Ajker Patrika

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি

মো. আশিকুর রহমান
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৩০
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঈদ মানেই খুশি, আনন্দ আর উদ্‌যাপন। তবে এই আনন্দ যদি শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে কি তা পূর্ণতা পায়? আজকের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার দিকেও। উপার্জিত অর্থ দিয়ে শুধু নিজের চাহিদা মেটানোই নয়, পরিবার ও সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে তারা। কেউ পথশিশুদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করছে, কেউ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে প্রথম উপার্জনের টাকা ব্যয় করছে, আবার কেউ মেহেদি উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদ রাঙিয়ে তুলছে। এমনই কিছু অনুপ্রেরণামূলক গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ঈদ শুধু নিজের জন্য নয়; বরং এটি অন্যদের মুখে হাসি ফোটানোর এক অনন্য উপলক্ষ। এই সুন্দর ও মানবিক গল্পগুলো শুনিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান

অবনি হক, শিক্ষার্থী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
অবনি হক, শিক্ষার্থী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পথশিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি

আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে পথশিশুদের জন্য কাজ করি। আমাদের ক্যাম্পাসের পাশেই পথশিশুদের একটি স্কুল রয়েছে, যেখানে আমরা সারা বছর বিভিন্নভাবে সহায়তার চেষ্টা করি। এবার তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একসঙ্গে ইফতার করার পর তাদের নতুন পোশাক ও উপহার দেব, সঙ্গে থাকবে মেহেদি উৎসব। পথশিশুদের উচ্ছ্বাস আর হাসিমুখ দেখে ঈদের প্রকৃত আনন্দ পাওয়া যায়। ঈদ শুধু নিজের জন্য নয়, বরং সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করাতেই এর পূর্ণতা।

মো. মেহেদি হাসান রনি, শিক্ষার্থী; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
মো. মেহেদি হাসান রনি, শিক্ষার্থী; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পরিবারের হাসিতে আমার ঈদ আনন্দ

ঈদ মানেই খুশি, আনন্দ। সেই আনন্দ আরও গভীর হয়, যখন নিজের উপার্জন পরিবারের সঙ্গে ভাগ করা যায়। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, বাবা নিজের জন্য কিছু না কিনলেও পরিবারের সবার জন্য উপহার আনতেন। এমনকি তাঁর উদারতা আত্মীয়দের দিকেও প্রসারিত হতো। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল, একদিন বাবার মতো আমিও পরিবারের জন্য কিছু করব। এবার স্কলারশিপের কিছু অর্থ হাতে এসেছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুরো টাকা পরিবারের জন্য ব্যয় করব, যেন তাদের মুখের হাসিতে আমার ঈদ আনন্দ পূর্ণ হয়।

যাহ্‌রা তাসনীম আদিবা, শিক্ষার্থী; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
যাহ্‌রা তাসনীম আদিবা, শিক্ষার্থী; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ঈদ কাটাব পরিবারের সঙ্গে

তিন মাস পর বাড়ি ফিরছি, মনে একটা অদ্ভুত উত্তেজনা কাজ করছে। মায়ের হাতের রান্না, ছোট ভাইয়ের হাজারো গল্প—সব যেন অপেক্ষা করে আছে। ঢাকার চেনা রাস্তাগুলোও নতুন লাগছে। ঈদের সকালটা আবার সেই পরিচিত ঘ্রাণ আর চেনা কোলাহলে ভরে উঠবে। এত দিন পর নিজের শহরে ফিরে, সত্যি বলতে মনে হচ্ছে, ঈদের আসল আনন্দ এখন শুরু হলো।

আতিফ আসাদ, শিক্ষার্থী; সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
আতিফ আসাদ, শিক্ষার্থী; সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

পরিশ্রমের উপার্জনে ঈদের আনন্দ

পড়ালেখার পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করি এবং কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবেও ছোট পরিসরে কাজ করছি। আয় সীমিত হলেও মা-বাবাকে ঈদে কিছু উপহার দিতে পারার আনন্দই অন্য রকম। সাধ্যের মধ্যে ছোট উপহার হলেও পরিবারের মুখের হাসি আর তাদের সন্তুষ্টিই আমার ঈদের আসল পাওয়া। নিজের পরিশ্রমের টাকায় প্রিয়জনদের খুশি দেখার অনুভূতিটাই অনন্য। ঈদ মানেই খুশি ভাগাভাগি, আর আমার জন্য সেই খুশি পরিবারের সঙ্গে নিজের উপার্জন ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই নিহিত।

ফাহমিদা সরকার সায়মা, শিক্ষার্থী; ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
ফাহমিদা সরকার সায়মা, শিক্ষার্থী; ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

মেহেদির রঙে ভালোবাসার স্পর্শ

এবার আমার ঈদ আনন্দের অন্যতম আকর্ষণ হবে মেহেদি উৎসব, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে তা উদ্‌যাপন করতে চাই। ছোটবেলা থেকে মেহেদির রঙে হাত রাঙানোর মাঝে এক অন্য রকম উচ্ছ্বাস খুঁজে পাই। এবার এই আনন্দটুকু কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই, যেন তারাও এই উৎসবের রঙিন আনন্দ অনুভব করতে পারে। তাই এই মেহেদি উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই এবং তাদের অনুভব করাতে চাই যে তারা সত্যিই বিশেষ!

