সেলিনা আক্তার, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতার পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। যে ডাকসুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলের ছাত্রসংগঠনের কখনো ঠাঁই হয়নি, সেই ডাকসুই এখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রায় দখলে চলে গেল। ভিপিসহ বেশির ভাগ পদে জয় পেয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটি। অন্যদিকে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরের নির্বাচনে ডাকসুতে ছাত্রদল জয়ী হয়েছিল, বিএনপির সেই ছাত্রসংগঠনটির এবার ভরাডুবি হলো।
৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কেউই জয় পায়নি। এ ফল নিয়েই এখন চলছে আলোচনা। কেউ কেউ শিবিরের এমন ফল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেও অনেকেই এমনটা আন্দাজ করেছিলেন।
তাঁরা বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস থেকে না হলেও ক্যাম্পাসে দখলদারত্বের অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিকল্প হিসেবে শিবিরের প্রার্থীদের প্রতি অনেকে আস্থা রাখতে চেয়েছেন। নিয়মিত কৌশল ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে শিবির দৃশ্যত শিক্ষার্থীদের বড় অংশকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘ভালো বোঝাপড়া’ থাকায় তারা বড় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রদলের ভরাডুবির পেছনে দেরিতে প্যানেল ঘোষণা, প্রচারে নতুনত্বের অভাব, সমন্বয়হীনতা ও কৌশলের অভাব দেখছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল পর্যায়ে কমিটি করাকে কারণ হিসেবে দেখাতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন আদৌ হবে কি না বা কবে হবে, সেই পালস ছাত্রদল ঠিকমতো ধরতে পারেনি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের বোঝাপড়া ভালো থাকায় তারা সব তথ্য আগেভাগে জানতে পেরেছে এবং সেভাবেই তাদের পরিকল্পনা সাজানোর সুযোগ পেয়েছে। এর ফলে ডাকসু নির্বাচনে আগেই ছাত্রদল থেকে এগিয়ে ছিল শিবির।
ছাত্রদলের ভরাডুবির কারণ সম্পর্কে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর ছাত্রদল শুধু ক্রেডিট নেওয়ার রাজনীতি করেছে। বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে যে চাঁদাবাজি ও সহিংসতার অভিযোগ উঠছে, তার প্রভাব পড়েছে ডাকসু নির্বাচনে।
মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম মনে করেন, হল পর্যায়ে ছাত্রদলের সংগঠন গোছানোর তৎপরতাকে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নেয়নি। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল পর্যায়ে রাজনীতি বন্ধে জনমত তৈরি হয়েছে।
নাইম ইসলাম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর আমরা চেয়েছিলাম, হলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকুক। কিন্তু সরকার পতনের পর ছাত্রদল হল কমিটি দিয়ে আবার দখলদারত্বের রাজনীতি শুরু করে। তাদের কর্মীরা ভিন্নমতাবলম্বীদের হুমকি দেয়।’
তবে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ‘তড়িঘড়ি’ করে ডাকসু নির্বাচনের আয়োজনকে দায়ী করেছেন। আজকের পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ‘পূর্ণ প্রস্তুতি’ ছাত্রদলের ছিল না। নির্বাচনে যাওয়া নিয়েও ‘সিদ্ধান্তহীনতায়’ ছিলেন তাঁরা। তা ছাড়া ‘ছাত্রদলকে হারাতে কারসাজি’ পরাজয়ের অন্যতম কারণ।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সূত্র বলছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণায় শিবির থেকে বহুগুণে পিছিয়ে ছিল ছাত্রদল। অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর ছাত্রদলের ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস’ এবং গত এক বছরে ক্যাম্পাসে সংগঠনটির সার্বিক অবস্থান নির্বাচনে তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
ডাকসুতে শিবিরের উত্থানের কারণ
স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচনে যেখানে কখনো কোনো প্যানেল নিয়েই দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে এবার পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির। এর জন্য প্যানেলে বৈচিত্র্য রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার কৌশলকে তাদের জয়ের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা।
তাঁদের মতে, এসব কৌশলের কারণে ভোটের মাঠে আর সব সংগঠন থেকে এগিয়ে ছিল ছাত্রশিবির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে শিবিরের অ্যাপ্রোচ আমাদের কাছে ভালো লেগেছে। তারা হলগুলোতে পানির ফিল্টার বসিয়েছে, টিএসসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লিখন প্রতিযোগিতা, সায়েন্স ফেস্ট করেছে; যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ে। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর ছাত্রদলের এমন কোনো কার্যক্রমই চোখে পড়েনি।’
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী রৌদমিলা ইসলাম বলেন, ‘শিবির ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। সবার জন্য কাজ করেছে। আমরা সচরাচর দেখেছি, বিরোধীপক্ষকে দমনের চেষ্টা রাজনীতির অংশ। কিন্তু শিবির যখন প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুর খোঁজ নিতে হাসপাতালে গেল, তখন তা একধরনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করে।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহম্মেদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা প্যারাডাইম শিফট হয়েছে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন আর আমরা চাই না। শিবিরকে ইশতেহার দেখে নয়; বরং দায় না চাপানোর আচরণ দেখে অনেকে ভোট দিয়েছে।’
সামানিয়া জান্নাতি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মনে ভয় ছিল, ছাত্রদল ছাত্রলীগের মতো ক্যাম্পাসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে কি না। সেই ভয় থেকেই বিকল্প হিসেবে আমরা শিবিরকে ভোট দিয়েছি। গত এক বছরে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডও খুব সমালোচিত ছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই হার বাড়ছে। ঢাবির বেশির ভাগ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর ভোট পেয়েছে শিবির।
জয় পেতে কী করেছে শিবির
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করে শিবির। শুরুতেই তারা পরিকল্পনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় সাংগঠনিকভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিভিন্ন হলে পানির ফিল্টার বসানো, হলের গার্ড রুমে সাইকেলের পাম্পার রাখা, বিনা মূল্যে জরুরি ওষুধ সরবরাহ, কোরবানির ঈদে হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য কোরবানি ফেস্টের আয়োজন।
এর বাইরে কোচিং সেন্টার, ছাত্রদের মেস ও হলে হলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালায় শিবির। এ ছাড়া ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে অনলাইনেও প্রচার চালায় তারা।
এ ছাড়া আগের রেওয়াজ থেকে সরে এসে ডাকসুতে নিজেদের প্যানেলে নারী ও অমুসলিম শিক্ষার্থীকে প্রার্থী হিসেবে রাখায় অনেকের কাছে তাদের প্যানেলকে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। এ ছাড়া প্যানেলের নারী প্রার্থীদের মিডিয়ার সামনে আনাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন অনেকে।
ডাকসুতে শিবির প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচিত মো. মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করেছি। হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করেছি, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছি। অভ্যুত্থানের আগেও এসব কাজ করেছি। কিন্তু আগের সরকারের আমলে প্রকাশ্যে এসব করতে পারিনি। আমরা কোনো ট্যাগিংয়ের রাজনীতি করিনি। আমাদের আচার-আচরণ শিক্ষার্থীরা জানে। হয়তো এ জন্যই আমাদের বিকল্প হিসেবে দেখেছে।’
কৌশলগত পরিকল্পনাই শিবিরের বড় জয়ের মূল কারণ বলে মনে করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ঢাবিতে শিবিরের দীর্ঘদিনের গ্রাউন্ড আছে। তারা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল কাজে লাগিয়েছে। হলের সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ইস্যুতে সরাসরি অংশ নিয়েছে। কাজ করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে; যা শিক্ষার্থীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, শিবিরকে বেছে নেওয়ার পেছনে ছাত্রদের মন জয় করার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কথাবার্তায় সাবলীলতা আছে, স্বাভাবিকতা আছে, কোনো হিরোইজম নেই। তাদের যোগাযোগের দক্ষতা, ইশতেহার ও কথার সঙ্গে কাজের মিল ছাত্ররা হয়তো ভালোভাবে নিয়েছেন। আবার শিবির বারবার জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা টেনে আনতে পেরেছে। এসব বিষয়ে ছাত্রদল বা অন্য সংগঠনগুলো পিছিয়ে ছিল।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতার পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। যে ডাকসুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলের ছাত্রসংগঠনের কখনো ঠাঁই হয়নি, সেই ডাকসুই এখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রায় দখলে চলে গেল। ভিপিসহ বেশির ভাগ পদে জয় পেয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনটি। অন্যদিকে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরের নির্বাচনে ডাকসুতে ছাত্রদল জয়ী হয়েছিল, বিএনপির সেই ছাত্রসংগঠনটির এবার ভরাডুবি হলো।
৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কেউই জয় পায়নি। এ ফল নিয়েই এখন চলছে আলোচনা। কেউ কেউ শিবিরের এমন ফল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেও অনেকেই এমনটা আন্দাজ করেছিলেন।
তাঁরা বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস থেকে না হলেও ক্যাম্পাসে দখলদারত্বের অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিকল্প হিসেবে শিবিরের প্রার্থীদের প্রতি অনেকে আস্থা রাখতে চেয়েছেন। নিয়মিত কৌশল ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে শিবির দৃশ্যত শিক্ষার্থীদের বড় অংশকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘ভালো বোঝাপড়া’ থাকায় তারা বড় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রদলের ভরাডুবির পেছনে দেরিতে প্যানেল ঘোষণা, প্রচারে নতুনত্বের অভাব, সমন্বয়হীনতা ও কৌশলের অভাব দেখছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল পর্যায়ে কমিটি করাকে কারণ হিসেবে দেখাতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন আদৌ হবে কি না বা কবে হবে, সেই পালস ছাত্রদল ঠিকমতো ধরতে পারেনি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের বোঝাপড়া ভালো থাকায় তারা সব তথ্য আগেভাগে জানতে পেরেছে এবং সেভাবেই তাদের পরিকল্পনা সাজানোর সুযোগ পেয়েছে। এর ফলে ডাকসু নির্বাচনে আগেই ছাত্রদল থেকে এগিয়ে ছিল শিবির।
ছাত্রদলের ভরাডুবির কারণ সম্পর্কে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর ছাত্রদল শুধু ক্রেডিট নেওয়ার রাজনীতি করেছে। বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে যে চাঁদাবাজি ও সহিংসতার অভিযোগ উঠছে, তার প্রভাব পড়েছে ডাকসু নির্বাচনে।
মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম মনে করেন, হল পর্যায়ে ছাত্রদলের সংগঠন গোছানোর তৎপরতাকে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নেয়নি। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল পর্যায়ে রাজনীতি বন্ধে জনমত তৈরি হয়েছে।
নাইম ইসলাম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর আমরা চেয়েছিলাম, হলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকুক। কিন্তু সরকার পতনের পর ছাত্রদল হল কমিটি দিয়ে আবার দখলদারত্বের রাজনীতি শুরু করে। তাদের কর্মীরা ভিন্নমতাবলম্বীদের হুমকি দেয়।’
তবে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ‘তড়িঘড়ি’ করে ডাকসু নির্বাচনের আয়োজনকে দায়ী করেছেন। আজকের পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ‘পূর্ণ প্রস্তুতি’ ছাত্রদলের ছিল না। নির্বাচনে যাওয়া নিয়েও ‘সিদ্ধান্তহীনতায়’ ছিলেন তাঁরা। তা ছাড়া ‘ছাত্রদলকে হারাতে কারসাজি’ পরাজয়ের অন্যতম কারণ।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সূত্র বলছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণায় শিবির থেকে বহুগুণে পিছিয়ে ছিল ছাত্রদল। অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর ছাত্রদলের ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস’ এবং গত এক বছরে ক্যাম্পাসে সংগঠনটির সার্বিক অবস্থান নির্বাচনে তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
ডাকসুতে শিবিরের উত্থানের কারণ
স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচনে যেখানে কখনো কোনো প্যানেল নিয়েই দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে এবার পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির। এর জন্য প্যানেলে বৈচিত্র্য রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার কৌশলকে তাদের জয়ের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা।
তাঁদের মতে, এসব কৌশলের কারণে ভোটের মাঠে আর সব সংগঠন থেকে এগিয়ে ছিল ছাত্রশিবির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে শিবিরের অ্যাপ্রোচ আমাদের কাছে ভালো লেগেছে। তারা হলগুলোতে পানির ফিল্টার বসিয়েছে, টিএসসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লিখন প্রতিযোগিতা, সায়েন্স ফেস্ট করেছে; যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ে। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর ছাত্রদলের এমন কোনো কার্যক্রমই চোখে পড়েনি।’
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী রৌদমিলা ইসলাম বলেন, ‘শিবির ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। সবার জন্য কাজ করেছে। আমরা সচরাচর দেখেছি, বিরোধীপক্ষকে দমনের চেষ্টা রাজনীতির অংশ। কিন্তু শিবির যখন প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুর খোঁজ নিতে হাসপাতালে গেল, তখন তা একধরনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করে।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহম্মেদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা প্যারাডাইম শিফট হয়েছে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন আর আমরা চাই না। শিবিরকে ইশতেহার দেখে নয়; বরং দায় না চাপানোর আচরণ দেখে অনেকে ভোট দিয়েছে।’
সামানিয়া জান্নাতি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মনে ভয় ছিল, ছাত্রদল ছাত্রলীগের মতো ক্যাম্পাসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে কি না। সেই ভয় থেকেই বিকল্প হিসেবে আমরা শিবিরকে ভোট দিয়েছি। গত এক বছরে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডও খুব সমালোচিত ছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই হার বাড়ছে। ঢাবির বেশির ভাগ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর ভোট পেয়েছে শিবির।
জয় পেতে কী করেছে শিবির
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করে শিবির। শুরুতেই তারা পরিকল্পনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় সাংগঠনিকভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিভিন্ন হলে পানির ফিল্টার বসানো, হলের গার্ড রুমে সাইকেলের পাম্পার রাখা, বিনা মূল্যে জরুরি ওষুধ সরবরাহ, কোরবানির ঈদে হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য কোরবানি ফেস্টের আয়োজন।
এর বাইরে কোচিং সেন্টার, ছাত্রদের মেস ও হলে হলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালায় শিবির। এ ছাড়া ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে অনলাইনেও প্রচার চালায় তারা।
এ ছাড়া আগের রেওয়াজ থেকে সরে এসে ডাকসুতে নিজেদের প্যানেলে নারী ও অমুসলিম শিক্ষার্থীকে প্রার্থী হিসেবে রাখায় অনেকের কাছে তাদের প্যানেলকে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। এ ছাড়া প্যানেলের নারী প্রার্থীদের মিডিয়ার সামনে আনাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন অনেকে।
ডাকসুতে শিবির প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচিত মো. মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করেছি। হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করেছি, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছি। অভ্যুত্থানের আগেও এসব কাজ করেছি। কিন্তু আগের সরকারের আমলে প্রকাশ্যে এসব করতে পারিনি। আমরা কোনো ট্যাগিংয়ের রাজনীতি করিনি। আমাদের আচার-আচরণ শিক্ষার্থীরা জানে। হয়তো এ জন্যই আমাদের বিকল্প হিসেবে দেখেছে।’
কৌশলগত পরিকল্পনাই শিবিরের বড় জয়ের মূল কারণ বলে মনে করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ঢাবিতে শিবিরের দীর্ঘদিনের গ্রাউন্ড আছে। তারা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল কাজে লাগিয়েছে। হলের সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ইস্যুতে সরাসরি অংশ নিয়েছে। কাজ করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে; যা শিক্ষার্থীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, শিবিরকে বেছে নেওয়ার পেছনে ছাত্রদের মন জয় করার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কথাবার্তায় সাবলীলতা আছে, স্বাভাবিকতা আছে, কোনো হিরোইজম নেই। তাদের যোগাযোগের দক্ষতা, ইশতেহার ও কথার সঙ্গে কাজের মিল ছাত্ররা হয়তো ভালোভাবে নিয়েছেন। আবার শিবির বারবার জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা টেনে আনতে পেরেছে। এসব বিষয়ে ছাত্রদল বা অন্য সংগঠনগুলো পিছিয়ে ছিল।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচনে যেখানে কখনো কোনো প্যানেল নিয়েই দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে এবার পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির। এর জন্য প্যানেলে বৈচিত্র্য রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচনে যেখানে কখনো কোনো প্যানেল নিয়েই দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে এবার পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির। এর জন্য প্যানেলে বৈচিত্র্য রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচনে যেখানে কখনো কোনো প্যানেল নিয়েই দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে এবার পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির। এর জন্য প্যানেলে বৈচিত্র্য রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচনে যেখানে কখনো কোনো প্যানেল নিয়েই দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে এবার পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির। এর জন্য প্যানেলে বৈচিত্র্য রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৩ ঘণ্টা আগে