগঠনটি। সে ড্রাম ২০০ শিক্ষার্থীর পানির কষ্ট দূর করেছে। ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে শ্যামনগরের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে নারীদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলার চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এ জন্য নয়টি পরিবারকে সেলাই মেশিন দিয়েছেন নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা। পরিবেশ ভালো রাখতে তাঁরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নানান জাতের গাছ লাগিয়েছেন। সংগঠনের সদস্যরা ১০ হাজারের মতো তালবীজ রোপণ করেছেন বিভিন্ন রাস্তার পাশে।
পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কে বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা প্রতি শুক্রবার ক্লাইমেট স্ট্রাইক করে থাকেন। সুন্দরবনের প্রকৃতিবিধ্বংসী কাজের বিরুদ্ধেও নানান আন্দোলন করে সংগঠনটি। শরুব ইয়ুথ টিমের সদস্য হেমাদ্রি রাজ হিমু বলেন, ‘আমরা সবাই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ভুক্তভোগী। একজন কথা বলার চেয়ে সবাই মিলে কথা বললে ফল হয়। সে জন্য পরিবেশবিষয়ক সংগঠনে যুক্ত হয়েছি।’ এহসানুল মাহবুব তানভীর জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া ঠেকাতে সংগঠনটির ‘আশার আলো’ নামে একটি পাঠশালা রয়েছে।
ভবিষ্যতে পরিবেশ আন্দোলনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চান নাঈম।

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান সম্মাননা ও পুরস্কার। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভিএসও বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন, ইউএসএআইডি আয়োজিত আইডিয়া কমপিটিশনে ‘সেভিং মাদার নেচার, সেভিং আস’ ২০২৩ ক্যাম্পেইনে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন। নাঈমের সংগঠনের নাম ‘শরুব ইয়ুথ টিম’।
নাঈমের জন্ম সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। শৈশব থেকে নিজ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সুপেয় পানির সংকট ইত্যাদি তাঁকে খুব নাড়া দিত। স্নাতক পর্যায়ে আসতেই চারদিকে দেখা দেয় করোনার প্রাদুর্ভাব। অন্য সবার মতো নাঈমও গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। দুরন্ত চটপটে নাঈমের কাছে ঘরে বন্দী থাকা বেমানান ঠেকল। ফেসবুকে খুলে ফেললেন ‘শ্যামনগরের রূপ বৈচিত্র্য’ নামে একটি গ্রুপ। সেখানে নিজের জন্মস্থান শ্যামনগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরবেন বলে ঠিক করলেন।
শ্যামনগর ও সুন্দরবন এলাকার বৈচিত্র্যময় আলোকচিত্র গ্রুপে পোস্ট করতে শুরু করলেন। বেশ সাড়াও মিলল। সে গ্রুপের সদস্য এখন ১৫ হাজার।
প্রকৃতির ছবি গ্রুপে পোস্ট করা থেকেই প্রকৃতি সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় আসে নাঈমের। সে জন্য ২০২১ সালের ২৫ জুলাই গড়ে তোলেন ‘শরুব ইয়ুথ টিম’ নামে একটি সংগঠন। অল্প কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে নিয়েই যাত্রা
শুরু। ৬ জন সদস্য নিয়ে শুরু হওয়া সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ৩১০ জন। দুর্যোগকালীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়া, নলকূপ স্থাপন, নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, ক্লাইমেট স্ট্রাইক, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠশালা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, পরিবেশ আন্দোলনসহ নানান কার্যক্রম পরিচালনা করছে শরুব ইয়ুথ টিম।
কিছু সুহৃদের অর্থায়ন ও সংগঠনের সদস্যদের চাঁদা শরুব ইয়ুথ টিমের অর্থের মূল উৎস। এ ছাড়া অনেক সময় সংগঠনের পাওয়া সম্মাননার অর্থ স্বেচ্ছাসেবামূলক ও মানবিক নানান কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে। পরিবেশ ও জলবায়ুকেন্দ্রিক কাজ করলেও সংগঠনটির সদস্যরা বন্যায় ত্রাণ নিয়ে ছোটেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। দুর্যোগে মানুষের হাতে পৌঁছে দেন খাদ্যসামগ্রী।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি নলকূপ স্থাপন করে ‘শরুব ইয়ুথ টিম’। সম্প্রতি একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির কষ্ট দূর করতে বড় একটি পানির ড্রাম স্থাপন করেছে সংগঠনটি। সে ড্রাম ২০০ শিক্ষার্থীর পানির কষ্ট দূর করেছে। ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে শ্যামনগরের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে নারীদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলার চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এ জন্য নয়টি পরিবারকে সেলাই মেশিন দিয়েছেন নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা। পরিবেশ ভালো রাখতে তাঁরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নানান জাতের গাছ লাগিয়েছেন। সংগঠনের সদস্যরা ১০ হাজারের মতো তালবীজ রোপণ করেছেন বিভিন্ন রাস্তার পাশে।
পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কে বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নাঈম ও তাঁর সংগঠনের সদস্যরা প্রতি শুক্রবার ক্লাইমেট স্ট্রাইক করে থাকেন। সুন্দরবনের প্রকৃতিবিধ্বংসী কাজের বিরুদ্ধেও নানান আন্দোলন করে সংগঠনটি। শরুব ইয়ুথ টিমের সদস্য হেমাদ্রি রাজ হিমু বলেন, ‘আমরা সবাই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ভুক্তভোগী। একজন কথা বলার চেয়ে সবাই মিলে কথা বললে ফল হয়। সে জন্য পরিবেশবিষয়ক সংগঠনে যুক্ত হয়েছি।’ এহসানুল মাহবুব তানভীর জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া ঠেকাতে সংগঠনটির ‘আশার আলো’ নামে একটি পাঠশালা রয়েছে।
ভবিষ্যতে পরিবেশ আন্দোলনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চান নাঈম।

দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৬ মিনিট আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল আজ বুধবার বিকেলে বলেন, লটারি অনুষ্ঠান আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল প্রক্রিয়া তদারকি করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক।
যেভাবে মিলবে ফল
অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীরা যে ফোন নম্বর ব্যবহার করে আবেদন করেছে, সেটিতে ফলাফল এসএমএস করবে টেলিটক। আর ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) ফল প্রকাশ করা হবে। আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ফল ডাউনলোড করতে পারবে।
খান মইনুদ্দিন আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধান পুরো ফলটি পাবেন, তাই শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট স্কুলে খোঁজ নিয়েও ফল জানতে পারবে।
ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক সোহেল আরও বলেন, এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মতো দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
সরকারি স্কুলে প্রতি আসনে ৬ শিক্ষার্থীর আবেদন, বেসরকারিতে কম
মাউশি থেকে জানা যায়, বরাবরের মতোই এবার সরকারি স্কুলে ভর্তিতে শিক্ষার্থীরা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে; ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে আসনপ্রতি প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। অপর দিকে ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে যতগুলো আসন ফাঁকা আছে, তার ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
তথ্য বলছে, ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে, তারা ১০ লাখ ৪১ হাজার ১৩৮টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
আর মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তারা ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬১৬টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়ে ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পেরেছিল। ১০০ টাকা ফি দিয়ে করা প্রতিটি আবেদনে তারা পাঁচটি স্কুলে আসন পছন্দ দিতে পেরেছিল। শিক্ষার্থীদের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে আলাদা আবেদন করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে ও কোচিং-বাণিজ্য ঠেকাতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২০ সালে মহামারির মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য সরকার লটারি পদ্ধতি চালু করে। এর পর থেকে প্রতিবছর সে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল আজ বুধবার বিকেলে বলেন, লটারি অনুষ্ঠান আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল প্রক্রিয়া তদারকি করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক।
যেভাবে মিলবে ফল
অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীরা যে ফোন নম্বর ব্যবহার করে আবেদন করেছে, সেটিতে ফলাফল এসএমএস করবে টেলিটক। আর ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) ফল প্রকাশ করা হবে। আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ফল ডাউনলোড করতে পারবে।
খান মইনুদ্দিন আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধান পুরো ফলটি পাবেন, তাই শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট স্কুলে খোঁজ নিয়েও ফল জানতে পারবে।
ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক সোহেল আরও বলেন, এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মতো দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
সরকারি স্কুলে প্রতি আসনে ৬ শিক্ষার্থীর আবেদন, বেসরকারিতে কম
মাউশি থেকে জানা যায়, বরাবরের মতোই এবার সরকারি স্কুলে ভর্তিতে শিক্ষার্থীরা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে; ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে আসনপ্রতি প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। অপর দিকে ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে যতগুলো আসন ফাঁকা আছে, তার ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
তথ্য বলছে, ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে, তারা ১০ লাখ ৪১ হাজার ১৩৮টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
আর মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তারা ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬১৬টি আসন পছন্দ দিয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়ে ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পেরেছিল। ১০০ টাকা ফি দিয়ে করা প্রতিটি আবেদনে তারা পাঁচটি স্কুলে আসন পছন্দ দিতে পেরেছিল। শিক্ষার্থীদের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে আলাদা আবেদন করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে ও কোচিং-বাণিজ্য ঠেকাতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২০ সালে মহামারির মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য সরকার লটারি পদ্ধতি চালু করে। এর পর থেকে প্রতিবছর সে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১ দিন আগেসুরাইয়া ফেরদৌস ঋতু

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দক্ষতা, মেধা ও প্রস্তুতির সেরা ব্যবহার হয় ঠিক এই সময়েই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অনেকের জন্য চাপের। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক স্থিরতা থাকলে এটিই হতে পারে সাফল্যের মোড় ঘোরানোর সময়।
ভুল থেকে শেখাই শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি
যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছেন বা বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করেছেন, তাঁদের সবারই কিছু ভুল থাকে—বিষয়ভিত্তিক বা প্রশ্নভিত্তিক। শেষ সময়ে এই ভুলগুলোই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। ভুলগুলো চিহ্নিত করে টপিকভিত্তিক দ্রুত রিভিশন করলে মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখতে আরও সক্ষম হয়। সুপারফিসিয়াল রিভিশন বা দ্রুত চোখ বোলানো রিভিশনও শেষ মুহূর্তে দারুণ কাজ দেয়; কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের সিগন্যালকে আরও সক্রিয় করে। তাই এখন নতুন কিছু শেখার চেয়ে নিজের ভুল জানা এবং সেগুলো সংশোধন করাই বেশি যুক্তিসংগত।
নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে কৌশল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো নেগেটিভ মার্কিং। শেষ মুহূর্তে বাড়তি উত্তেজনায় অনেকেই কনফিউজিং প্রশ্নে ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এতে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কাটা নম্বরই বেশি হয়। তাই নিয়মটি পরিষ্কার—৫০% নিশ্চিত না হলে দাগানো নয়। আর ৭০-৮০% নিশ্চিত হলে তখন হিসাব করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শুধু জানার পরীক্ষা নয়; এটি হলো বুদ্ধি, স্থিরতা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণেরও পরীক্ষা।
মানসিক চাপ হলো সাফল্যের নীরব শত্রু
পরীক্ষার আগে চাপ অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাপ যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তবে এটি মেধাবী শিক্ষার্থীকেও দুর্বল করে দিতে পারে। ‘চান্স না পেলে কী হবে?’, ‘সবাই তো পারছে, আমি পারব তো?’— এমন ভাবনা আত্মবিশ্বাসকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা এই সময় সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা, চেষ্টা ও মানসিক প্রস্তুতিও ভিন্ন। তাই শেষ সময়ে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই আপনি সঠিক পথেই হাঁটছেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনোবল ধরে রাখে
ভর্তি পরীক্ষার চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা—সবই মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মন স্থির থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং পরীক্ষার হলে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। ভুল হওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ভুল দেখেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং ভাবতে হবে, আমি জানি, আমি পারি, এবং সেরা চেষ্টা আমি করব। ইতিবাচক মনোভাবই শেষ ধাপের লড়াইয়ে আপনাকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি
ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ভুয়া তথ্য—প্রশ্নপত্র ফাঁস, সময় পরিবর্তন, আসনসংখ্যা, নম্বর বণ্টন নিয়ে ভিত্তিহীন পোস্ট, কিংবা ‘নিশ্চিত প্রশ্ন’ নামে গুজব, এগুলো অনেকের মনকে অস্থির করে তোলে। যারা যাচাই না করে এসব শেয়ার করে, তারা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা বা শুধু সরকারি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় না এবং মানসিক চাপও কম থাকে।
শেষ মুহূর্তে যেসব বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত
শেষ সময়ে নিজেকে স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়; বরং পড়া বিষয়গুলো রিভিশন করলেই স্মৃতি আরও স্থায়ী হয়। নিয়মিত, হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত; কম খেয়ে দুর্বল হওয়া নয়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে সতেজ রাখে এবং স্বল্প সময় হাঁটা বা স্ট্রেচিং মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। পরিবারের সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বললে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দিলে অপ্রয়োজনীয় গুজব থেকে দূরে থাকা যায়। আর হালকা দোয়া-ইবাদত মনকে শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
শেষ কথা হলো, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বইয়ের নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিরও সমন্বয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং সেরাটুকু দিন। সাফল্য অবশ্যই আসবে। শুভকামনা প্রতিটি ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য।
অনুলিখন: তানজিল কাজী

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দক্ষতা, মেধা ও প্রস্তুতির সেরা ব্যবহার হয় ঠিক এই সময়েই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অনেকের জন্য চাপের। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক স্থিরতা থাকলে এটিই হতে পারে সাফল্যের মোড় ঘোরানোর সময়।
ভুল থেকে শেখাই শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি
যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছেন বা বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করেছেন, তাঁদের সবারই কিছু ভুল থাকে—বিষয়ভিত্তিক বা প্রশ্নভিত্তিক। শেষ সময়ে এই ভুলগুলোই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। ভুলগুলো চিহ্নিত করে টপিকভিত্তিক দ্রুত রিভিশন করলে মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখতে আরও সক্ষম হয়। সুপারফিসিয়াল রিভিশন বা দ্রুত চোখ বোলানো রিভিশনও শেষ মুহূর্তে দারুণ কাজ দেয়; কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের সিগন্যালকে আরও সক্রিয় করে। তাই এখন নতুন কিছু শেখার চেয়ে নিজের ভুল জানা এবং সেগুলো সংশোধন করাই বেশি যুক্তিসংগত।
নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে কৌশল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো নেগেটিভ মার্কিং। শেষ মুহূর্তে বাড়তি উত্তেজনায় অনেকেই কনফিউজিং প্রশ্নে ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এতে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কাটা নম্বরই বেশি হয়। তাই নিয়মটি পরিষ্কার—৫০% নিশ্চিত না হলে দাগানো নয়। আর ৭০-৮০% নিশ্চিত হলে তখন হিসাব করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শুধু জানার পরীক্ষা নয়; এটি হলো বুদ্ধি, স্থিরতা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণেরও পরীক্ষা।
মানসিক চাপ হলো সাফল্যের নীরব শত্রু
পরীক্ষার আগে চাপ অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাপ যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তবে এটি মেধাবী শিক্ষার্থীকেও দুর্বল করে দিতে পারে। ‘চান্স না পেলে কী হবে?’, ‘সবাই তো পারছে, আমি পারব তো?’— এমন ভাবনা আত্মবিশ্বাসকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা এই সময় সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা, চেষ্টা ও মানসিক প্রস্তুতিও ভিন্ন। তাই শেষ সময়ে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই আপনি সঠিক পথেই হাঁটছেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনোবল ধরে রাখে
ভর্তি পরীক্ষার চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা—সবই মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মন স্থির থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং পরীক্ষার হলে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। ভুল হওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ভুল দেখেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং ভাবতে হবে, আমি জানি, আমি পারি, এবং সেরা চেষ্টা আমি করব। ইতিবাচক মনোভাবই শেষ ধাপের লড়াইয়ে আপনাকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি
ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ভুয়া তথ্য—প্রশ্নপত্র ফাঁস, সময় পরিবর্তন, আসনসংখ্যা, নম্বর বণ্টন নিয়ে ভিত্তিহীন পোস্ট, কিংবা ‘নিশ্চিত প্রশ্ন’ নামে গুজব, এগুলো অনেকের মনকে অস্থির করে তোলে। যারা যাচাই না করে এসব শেয়ার করে, তারা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা বা শুধু সরকারি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় না এবং মানসিক চাপও কম থাকে।
শেষ মুহূর্তে যেসব বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত
শেষ সময়ে নিজেকে স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়; বরং পড়া বিষয়গুলো রিভিশন করলেই স্মৃতি আরও স্থায়ী হয়। নিয়মিত, হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত; কম খেয়ে দুর্বল হওয়া নয়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে সতেজ রাখে এবং স্বল্প সময় হাঁটা বা স্ট্রেচিং মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। পরিবারের সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বললে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দিলে অপ্রয়োজনীয় গুজব থেকে দূরে থাকা যায়। আর হালকা দোয়া-ইবাদত মনকে শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
শেষ কথা হলো, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বইয়ের নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিরও সমন্বয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং সেরাটুকু দিন। সাফল্য অবশ্যই আসবে। শুভকামনা প্রতিটি ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য।
অনুলিখন: তানজিল কাজী

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৬ মিনিট আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিকসামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র ও ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিকসামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র ও ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৬ মিনিট আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৯ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে চলমান আন্দোলন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এ সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাব।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ—এই সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা স্কুলিং কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, কলেজগুলোয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানায়। গত রোববার ও গতকাল সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
আজ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা এল তাদের কাছ থেকে।
অপর দিকে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছে, স্কুলিং কাঠামোয় কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।
এমন বাস্তবতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। ২৫ ডিসেম্বর খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের কথা রয়েছে। আর প্রথম ব্যাচের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন বলেন, ‘আমরা বরাবরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল। বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যে সময়সীমা জানানো হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ এবং নবীনদের পাঠদান শুরু হবে। আমরা শুনেছি, চলতি মাসের মধ্যে অধ্যাদেশের আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হবে। আমরা সেই খসড়ায় গভীর দৃষ্টি রাখছি। শুনেছি, পূর্বের খসড়ায় বৃহৎ সংশোধনী আনা হচ্ছে। শিক্ষা সিন্ডিকেট তথা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশনে এমন সংশোধনী আনা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে।’
অধ্যাদেশে গুণগত শিক্ষার মান ও অধিকার সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে রবিন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশে যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সে অধ্যাদেশ ছুড়ে ফেলে দেবেন। শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে চলমান আন্দোলন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এ সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাব।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ—এই সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা স্কুলিং কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, কলেজগুলোয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানায়। গত রোববার ও গতকাল সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
আজ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা এল তাদের কাছ থেকে।
অপর দিকে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছে, স্কুলিং কাঠামোয় কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।
এমন বাস্তবতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। ২৫ ডিসেম্বর খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের কথা রয়েছে। আর প্রথম ব্যাচের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন বলেন, ‘আমরা বরাবরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল। বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যে সময়সীমা জানানো হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ এবং নবীনদের পাঠদান শুরু হবে। আমরা শুনেছি, চলতি মাসের মধ্যে অধ্যাদেশের আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হবে। আমরা সেই খসড়ায় গভীর দৃষ্টি রাখছি। শুনেছি, পূর্বের খসড়ায় বৃহৎ সংশোধনী আনা হচ্ছে। শিক্ষা সিন্ডিকেট তথা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশনে এমন সংশোধনী আনা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে।’
অধ্যাদেশে গুণগত শিক্ষার মান ও অধিকার সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে রবিন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশে যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সে অধ্যাদেশ ছুড়ে ফেলে দেবেন। শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জান্নাতুল নাঈম। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে আজ সবার পরিচিত মুখ তিনি। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজ। এর স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন নানান
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে লটারি অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৬ মিনিট আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১ দিন আগে