মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
ফুল, পাখি, লতা, পাতা, আকাশ, মানুষ, প্রাণ, প্রকৃতি—সবই তাঁর ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ে। মাদ্রাসায় আলিম পড়ার পাশাপাশি শখের ফটোগ্রাফিতে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। পাঁচটি জাতীয় প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ প্রতিযোগিতায় পেয়েছেন পুরস্কার। এই ফটোগ্রাফারের নাম কাউসার আদনান। বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরা থানার চর ভাঙ্গুরা গ্রামে। শরৎনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এবার আলিম পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি।
২০১৯ সাল থেকে মোবাইল ফটোগ্রাফি শুরু করেন আদনান। রায়হান নামে এক বড় ভাইকে দেখে মোবাইল ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ জাগে তাঁর। আদনান মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হওয়ায় কাছের বন্ধুরা ফটোগ্রাফিতে সহায়তা দিলেও এলাকার লোকজন এবং আদনানের পরিবার বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি। সবার একটিই কথা, ‘হুজুর মানুষ, ছবি তুলবা ক্যান’।
মোবাইল ক্যামেরায় বাজিমাত
আদনানের বাড়ির সামনেই গুমানি নদী, পেছনে চলনবিল। এখানকার প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবনযাপনের ছবি ধরা দেয় তাঁর মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়। এসব ছবি তুলে বাজিমাত করেছেন আদনান। শুরুটা শাওমি রেডমি গো মডেলের ৮ মেগা পিক্সেল ক্যামেরায়। এখন তিনি ব্যবহার করেন রেডমি নোট সেভেন। টিউশনির জমানো টাকা আর বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তিনি এই মোবাইল ফোন কিনেছেন। মাদ্রাসা খোলা থাকলে ছবি তোলার তেমন সময় পান না। তবে ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আদনান। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচ হাজারের বেশি ছবি তুলেছেন।
প্রদর্শনী
আদনান এ পর্যন্ত ছয়টি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। সেগুলো হলো নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বাংলা দর্পণ সিজন-৫, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ফটোগ্রাফি ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সি দ্য আনসিন আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ফটোগ্রাফার ড্রিম বিডি আয়োজিত ‘ওয়ে টু আর্টিস্ট ড্রিম’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ফিনিক্স ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি প্ল্যানেট অ্যাওয়ার্ড।
যত পুরস্কার
এ পর্যন্ত পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছেন আদনান। হাউস অব এনইউবিডিআনস জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ২০২১-এ অষ্টম স্থান, বাংলার প্রাঙ্গণ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, হাউস অব এনইউবিডিআনস জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা-২২-এ ২৫তম স্থান, শখের ছবিঘর জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, ফিনিক্স ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি প্ল্যানেট অ্যাওয়ার্ড সেকেন্ড এডিশন গোল্ড মেডেল।
বদলে যাওয়া দিন
একসময় যাঁরা ছবি তোলা নিয়ে নানা কথা বলতেন, তাঁদের অনেকে এখন আদনানের ছবির প্রশংসা করেন। ছবি তোলার প্রবল বিরোধী বাবা আদনানের পুরস্কারগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন। আত্মীয়স্বজনের কাছে গল্প করেন।
শখ হয়েই থাকবে
ছবি তোলাকে আদনান কখনো পেশা হিসেবে নেবেন না বলে জানিয়েছেন। শখ হয়ে থাকবে তাঁর এই ছবি তোলা। ছবি তোলার পাশাপাশি আদনান স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির সঙ্গেও জড়িত।
ফুল, পাখি, লতা, পাতা, আকাশ, মানুষ, প্রাণ, প্রকৃতি—সবই তাঁর ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ে। মাদ্রাসায় আলিম পড়ার পাশাপাশি শখের ফটোগ্রাফিতে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। পাঁচটি জাতীয় প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ প্রতিযোগিতায় পেয়েছেন পুরস্কার। এই ফটোগ্রাফারের নাম কাউসার আদনান। বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরা থানার চর ভাঙ্গুরা গ্রামে। শরৎনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এবার আলিম পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি।
২০১৯ সাল থেকে মোবাইল ফটোগ্রাফি শুরু করেন আদনান। রায়হান নামে এক বড় ভাইকে দেখে মোবাইল ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ জাগে তাঁর। আদনান মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হওয়ায় কাছের বন্ধুরা ফটোগ্রাফিতে সহায়তা দিলেও এলাকার লোকজন এবং আদনানের পরিবার বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি। সবার একটিই কথা, ‘হুজুর মানুষ, ছবি তুলবা ক্যান’।
মোবাইল ক্যামেরায় বাজিমাত
আদনানের বাড়ির সামনেই গুমানি নদী, পেছনে চলনবিল। এখানকার প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবনযাপনের ছবি ধরা দেয় তাঁর মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়। এসব ছবি তুলে বাজিমাত করেছেন আদনান। শুরুটা শাওমি রেডমি গো মডেলের ৮ মেগা পিক্সেল ক্যামেরায়। এখন তিনি ব্যবহার করেন রেডমি নোট সেভেন। টিউশনির জমানো টাকা আর বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তিনি এই মোবাইল ফোন কিনেছেন। মাদ্রাসা খোলা থাকলে ছবি তোলার তেমন সময় পান না। তবে ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আদনান। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচ হাজারের বেশি ছবি তুলেছেন।
প্রদর্শনী
আদনান এ পর্যন্ত ছয়টি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। সেগুলো হলো নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বাংলা দর্পণ সিজন-৫, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ফটোগ্রাফি ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সি দ্য আনসিন আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ফটোগ্রাফার ড্রিম বিডি আয়োজিত ‘ওয়ে টু আর্টিস্ট ড্রিম’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ফিনিক্স ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি প্ল্যানেট অ্যাওয়ার্ড।
যত পুরস্কার
এ পর্যন্ত পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছেন আদনান। হাউস অব এনইউবিডিআনস জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ২০২১-এ অষ্টম স্থান, বাংলার প্রাঙ্গণ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, হাউস অব এনইউবিডিআনস জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা-২২-এ ২৫তম স্থান, শখের ছবিঘর জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, ফিনিক্স ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি প্ল্যানেট অ্যাওয়ার্ড সেকেন্ড এডিশন গোল্ড মেডেল।
বদলে যাওয়া দিন
একসময় যাঁরা ছবি তোলা নিয়ে নানা কথা বলতেন, তাঁদের অনেকে এখন আদনানের ছবির প্রশংসা করেন। ছবি তোলার প্রবল বিরোধী বাবা আদনানের পুরস্কারগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন। আত্মীয়স্বজনের কাছে গল্প করেন।
শখ হয়েই থাকবে
ছবি তোলাকে আদনান কখনো পেশা হিসেবে নেবেন না বলে জানিয়েছেন। শখ হয়ে থাকবে তাঁর এই ছবি তোলা। ছবি তোলার পাশাপাশি আদনান স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির সঙ্গেও জড়িত।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চারটি স্কুলে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস; স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউমিনিটিসের জন্য সরকারি বাংলা কলেজ এবং স্কুল অব
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে বাংলাদেশের মেধাবী কিশোরেরা। এর অনন্য এক উদাহরণ হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (আইবিও) অংশ নিয়ে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। ব্রোঞ্জজয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো—সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, মাস্টারম
১ দিন আগেবিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ (এআরসি) ২০২৫ সালে বড় সাফল্য পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। গত ২৩-২৭ জুলাই তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন দালানগুলো যেন সেদিন হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। ধুলো মাখা জানালা, খসে পড়া দেয়াল, পোড়া ইটের গায়ে তুলির আঁচড় পড়ে ছিল। অতীতের গল্প যেন ফিরে এসেছে রঙে, রেখায়, অনুভবে। বলছি ঐতিহাসিক পানাম নগরের কথা।
২ দিন আগে