Ajker Patrika

ঈদ আনন্দে মিলুক প্রাণ

পাঠকবন্ধু ডেস্ক
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৪৭
ঈদ আনন্দে মিলুক প্রাণ

ঈদুল ফিতর মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব, যা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপিত হয়। শৈশব থেকে কৈশোর, যৌবন থেকে প্রৌঢ়ত্ব, এমনকি বৃদ্ধ বয়সেও ঈদ নিয়ে মানুষের অনুভূতি একেক রকম। শৈশবের ঈদ মানেই বাবার হাত ধরে ঈদগাহে যাওয়া, নতুন জামা আর সালামির আনন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ঈদ মানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সালামি আদান-প্রদান আর ক্যাম্পাসজীবনের স্মৃতিগুলো রঙিন করা। ঈদের আগের রাত থেকে উৎসবের আমেজ শুরু হয়—নতুন পোশাক, হাতে মেহেদি, ঈদের নামাজের প্রস্তুতি আর ঈদের দিন সকালের মিষ্টিমুখ। কয়েকজন পাঠকবন্ধুর ঈদ ভাবনা তুলে ধরা হলো।

তানজিল কাজী
তানজিল কাজী

ঈদ আনন্দে রঙিন হোক সবার জীবন

ঈদ মানেই আনন্দ, খুশি ও ভালোবাসার উৎসব। ধনী-গরিব, ছোট-বড়—সবাই মিলে উদ্‌যাপন করে দিনটি। ঈদের মূল সৌন্দর্য হলো সাম্যের বার্তা, যেখানে সবাই ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে শামিল হয়। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, ঈদের আনন্দ যেন সবার হয়। জাকাত ও ফিতরার মাধ্যমে দরিদ্ররাও ঈদ আনন্দে অংশ নেয়, এতে ঈদ হয়ে ওঠে মানবতার উৎসব। ঈদের আগের রাত থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়। চাঁদ দেখা, নতুন পোশাক, হাতে মেহেদি—সবকিছুতেই আনন্দের ছোঁয়া। ঈদের সকালে নামাজ আদায়, শুভেচ্ছা বিনিময়, কোলাকুলি—এসবের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার সেতু গড়ে ওঠে।

বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় জনপ্রিয় হলেও প্রকৃত আনন্দ আসে, যখন সবাই একসঙ্গে হাসি ভাগ করে নেয়। ঈদ শুধু উৎসব নয়, এটি ভালোবাসা, সংযম ও মানবতার প্রতিচ্ছবি। আসুন, ঈদের খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিই, যাতে প্রতিটি জীবন সত্যিকারের আনন্দে রঙিন হয়ে ওঠে।

তানজিল কাজী, শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

আয়েশা সিদ্দিকা মিষ্টি
আয়েশা সিদ্দিকা মিষ্টি

ঈদ: ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

ঈদ মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এটি আনন্দঘন পরিবেশে উদ্‌যাপিত হয়। বাঙালিদের জন্য ঈদ শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। ঈদের সকাল শুরু হয় নামাজ আদায় করার মধ্য দিয়ে। মসজিদ কিংবা খোলা ময়দানে মুসল্লিদের সমাবেশ এক অনন্য দৃশ্য সৃষ্টি করে। নামাজ শেষে শুভেচ্ছা বিনিময়, কোলাকুলি—সবই ঈদের আবেগঘন অংশ। ঈদের অন্যতম আকর্ষণ নতুন পোশাক ও সুস্বাদু খাবার। ফিরনি, সেমাই, বিরিয়ানি, পিঠা—এসব ছাড়া যেন ঈদের আনন্দ অপূর্ণ থেকে যায়। আত্মীয়দের আমন্ত্রণ, মেহমানদারি ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। ঈদ পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার সুযোগ। বড়দের সালাম, ছোটদের উপহার, অসহায়দের সহায়তা—সবকিছুই ঈদের উৎসবকে প্রাণবন্ত করে। জাকাত ও কোরবানির মাধ্যমে সমাজে সমতা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ঈদ ব্যক্তিগত নয়, সমষ্টিগত উৎসব। ঈদ মেলা, বিশেষ টিভি অনুষ্ঠান সব বয়সী মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। বাঙালি মুসলিমদের জন্য ঈদ ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি এক বৃহত্তর সামাজিক মিলনমেলা, যা ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।

আয়েশা সিদ্দিকা মিষ্টি, শিক্ষার্থী, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

তাওহীদ আহমেদ
তাওহীদ আহমেদ

রমজানের ঈদের আয়োজন ও প্রস্তুতি

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব ও ইবাদতের সমন্বয়। রোজা পালন, বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার, তারাবির নামাজ, পড়াশোনার ফাঁকে ঈদের জন্য পরিকল্পনা করতে হয়। প্রথমে থাকে পরিবারের জন্য কেনাকাটা। বাজেট সীমিত হলেও সবার জন্য ছোটখাটো উপহার কিনি, নিজের জন্য নতুন পোশাক নিই এবং দান-সদকার জন্য কিছু অর্থ রাখি। ঈদে জামা-পাঞ্জাবি ও জুতা কেনা হয়। রান্নার বিষয়েও মায়ের পাশে দাঁড়াই। ঈদের সকালে সেমাই, পোলাও, মাংস—সবকিছুর আয়োজন থাকে। বাবার সঙ্গে বাজার করা, মাকে রান্নায় সহায়তা করাও আনন্দের অংশ। ঈদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করা, কবর জিয়ারত ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো। সব মিলিয়ে ঈদ শুধু আনন্দ নয়, বরং পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু করার এক অনন্য সুযোগ।

তাওহীদ আহমেদ, শিক্ষার্থী, রসায়ন বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

সামিহা সিরাজী লাজ
সামিহা সিরাজী লাজ

স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার

প্রাণের ক্যাম্পাস ছেড়ে মাতৃক্রোড়ে ফেরা সন্তানের জন্য ঈদ হলো শ্রেষ্ঠ সময়। বাবা-মায়ের অপেক্ষা, জমিয়ে রাখা কথা—সবকিছুই মিশে যায় ঈদের আনন্দে। মায়ের ভালোবাসার স্পর্শে ঈদের সকালের মিষ্টিমুখ যেন সবচেয়ে বড় পাওয়া। তবে অনেক শিক্ষার্থীকে নানা কারণে ক্যাম্পাসেই ঈদ কাটাতে হয়। তাদের একাকিত্ব কাটে মসজিদে নামাজ পড়ে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বিনিময় করে। তবু ঈদ আনন্দ ছড়ায়, মুসলিম উম্মাহকে একত্র করে। ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলিয়ে, বৈরিতা দূর করে নিয়ে আসে মমতার বার্তা। ঈদের গল্প হয়ে ওঠে কারও জন্য আনন্দের, কারও জন্য নিঃসঙ্গতার। বাস্তব জীবনেও ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ ভুলিয়ে ঈদ হোক আরও প্রাণবন্ত। ঈদুল ফিতর আমাদের আনন্দে রাঙিয়ে দিক, গাজার ধু ধু প্রান্তরেও বয়ে আনুক শান্তির সুবাতাস—এই আমাদের কামনা।

সামিহা সিরাজী লাজ, শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কালই শ্রেণিকক্ষে ফিরছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’

এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।

‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশেষ কোটায় ঢাকা কলেজে একাদশে ভর্তির সুযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।

সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।

এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অগ্নি দুর্ঘটনা: শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলল মাউশি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অগ্নি দুর্ঘটনা: শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলল মাউশি

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।

অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।

air-port-fire-service
air-port-fire-service

নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।

গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্পূর্ণ অর্থায়িত রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বৃত্তির সুযোগ

শিক্ষা ডেস্ক
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। ছবি: সংগৃহীত
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।

এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।

ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।

সুযোগ-সুবিধা

অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।

যোগ্য দেশের তালিকা

বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।

আবেদনের যোগ্যতা

রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত