নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিশ্চিত, জাতীয় রাজনীতির মহড়া ও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানোসহ আটটি প্রস্তাবনায় বেশ কয়েকটি দফা দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আশরেফা খাতুন এই ইশতেহার পড়ে শোনান।
প্রারম্ভিক বক্তব্য ও ইশতেহারের প্রথম অংশ পাঠ করেন ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক অঙ্গনে দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো বন্ধ করা হবে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও জুলুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ’৪৭-এর পাকিস্তান আন্দোলন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ভূমিকার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে অক্ষুণ্ন রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্য ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদবিরোধী ধারা বজায় রাখা হবে।’
দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আব্দুল কাদের বলেন, ‘৭৩-এর অধ্যাদেশের স্বায়ত্তশাসনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কার করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র অবসানের লক্ষ্যে ভিসি, প্রোভিসি, প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগের স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। ওয়ান স্টপ সলিউশন নামে একটি অ্যাপস বানানো হবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের দৌরাত্ম্য ও সিন্ডিকেট বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সেবা গ্রহণ করবে। রে মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার রেজাল্ট, অ্যাডমিট কার্ড উত্তোলন, বেতন পরিশোধ করা যাবে। এভাবে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিকাংশ কাজ পেপারলেস করা হবে।
‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (যেমন—মডেল/ব্ল্যাকবোর্ড/গুগল ক্লাসরুম) পরিধি বৃদ্ধি করব। এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা স্টুডেন্টদের ডিরেকশন দিতে পারবেন, শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের থেকে কোর্স-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা থেকে শুরু করে রেফারেন্স বই-আর্টিকেল অনুসন্ধান, অ্যাসাইনমেন্ট জমা ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। কোর্স-সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে পারবে। আধুনিক ক্লাসরুম ও পাঠদানের জন্য ক্লাসে ডিজিটাল উপকরণ নিশ্চিত করা হবে। ল্যাব ফ্যাসিলিটির আধুনিকায়ন করা হবে। আবাসিক হলের ল্যাবগুলোকে সচল রাখব। সেমিস্টার-পরবর্তী শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীরাও যেন শিক্ষকদের পাঠদানের মানের মূল্যায়ন করতে পারে।
‘১০তলা বিশিষ্ট একটা স্বতন্ত্র স্টাডি স্পেস নির্মাণ করা হবে, যেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে চাকরির প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা করা যাবে, যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতে শিক্ষকদের নিয়োগদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে দলীয় ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। শিক্ষকদের ডেমো ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিশ্বের যেকোনো আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে ভর্তি হতে পারে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি করা হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে MOU-এর মাধ্যমে যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রাম, এক্সচেক প্রোগ্রাম ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
‘ডিপার্টমেন্টের ও রিসার্চ সেন্টারের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের রিসার্চের আউটপুট রেগুলার প্রকাশ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করানো এবং আন্তর্জাতিক সেমিনারে শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র প্রকাশে কাজ করব। অনুষদভিত্তিক সম্পূর্ণ পূর্ণকালীন পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কোলাবোরেশন বৃদ্ধিতে কাজ করব। ই-বুক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে সুলভ একসেস নিশ্চিত করব।
‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা ও হলের সম্মুখভাগ আলো ও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফ্যাসিবাদী আমলে দলীয় রাজনীতির প্রভাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কথিত ম্যানার শেখানোর নামে গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে নির্যাতন ও ট্রমার শিকার হতে হয়েছে, সেসব ট্রমা হিলিংয়ের জন্য প্রতিটি গেস্টরুমের নাম পরিবর্তন করে এফএনএফ সেন্টার ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি নামকরণ করা হবে। গেস্টরুম বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রেফারেন্স ওয়ার্ড থাকবে না। এ ছাড়া রাষ্ট্র কর্তৃক বেদখল হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ একর জমি আইনি প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’
স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারে ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান সিট, স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত, মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, ট্রমা সেন্টার চালু এবং সব শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ নিশ্চিত করার কথাও জানান ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
দ্বিতীয় ভাগের প্রস্তাবনা পাঠ করেন জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাবসহ পোশাক ও আঞ্চলিক কেন্দ্রিক মোরাল পলিসিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, জাতিসত্তা ও মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অপরায়ন ও বৈষম্য বন্ধ করা হবে। স্টারলিংকের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং সব একাডেমিক বিল্ডিং ও হলকে এডুরোমের মাধ্যমে ফ্রি ও ফাস্ট ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসব।’
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথাও জানান তিনি।
কালচারাল ও স্পোর্টস এবং নারী—এই শেষ দুটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এজিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘মিউজিয়াম এবং কালচারাল সেন্টার তৈরি করা হবে। ১৮টি হলের টিভি রুমকে আধুনিক করে একটা সেন্ট্রাল সিনেপ্লেক্সে করা হবে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও টিএসসিভিত্তিক ক্লাবগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না।
‘নারী হলগুলোতে স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধি, টিএসসি, সেন্ট্রাল মসজিদসহ অন্যান্য জায়গায় মেয়েদের নামাজের স্থান প্রসারিত করা, অনাবাসিক মেয়েদের আবাসিক হলে প্রবেশাধিকার দেওয়া, নারীদের সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা করতে বিশেষ সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করাসহ আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য লিগ্যাল সাপোর্ট সার্ভিস চালু করা হবে।’

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিশ্চিত, জাতীয় রাজনীতির মহড়া ও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানোসহ আটটি প্রস্তাবনায় বেশ কয়েকটি দফা দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আশরেফা খাতুন এই ইশতেহার পড়ে শোনান।
প্রারম্ভিক বক্তব্য ও ইশতেহারের প্রথম অংশ পাঠ করেন ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক অঙ্গনে দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো বন্ধ করা হবে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও জুলুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ’৪৭-এর পাকিস্তান আন্দোলন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ভূমিকার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে অক্ষুণ্ন রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্য ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদবিরোধী ধারা বজায় রাখা হবে।’
দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আব্দুল কাদের বলেন, ‘৭৩-এর অধ্যাদেশের স্বায়ত্তশাসনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কার করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র অবসানের লক্ষ্যে ভিসি, প্রোভিসি, প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগের স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। ওয়ান স্টপ সলিউশন নামে একটি অ্যাপস বানানো হবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের দৌরাত্ম্য ও সিন্ডিকেট বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সেবা গ্রহণ করবে। রে মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার রেজাল্ট, অ্যাডমিট কার্ড উত্তোলন, বেতন পরিশোধ করা যাবে। এভাবে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিকাংশ কাজ পেপারলেস করা হবে।
‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (যেমন—মডেল/ব্ল্যাকবোর্ড/গুগল ক্লাসরুম) পরিধি বৃদ্ধি করব। এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা স্টুডেন্টদের ডিরেকশন দিতে পারবেন, শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের থেকে কোর্স-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা থেকে শুরু করে রেফারেন্স বই-আর্টিকেল অনুসন্ধান, অ্যাসাইনমেন্ট জমা ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। কোর্স-সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে পারবে। আধুনিক ক্লাসরুম ও পাঠদানের জন্য ক্লাসে ডিজিটাল উপকরণ নিশ্চিত করা হবে। ল্যাব ফ্যাসিলিটির আধুনিকায়ন করা হবে। আবাসিক হলের ল্যাবগুলোকে সচল রাখব। সেমিস্টার-পরবর্তী শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীরাও যেন শিক্ষকদের পাঠদানের মানের মূল্যায়ন করতে পারে।
‘১০তলা বিশিষ্ট একটা স্বতন্ত্র স্টাডি স্পেস নির্মাণ করা হবে, যেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে চাকরির প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা করা যাবে, যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতে শিক্ষকদের নিয়োগদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে দলীয় ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। শিক্ষকদের ডেমো ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিশ্বের যেকোনো আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে ভর্তি হতে পারে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি করা হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে MOU-এর মাধ্যমে যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রাম, এক্সচেক প্রোগ্রাম ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
‘ডিপার্টমেন্টের ও রিসার্চ সেন্টারের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের রিসার্চের আউটপুট রেগুলার প্রকাশ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করানো এবং আন্তর্জাতিক সেমিনারে শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র প্রকাশে কাজ করব। অনুষদভিত্তিক সম্পূর্ণ পূর্ণকালীন পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কোলাবোরেশন বৃদ্ধিতে কাজ করব। ই-বুক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে সুলভ একসেস নিশ্চিত করব।
‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা ও হলের সম্মুখভাগ আলো ও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফ্যাসিবাদী আমলে দলীয় রাজনীতির প্রভাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কথিত ম্যানার শেখানোর নামে গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে নির্যাতন ও ট্রমার শিকার হতে হয়েছে, সেসব ট্রমা হিলিংয়ের জন্য প্রতিটি গেস্টরুমের নাম পরিবর্তন করে এফএনএফ সেন্টার ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি নামকরণ করা হবে। গেস্টরুম বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রেফারেন্স ওয়ার্ড থাকবে না। এ ছাড়া রাষ্ট্র কর্তৃক বেদখল হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ একর জমি আইনি প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’
স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারে ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান সিট, স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত, মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, ট্রমা সেন্টার চালু এবং সব শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ নিশ্চিত করার কথাও জানান ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
দ্বিতীয় ভাগের প্রস্তাবনা পাঠ করেন জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাবসহ পোশাক ও আঞ্চলিক কেন্দ্রিক মোরাল পলিসিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, জাতিসত্তা ও মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অপরায়ন ও বৈষম্য বন্ধ করা হবে। স্টারলিংকের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং সব একাডেমিক বিল্ডিং ও হলকে এডুরোমের মাধ্যমে ফ্রি ও ফাস্ট ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসব।’
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথাও জানান তিনি।
কালচারাল ও স্পোর্টস এবং নারী—এই শেষ দুটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এজিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘মিউজিয়াম এবং কালচারাল সেন্টার তৈরি করা হবে। ১৮টি হলের টিভি রুমকে আধুনিক করে একটা সেন্ট্রাল সিনেপ্লেক্সে করা হবে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও টিএসসিভিত্তিক ক্লাবগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না।
‘নারী হলগুলোতে স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধি, টিএসসি, সেন্ট্রাল মসজিদসহ অন্যান্য জায়গায় মেয়েদের নামাজের স্থান প্রসারিত করা, অনাবাসিক মেয়েদের আবাসিক হলে প্রবেশাধিকার দেওয়া, নারীদের সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা করতে বিশেষ সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করাসহ আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য লিগ্যাল সাপোর্ট সার্ভিস চালু করা হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিশ্চিত, জাতীয় রাজনীতির মহড়া ও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানোসহ আটটি প্রস্তাবনায় বেশ কয়েকটি দফা দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আশরেফা খাতুন এই ইশতেহার পড়ে শোনান।
প্রারম্ভিক বক্তব্য ও ইশতেহারের প্রথম অংশ পাঠ করেন ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক অঙ্গনে দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো বন্ধ করা হবে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও জুলুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ’৪৭-এর পাকিস্তান আন্দোলন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ভূমিকার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে অক্ষুণ্ন রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্য ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদবিরোধী ধারা বজায় রাখা হবে।’
দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আব্দুল কাদের বলেন, ‘৭৩-এর অধ্যাদেশের স্বায়ত্তশাসনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কার করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র অবসানের লক্ষ্যে ভিসি, প্রোভিসি, প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগের স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। ওয়ান স্টপ সলিউশন নামে একটি অ্যাপস বানানো হবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের দৌরাত্ম্য ও সিন্ডিকেট বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সেবা গ্রহণ করবে। রে মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার রেজাল্ট, অ্যাডমিট কার্ড উত্তোলন, বেতন পরিশোধ করা যাবে। এভাবে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিকাংশ কাজ পেপারলেস করা হবে।
‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (যেমন—মডেল/ব্ল্যাকবোর্ড/গুগল ক্লাসরুম) পরিধি বৃদ্ধি করব। এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা স্টুডেন্টদের ডিরেকশন দিতে পারবেন, শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের থেকে কোর্স-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা থেকে শুরু করে রেফারেন্স বই-আর্টিকেল অনুসন্ধান, অ্যাসাইনমেন্ট জমা ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। কোর্স-সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে পারবে। আধুনিক ক্লাসরুম ও পাঠদানের জন্য ক্লাসে ডিজিটাল উপকরণ নিশ্চিত করা হবে। ল্যাব ফ্যাসিলিটির আধুনিকায়ন করা হবে। আবাসিক হলের ল্যাবগুলোকে সচল রাখব। সেমিস্টার-পরবর্তী শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীরাও যেন শিক্ষকদের পাঠদানের মানের মূল্যায়ন করতে পারে।
‘১০তলা বিশিষ্ট একটা স্বতন্ত্র স্টাডি স্পেস নির্মাণ করা হবে, যেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে চাকরির প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা করা যাবে, যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতে শিক্ষকদের নিয়োগদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে দলীয় ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। শিক্ষকদের ডেমো ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিশ্বের যেকোনো আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে ভর্তি হতে পারে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি করা হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে MOU-এর মাধ্যমে যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রাম, এক্সচেক প্রোগ্রাম ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
‘ডিপার্টমেন্টের ও রিসার্চ সেন্টারের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের রিসার্চের আউটপুট রেগুলার প্রকাশ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করানো এবং আন্তর্জাতিক সেমিনারে শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র প্রকাশে কাজ করব। অনুষদভিত্তিক সম্পূর্ণ পূর্ণকালীন পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কোলাবোরেশন বৃদ্ধিতে কাজ করব। ই-বুক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে সুলভ একসেস নিশ্চিত করব।
‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা ও হলের সম্মুখভাগ আলো ও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফ্যাসিবাদী আমলে দলীয় রাজনীতির প্রভাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কথিত ম্যানার শেখানোর নামে গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে নির্যাতন ও ট্রমার শিকার হতে হয়েছে, সেসব ট্রমা হিলিংয়ের জন্য প্রতিটি গেস্টরুমের নাম পরিবর্তন করে এফএনএফ সেন্টার ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি নামকরণ করা হবে। গেস্টরুম বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রেফারেন্স ওয়ার্ড থাকবে না। এ ছাড়া রাষ্ট্র কর্তৃক বেদখল হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ একর জমি আইনি প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’
স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারে ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান সিট, স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত, মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, ট্রমা সেন্টার চালু এবং সব শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ নিশ্চিত করার কথাও জানান ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
দ্বিতীয় ভাগের প্রস্তাবনা পাঠ করেন জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাবসহ পোশাক ও আঞ্চলিক কেন্দ্রিক মোরাল পলিসিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, জাতিসত্তা ও মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অপরায়ন ও বৈষম্য বন্ধ করা হবে। স্টারলিংকের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং সব একাডেমিক বিল্ডিং ও হলকে এডুরোমের মাধ্যমে ফ্রি ও ফাস্ট ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসব।’
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথাও জানান তিনি।
কালচারাল ও স্পোর্টস এবং নারী—এই শেষ দুটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এজিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘মিউজিয়াম এবং কালচারাল সেন্টার তৈরি করা হবে। ১৮টি হলের টিভি রুমকে আধুনিক করে একটা সেন্ট্রাল সিনেপ্লেক্সে করা হবে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও টিএসসিভিত্তিক ক্লাবগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না।
‘নারী হলগুলোতে স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধি, টিএসসি, সেন্ট্রাল মসজিদসহ অন্যান্য জায়গায় মেয়েদের নামাজের স্থান প্রসারিত করা, অনাবাসিক মেয়েদের আবাসিক হলে প্রবেশাধিকার দেওয়া, নারীদের সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা করতে বিশেষ সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করাসহ আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য লিগ্যাল সাপোর্ট সার্ভিস চালু করা হবে।’

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিশ্চিত, জাতীয় রাজনীতির মহড়া ও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানোসহ আটটি প্রস্তাবনায় বেশ কয়েকটি দফা দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আশরেফা খাতুন এই ইশতেহার পড়ে শোনান।
প্রারম্ভিক বক্তব্য ও ইশতেহারের প্রথম অংশ পাঠ করেন ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক অঙ্গনে দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো বন্ধ করা হবে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও জুলুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ’৪৭-এর পাকিস্তান আন্দোলন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ভূমিকার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে অক্ষুণ্ন রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্য ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদবিরোধী ধারা বজায় রাখা হবে।’
দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আব্দুল কাদের বলেন, ‘৭৩-এর অধ্যাদেশের স্বায়ত্তশাসনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কার করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র অবসানের লক্ষ্যে ভিসি, প্রোভিসি, প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগের স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। ওয়ান স্টপ সলিউশন নামে একটি অ্যাপস বানানো হবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের দৌরাত্ম্য ও সিন্ডিকেট বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সেবা গ্রহণ করবে। রে মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার রেজাল্ট, অ্যাডমিট কার্ড উত্তোলন, বেতন পরিশোধ করা যাবে। এভাবে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিকাংশ কাজ পেপারলেস করা হবে।
‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (যেমন—মডেল/ব্ল্যাকবোর্ড/গুগল ক্লাসরুম) পরিধি বৃদ্ধি করব। এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা স্টুডেন্টদের ডিরেকশন দিতে পারবেন, শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের থেকে কোর্স-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা থেকে শুরু করে রেফারেন্স বই-আর্টিকেল অনুসন্ধান, অ্যাসাইনমেন্ট জমা ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। কোর্স-সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে পারবে। আধুনিক ক্লাসরুম ও পাঠদানের জন্য ক্লাসে ডিজিটাল উপকরণ নিশ্চিত করা হবে। ল্যাব ফ্যাসিলিটির আধুনিকায়ন করা হবে। আবাসিক হলের ল্যাবগুলোকে সচল রাখব। সেমিস্টার-পরবর্তী শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীরাও যেন শিক্ষকদের পাঠদানের মানের মূল্যায়ন করতে পারে।
‘১০তলা বিশিষ্ট একটা স্বতন্ত্র স্টাডি স্পেস নির্মাণ করা হবে, যেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে চাকরির প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা করা যাবে, যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতে শিক্ষকদের নিয়োগদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে দলীয় ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। শিক্ষকদের ডেমো ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিশ্বের যেকোনো আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে ভর্তি হতে পারে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি করা হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে MOU-এর মাধ্যমে যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রাম, এক্সচেক প্রোগ্রাম ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
‘ডিপার্টমেন্টের ও রিসার্চ সেন্টারের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের রিসার্চের আউটপুট রেগুলার প্রকাশ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করানো এবং আন্তর্জাতিক সেমিনারে শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র প্রকাশে কাজ করব। অনুষদভিত্তিক সম্পূর্ণ পূর্ণকালীন পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কোলাবোরেশন বৃদ্ধিতে কাজ করব। ই-বুক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে সুলভ একসেস নিশ্চিত করব।
‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা ও হলের সম্মুখভাগ আলো ও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফ্যাসিবাদী আমলে দলীয় রাজনীতির প্রভাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কথিত ম্যানার শেখানোর নামে গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে নির্যাতন ও ট্রমার শিকার হতে হয়েছে, সেসব ট্রমা হিলিংয়ের জন্য প্রতিটি গেস্টরুমের নাম পরিবর্তন করে এফএনএফ সেন্টার ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি নামকরণ করা হবে। গেস্টরুম বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রেফারেন্স ওয়ার্ড থাকবে না। এ ছাড়া রাষ্ট্র কর্তৃক বেদখল হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ একর জমি আইনি প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’
স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারে ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান সিট, স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত, মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, ট্রমা সেন্টার চালু এবং সব শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ নিশ্চিত করার কথাও জানান ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
দ্বিতীয় ভাগের প্রস্তাবনা পাঠ করেন জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাবসহ পোশাক ও আঞ্চলিক কেন্দ্রিক মোরাল পলিসিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, জাতিসত্তা ও মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অপরায়ন ও বৈষম্য বন্ধ করা হবে। স্টারলিংকের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং সব একাডেমিক বিল্ডিং ও হলকে এডুরোমের মাধ্যমে ফ্রি ও ফাস্ট ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসব।’
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথাও জানান তিনি।
কালচারাল ও স্পোর্টস এবং নারী—এই শেষ দুটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এজিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন।
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, ‘মিউজিয়াম এবং কালচারাল সেন্টার তৈরি করা হবে। ১৮টি হলের টিভি রুমকে আধুনিক করে একটা সেন্ট্রাল সিনেপ্লেক্সে করা হবে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও টিএসসিভিত্তিক ক্লাবগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না।
‘নারী হলগুলোতে স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধি, টিএসসি, সেন্ট্রাল মসজিদসহ অন্যান্য জায়গায় মেয়েদের নামাজের স্থান প্রসারিত করা, অনাবাসিক মেয়েদের আবাসিক হলে প্রবেশাধিকার দেওয়া, নারীদের সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা করতে বিশেষ সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করাসহ আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য লিগ্যাল সাপোর্ট সার্ভিস চালু করা হবে।’

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক
৩০ আগস্ট ২০২৫
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক
৩০ আগস্ট ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক
৩০ আগস্ট ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

ইশতেহারের প্রথমাংশে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় রাজনীতির মহড়া, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জীবন, কর্ম, জ্ঞান, দক্ষতা ও সেবাভিত্তিক নাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হবে। হল ও একাডেমিক
৩০ আগস্ট ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে