জীবনে বড় হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হয় স্কুলজীবন থেকে। তুমি চাইলে এখান থেকে লিখতে পার তোমার স্বপ্নজয়ের গল্প। স্কুলজীবন থেকে ক্যারিয়ার গঠনে এবং জীবনকে সুন্দর করতে কিছু পরামর্শ লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বই পড়
যত পার তত বই পড়। বই পড়ার বিকল্প নেই। বই না পড়ে বড় হওয়া যায় না। বই পড়া নিয়ে গুণীজনদের নানা কথা তোমরা হয়তো জান। তাই সেসব কথা এখানে বলছি না। কী বই পড়বে? যে বই ভালো লাগে, সে বই পড়। অবশ্যই তোমার ক্লাসের বই পড়বে। ক্লাসের বই যত পড়বে তত তোমার পরীক্ষার ফল ভালো হবে। তারপর বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ধর্মীয় গ্রন্থ এবং বড় বড় মনীষীর জীবনী পড়। জান তো, যত বেশি মনীষীদের জীবনী পড়বে, তত বড় হতে ইচ্ছা করবে।
পত্রিকা পড়
তোমরা হয়তো অনেকেই মনে কর যে পত্রিকা বড়দের পড়ার বিষয়। কিন্তু না, এটা সব বয়সী, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। পড়ালেখা, খেলাধুলা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, বাণিজ্য, দেশে-বিদেশে কোথায় কী ঘটছে সবকিছু তুমি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারবে। ফলে একদিকে তুমি একজন সচেতন মানুষ হয়ে উঠবে, অন্যদিকে তোমার সাধারণ জ্ঞান বাড়বে। আর এই সাধারণ জ্ঞান তোমাকে অন্যদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রাখবে।
সহশিক্ষায় যুক্ত হও
তোমার যদি স্বপ্ন থাকে হাজারো ফুলের মাঝে একটি গোলাপ হতে, তাহলে তোমাকে সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। স্কুলে বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হও। বিতর্ক ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, বিজনেস ক্লাব; এরকম যত ক্লাব আছে, এর মধ্যে যেটা ভালো লাগে তার সঙ্গে যুক্ত হও। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ কর। বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, কোরআন তিলাওয়াত, নাচ-গান—যা ভালো লাগে এবং ভালো পার, তা-ই কর।
প্রতিযোগিতায় অংশ নাও
আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডসহ নানা প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নাও। শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতেও অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবে। দেশের লাল-সবুজ পতাকা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে। এখন থেকেই স্বপ্ন দেখ। তুমি পারবে।
হতে পার লেখক
তোমার যদি বই পড়ার নেশা থাকে, তাহলে তুমিও হতে পার একজন লেখক। লেখার মাধ্যমে জয় করতে পার অগণিত পাঠকের কোমল হৃদয়। এ জন্য কী করতে হবে? বেশি বেশি পড়তে হবে। খাতা/ডায়েরি আর কলম নিয়ে বসে যেতে হবে লিখতে। মনে যা আসে তা-ই লিখতে থাক। তারপর তোমার লেখা পাঠিয়ে দাও বিভিন্ন পত্রিকা আর ম্যাগাজিনের ঠিকানায়। অগণিত পাঠক তোমার লেখা পড়বে। কত ভালো লাগবে... একবার ভেবে দেখেছ কি?
মোবাইল-ফেসবুকের আসক্তি কমাও
তোমরা এখন স্কুলের ছাত্র। তোমাদের এখন মোবাইল ফোন আর ফেসবুক ব্যবহার না করলে কোনো সমস্যা হবে না। যদি কারও সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার প্রয়োজন হয়, তাহলে তোমার পরিবারের কারও মোবাইল দিয়ে বলো। অযথা ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকে সময় নষ্ট করো না। এর চেয়ে বরং তুমি খেলাধুলা কর, খাওয়াদাওয়া কর, বই পড়। আর কিছু না পারলে অন্তত একটা ভালো ঘুম দাও।
শিখতে পার ভাষা
একটা ভাষা জানা মানে একটা জাতিকে জানা। আর একটা বিদেশি ভাষায় যখন তুমি কথা বলবে, লিখবে; যখন সে ভাষার মানুষের সঙ্গে কখনো দেখা হবে, তখন তুমি সে ভাষায় কথা বললে সবাই অবাক চোখে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। তখন তোমার অনুভূতিটা কেমন হবে? তাই যদি সম্ভব হয়, এক বা একাধিক বিদেশি ভাষা শিখতে পার।
আদব-কায়দা শেখ
জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো আদব-কায়দা শেখা। বড়দের সম্মান কর, ছোটদের স্নেহ কর। আম্মু-আব্বু আর শিক্ষকদের দোয়া নাও। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবে না। স্বপ্নের মতো তোমার জীবন গড়বে। রচিত হবে সুন্দর একটি পৃথিবী। যেখানে আমি, তুমি আমরা সবাই অনেক ভালো থাকতে পারব। ভালোবাসতে পারব। তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা।
বই পড়
যত পার তত বই পড়। বই পড়ার বিকল্প নেই। বই না পড়ে বড় হওয়া যায় না। বই পড়া নিয়ে গুণীজনদের নানা কথা তোমরা হয়তো জান। তাই সেসব কথা এখানে বলছি না। কী বই পড়বে? যে বই ভালো লাগে, সে বই পড়। অবশ্যই তোমার ক্লাসের বই পড়বে। ক্লাসের বই যত পড়বে তত তোমার পরীক্ষার ফল ভালো হবে। তারপর বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ধর্মীয় গ্রন্থ এবং বড় বড় মনীষীর জীবনী পড়। জান তো, যত বেশি মনীষীদের জীবনী পড়বে, তত বড় হতে ইচ্ছা করবে।
পত্রিকা পড়
তোমরা হয়তো অনেকেই মনে কর যে পত্রিকা বড়দের পড়ার বিষয়। কিন্তু না, এটা সব বয়সী, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। পড়ালেখা, খেলাধুলা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, বাণিজ্য, দেশে-বিদেশে কোথায় কী ঘটছে সবকিছু তুমি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারবে। ফলে একদিকে তুমি একজন সচেতন মানুষ হয়ে উঠবে, অন্যদিকে তোমার সাধারণ জ্ঞান বাড়বে। আর এই সাধারণ জ্ঞান তোমাকে অন্যদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রাখবে।
সহশিক্ষায় যুক্ত হও
তোমার যদি স্বপ্ন থাকে হাজারো ফুলের মাঝে একটি গোলাপ হতে, তাহলে তোমাকে সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। স্কুলে বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হও। বিতর্ক ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, বিজনেস ক্লাব; এরকম যত ক্লাব আছে, এর মধ্যে যেটা ভালো লাগে তার সঙ্গে যুক্ত হও। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ কর। বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, কোরআন তিলাওয়াত, নাচ-গান—যা ভালো লাগে এবং ভালো পার, তা-ই কর।
প্রতিযোগিতায় অংশ নাও
আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডসহ নানা প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নাও। শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতেও অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবে। দেশের লাল-সবুজ পতাকা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে। এখন থেকেই স্বপ্ন দেখ। তুমি পারবে।
হতে পার লেখক
তোমার যদি বই পড়ার নেশা থাকে, তাহলে তুমিও হতে পার একজন লেখক। লেখার মাধ্যমে জয় করতে পার অগণিত পাঠকের কোমল হৃদয়। এ জন্য কী করতে হবে? বেশি বেশি পড়তে হবে। খাতা/ডায়েরি আর কলম নিয়ে বসে যেতে হবে লিখতে। মনে যা আসে তা-ই লিখতে থাক। তারপর তোমার লেখা পাঠিয়ে দাও বিভিন্ন পত্রিকা আর ম্যাগাজিনের ঠিকানায়। অগণিত পাঠক তোমার লেখা পড়বে। কত ভালো লাগবে... একবার ভেবে দেখেছ কি?
মোবাইল-ফেসবুকের আসক্তি কমাও
তোমরা এখন স্কুলের ছাত্র। তোমাদের এখন মোবাইল ফোন আর ফেসবুক ব্যবহার না করলে কোনো সমস্যা হবে না। যদি কারও সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার প্রয়োজন হয়, তাহলে তোমার পরিবারের কারও মোবাইল দিয়ে বলো। অযথা ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকে সময় নষ্ট করো না। এর চেয়ে বরং তুমি খেলাধুলা কর, খাওয়াদাওয়া কর, বই পড়। আর কিছু না পারলে অন্তত একটা ভালো ঘুম দাও।
শিখতে পার ভাষা
একটা ভাষা জানা মানে একটা জাতিকে জানা। আর একটা বিদেশি ভাষায় যখন তুমি কথা বলবে, লিখবে; যখন সে ভাষার মানুষের সঙ্গে কখনো দেখা হবে, তখন তুমি সে ভাষায় কথা বললে সবাই অবাক চোখে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। তখন তোমার অনুভূতিটা কেমন হবে? তাই যদি সম্ভব হয়, এক বা একাধিক বিদেশি ভাষা শিখতে পার।
আদব-কায়দা শেখ
জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো আদব-কায়দা শেখা। বড়দের সম্মান কর, ছোটদের স্নেহ কর। আম্মু-আব্বু আর শিক্ষকদের দোয়া নাও। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবে না। স্বপ্নের মতো তোমার জীবন গড়বে। রচিত হবে সুন্দর একটি পৃথিবী। যেখানে আমি, তুমি আমরা সবাই অনেক ভালো থাকতে পারব। ভালোবাসতে পারব। তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা।
চীনের জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ দিচ্ছে। ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গবেষকদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প দেশে আঘাত হানবে।
২ ঘণ্টা আগেগত দুই দশকে উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বেড়েছে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন বা আন্তদেশীয় শিক্ষার চাহিদা। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে থেকেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত তেজগাঁও কলেজের সমাজকর্ম বিভাগে গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভাগটির প্রথম অ্যালামনাই পুনর্মিলনী ২০২৫। সময়ের পরিক্রমায় যে বন্ধন কিছুটা শিথিল হয়ে পড়েছিল, সেই সম্পর্ককে আবার নতুন করে জোড়া লাগানোর এক অনবদ্য প্রয়াস দেখা গেল এই আয়োজনে।
২ ঘণ্টা আগে