আরাফ মোহাম্মদ মাহিন, শিক্ষার্থী; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
আরাফ মোহাম্মদ মাহিন, শিক্ষার্থী; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

স্বাবলম্বিতার প্রথম ঈদ আনন্দ

স্বপ্ন ছিল, পরিবারের কাছ থেকে আর টাকা নেব না; নিজের উপার্জনে চলব। কিন্তু টিউশন পেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তিন মাস চেষ্টা করে একদিন প্রথম টিউশনের সুযোগ পাই। মাস শেষে হাতে এল ৬০০০ টাকা। সিদ্ধান্ত নিলাম, প্রথম আয় দিয়ে পরিবারের জন্য কিছু কিনব। আব্বুর জন্য শার্ট, আম্মুর জন্য থ্রি-পিস, দাদুর জন্য হিজাব। কিছু টাকা জমিয়ে নিজের জন্য স্নিকারও নিলাম। নিজের উপার্জনে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর যে আনন্দ, সেটাই আমার স্বাবলম্বী হওয়ার প্রথম ঈদের সেরা প্রাপ্তি!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

শ্রেয়া ঘোষ
কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।

নিয়মিত ইংরেজি শোনার অভ্যাস করুন

লিসনিং অংশে বিভিন্ন উচ্চারণ (ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান) বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ইংরেজি খবর, পডকাস্ট বা সিনেমার সংলাপ শুনলে কানে স্বাভাবিকভাবে শব্দ ধরার ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে অডিওর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন আগে পড়ে নিন ও মনোযোগ দিন

লিসনিং অংশে অডিও শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নগুলো একবার পড়ে নিন। এতে করে কোন তথ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, তা আগে থেকে বুঝে যাবেন এবং উত্তর মিস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

বানানের দিকে খেয়াল রাখুন

লিসনিং অংশে অনেক সময় সঠিক উত্তর লিখলেও বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যায়। সাধারণ শব্দগুলোর সঠিক বানান আয়ত্ত করুন এবং উত্তর লেখার সময় সতর্ক থাকুন।

স্কিমিং ও স্ক্যানিং কৌশল শিখুন

রিডিং অংশে পুরো প্যাসেজ শব্দ ধরে পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। স্কিমিং (মূল ভাব বোঝা) ও স্ক্যানিং (নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজা) কৌশল ব্যবহার করলে দ্রুত উত্তর বের করতে পারবেন।

কি-ওয়ার্ড চিহ্নিত করুন

প্রশ্নে দেওয়া কি-ওয়ার্ডগুলো আন্ডারলাইন করুন। প্যাসেজে সেই শব্দ বা তার সমার্থক শব্দ খুঁজে বের করুন। এতে সময় বাঁচবে এবং ভুলের হার কমবে।

সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হোন

লিসনিং অংশে প্রতিটি সেকশন শেষে যে কয়েক সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়, তা কাজে লাগান। রিডিং অংশে প্রতিটি প্যাসেজের জন্য নির্দিষ্ট সময় (প্রায় ২০ মিনিট) বেঁধে নিন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সময় বণ্টনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ভিন্ন ধরনের প্রশ্নে অভ্যস্ত হোন

রিডিং অংশে True/False/Not Given, Matching, Fill in the blanks, Multiple choice—এমন নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ফরম্যাটের আলাদা কৌশল রয়েছে। যেমন True/False/Not Given প্রশ্নে যুক্তি বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়, আর Matching প্রশ্নে সঠিক শব্দ বা ধারণা মেলাতে হয়। তাই প্রতিটি ধরনের প্রশ্নে আলাদাভাবে অনুশীলন করুন।

মক টেস্ট দিন

পরীক্ষার আগে আসল পরীক্ষার পরিবেশে বসে মক টেস্ট দিন। এতে সময় ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নের ধরন এবং মনোযোগ ধরে রাখার অভ্যাস তৈরি হয়। নিয়মিত মক টেস্ট আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সহায়ক হয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ আন্তর্জাতিক বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ আন্তর্জাতিক বৃত্তি

দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির দায়েগু শহরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। আধুনিক গবেষণাগার, উন্নত অবকাঠামো ও বহুভাষিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।

সুযোগ-সুবিধা

বৃত্তিটির আওতায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। তবে প্রতি সেমিস্টার শেষে শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর পরবর্তী সেমিস্টারে বৃত্তি নবায়ন করা হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি (ডক্টরাল) প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের মেয়াদ দুই বছর এবং যৌথ মাস্টার্স-পিএইচডি প্রোগ্রামের মেয়াদ চার বছর। যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে এবং কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামে ভর্তির অফার থাকতে হবে।

আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য

আবেদনপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাস ও স্টাডি প্ল্যান, সুপারিশপত্র (অবশ্যই অধ্যাপকের মাধ্যমে সরাসরি জমা দিতে হবে অথবা সিল করা খামে সংযুক্ত থাকতে হবে), পূর্বে অধ্যয়ন করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি সনদ, অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষাগত দক্ষতার সনদ, কোরিয়ান ভাষা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত থাকলে ভর্তি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্টের কপি ও জন্মসনদ।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

৩১ অক্টোবর ২০২৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কালই শ্রেণিকক্ষে ফিরছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’

এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।

‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ কোটায় ঢাকা কলেজে একাদশে ভর্তির সুযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।

সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।

এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত