Ajker Patrika

গুজব-অভিযোগের মধ্যে ভোট উৎসব

  • বড় ধরনের অনিয়ম বা সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি
  • আজ সকাল ১০টা নাগাদ ফল ঘোষণা হতে পারে
দীন ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রিমন রহমান    
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা। গতকাল ডিনস কমপ্লেক্স ভোটকেন্দ্রে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা। গতকাল ডিনস কমপ্লেক্স ভোটকেন্দ্রে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব, প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গণনা শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফল ঘোষণায় লাগতে পারে অন্তত ১৭ ঘণ্টা।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিয়েছেন। তবে ভোটকেন্দ্রে মেয়েদের উপস্থিতি ছেলেদের চেয়ে কিছুটা কম। ছেলেদের ১১টি হলের ভোট পড়ার গড় হার ৬৯ থেকে ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত। তবে মেয়েদের ছয়টি হলের ভোট পড়ার হার ৭০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারেনি। সব মিলিয়ে ভোট পড়ার গড় হার দাঁড়িয়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২৮ হাজার ৯০৯ জন। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৮৭ জন ভোট দিয়েছেন।

সরেজমিনে যা দেখা গেল

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। সকালে ভোট শুরুর পর বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রই ফাঁকা দেখা যায়। শুধু ডিনস কমপ্লেক্স ও শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে ভোটারদের একটু লাইন দেখা যায়। জুবেরী ভবনের ভোটার ছিলেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির ও ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তাই এ দুই কেন্দ্রে তাঁদের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়। বেলা সাড়ে ১১টার পর কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। অনেক কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থীরা এক ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। ভোটারদের লাইন থাকায় একটি কেন্দ্রে বিকেল ৪টার পরও ভোট গ্রহণ চলে।

বেলা ২টার দিকে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের ভোটকেন্দ্রের সামনে শুরু হয় হট্টগোল। ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন এখানে এসে অভিযোগ করেন, এখানে তাঁরা আগাম স্বাক্ষর দেওয়া ১০০টি ব্যালট দেখেছেন। তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রের শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত স্কাউটের এক সদস্য ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের জন্য ভোট চাচ্ছেন। এই কেন্দ্রে লাইনে থাকা ভোটারদের অভিযোগ, এক ঘণ্টা ধরে এখানে ধীরগতিতে ভোট হচ্ছিল। দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করলে কেন্দ্রটিতে ফের স্বাভাবিকভাবে ভোট শুরু হয়।

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, হবিবুর রহমান হল সংসদের ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী আশিক শিকদার ও স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শওকত হোসেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী রায়হান আলী ভোট দিতে এসে এক ঘণ্টা ধরে কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করে নিজের প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বললেন, তিনি বিষয়টি খেয়াল করেননি।

এই নির্বাচনে জাল ভোট ঠেকাতে ছবিসহ ভোটার তালিকার পাশাপাশি আঙুলে অমোচনীয় কালি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তবে এই কালি অমোচনীয় ছিল না। একটু পরেই কালি উঠে যাচ্ছিল।

ভোট দিয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা

ভোটারের লাইনে কথা হয় ফারসি ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি তাপসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কয়েক দিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসব উৎসব মনে হয়েছে। আমরা এমন কাউকেই প্রতিনিধি হিসেবে চাই, যারা শুধু শিক্ষার্থীদের হয়েই কাজ করবে। আর নির্বাচন যেন প্রতিবছর হয়, সেই আশা থাকবে।’

সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবু হেনা শাকিল বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি কয়েক মাস হয়েছে। আসার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী আমেজ। আমি এইবারই প্রথম কোনো নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনটা রাকসু দিয়ে শুরু হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।’

সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাসনিম আলম শোভা বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ যথেষ্ট সন্তোষজনক। ভোটদানের সময় ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ায় ভোট জালিয়াতির কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচিত হোক, যারা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে, এটাই প্রত্যাশা।’

নিষিদ্ধ স্থানে বিএনপি-জামায়াত

এই ভোট উপলক্ষে তিন দিন ক্যাম্পাসের চারপাশে ২০০ গজের ভেতর সকল প্রকার সভা-সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে বিনোদপুর ফটকের পূর্বপাশে ক্যাম্পাসের দেয়াল ঘেঁষেই সড়কের ওপর শামিয়ানা টানিয়ে দিনভর অবস্থান করেছেন বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের থেকে একটু পশ্চিমে রাস্তার বিপরীত পাশে শামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বাইরের নেতা-কর্মীরা। এ দুটি স্থানই পুলিশের ঘোষণা অনুযায়ী জমায়েতের জন্য ‘নিষিদ্ধ স্থান’।

এ ছাড়া সরেজমিনে অক্ট্রয় মোড়, কাজলা ফটক, রাবির প্রধান ফটক, চারুকলার পেছনে বুধপাড়া ফটক, স্টেশন বাজার ও রুয়েটসংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচে দুই দলের নেতা-কর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে। তবে এসব স্থানে বিএনপির চেয়ে জামায়াত-শিবিরের লোকজনই ছিল বেশি। দুপুরে প্যাকেটে করে আসা খাবার তাঁদের খেতে দেখা যায় এসব স্থানে বসেই।

দুপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, ক্যাম্পাসের ২০০ গজের ভেতর সমাবেশ-জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এসব জমায়েতের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন ছিলেন।

ফেসবুকে অস্ত্র-বোমার গুজব

রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ভোট গ্রহণ চলাকালে তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের বিপরীতে প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে অস্ত্র বিলি করছে জামায়াত-শিবিরের লোকজন।’ ভিডিওতে বনের ভেতর কিছু লোকের অবস্থান করতে দেখা যায়। তবে তাঁরা কী করছেন তা স্পষ্ট নয়।

পরে পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ‘এটির খুব নিকটেই পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি সদস্যদের অবস্থান। এ রকম একটি প্রকাশ্য স্থানে পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়াকর্মীদের নাকের ডগায় অস্ত্র বিতরণ করা সম্ভব নয়। কোনো একটি মহল উৎসুক লোকজনের আড্ডা দেওয়া ও খাওয়ার বিষয়টি দূর থেকে ধারণ করে অস্ত্র বিতরণের নামে গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’

এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে ছাত্রদল নেতা রাহীর ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটও দেয় পুলিশ। আবার ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যে ক্যাম্পাসে বোমাবাজি চলছে। এটির ব্যাপারে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ বলে ‘ভিডিওটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পরবর্তীতে ভিডিওটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ফ্যাক্টচেক করে দেখা যায়, দৃশ্যটি সম্পূর্ণরূপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি।’

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সকালে ভোট দেওয়ার পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রশিবিরের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তবে দুপুর গড়াতেই তাঁদের মুখে আসে নানা অভিযোগ। প্যানেলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আটটি অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা অভিযোগ করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বোমাবাজির গুজব ছড়াচ্ছে ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতা আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।

এ ছাড়া অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া, চিরকুট নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া, অন্য প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে প্রচারণা চালানো, খালেদা জিয়া ও হবিবুর রহমান হলের পাশে ছাত্রদল বুথ নির্মাণ, বহিরাগত প্রবেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়াকড়ি শিথিল, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আগের রাতে ক্যাম্পাসে দেয়াললিখনের মতো অভিযোগ তোলা হয়।

প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘এই নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে কি না সেটি ফলাফলের পর বলা যাবে।’

সকালে ভোট দেওয়ার পর ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির অভিযোগ করেন, তাঁদের পোলিং এজেন্টদের ছবিসহ ভোটার তালিকা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। শিবিরের প্যানেলের সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের প্যানেল।

সংবাদ সম্মেলনে আবির বলেন, ‘শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনে প্রায় এক ঘণ্টা ভোট কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে ভেতরে গিয়ে আমরা ১০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর করা অবস্থায় দেখতে পাই।’ এটি ছাত্রশিবিরের ভোট কারচুপির চেষ্টা বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বামধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ফুয়াদ রাতুলও নানা অভিযোগ তুলেছেন। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ঘাটতি দেখতে পেয়েছি। কিছু প্যানেল সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের শর্তকে লঙ্ঘন করে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছে। উপহার বিলি, ভূরিভোজ আয়োজন, শিক্ষার্থীদের প্রাইভেসি লঙ্ঘনের মতো ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশাসনের উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি।’

তবে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে ভোটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কোনো অসংগতি পাইনি। ভোট গ্রহণ অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোটার বেশি হওয়ার কারণে অব্যবস্থাপনা লক্ষ করা গেছে।’ প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো প্রার্থী অভিযোগ করেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা কিছু অভিযোগ দেখেছি।’

ফল হতে পারে আজ দুপুরে

বিকেলে ভোট গ্রহণের পর ব্যালট বাক্সগুলো কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নেওয়া হয়। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত গণনার কাজই শুরু হয়নি। আগের দিন নির্বাচন কমিশন বলেছিল, ভোট গ্রহণের পর বিকের ৫টার মধ্যে তারা গণনা শুরু করবে। এতে ‘নির্ভুল’ ফল দিতে তাদের সময় লাগবে অন্তত ১৭ ঘণ্টা। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফল আসার কথা ছিল। কিন্তু গণনা শুরু হতে বিলম্বের কারণে এর প্রভাব পড়তে পারে ফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও। হলগুলোর ফল ঘোষণা কিছুটা আগে হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কেন্দ্রীয় সংসদের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করতে শুক্রবার দুপুরও গড়াতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, ভোট গণনা হবে ছয়টি অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) মেশিনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জায়গায় এলইডি স্ক্রিনে ফল গণনা সরাসরি দেখানো হবে। ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে। তবে ফলাফল কখন ঘোষণা হতে পারে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।

এবারের রাকসু ভোটে ১১টি প্যানেল অংশ নেয়। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়েছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৪৭ জন। সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদে ৫৮ জন এবং হল সংসদের ১৫টি পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী লড়াই করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই সংখ্যা রাকসু নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বাধিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত