জীবন কুমার সরকার

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়; এর জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি, সঠিক তথ্য ও যথাযথ দিকনির্দেশনা।
এই লক্ষ্য সামনে রেখে সম্প্রতি ‘ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপ’ শিরোনামে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেন পাঠকবন্ধুর আন্তর্জাতিক শাখার সদস্যরা।
১০ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ছয় শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন, মিসরে অধ্যয়নরত ৬ শিক্ষার্থী।
সনদ প্রদান ও পরামর্শ সভা
কর্মশালা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি বনশ্রীতে আজকের পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন তিনি।
কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘দেশে হোক বা বিদেশে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে আমরা কাজ করতে চাই, সে কাজটিই করবে পাঠকবন্ধু।’
কর্মশালার মূল বিষয়
এই কর্মশালায় বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ, ভাষাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার গঠনের কৌশল। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞদের কাছ থেকে বাস্তবধর্মী প্রস্তুতির ধারণাও লাভ করেন।
ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কর্মশালায় অংশ নেওয়া নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে ব্যাংক সলভেন্সি, এসওপি লেখা, রিকমেন্ডেশন লেটার, ভিসা ইন্টারভিউ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ হয়েছে।’
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সামসুন নাহার পিংকি বলেন, ‘ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। বিদেশে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার যাত্রায় এটি খুব সহায়ক হবে।’

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোত্তাকিয়া নিশাত বলেন, ‘বিদেশে পড়ার স্বপ্ন অনেকের থাকলেও এটি বাস্তবায়ন করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই কর্মশালা সেই চ্যালেঞ্জ সহজ করতে সহায়ক হয়েছে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান এবং সহযোগিতায় ছিলেন সহসম্পাদক ইলিয়াস শান্ত।
প্রশিক্ষকদের অভিজ্ঞতা
ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষক ছিলেন চীনের ন্যানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক খায়রুল ইসলাম, আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজের শিক্ষার্থী ডিন’স স্কলার শ্রেয়া ঘোষ, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এস এম ফখরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষার্থী সাদমান পাশা, চীনের চাংশা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী জীবন কুমার সরকার এবং সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী মো. আলী ইমাম।
খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এই কর্মশালা উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।’
শ্রেয়া ঘোষ বলেন, ‘কর্মশালাটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের দিক থেকে এটি অত্যন্ত কার্যকর।’
ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদমান পাশা বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভাষা দক্ষতা, বিশেষত আইইএলটিএসের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি ও আইইএলটিএস নিয়ে ভয় পান। কর্মশালায় তাঁদের এই ভীতি দূর করার চেষ্টা করেছি।’
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালার আয়োজন করতে চাই। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি আরও সহজ এবং উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে আমরা অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। অফলাইনেও আমাদের এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।’

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়; এর জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি, সঠিক তথ্য ও যথাযথ দিকনির্দেশনা।
এই লক্ষ্য সামনে রেখে সম্প্রতি ‘ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপ’ শিরোনামে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেন পাঠকবন্ধুর আন্তর্জাতিক শাখার সদস্যরা।
১০ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ছয় শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন, মিসরে অধ্যয়নরত ৬ শিক্ষার্থী।
সনদ প্রদান ও পরামর্শ সভা
কর্মশালা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি বনশ্রীতে আজকের পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন তিনি।
কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘দেশে হোক বা বিদেশে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে আমরা কাজ করতে চাই, সে কাজটিই করবে পাঠকবন্ধু।’
কর্মশালার মূল বিষয়
এই কর্মশালায় বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ, ভাষাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার গঠনের কৌশল। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞদের কাছ থেকে বাস্তবধর্মী প্রস্তুতির ধারণাও লাভ করেন।
ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কর্মশালায় অংশ নেওয়া নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে ব্যাংক সলভেন্সি, এসওপি লেখা, রিকমেন্ডেশন লেটার, ভিসা ইন্টারভিউ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ হয়েছে।’
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সামসুন নাহার পিংকি বলেন, ‘ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। বিদেশে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার যাত্রায় এটি খুব সহায়ক হবে।’

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোত্তাকিয়া নিশাত বলেন, ‘বিদেশে পড়ার স্বপ্ন অনেকের থাকলেও এটি বাস্তবায়ন করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই কর্মশালা সেই চ্যালেঞ্জ সহজ করতে সহায়ক হয়েছে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান এবং সহযোগিতায় ছিলেন সহসম্পাদক ইলিয়াস শান্ত।
প্রশিক্ষকদের অভিজ্ঞতা
ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষক ছিলেন চীনের ন্যানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক খায়রুল ইসলাম, আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজের শিক্ষার্থী ডিন’স স্কলার শ্রেয়া ঘোষ, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এস এম ফখরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষার্থী সাদমান পাশা, চীনের চাংশা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী জীবন কুমার সরকার এবং সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী মো. আলী ইমাম।
খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এই কর্মশালা উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।’
শ্রেয়া ঘোষ বলেন, ‘কর্মশালাটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের দিক থেকে এটি অত্যন্ত কার্যকর।’
ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদমান পাশা বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভাষা দক্ষতা, বিশেষত আইইএলটিএসের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি ও আইইএলটিএস নিয়ে ভয় পান। কর্মশালায় তাঁদের এই ভীতি দূর করার চেষ্টা করেছি।’
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালার আয়োজন করতে চাই। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি আরও সহজ এবং উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে আমরা অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। অফলাইনেও আমাদের এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।’
জীবন কুমার সরকার

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়; এর জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি, সঠিক তথ্য ও যথাযথ দিকনির্দেশনা।
এই লক্ষ্য সামনে রেখে সম্প্রতি ‘ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপ’ শিরোনামে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেন পাঠকবন্ধুর আন্তর্জাতিক শাখার সদস্যরা।
১০ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ছয় শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন, মিসরে অধ্যয়নরত ৬ শিক্ষার্থী।
সনদ প্রদান ও পরামর্শ সভা
কর্মশালা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি বনশ্রীতে আজকের পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন তিনি।
কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘দেশে হোক বা বিদেশে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে আমরা কাজ করতে চাই, সে কাজটিই করবে পাঠকবন্ধু।’
কর্মশালার মূল বিষয়
এই কর্মশালায় বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ, ভাষাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার গঠনের কৌশল। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞদের কাছ থেকে বাস্তবধর্মী প্রস্তুতির ধারণাও লাভ করেন।
ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কর্মশালায় অংশ নেওয়া নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে ব্যাংক সলভেন্সি, এসওপি লেখা, রিকমেন্ডেশন লেটার, ভিসা ইন্টারভিউ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ হয়েছে।’
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সামসুন নাহার পিংকি বলেন, ‘ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। বিদেশে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার যাত্রায় এটি খুব সহায়ক হবে।’

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোত্তাকিয়া নিশাত বলেন, ‘বিদেশে পড়ার স্বপ্ন অনেকের থাকলেও এটি বাস্তবায়ন করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই কর্মশালা সেই চ্যালেঞ্জ সহজ করতে সহায়ক হয়েছে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান এবং সহযোগিতায় ছিলেন সহসম্পাদক ইলিয়াস শান্ত।
প্রশিক্ষকদের অভিজ্ঞতা
ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষক ছিলেন চীনের ন্যানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক খায়রুল ইসলাম, আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজের শিক্ষার্থী ডিন’স স্কলার শ্রেয়া ঘোষ, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এস এম ফখরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষার্থী সাদমান পাশা, চীনের চাংশা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী জীবন কুমার সরকার এবং সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী মো. আলী ইমাম।
খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এই কর্মশালা উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।’
শ্রেয়া ঘোষ বলেন, ‘কর্মশালাটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের দিক থেকে এটি অত্যন্ত কার্যকর।’
ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদমান পাশা বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভাষা দক্ষতা, বিশেষত আইইএলটিএসের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি ও আইইএলটিএস নিয়ে ভয় পান। কর্মশালায় তাঁদের এই ভীতি দূর করার চেষ্টা করেছি।’
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালার আয়োজন করতে চাই। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি আরও সহজ এবং উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে আমরা অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। অফলাইনেও আমাদের এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।’

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়; এর জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি, সঠিক তথ্য ও যথাযথ দিকনির্দেশনা।
এই লক্ষ্য সামনে রেখে সম্প্রতি ‘ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপ’ শিরোনামে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেন পাঠকবন্ধুর আন্তর্জাতিক শাখার সদস্যরা।
১০ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ছয় শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন, মিসরে অধ্যয়নরত ৬ শিক্ষার্থী।
সনদ প্রদান ও পরামর্শ সভা
কর্মশালা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি বনশ্রীতে আজকের পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন তিনি।
কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘দেশে হোক বা বিদেশে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে আমরা কাজ করতে চাই, সে কাজটিই করবে পাঠকবন্ধু।’
কর্মশালার মূল বিষয়
এই কর্মশালায় বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ, ভাষাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার গঠনের কৌশল। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞদের কাছ থেকে বাস্তবধর্মী প্রস্তুতির ধারণাও লাভ করেন।
ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কর্মশালায় অংশ নেওয়া নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে ব্যাংক সলভেন্সি, এসওপি লেখা, রিকমেন্ডেশন লেটার, ভিসা ইন্টারভিউ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ হয়েছে।’
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সামসুন নাহার পিংকি বলেন, ‘ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। বিদেশে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার যাত্রায় এটি খুব সহায়ক হবে।’

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোত্তাকিয়া নিশাত বলেন, ‘বিদেশে পড়ার স্বপ্ন অনেকের থাকলেও এটি বাস্তবায়ন করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই কর্মশালা সেই চ্যালেঞ্জ সহজ করতে সহায়ক হয়েছে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান এবং সহযোগিতায় ছিলেন সহসম্পাদক ইলিয়াস শান্ত।
প্রশিক্ষকদের অভিজ্ঞতা
ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষক ছিলেন চীনের ন্যানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক খায়রুল ইসলাম, আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজের শিক্ষার্থী ডিন’স স্কলার শ্রেয়া ঘোষ, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এস এম ফখরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষার্থী সাদমান পাশা, চীনের চাংশা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী জীবন কুমার সরকার এবং সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী মো. আলী ইমাম।
খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এই কর্মশালা উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।’
শ্রেয়া ঘোষ বলেন, ‘কর্মশালাটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের দিক থেকে এটি অত্যন্ত কার্যকর।’
ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদমান পাশা বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভাষা দক্ষতা, বিশেষত আইইএলটিএসের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি ও আইইএলটিএস নিয়ে ভয় পান। কর্মশালায় তাঁদের এই ভীতি দূর করার চেষ্টা করেছি।’
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালার আয়োজন করতে চাই। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি আরও সহজ এবং উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে আমরা অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। অফলাইনেও আমাদের এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।’

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়;
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান

‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়;
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম

স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)

স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়;
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়;
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে