মো. আবদুল আজিজ
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
নেদারল্যান্ডসে শিক্ষার মান অনেক ভালো। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করে। সুতরাং, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য দেশটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বৃত্তি
এএমসি, ইরাসমাস ও নফিক স্কলারশিপ, অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রামসহ ডাচ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কিছু বৃত্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদেও ফলাফল দেখে বৃত্তি দেওয়া হয়।
টিউশন ফি
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় নেদারল্যান্ডসে টিউশন ফি খুব কম এবং থাকার ব্যয়ও খুব সাশ্রয়ী। নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতক পড়াশোনার ফি বছর প্রতি ৬০০০-২০০০০ ইউরো। তবে আপনি যদি ডক্টরেট বা পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য আসেন, তাহলে আপনার খরচ আরও কম হবে। এখানে খাওয়া, বাসাভাড়া, যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাসে ৮০০-১০০০ ইউরোর মতো খরচ হয়।
সুযোগ-সুবিধা
এখানে অপরাধ প্রবণতা খুবই কম। শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত ও গবেষণাকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পাবেন। যদিও খণ্ডকালীন চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। আপনি যদি আপনার পড়াশোনা পরিচালনা করতে না পারেন এবং ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার রেসিডেন্স পারমিটটি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসে পিএইচডির জন্য অনেক সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। তাঁরা বেতনভোগী কর্মী হিসেবে একটি ওয়ার্ক পারমিট পান। যেখানে প্রতিমাসে বেতন ১৫০০-২০০০ ইউরো হয়ে থাকে। পড়াশোনা চলাকালীন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কাজ করতে পারেন, ফলে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন হওয়ার পর একজন প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট পান। স্থায়ী চাকরি খোঁজার জন্য পড়াশোনা শেষ করার পর তারা আপনাকে এক বছরের ভিসা দেবে। আইটি, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিগত কোনো বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে চাকরির ভালো বাজার রয়েছে। আর টানা ৫ বছর বৈধভাবে নেদারল্যান্ডসে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভর্তি প্রক্রিয়া
ডাচ ইউনিভার্সিটিগুলোতে বছরে ২ সেশনে আবেদন করা যায়–উইন্টার ও সামার। এখানে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি ও বিভিন্ন শর্ট কোর্স অফার করে থাকে। ব্যাচেলর কোর্স (৩-৪ বছর মেয়াদি), মাস্টার্স কোর্স (১-২ বছর মেয়াদি), পিএইচডি/ডক্টোরাল কোর্সগুলো ৩-৫ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। আপনার কোর্সটি যদি ডাচ ভাষায় হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাচ ভাষা জানতে হবে। তার জন্য আপনাকে পিএটি ও এনটিটু পরীক্ষায় বসতে হবে। আর আপনি যদি ইংরেজিতে পড়াশোনা করেন, তবে আইইএলটিএস এবং টোয়েফল পরীক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। টোয়েফলের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর কমপক্ষে ৫৫০ (কাগজভিত্তিক) বা ২১৩ (কম্পিউটারভিত্তিক)। আইইএলটিএসের জন্য কমপক্ষে ৬ স্কোর প্রয়োজন। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফল ও জিম্যাটের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন আবেদন পদ্ধতি অনুসরণ করে। তাই কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গেলেই প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি পাওয়া যাবে।
শীর্ষ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে: ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব আর্মস্টারডাম, এইন্ডোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, লাইডেন ইউনিভার্সিটি, ইউট্রেট ইউনিভার্সিটি, গ্রোনিনগেন ইউনিভার্সিটি। আমি রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করছি। টিউশন ফি, এক বছরের থাকা-খাওয়ার খরচসহ ২২ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। তবে এখান থেকে এক বছর পর ১০ লাখ টাকা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়ে দেয়। মূলত পড়াশোনা ও চাকরি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্যই এখানে পড়তে আসা।
মো. আবদুল আজিজ
শিক্ষার্থী, রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
নেদারল্যান্ডসে শিক্ষার মান অনেক ভালো। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করে। সুতরাং, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য দেশটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বৃত্তি
এএমসি, ইরাসমাস ও নফিক স্কলারশিপ, অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রামসহ ডাচ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কিছু বৃত্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদেও ফলাফল দেখে বৃত্তি দেওয়া হয়।
টিউশন ফি
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় নেদারল্যান্ডসে টিউশন ফি খুব কম এবং থাকার ব্যয়ও খুব সাশ্রয়ী। নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতক পড়াশোনার ফি বছর প্রতি ৬০০০-২০০০০ ইউরো। তবে আপনি যদি ডক্টরেট বা পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য আসেন, তাহলে আপনার খরচ আরও কম হবে। এখানে খাওয়া, বাসাভাড়া, যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাসে ৮০০-১০০০ ইউরোর মতো খরচ হয়।
সুযোগ-সুবিধা
এখানে অপরাধ প্রবণতা খুবই কম। শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত ও গবেষণাকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পাবেন। যদিও খণ্ডকালীন চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। আপনি যদি আপনার পড়াশোনা পরিচালনা করতে না পারেন এবং ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার রেসিডেন্স পারমিটটি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসে পিএইচডির জন্য অনেক সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। তাঁরা বেতনভোগী কর্মী হিসেবে একটি ওয়ার্ক পারমিট পান। যেখানে প্রতিমাসে বেতন ১৫০০-২০০০ ইউরো হয়ে থাকে। পড়াশোনা চলাকালীন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কাজ করতে পারেন, ফলে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন হওয়ার পর একজন প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট পান। স্থায়ী চাকরি খোঁজার জন্য পড়াশোনা শেষ করার পর তারা আপনাকে এক বছরের ভিসা দেবে। আইটি, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিগত কোনো বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে চাকরির ভালো বাজার রয়েছে। আর টানা ৫ বছর বৈধভাবে নেদারল্যান্ডসে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভর্তি প্রক্রিয়া
ডাচ ইউনিভার্সিটিগুলোতে বছরে ২ সেশনে আবেদন করা যায়–উইন্টার ও সামার। এখানে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি ও বিভিন্ন শর্ট কোর্স অফার করে থাকে। ব্যাচেলর কোর্স (৩-৪ বছর মেয়াদি), মাস্টার্স কোর্স (১-২ বছর মেয়াদি), পিএইচডি/ডক্টোরাল কোর্সগুলো ৩-৫ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। আপনার কোর্সটি যদি ডাচ ভাষায় হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাচ ভাষা জানতে হবে। তার জন্য আপনাকে পিএটি ও এনটিটু পরীক্ষায় বসতে হবে। আর আপনি যদি ইংরেজিতে পড়াশোনা করেন, তবে আইইএলটিএস এবং টোয়েফল পরীক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। টোয়েফলের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর কমপক্ষে ৫৫০ (কাগজভিত্তিক) বা ২১৩ (কম্পিউটারভিত্তিক)। আইইএলটিএসের জন্য কমপক্ষে ৬ স্কোর প্রয়োজন। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফল ও জিম্যাটের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন আবেদন পদ্ধতি অনুসরণ করে। তাই কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গেলেই প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি পাওয়া যাবে।
শীর্ষ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে: ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব আর্মস্টারডাম, এইন্ডোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, লাইডেন ইউনিভার্সিটি, ইউট্রেট ইউনিভার্সিটি, গ্রোনিনগেন ইউনিভার্সিটি। আমি রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করছি। টিউশন ফি, এক বছরের থাকা-খাওয়ার খরচসহ ২২ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। তবে এখান থেকে এক বছর পর ১০ লাখ টাকা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়ে দেয়। মূলত পড়াশোনা ও চাকরি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্যই এখানে পড়তে আসা।
মো. আবদুল আজিজ
শিক্ষার্থী, রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
মো. আবদুল আজিজ
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
নেদারল্যান্ডসে শিক্ষার মান অনেক ভালো। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করে। সুতরাং, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য দেশটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বৃত্তি
এএমসি, ইরাসমাস ও নফিক স্কলারশিপ, অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রামসহ ডাচ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কিছু বৃত্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদেও ফলাফল দেখে বৃত্তি দেওয়া হয়।
টিউশন ফি
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় নেদারল্যান্ডসে টিউশন ফি খুব কম এবং থাকার ব্যয়ও খুব সাশ্রয়ী। নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতক পড়াশোনার ফি বছর প্রতি ৬০০০-২০০০০ ইউরো। তবে আপনি যদি ডক্টরেট বা পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য আসেন, তাহলে আপনার খরচ আরও কম হবে। এখানে খাওয়া, বাসাভাড়া, যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাসে ৮০০-১০০০ ইউরোর মতো খরচ হয়।
সুযোগ-সুবিধা
এখানে অপরাধ প্রবণতা খুবই কম। শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত ও গবেষণাকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পাবেন। যদিও খণ্ডকালীন চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। আপনি যদি আপনার পড়াশোনা পরিচালনা করতে না পারেন এবং ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার রেসিডেন্স পারমিটটি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসে পিএইচডির জন্য অনেক সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। তাঁরা বেতনভোগী কর্মী হিসেবে একটি ওয়ার্ক পারমিট পান। যেখানে প্রতিমাসে বেতন ১৫০০-২০০০ ইউরো হয়ে থাকে। পড়াশোনা চলাকালীন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কাজ করতে পারেন, ফলে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন হওয়ার পর একজন প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট পান। স্থায়ী চাকরি খোঁজার জন্য পড়াশোনা শেষ করার পর তারা আপনাকে এক বছরের ভিসা দেবে। আইটি, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিগত কোনো বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে চাকরির ভালো বাজার রয়েছে। আর টানা ৫ বছর বৈধভাবে নেদারল্যান্ডসে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভর্তি প্রক্রিয়া
ডাচ ইউনিভার্সিটিগুলোতে বছরে ২ সেশনে আবেদন করা যায়–উইন্টার ও সামার। এখানে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি ও বিভিন্ন শর্ট কোর্স অফার করে থাকে। ব্যাচেলর কোর্স (৩-৪ বছর মেয়াদি), মাস্টার্স কোর্স (১-২ বছর মেয়াদি), পিএইচডি/ডক্টোরাল কোর্সগুলো ৩-৫ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। আপনার কোর্সটি যদি ডাচ ভাষায় হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাচ ভাষা জানতে হবে। তার জন্য আপনাকে পিএটি ও এনটিটু পরীক্ষায় বসতে হবে। আর আপনি যদি ইংরেজিতে পড়াশোনা করেন, তবে আইইএলটিএস এবং টোয়েফল পরীক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। টোয়েফলের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর কমপক্ষে ৫৫০ (কাগজভিত্তিক) বা ২১৩ (কম্পিউটারভিত্তিক)। আইইএলটিএসের জন্য কমপক্ষে ৬ স্কোর প্রয়োজন। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফল ও জিম্যাটের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন আবেদন পদ্ধতি অনুসরণ করে। তাই কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গেলেই প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি পাওয়া যাবে।
শীর্ষ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে: ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব আর্মস্টারডাম, এইন্ডোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, লাইডেন ইউনিভার্সিটি, ইউট্রেট ইউনিভার্সিটি, গ্রোনিনগেন ইউনিভার্সিটি। আমি রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করছি। টিউশন ফি, এক বছরের থাকা-খাওয়ার খরচসহ ২২ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। তবে এখান থেকে এক বছর পর ১০ লাখ টাকা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়ে দেয়। মূলত পড়াশোনা ও চাকরি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্যই এখানে পড়তে আসা।
মো. আবদুল আজিজ
শিক্ষার্থী, রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
নেদারল্যান্ডসে শিক্ষার মান অনেক ভালো। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করে। সুতরাং, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য দেশটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বৃত্তি
এএমসি, ইরাসমাস ও নফিক স্কলারশিপ, অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রামসহ ডাচ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কিছু বৃত্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদেও ফলাফল দেখে বৃত্তি দেওয়া হয়।
টিউশন ফি
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় নেদারল্যান্ডসে টিউশন ফি খুব কম এবং থাকার ব্যয়ও খুব সাশ্রয়ী। নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতক পড়াশোনার ফি বছর প্রতি ৬০০০-২০০০০ ইউরো। তবে আপনি যদি ডক্টরেট বা পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য আসেন, তাহলে আপনার খরচ আরও কম হবে। এখানে খাওয়া, বাসাভাড়া, যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাসে ৮০০-১০০০ ইউরোর মতো খরচ হয়।
সুযোগ-সুবিধা
এখানে অপরাধ প্রবণতা খুবই কম। শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত ও গবেষণাকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পাবেন। যদিও খণ্ডকালীন চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। আপনি যদি আপনার পড়াশোনা পরিচালনা করতে না পারেন এবং ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার রেসিডেন্স পারমিটটি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসে পিএইচডির জন্য অনেক সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। তাঁরা বেতনভোগী কর্মী হিসেবে একটি ওয়ার্ক পারমিট পান। যেখানে প্রতিমাসে বেতন ১৫০০-২০০০ ইউরো হয়ে থাকে। পড়াশোনা চলাকালীন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কাজ করতে পারেন, ফলে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন হওয়ার পর একজন প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট পান। স্থায়ী চাকরি খোঁজার জন্য পড়াশোনা শেষ করার পর তারা আপনাকে এক বছরের ভিসা দেবে। আইটি, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিগত কোনো বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে চাকরির ভালো বাজার রয়েছে। আর টানা ৫ বছর বৈধভাবে নেদারল্যান্ডসে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভর্তি প্রক্রিয়া
ডাচ ইউনিভার্সিটিগুলোতে বছরে ২ সেশনে আবেদন করা যায়–উইন্টার ও সামার। এখানে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি ও বিভিন্ন শর্ট কোর্স অফার করে থাকে। ব্যাচেলর কোর্স (৩-৪ বছর মেয়াদি), মাস্টার্স কোর্স (১-২ বছর মেয়াদি), পিএইচডি/ডক্টোরাল কোর্সগুলো ৩-৫ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। আপনার কোর্সটি যদি ডাচ ভাষায় হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাচ ভাষা জানতে হবে। তার জন্য আপনাকে পিএটি ও এনটিটু পরীক্ষায় বসতে হবে। আর আপনি যদি ইংরেজিতে পড়াশোনা করেন, তবে আইইএলটিএস এবং টোয়েফল পরীক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। টোয়েফলের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর কমপক্ষে ৫৫০ (কাগজভিত্তিক) বা ২১৩ (কম্পিউটারভিত্তিক)। আইইএলটিএসের জন্য কমপক্ষে ৬ স্কোর প্রয়োজন। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফল ও জিম্যাটের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন আবেদন পদ্ধতি অনুসরণ করে। তাই কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গেলেই প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি পাওয়া যাবে।
শীর্ষ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে: ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব আর্মস্টারডাম, এইন্ডোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, লাইডেন ইউনিভার্সিটি, ইউট্রেট ইউনিভার্সিটি, গ্রোনিনগেন ইউনিভার্সিটি। আমি রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করছি। টিউশন ফি, এক বছরের থাকা-খাওয়ার খরচসহ ২২ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। তবে এখান থেকে এক বছর পর ১০ লাখ টাকা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়ে দেয়। মূলত পড়াশোনা ও চাকরি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্যই এখানে পড়তে আসা।
মো. আবদুল আজিজ
শিক্ষার্থী, রোটারডাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
১৪ জুলাই ২০২১‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
১৪ জুলাই ২০২১২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
১৪ জুলাই ২০২১২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
ছোট্ট, কিন্তু ছবির মতো সুন্দর দেশ নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দেন, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই পছন্দের একটা জায়গা।
১৪ জুলাই ২০২১২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগে