Ajker Patrika

অবশেষে প্যানেল দিল ছাত্রদল ও বাগছাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৭ পদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৭ পদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গতকাল বুধবার প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। এ ছাড়া বাম তিন সংগঠনের ‘অপরাজেয় ৭১ ও অদম্য ২৪’ ও ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন’—এই দুই প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল।

গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা করেন। এই প্যানেলে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবিদুল ইসলাম খানকে সহসভাপতি (ভিপি), কবি জসীমউদ্‌দীন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিমকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।

প্যানেল ঘোষণার পর ছাত্রদলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে ঢাবির সিনেট ভবনে যান। সেখানে যাওয়ার আগে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তাঁরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আনাসের কবর জিয়ারত করবেন। এর মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে।

তন্বীকে সমর্থন

ডাকসুতে ২৮টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ঢাবির শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদটি শূন্য রেখে তাঁকে সমর্থন দিয়েছে ছাত্রদল। তন্বী এই পদে ডাকসুতে নির্বাচন করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বাগছাসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, এই পদে তাঁদের কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন না।

বাগছাসের প্যানেলে যাঁরা

গতকাল বিকেলে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের’ প্যানেল ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্যানেলের প্রার্থীদের নামগুলো পড়ে শোনান। এই প্যানেল থেকে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. আবু বাকের মজুমদার ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁরা তিনজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।

আরও লড়ছেন যাঁরা

এ ছাড়া বামপন্থী তিন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করা হয় গতকাল। দুপুরে ঢাবির মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই প্যানেল ঘোষণা দেওয়া হয়। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার ১৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেন। ‘অপরাজেয় ৭১ ও অদম্য ২৪’ নামে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়। প্যানেলে প্রধান প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে নাঈম হাসান হৃদয়, জিএস পদে এনামুল হাসান অনয় এবং এজিএস পদে অদিতি ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

শঙ্কায় প্রার্থীরা

ডাকসুর ২৮ পদে ৫০৯টি ও হল সংসদে ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। গতকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশনারের সদস্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।

ডাকসুতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৫০৯ জন প্রার্থীর মধ্য অনেকে ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে সদ্য সাবেক এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও ডিইউ ফার্স্ট থেকে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার বলেন, একটি ছাত্রসংগঠনের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহের সময়সীমা বর্ধিত করেছে। এখানেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বড় দল হিসেবে তাদের যদি এমন সুবিধা দেয়, তাহলে নির্বাচনের মাঠে সুবিধা দেবে না, এমন কি গ্যারান্টি আছে?

ছাত্র অধিকার প্যানেলের ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষপাতের আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে, বিশেষ করে একটি দলের প্রতি। ডাকসু নির্বাচন ঠেকাতে কখনো কখনো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ক্যাম্পাসে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা শঙ্কা থেকে যায়।

‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের’ ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ছাত্রদলের জিএস পাঁচের অধিক লোক নিয়ে মনোয়ন সংগ্রহে স্লোগান দিয়েছেন, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এটার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পক্ষপাত করেছে তারা। এ থেকে প্রশ্ন থেকে যায়, সামনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না।

তবে ছাত্রদল থেকে মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, সেটার বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানে তারা কোনো অসংগতি দেখতে পায়নি। সুতরাং, যেটা বলা হচ্ছে, সেটা অপপ্রচার ও গুজব।

এদিকে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, আপাতত ডাকসু নির্বাচনের যথেষ্ট পরিবেশ-পরিস্থিতি আছে। ক্যাম্পাসে যে রাজনৈতিক পরিবেশ আপাতত সহাবস্থানে আছে, তা যেকোনো মুহূর্তে অস্থিতিশীল হতে পারে।

তবে ডাকসু নির্বাচন কমিশনাররা শঙ্কা দেখছেন না। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা তো কোনো শঙ্কা দেখছি না। কেউই আমাদের কাছে অভিযোগও দেয়নি। সুষ্টু নির্বাচনের দিকেই আমরা হাঁটছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ৩০ জানুয়ারি

শিক্ষা ডেস্ক
বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ৩০ জানুয়ারি

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) ‍বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।

যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে চাইলে

মো. আশিকুর রহমান
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ৪১
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে চাইলে

‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান

মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে

এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।

২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।

একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।

ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।

কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা

পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা

বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফোনেটিকস

ইংরেজি ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব-৬)

মমতাজ জাহান মম
ইংরেজি ব্যঞ্জনবর্ণ (পর্ব-৬)

স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।

ব্যঞ্জনবর্ণ কী?

যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।

উদাহরণ

‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।

‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।

‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।

ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা

প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।

ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক

১. উচ্চারণের ধরন

Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)

Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh

Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng

Lateral l

Approximant— r, w, y

২. উচ্চারণের স্থান

Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m

Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)

Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l

Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng

মজার তুলনা

ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার

জিভ = পিয়ানো।

প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।

ছোট্ট অনুশীলন

একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।

তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।

আগামী পর্বে (পর্ব-৭)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিক্ষা উপদেষ্টার দেখা না পেয়ে পদত্যাগ দাবি করলেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকদের পদযাত্রা আজ বুধবার কদম ফোয়ারা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে আটকে দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকদের পদযাত্রা আজ বুধবার কদম ফোয়ারা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে আটকে দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।

আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।

জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’

মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত