ডাকসুতে শিবিরের জয়ের প্রভাব
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ডাকসু নির্বাচনের ফল আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কতখানি প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
ছয় বছর পর সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের ফলাফলে বড় চমক দেখিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) ২৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে এই জোটের প্রার্থীরা। যেখানে অতীতে কখনো ডাকসু নির্বাচনে প্রকাশ্যে প্যানেল দিতে পারেনি, কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো পদে কখনো জয় পায়নি, সেখানে শিবিরের এমন ভূমিধস জয় রাজনীতিতে রীতিমতো চমক নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে বড় দল হিসেবে বিএনপি যেখানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া, সেখানে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভরাডুবি হয়েছে ডাকসু নির্বাচনে। ২৮টি পদের একটিতেও জয় পায়নি সংগঠনটি।
ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন উত্থান অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও। তাঁদের কারও কারও মতে, কট্টর রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের সবচেয়ে বড় মাইলফলক এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফল। আর এর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বিএনপির ভূমিকাকেও দায়ী করছেন তাঁরা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই হয়তো পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ডানপন্থার প্রতি উৎসাহ বাড়তে পারে।
ডাকসুর নির্বাচনী ফল জাতীয় রাজনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা প্রভাব তো ফেলবেই। এই নির্বাচনের ফলের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জামায়াত একটা সুবিধাজনক অবস্থায় চলে গেছে। এর মধ্য দিয়ে জামায়াত নির্বাচনী প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। অন্যদিকে বিএনপি যে সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের মধ্য দিয়ে জাতির সামনে এটা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’
তবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল জাতীয় রাজনীতিতে অতটা প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করছেন বিএনপিসহ অনেক দলের নেতারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অতীতে যাঁরা ডাকসুতে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা বৃহৎ কোনো দলের ছাত্রসংগঠন না হলে জাতীয় রাজনীতিতে আসতেই পারেননি। ডাকসুতে ভিপি, জিএস হয়েছেন, এমন নেতা জাতীয় রাজনীতিতে আছেন, কেউবা হারিয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ জাতীয় সংসদে এসেছেন। বাকিরা এখন পর্যন্ত লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন আসার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কামিয়াব হননি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি এবং ছাত্ররাজনীতির একটা পোস্টমর্টেম, বিশ্লেষণ।’

সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-সমর্থিত প্যানেলেরও নাজুক অবস্থা ফুটে উঠেছে ডাকসু নির্বাচনে। যদিও নির্বাচনের এই ফল জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন না দলটির নেতারা। জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফল সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, এমনটা মনে করি না। ডাকসু নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল হবে, এটা আশা করা ঠিক না। তবে যারা জিতেছে, তাদের সাংগঠনিক মনোবল চাঙা হবে—এটা আমার কাছে মনে হয়েছে। এখন যারা জিতেছে, তাদের ক্ষমতাসীন ধরে নিয়ে ক্যাম্পাসে বিরোধী রাজনীতি চাঙা হবে।’
ডাকসু নির্বাচনের ফলকে ‘ইতিবাচক’ এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে নতুন সংস্কৃতির উন্মেষ বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা থাকবে বলে প্রত্যাশা দলটির। ক্ষমতার দাপট আর অহংকারের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি হতে হলে সৎ, চরিত্রবান ও জনবান্ধব হতে হবে; সেই বার্তাই এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন একটা সংস্কৃতির শিক্ষা হলো। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত দিন ধরে চলে আসা অপকর্মগুলো যে পছন্দ করছে না, মুক্ত ছাত্রনেতৃত্ব যে দরকার, তারা সেটাই বাছাই করেছে। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সৎ, ছাত্রবান্ধব নেতৃত্ব পছন্দ করেছে। সহিংসতা, সন্ত্রাস, চাপ, অন্যায়-অত্যাচার যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা পছন্দ করে না, ডাকসু নির্বাচনের ফল সেটাই প্রমাণ করেছে।
জাতীয় রাজনীতির গতিপথে ডাকসু নির্বাচনের ফল বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনের ফলের প্রতিচ্ছবি মনে করার কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে পরোক্ষভাবে ডানপন্থার উত্থানের এই জমিনটা তৈরি করেছে। তরুণ প্রজন্মের মনস্তাত্ত্বিক জায়গাতেও পরিবর্তন এসেছে। এ অবস্থায় তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বিবেচনার তাগিদ দিয়ে সাইফুল হক আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিএনপিসহ প্রগতিশীল দলগুলোর যে একটা দূরত্ব আছে। এটা বিবেচনার মধ্যে আনা দরকার।’
ডাকসু নির্বাচনে একধরনের হতাশা ও ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখান থেকে রাজনৈতিক শিক্ষা যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো। যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের এখনো বড় সংগঠন মনে করে, তারা যদি জনগণের এই ক্ষোভকে বিবেচনায় নিতে পারে, তাহলে ভালো। সেটা না করলে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় দলগুলোর এমন ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে।’

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ডাকসু নির্বাচনের ফল আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কতখানি প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
ছয় বছর পর সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের ফলাফলে বড় চমক দেখিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) ২৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে এই জোটের প্রার্থীরা। যেখানে অতীতে কখনো ডাকসু নির্বাচনে প্রকাশ্যে প্যানেল দিতে পারেনি, কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো পদে কখনো জয় পায়নি, সেখানে শিবিরের এমন ভূমিধস জয় রাজনীতিতে রীতিমতো চমক নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে বড় দল হিসেবে বিএনপি যেখানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া, সেখানে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভরাডুবি হয়েছে ডাকসু নির্বাচনে। ২৮টি পদের একটিতেও জয় পায়নি সংগঠনটি।
ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন উত্থান অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও। তাঁদের কারও কারও মতে, কট্টর রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের সবচেয়ে বড় মাইলফলক এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফল। আর এর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বিএনপির ভূমিকাকেও দায়ী করছেন তাঁরা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই হয়তো পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ডানপন্থার প্রতি উৎসাহ বাড়তে পারে।
ডাকসুর নির্বাচনী ফল জাতীয় রাজনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা প্রভাব তো ফেলবেই। এই নির্বাচনের ফলের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জামায়াত একটা সুবিধাজনক অবস্থায় চলে গেছে। এর মধ্য দিয়ে জামায়াত নির্বাচনী প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। অন্যদিকে বিএনপি যে সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের মধ্য দিয়ে জাতির সামনে এটা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’
তবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল জাতীয় রাজনীতিতে অতটা প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করছেন বিএনপিসহ অনেক দলের নেতারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অতীতে যাঁরা ডাকসুতে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা বৃহৎ কোনো দলের ছাত্রসংগঠন না হলে জাতীয় রাজনীতিতে আসতেই পারেননি। ডাকসুতে ভিপি, জিএস হয়েছেন, এমন নেতা জাতীয় রাজনীতিতে আছেন, কেউবা হারিয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ জাতীয় সংসদে এসেছেন। বাকিরা এখন পর্যন্ত লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন আসার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কামিয়াব হননি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি এবং ছাত্ররাজনীতির একটা পোস্টমর্টেম, বিশ্লেষণ।’

সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-সমর্থিত প্যানেলেরও নাজুক অবস্থা ফুটে উঠেছে ডাকসু নির্বাচনে। যদিও নির্বাচনের এই ফল জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন না দলটির নেতারা। জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফল সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, এমনটা মনে করি না। ডাকসু নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল হবে, এটা আশা করা ঠিক না। তবে যারা জিতেছে, তাদের সাংগঠনিক মনোবল চাঙা হবে—এটা আমার কাছে মনে হয়েছে। এখন যারা জিতেছে, তাদের ক্ষমতাসীন ধরে নিয়ে ক্যাম্পাসে বিরোধী রাজনীতি চাঙা হবে।’
ডাকসু নির্বাচনের ফলকে ‘ইতিবাচক’ এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে নতুন সংস্কৃতির উন্মেষ বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা থাকবে বলে প্রত্যাশা দলটির। ক্ষমতার দাপট আর অহংকারের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি হতে হলে সৎ, চরিত্রবান ও জনবান্ধব হতে হবে; সেই বার্তাই এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন একটা সংস্কৃতির শিক্ষা হলো। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত দিন ধরে চলে আসা অপকর্মগুলো যে পছন্দ করছে না, মুক্ত ছাত্রনেতৃত্ব যে দরকার, তারা সেটাই বাছাই করেছে। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সৎ, ছাত্রবান্ধব নেতৃত্ব পছন্দ করেছে। সহিংসতা, সন্ত্রাস, চাপ, অন্যায়-অত্যাচার যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা পছন্দ করে না, ডাকসু নির্বাচনের ফল সেটাই প্রমাণ করেছে।
জাতীয় রাজনীতির গতিপথে ডাকসু নির্বাচনের ফল বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনের ফলের প্রতিচ্ছবি মনে করার কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে পরোক্ষভাবে ডানপন্থার উত্থানের এই জমিনটা তৈরি করেছে। তরুণ প্রজন্মের মনস্তাত্ত্বিক জায়গাতেও পরিবর্তন এসেছে। এ অবস্থায় তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বিবেচনার তাগিদ দিয়ে সাইফুল হক আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিএনপিসহ প্রগতিশীল দলগুলোর যে একটা দূরত্ব আছে। এটা বিবেচনার মধ্যে আনা দরকার।’
ডাকসু নির্বাচনে একধরনের হতাশা ও ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখান থেকে রাজনৈতিক শিক্ষা যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো। যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের এখনো বড় সংগঠন মনে করে, তারা যদি জনগণের এই ক্ষোভকে বিবেচনায় নিতে পারে, তাহলে ভালো। সেটা না করলে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় দলগুলোর এমন ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে।’
ডাকসুতে শিবিরের জয়ের প্রভাব
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ডাকসু নির্বাচনের ফল আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কতখানি প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
ছয় বছর পর সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের ফলাফলে বড় চমক দেখিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) ২৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে এই জোটের প্রার্থীরা। যেখানে অতীতে কখনো ডাকসু নির্বাচনে প্রকাশ্যে প্যানেল দিতে পারেনি, কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো পদে কখনো জয় পায়নি, সেখানে শিবিরের এমন ভূমিধস জয় রাজনীতিতে রীতিমতো চমক নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে বড় দল হিসেবে বিএনপি যেখানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া, সেখানে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভরাডুবি হয়েছে ডাকসু নির্বাচনে। ২৮টি পদের একটিতেও জয় পায়নি সংগঠনটি।
ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন উত্থান অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও। তাঁদের কারও কারও মতে, কট্টর রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের সবচেয়ে বড় মাইলফলক এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফল। আর এর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বিএনপির ভূমিকাকেও দায়ী করছেন তাঁরা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই হয়তো পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ডানপন্থার প্রতি উৎসাহ বাড়তে পারে।
ডাকসুর নির্বাচনী ফল জাতীয় রাজনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা প্রভাব তো ফেলবেই। এই নির্বাচনের ফলের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জামায়াত একটা সুবিধাজনক অবস্থায় চলে গেছে। এর মধ্য দিয়ে জামায়াত নির্বাচনী প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। অন্যদিকে বিএনপি যে সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের মধ্য দিয়ে জাতির সামনে এটা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’
তবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল জাতীয় রাজনীতিতে অতটা প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করছেন বিএনপিসহ অনেক দলের নেতারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অতীতে যাঁরা ডাকসুতে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা বৃহৎ কোনো দলের ছাত্রসংগঠন না হলে জাতীয় রাজনীতিতে আসতেই পারেননি। ডাকসুতে ভিপি, জিএস হয়েছেন, এমন নেতা জাতীয় রাজনীতিতে আছেন, কেউবা হারিয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ জাতীয় সংসদে এসেছেন। বাকিরা এখন পর্যন্ত লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন আসার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কামিয়াব হননি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি এবং ছাত্ররাজনীতির একটা পোস্টমর্টেম, বিশ্লেষণ।’

সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-সমর্থিত প্যানেলেরও নাজুক অবস্থা ফুটে উঠেছে ডাকসু নির্বাচনে। যদিও নির্বাচনের এই ফল জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন না দলটির নেতারা। জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফল সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, এমনটা মনে করি না। ডাকসু নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল হবে, এটা আশা করা ঠিক না। তবে যারা জিতেছে, তাদের সাংগঠনিক মনোবল চাঙা হবে—এটা আমার কাছে মনে হয়েছে। এখন যারা জিতেছে, তাদের ক্ষমতাসীন ধরে নিয়ে ক্যাম্পাসে বিরোধী রাজনীতি চাঙা হবে।’
ডাকসু নির্বাচনের ফলকে ‘ইতিবাচক’ এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে নতুন সংস্কৃতির উন্মেষ বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা থাকবে বলে প্রত্যাশা দলটির। ক্ষমতার দাপট আর অহংকারের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি হতে হলে সৎ, চরিত্রবান ও জনবান্ধব হতে হবে; সেই বার্তাই এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন একটা সংস্কৃতির শিক্ষা হলো। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত দিন ধরে চলে আসা অপকর্মগুলো যে পছন্দ করছে না, মুক্ত ছাত্রনেতৃত্ব যে দরকার, তারা সেটাই বাছাই করেছে। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সৎ, ছাত্রবান্ধব নেতৃত্ব পছন্দ করেছে। সহিংসতা, সন্ত্রাস, চাপ, অন্যায়-অত্যাচার যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা পছন্দ করে না, ডাকসু নির্বাচনের ফল সেটাই প্রমাণ করেছে।
জাতীয় রাজনীতির গতিপথে ডাকসু নির্বাচনের ফল বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনের ফলের প্রতিচ্ছবি মনে করার কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে পরোক্ষভাবে ডানপন্থার উত্থানের এই জমিনটা তৈরি করেছে। তরুণ প্রজন্মের মনস্তাত্ত্বিক জায়গাতেও পরিবর্তন এসেছে। এ অবস্থায় তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বিবেচনার তাগিদ দিয়ে সাইফুল হক আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিএনপিসহ প্রগতিশীল দলগুলোর যে একটা দূরত্ব আছে। এটা বিবেচনার মধ্যে আনা দরকার।’
ডাকসু নির্বাচনে একধরনের হতাশা ও ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখান থেকে রাজনৈতিক শিক্ষা যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো। যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের এখনো বড় সংগঠন মনে করে, তারা যদি জনগণের এই ক্ষোভকে বিবেচনায় নিতে পারে, তাহলে ভালো। সেটা না করলে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় দলগুলোর এমন ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে।’

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ডাকসু নির্বাচনের ফল আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কতখানি প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
ছয় বছর পর সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের ফলাফলে বড় চমক দেখিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) ২৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে এই জোটের প্রার্থীরা। যেখানে অতীতে কখনো ডাকসু নির্বাচনে প্রকাশ্যে প্যানেল দিতে পারেনি, কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো পদে কখনো জয় পায়নি, সেখানে শিবিরের এমন ভূমিধস জয় রাজনীতিতে রীতিমতো চমক নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে বড় দল হিসেবে বিএনপি যেখানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া, সেখানে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভরাডুবি হয়েছে ডাকসু নির্বাচনে। ২৮টি পদের একটিতেও জয় পায়নি সংগঠনটি।
ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন উত্থান অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও। তাঁদের কারও কারও মতে, কট্টর রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের সবচেয়ে বড় মাইলফলক এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফল। আর এর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বিএনপির ভূমিকাকেও দায়ী করছেন তাঁরা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই হয়তো পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ডানপন্থার প্রতি উৎসাহ বাড়তে পারে।
ডাকসুর নির্বাচনী ফল জাতীয় রাজনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা প্রভাব তো ফেলবেই। এই নির্বাচনের ফলের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জামায়াত একটা সুবিধাজনক অবস্থায় চলে গেছে। এর মধ্য দিয়ে জামায়াত নির্বাচনী প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। অন্যদিকে বিএনপি যে সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের মধ্য দিয়ে জাতির সামনে এটা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’
তবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল জাতীয় রাজনীতিতে অতটা প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করছেন বিএনপিসহ অনেক দলের নেতারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অতীতে যাঁরা ডাকসুতে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা বৃহৎ কোনো দলের ছাত্রসংগঠন না হলে জাতীয় রাজনীতিতে আসতেই পারেননি। ডাকসুতে ভিপি, জিএস হয়েছেন, এমন নেতা জাতীয় রাজনীতিতে আছেন, কেউবা হারিয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ জাতীয় সংসদে এসেছেন। বাকিরা এখন পর্যন্ত লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন আসার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কামিয়াব হননি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি এবং ছাত্ররাজনীতির একটা পোস্টমর্টেম, বিশ্লেষণ।’

সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-সমর্থিত প্যানেলেরও নাজুক অবস্থা ফুটে উঠেছে ডাকসু নির্বাচনে। যদিও নির্বাচনের এই ফল জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন না দলটির নেতারা। জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফল সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, এমনটা মনে করি না। ডাকসু নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল হবে, এটা আশা করা ঠিক না। তবে যারা জিতেছে, তাদের সাংগঠনিক মনোবল চাঙা হবে—এটা আমার কাছে মনে হয়েছে। এখন যারা জিতেছে, তাদের ক্ষমতাসীন ধরে নিয়ে ক্যাম্পাসে বিরোধী রাজনীতি চাঙা হবে।’
ডাকসু নির্বাচনের ফলকে ‘ইতিবাচক’ এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে নতুন সংস্কৃতির উন্মেষ বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা থাকবে বলে প্রত্যাশা দলটির। ক্ষমতার দাপট আর অহংকারের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি হতে হলে সৎ, চরিত্রবান ও জনবান্ধব হতে হবে; সেই বার্তাই এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন একটা সংস্কৃতির শিক্ষা হলো। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত দিন ধরে চলে আসা অপকর্মগুলো যে পছন্দ করছে না, মুক্ত ছাত্রনেতৃত্ব যে দরকার, তারা সেটাই বাছাই করেছে। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সৎ, ছাত্রবান্ধব নেতৃত্ব পছন্দ করেছে। সহিংসতা, সন্ত্রাস, চাপ, অন্যায়-অত্যাচার যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা পছন্দ করে না, ডাকসু নির্বাচনের ফল সেটাই প্রমাণ করেছে।
জাতীয় রাজনীতির গতিপথে ডাকসু নির্বাচনের ফল বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনের ফলের প্রতিচ্ছবি মনে করার কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে পরোক্ষভাবে ডানপন্থার উত্থানের এই জমিনটা তৈরি করেছে। তরুণ প্রজন্মের মনস্তাত্ত্বিক জায়গাতেও পরিবর্তন এসেছে। এ অবস্থায় তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বিবেচনার তাগিদ দিয়ে সাইফুল হক আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিএনপিসহ প্রগতিশীল দলগুলোর যে একটা দূরত্ব আছে। এটা বিবেচনার মধ্যে আনা দরকার।’
ডাকসু নির্বাচনে একধরনের হতাশা ও ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখান থেকে রাজনৈতিক শিক্ষা যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো। যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের এখনো বড় সংগঠন মনে করে, তারা যদি জনগণের এই ক্ষোভকে বিবেচনায় নিতে পারে, তাহলে ভালো। সেটা না করলে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় দলগুলোর এমন ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৭ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৮ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৭ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৮ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৭ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৮ ঘণ্টা আগেস্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব
আশরাফুল আলম

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম। এটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ার গঠনের কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেছে।
এসডিসির লক্ষ্য ও ভিশন হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এবং একটি দক্ষতানির্ভর তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা। এসব তরুণ জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসডিসি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব, নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
সম্প্রতি এসডিসি আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিস কেইস ২০২৫’। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ২৮৫টির বেশি দল, যার পুরস্কারমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। ইভেন্টের টাইটেল স্পনসর ছিল এসআর ড্রিম আইটি এবং সহ-স্পনসর ছিল ২৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান।
ক্লাবটির অন্যতম সিগনেচার আয়োজন ‘ফ্রেশারস চয়েস’। এখানে নবীন শিক্ষার্থীরা মঞ্চে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জন এবং পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পায়। এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়; বরং নবীনদের আত্মপ্রকাশের সাহস জোগানো এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এসডিসি আয়োজন করে ‘জব ফেয়ার ২০২৫’। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী সিভি জমা দেন এবং অনেকে ইন্টারভিউ কল পান। এই আয়োজন ক্যারিয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখে।
বর্তমানে ক্লাবটির ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। সভাপতি মো. মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাসান শাওন, মরিয়ম আক্তার তানিয়াসহ নির্বাহী সদস্যরা দলগতভাবে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।
এসডিসি আগামী দিনে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে দক্ষতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিতে চান তাঁরা।
সভাপতি মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু প্রশিক্ষণ নয়, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন তারা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।’
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এসডিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কার্যকর সংগঠন। শিক্ষার্থীরা এখানে যোগ দিয়ে তাদের ইন্টারপারসোনাল স্কিল উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অত্যন্ত সহায়ক।’
দক্ষতা ও শিক্ষার মেলবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং দক্ষ ভবিষ্যতের সহযাত্রী।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম। এটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ার গঠনের কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেছে।
এসডিসির লক্ষ্য ও ভিশন হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এবং একটি দক্ষতানির্ভর তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা। এসব তরুণ জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসডিসি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব, নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
সম্প্রতি এসডিসি আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিস কেইস ২০২৫’। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ২৮৫টির বেশি দল, যার পুরস্কারমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। ইভেন্টের টাইটেল স্পনসর ছিল এসআর ড্রিম আইটি এবং সহ-স্পনসর ছিল ২৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান।
ক্লাবটির অন্যতম সিগনেচার আয়োজন ‘ফ্রেশারস চয়েস’। এখানে নবীন শিক্ষার্থীরা মঞ্চে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জন এবং পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পায়। এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়; বরং নবীনদের আত্মপ্রকাশের সাহস জোগানো এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এসডিসি আয়োজন করে ‘জব ফেয়ার ২০২৫’। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী সিভি জমা দেন এবং অনেকে ইন্টারভিউ কল পান। এই আয়োজন ক্যারিয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখে।
বর্তমানে ক্লাবটির ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। সভাপতি মো. মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাসান শাওন, মরিয়ম আক্তার তানিয়াসহ নির্বাহী সদস্যরা দলগতভাবে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।
এসডিসি আগামী দিনে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে দক্ষতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিতে চান তাঁরা।
সভাপতি মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু প্রশিক্ষণ নয়, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন তারা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।’
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এসডিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কার্যকর সংগঠন। শিক্ষার্থীরা এখানে যোগ দিয়ে তাদের ইন্টারপারসোনাল স্কিল উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অত্যন্ত সহায়ক।’
দক্ষতা ও শিক্ষার মেলবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং দক্ষ ভবিষ্যতের সহযাত্রী।

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৮ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।
শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।
বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।
পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’
একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।
এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।
শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।
বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।
পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’
একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।
এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দিকে হাঁটছে দেশ। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এমন এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল রাজনীতির গতিপথে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৭ ঘণ্টা আগে