চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বহুমুখী নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী, প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে তারা।
আজ রোববার উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক বিষয় ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে এসব তথ্য জানান চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন পাঁচটি ভবনের ১৫টি হলের জন্য কেন্দ্র থাকবে ৬০টি। ভোট গ্রহণ হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। প্রতিটি রুমে গড়ে ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। একজন শিক্ষার্থী ৪০টি ভোট দেবেন। সেই অনুযায়ী গোপন বুথ তৈরি করা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি অনুষদ ভবনের ডিনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৪ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না।
ভোট গণনার ব্যাপারে অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, দুই ধাপে হবে ভোট ঘোষণা—একটি ধাপ পরিচালনা করবে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এবং অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে তাৎক্ষণিকভাবে গণনা হবে এবং কেন্দ্র থেকেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। হলের ফলাফলও একইভাবে প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অডিটরিয়ামে।
ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে, যারা প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি ভবনে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে পানি ও মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা থাকবে। ইলেকট্রিসিটি বন্ধ হলেও ভোটের রেকর্ড বন্ধ হবে না—এ জন্য জেনারেটর সাপোর্ট রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে কোনো অবৈধ শিক্ষার্থী যাতে অবস্থান করতে না পারে, সে বিষয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছাড়া যাঁদের আইডি কার্ড নেই, তাঁদের ক্যাম্পাসে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেসের কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুটি করে টহল টিম। বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবে। পাঁচটি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর পর আমরা চাকসু নির্বাচনের আয়োজন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাচন হয় না। আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এই নির্বাচন যেন একটি স্বচ্ছ ও ইনক্লুসিভ নির্বাচন হয়, তা আমরা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি।’
নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বহুমুখী নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী, প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে তারা।
আজ রোববার উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক বিষয় ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে এসব তথ্য জানান চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন পাঁচটি ভবনের ১৫টি হলের জন্য কেন্দ্র থাকবে ৬০টি। ভোট গ্রহণ হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। প্রতিটি রুমে গড়ে ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। একজন শিক্ষার্থী ৪০টি ভোট দেবেন। সেই অনুযায়ী গোপন বুথ তৈরি করা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি অনুষদ ভবনের ডিনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৪ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না।
ভোট গণনার ব্যাপারে অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, দুই ধাপে হবে ভোট ঘোষণা—একটি ধাপ পরিচালনা করবে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এবং অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে তাৎক্ষণিকভাবে গণনা হবে এবং কেন্দ্র থেকেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। হলের ফলাফলও একইভাবে প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অডিটরিয়ামে।
ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে, যারা প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি ভবনে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে পানি ও মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা থাকবে। ইলেকট্রিসিটি বন্ধ হলেও ভোটের রেকর্ড বন্ধ হবে না—এ জন্য জেনারেটর সাপোর্ট রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে কোনো অবৈধ শিক্ষার্থী যাতে অবস্থান করতে না পারে, সে বিষয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছাড়া যাঁদের আইডি কার্ড নেই, তাঁদের ক্যাম্পাসে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেসের কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুটি করে টহল টিম। বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবে। পাঁচটি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর পর আমরা চাকসু নির্বাচনের আয়োজন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাচন হয় না। আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এই নির্বাচন যেন একটি স্বচ্ছ ও ইনক্লুসিভ নির্বাচন হয়, তা আমরা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি।’
নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি চীনে উচ্চশিক্ষার ভর্তিপ্রক্রিয়ায় চায়না স্কলাস্টিক কমপিটেনসি অ্যাসেসমেন্ট (সিএসসিএ) নামে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে চীনের ৩০০টির বেশি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি হতে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই পরীক্ষা আবশ্যিক করা হয়েছে।
১৫ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায়ই একাডেমিক প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হন বেশি। ভালো প্রেজেন্টেশন করার জন্য নিচের ছয়টি দিক বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
২৪ মিনিট আগেআজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি চাওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে