রাহুল শর্মা, ঢাকা

বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল শিক্ষাঙ্গন। শুরুটা হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে। এরপর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বছরজুড়ে অস্থির ছিল শিক্ষাঙ্গন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। পতন ঘটে আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল। দেশে গঠিত হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বিতর্ক দিয়ে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের ইতি ঘটে আন্দোলন আর অনিশ্চয়তায়। বছরের শেষে এসে শুরু হয় বৈষম্যের প্রতিবাদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন। বছর শেষে এসেও নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিতই ছিল।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা খাতের জন্য ২০২৪ সাল ঘটনাবহুল বছর। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো বছর শিক্ষাঙ্গন ছিল অস্থির। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের উচিত এ ঘাটতি পূরণে কার্যক্রম ব্যবস্থা নেওয়া।’
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা
গতানুগতিক শিক্ষাপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এতে চিরাচরিত পাঠ্যসূচি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও বদলে যায়। বাদ দেওয়া হয় দশম শ্রেণির আগে সব পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া পাঠদান শুরু, চিরায়ত পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দেওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এর মাঝে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে যুক্ত হওয়া ‘শরিফার গল্প’ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব পাঠ্যবই থেকে গল্পের ওই পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গল্পটি বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সময়মতো বই না পাওয়া, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপা, বইয়ে নানা ভুলত্রুটি নিয়ে সারা বছরই ছিল আলোচনা-সমালোচনা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ফের চালু হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম।

শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষক লাঞ্ছনা
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে জুনের শেষদিক থেকে আন্দোলনে নামেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পয়লা জুলাই থেকে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলে। শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ৩ আগস্ট স্কিম ‘প্রত্যয়’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে অনেক শিক্ষককে পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অনেক শিক্ষক লাঞ্ছনারও শিকার হন। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ডগুলোসহ শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পদে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতন
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করা হয়। কোটা বাতিলে সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন ২০২৪ সালের ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ জুন থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় কোটাসংস্কারের আন্দোলন। এ আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এর মাঝে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হন। একই দিন মারা যান আরও ৬ জন। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। জেলা-উপজেলায়ও আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। ১৭ জুলাই রাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়, ইন্টারনেট সেবাও শাটডাউন করে সরকার। এরপর দফায় দফায় কারফিউ জারি করলেও তা ভেঙে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
১৬ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শেখ হাসিনার পতনের ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়। ৪ আগস্টও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকেন। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয় লাখো জনতা। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর নানা ঘটনাচক্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারে জায়গা পায় শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধি।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৩০ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরেই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এই আন্দোলনে সরকার পতনের পর পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হলে বাধা হয়ে দাঁড়ান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁরা বাকি পরীক্ষাগুলো না নিয়ে ফল প্রকাশের জন্য ২০ আগস্ট মিছিল নিয়ে জোর করে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর সরকার বাধ্য হয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এসএসসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানায়। ফল ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে অটোপাসের দাবি করে। এতে কোনো ফল না আসায় সচিবালয়ে প্রবেশ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে।

চলতি বছরের বই নিয়েও অনিশ্চয়তা
চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপার জন্য দরপত্র আহ্বানসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সরকার পতনের পর আগের সব টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যান, সচিবসহ বিভিন্ন শীর্ষপদে আনা হয় পরিবর্তন। এরপর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা নতুনভাবে শুরু করেন বই ছাপানো প্রক্রিয়ার কাজ। ফলে পাঠ্যবই সংশোধন, টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার কারণে এবার বছরের প্রথম দিন সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে চলা বই উৎসবও বাতিল করে সরকার।
বছর শেষেও শিক্ষকদের আন্দোলন
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪ সাল। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, ডিএস পুলে মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডার থেকে নিয়োগ, সকল ক্যাডারে সমতা তৈরি করে বৈষম্য নিরসন করার দাবিতে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি ১৬ হাজার সরকারি শিক্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে।

বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল শিক্ষাঙ্গন। শুরুটা হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে। এরপর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বছরজুড়ে অস্থির ছিল শিক্ষাঙ্গন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। পতন ঘটে আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল। দেশে গঠিত হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বিতর্ক দিয়ে শুরু হওয়া ২০২৪ সালের ইতি ঘটে আন্দোলন আর অনিশ্চয়তায়। বছরের শেষে এসে শুরু হয় বৈষম্যের প্রতিবাদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন। বছর শেষে এসেও নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিতই ছিল।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা খাতের জন্য ২০২৪ সাল ঘটনাবহুল বছর। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো বছর শিক্ষাঙ্গন ছিল অস্থির। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের উচিত এ ঘাটতি পূরণে কার্যক্রম ব্যবস্থা নেওয়া।’
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা
গতানুগতিক শিক্ষাপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এতে চিরাচরিত পাঠ্যসূচি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও বদলে যায়। বাদ দেওয়া হয় দশম শ্রেণির আগে সব পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া পাঠদান শুরু, চিরায়ত পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দেওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এর মাঝে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে যুক্ত হওয়া ‘শরিফার গল্প’ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব পাঠ্যবই থেকে গল্পের ওই পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গল্পটি বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সময়মতো বই না পাওয়া, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপা, বইয়ে নানা ভুলত্রুটি নিয়ে সারা বছরই ছিল আলোচনা-সমালোচনা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ফের চালু হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম।

শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষক লাঞ্ছনা
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে জুনের শেষদিক থেকে আন্দোলনে নামেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পয়লা জুলাই থেকে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলে। শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ৩ আগস্ট স্কিম ‘প্রত্যয়’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে অনেক শিক্ষককে পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অনেক শিক্ষক লাঞ্ছনারও শিকার হন। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ডগুলোসহ শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পদে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতন
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করা হয়। কোটা বাতিলে সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন ২০২৪ সালের ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ জুন থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় কোটাসংস্কারের আন্দোলন। এ আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এর মাঝে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হন। একই দিন মারা যান আরও ৬ জন। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। জেলা-উপজেলায়ও আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। ১৭ জুলাই রাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়, ইন্টারনেট সেবাও শাটডাউন করে সরকার। এরপর দফায় দফায় কারফিউ জারি করলেও তা ভেঙে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
১৬ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শেখ হাসিনার পতনের ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়। ৪ আগস্টও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকেন। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয় লাখো জনতা। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর নানা ঘটনাচক্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারে জায়গা পায় শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধি।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৩০ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরেই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এই আন্দোলনে সরকার পতনের পর পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হলে বাধা হয়ে দাঁড়ান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাঁরা বাকি পরীক্ষাগুলো না নিয়ে ফল প্রকাশের জন্য ২০ আগস্ট মিছিল নিয়ে জোর করে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর সরকার বাধ্য হয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এসএসসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানায়। ফল ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে অটোপাসের দাবি করে। এতে কোনো ফল না আসায় সচিবালয়ে প্রবেশ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে।

চলতি বছরের বই নিয়েও অনিশ্চয়তা
চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপার জন্য দরপত্র আহ্বানসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সরকার পতনের পর আগের সব টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এনসিটিবির চেয়ারম্যান, সচিবসহ বিভিন্ন শীর্ষপদে আনা হয় পরিবর্তন। এরপর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা নতুনভাবে শুরু করেন বই ছাপানো প্রক্রিয়ার কাজ। ফলে পাঠ্যবই সংশোধন, টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার কারণে এবার বছরের প্রথম দিন সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে চলা বই উৎসবও বাতিল করে সরকার।
বছর শেষেও শিক্ষকদের আন্দোলন
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪ সাল। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, ডিএস পুলে মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডার থেকে নিয়োগ, সকল ক্যাডারে সমতা তৈরি করে বৈষম্য নিরসন করার দাবিতে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি ১৬ হাজার সরকারি শিক্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেবে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো এবং ‘বি’ ইউনিটে থাকবে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
পরদিন ১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ‘সি’ ইউনিটে থাকবে কলা ও মানবিক স্কুল, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল, আইন স্কুল, শিক্ষা স্কুল এবং চারুকলা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
অন্যদিকে ‘ডি’ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তিপ্রক্রিয়া-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আগামী ২৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেবে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো এবং ‘বি’ ইউনিটে থাকবে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
পরদিন ১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ‘সি’ ইউনিটে থাকবে কলা ও মানবিক স্কুল, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল, আইন স্কুল, শিক্ষা স্কুল এবং চারুকলা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
অন্যদিকে ‘ডি’ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তিপ্রক্রিয়া-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আগামী ২৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে সীমিত আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা হয় অত্যন্ত তীব্র। যেখানে সাফল্য পেতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, ধারাবাহিক অধ্যবসায় ও মানসিক প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুনুর রশিদ। তাঁর পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান।
কখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করবেন
অনেকে ভাবেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ভর্তি প্রস্তুতির সময় শুরু হয়। এটা আসলে কিছুটা ভুল ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন হয়, তার জন্য ভিত্তি তৈরি হয় নবম-দশম শ্রেণিতে। তাই যারা আগে থেকেই মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করে রাখে, তারা ভর্তি প্রস্তুতিতেও এগিয়ে থাকে।
তবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পাঠ্যবই, অনুশীলন প্রশ্ন এবং পুরোনো ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া বোঝা জরুরি
সাধারণত এইচএসসি ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্বভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। অন্যদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এখন ২২টি সাধারণ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি গুচ্ছ ও প্রযুক্তি গুচ্ছের পরীক্ষার ধরনও আলাদা। তাই প্রার্থীদের নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ অনুসরণ করতে হবে, যাতে কোনো সময়সীমা বা নির্দেশনা মিস না হয়।
কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন
■ বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা: পাঠ্যবই থেকেই শুরু করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী রেফারেন্স বইয়ের পেছনে সময় নষ্ট করে অথচ মূল ধারণাগুলো ঠিকভাবে বোঝে না। বোর্ড বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে।
■ প্রশ্ন অনুশীলন: পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে সময় ব্যবস্থাপনাও অনুশীলিত হয়।
■ মডেল টেস্ট: পরীক্ষার পরিবেশে মডেল টেস্ট দিলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা যায়।
■ লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অংশ রয়েছে, সেখানে উত্তর লেখার কৌশল শেখা জরুরি—সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক ও সঠিক উপস্থাপনাই মূল চাবিকাঠি।
পরীক্ষার হলে করণীয়
পরীক্ষার আগে নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রবেশপত্র, কলম, ঘড়ি ইত্যাদি গুছিয়ে নিন। পরীক্ষার হলে অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে মনোযোগ ধরে রাখুন। প্রশ্ন পড়ে বুঝে তারপর উত্তর দিন। কারণ অনেক পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা হয়। সময়ের সঠিক ব্যবহারই হতে পারে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
এইচএসসির ফল প্রকাশের পর ফল প্রকাশের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক
ভর্তি নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন: সনদ, প্রশংসাপত্র, ছবি, ফি পরিশোধের রসিদ ইত্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত রাখলে শেষ মুহূর্তে ঝামেলা কমবে। বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার সময় অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নেওয়া এবং নিজের আগ্রহ-দক্ষতা বিবেচনা করাই শ্রেয়।
অভিভাবকদের জন্য বার্তা
অভিভাবকেরা সন্তানদের ওপর কোনো বিষয় চাপিয়ে না দিয়ে তাদের আগ্রহ, সামর্থ্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করুন। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং মৌলিক দক্ষতা অর্জনের পরিবেশ তৈরি করাই ভবিষ্যতের প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। পরিকল্পিত পরিশ্রম, ধারাবাহিক অনুশীলন ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কেউ নিজের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে পারে। মনে রাখবেন, সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই—সঠিক পথে নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান, স্বপ্ন একদিন আপনাকেই ডাকবে।

প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে সীমিত আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা হয় অত্যন্ত তীব্র। যেখানে সাফল্য পেতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, ধারাবাহিক অধ্যবসায় ও মানসিক প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুনুর রশিদ। তাঁর পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান।
কখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করবেন
অনেকে ভাবেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ভর্তি প্রস্তুতির সময় শুরু হয়। এটা আসলে কিছুটা ভুল ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন হয়, তার জন্য ভিত্তি তৈরি হয় নবম-দশম শ্রেণিতে। তাই যারা আগে থেকেই মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করে রাখে, তারা ভর্তি প্রস্তুতিতেও এগিয়ে থাকে।
তবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পাঠ্যবই, অনুশীলন প্রশ্ন এবং পুরোনো ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া বোঝা জরুরি
সাধারণত এইচএসসি ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্বভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। অন্যদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এখন ২২টি সাধারণ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি গুচ্ছ ও প্রযুক্তি গুচ্ছের পরীক্ষার ধরনও আলাদা। তাই প্রার্থীদের নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ অনুসরণ করতে হবে, যাতে কোনো সময়সীমা বা নির্দেশনা মিস না হয়।
কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন
■ বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা: পাঠ্যবই থেকেই শুরু করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী রেফারেন্স বইয়ের পেছনে সময় নষ্ট করে অথচ মূল ধারণাগুলো ঠিকভাবে বোঝে না। বোর্ড বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে।
■ প্রশ্ন অনুশীলন: পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে সময় ব্যবস্থাপনাও অনুশীলিত হয়।
■ মডেল টেস্ট: পরীক্ষার পরিবেশে মডেল টেস্ট দিলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা যায়।
■ লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অংশ রয়েছে, সেখানে উত্তর লেখার কৌশল শেখা জরুরি—সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক ও সঠিক উপস্থাপনাই মূল চাবিকাঠি।
পরীক্ষার হলে করণীয়
পরীক্ষার আগে নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রবেশপত্র, কলম, ঘড়ি ইত্যাদি গুছিয়ে নিন। পরীক্ষার হলে অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে মনোযোগ ধরে রাখুন। প্রশ্ন পড়ে বুঝে তারপর উত্তর দিন। কারণ অনেক পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা হয়। সময়ের সঠিক ব্যবহারই হতে পারে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
এইচএসসির ফল প্রকাশের পর ফল প্রকাশের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক
ভর্তি নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন: সনদ, প্রশংসাপত্র, ছবি, ফি পরিশোধের রসিদ ইত্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত রাখলে শেষ মুহূর্তে ঝামেলা কমবে। বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার সময় অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নেওয়া এবং নিজের আগ্রহ-দক্ষতা বিবেচনা করাই শ্রেয়।
অভিভাবকদের জন্য বার্তা
অভিভাবকেরা সন্তানদের ওপর কোনো বিষয় চাপিয়ে না দিয়ে তাদের আগ্রহ, সামর্থ্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করুন। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং মৌলিক দক্ষতা অর্জনের পরিবেশ তৈরি করাই ভবিষ্যতের প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। পরিকল্পিত পরিশ্রম, ধারাবাহিক অনুশীলন ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কেউ নিজের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে পারে। মনে রাখবেন, সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই—সঠিক পথে নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান, স্বপ্ন একদিন আপনাকেই ডাকবে।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশটির জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং শহরে অবস্থিত। ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে চীনের শীর্ষস্থানীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ও চীনা মাধ্যমে ডিগ্রি প্রোগ্রাম এবং বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে কোনো আবেদন ফি নেই। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। দেওয়া হবে রেজিস্ট্রেশন ফি, বিনা মূল্যে আবাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিমা এবং সুরক্ষা সুবিধা। এ ছাড়া স্নাতকের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ভাতা হিসাবে থাকছে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান।
আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীদের চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। পাশাপাশি বর্তমানে চীনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, এমন শিক্ষার্থীরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৪০ বছরের নিচে হতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
সিএসসি অনলাইন আবেদন ফরম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন আবেদন ফরম, পাসপোর্টের স্পষ্ট স্ক্যান কপি, নোটারাইজড করা পূর্ববর্তী ডিগ্রির সনদ, ভাষা দক্ষতার নোটারাইজড করা সনদ, দুটি সুপারিশপত্র, চীনে অধ্যয়নের পরিকল্পনা, নন-ক্রিমিনাল রেকর্ড (সর্বশেষ ৫ মাসের ইস্যু করা) ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ। এই নথিগুলো সঠিকভাবে জমা দিলে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে চীনা ভাষা শিক্ষার মাস্টার্স, চীনা দর্শন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কমিউনিকেশন, অর্থনৈতিক আইন, সেলেস্টিয়াল ফিজিকস, অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার। পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে লাইব্রেরি ইনফরমেশন ও আর্কাইভ ম্যানেজমেন্ট, চীনা ভাষা ও সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, চীনা ইতিহাস, বায়োলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও টেকনোলজি, রসায়ন, ভূগোল এবং মেটারিয়াল সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
২০ জানুয়ারি, ২০২৬।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়।

চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশটির জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং শহরে অবস্থিত। ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে চীনের শীর্ষস্থানীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ও চীনা মাধ্যমে ডিগ্রি প্রোগ্রাম এবং বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে কোনো আবেদন ফি নেই। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। দেওয়া হবে রেজিস্ট্রেশন ফি, বিনা মূল্যে আবাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিমা এবং সুরক্ষা সুবিধা। এ ছাড়া স্নাতকের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ভাতা হিসাবে থাকছে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান।
আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীদের চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। পাশাপাশি বর্তমানে চীনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, এমন শিক্ষার্থীরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৪০ বছরের নিচে হতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
সিএসসি অনলাইন আবেদন ফরম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন আবেদন ফরম, পাসপোর্টের স্পষ্ট স্ক্যান কপি, নোটারাইজড করা পূর্ববর্তী ডিগ্রির সনদ, ভাষা দক্ষতার নোটারাইজড করা সনদ, দুটি সুপারিশপত্র, চীনে অধ্যয়নের পরিকল্পনা, নন-ক্রিমিনাল রেকর্ড (সর্বশেষ ৫ মাসের ইস্যু করা) ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ। এই নথিগুলো সঠিকভাবে জমা দিলে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে চীনা ভাষা শিক্ষার মাস্টার্স, চীনা দর্শন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কমিউনিকেশন, অর্থনৈতিক আইন, সেলেস্টিয়াল ফিজিকস, অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার। পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে লাইব্রেরি ইনফরমেশন ও আর্কাইভ ম্যানেজমেন্ট, চীনা ভাষা ও সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, চীনা ইতিহাস, বায়োলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও টেকনোলজি, রসায়ন, ভূগোল এবং মেটারিয়াল সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
২০ জানুয়ারি, ২০২৬।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৪ ঘণ্টা আগেবিজেএস পরীক্ষা
সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় সফল হতে হলে সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইনগুলোতে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। চুক্তি আইন থেকে শুরু করে দলিল নিবন্ধন, ভূমি অধিগ্রহণ কিংবা সম্পত্তি হস্তান্তর—প্রতিটি আইনেই রয়েছে সূক্ষ্ম অথচ গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও নীতিমালা। সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করা মোছা. মারুফা ইয়াসমিন। তাঁর পরামর্শ শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
শাহ বিলিয়া জুলফিকার

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
১. চুক্তি আইন, ১৮৭২
চুক্তি আইন (Contract Act, 1872) এমন একটি বিষয়, যার নাম শুনলে অনেকেই ভয় পান। অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা এটা অগোছালো এবং কঠিন। কিন্তু বাস্তবে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্নগুলো বেশ সাধারণ ও মৌলিক ধারণাভিত্তিক হয়। তাই এই আইনটি বাদ না দিয়ে গুছিয়ে পড়লে প্রিলি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। প্রিলি পরীক্ষার জন্য সব ধারা মুখস্থ না করে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোতে ফোকাস করা উচিত। আর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ডকট্রিনগুলো বোঝায়, দু-একটি ল্যান্ডমার্ক কেস অধ্যয়ন, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন অনুশীলন, চুক্তির পক্ষদের অধিকার ও দায়দায়িত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের চুক্তির বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বুঝে নেওয়ায়। খাতার মান বাড়াতে দু-একটি ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম যোগ করা যেতে পারে, এতে উত্তরের উপস্থাপনা আরও আকর্ষণীয় হয়। গুরুত্বপূর্ণ ধারা: (2, 4, 5-7, 10, 11-36, 53-56, 58, 68-75, 124-126, 129, 130, 137, 138, 148-150, 151-169, 170-176, 179, 169-176, 182-191, 195, 197, 201-207, 211, 213, 214, 216, 218, 220, 223-225, 227-228, 235, 237)।
২. The Registration Act, 1908
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলি পরীক্ষায় এই আইন থেকে প্রশ্ন আসে সরাসরি বেয়ার অ্যাক্ট থেকে, তাই বেয়ার অ্যাক্ট ভালোভাবে পড়াই মূল কৌশল। বিশেষ করে ডেফিনেশনের ধারা ও এর উপধারাগুলো, কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক আর কোনটি নয়, কত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না করলে তার ফলাফল কী—এসব অংশে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি ও শাস্তিসম্পর্কিত ধারাগুলোও ভালোভাবে পড়া জরুরি। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য টপিকভিত্তিক পড়াশোনা সবচেয়ে কার্যকর। যেমন রেজিস্ট্রেশনের উদ্দেশ্য, কোন দলিলগুলো বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন (যেমন: একাধিক দলিলের মধ্যে কোনটি আগে প্রাধান্য পাবে), দলিল প্রেজেন্ট করার সময়সীমা, জমি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলে রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি, Power of Attorney, Will-সম্পর্কিত ধারা, রেজিস্ট্রেশন না করার ফলাফল এবং Registering Officer-এর
দায়িত্ব ও ক্ষমতা।
৩. The State Acquisition and Tenancy Act, 1950
সম্পত্তি আইন প্রস্তুতিতে The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কিছুটা জটিল আইন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে ধারা ২ থেকে। বিশেষ করে ২ (২, ৬, ৯, ৯ ক, ১১, ১২, ১৪, ১৬, ২০, ২২, ২৭, ৩০)। ধারা ২০ ভালোভাবে বুঝে পড়া জরুরি। ল্যান্ড সিলিং (এই অংশে Land Reforms Act ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের রেফারেন্সসহ পড়া উচিত), সাব-লেটিং (৭৫ ক, ৮১ ক, ৯৩ ধারা), সিকস্তি-পয়স্তি (ল্যান্ডমার্ক কেসসহ), রেকর্ড অব রাইটস, খাজনা ও খাজনার হার, রায়তের অধিকার ও বিলুপ্তি, মর্টগেজ, অগ্রক্রয়, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলেট ট্রাইব্যুনাল, আপিল-রিভিশন, আদিবাসীদের দ্বারা ভূমি হস্তান্তর, অ্যামালগামেশন, সাবডিভিশন, কনসলিডেশন ও নামজারি—এসব বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়া প্রয়োজন। প্রিলি পরীক্ষায় ফোকাস করতে হবে আপিল ও রিভিশনের সময়সীমা, ফোরাম, বিভিন্ন অথরিটির ক্ষমতা, দরখাস্তের প্রক্রিয়া, খাজনা নির্ধারণ ও মওকুফের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কারা, অগ্রক্রয়ের সময়সীমা, কোর্ট ফিসহ ৯৬ ধারার উপধারাগুলো ভালোভাবে পড়ে ফেলতে হবে।
৪. The Non-Agricultural Tenancy Act, 1949
এটি সম্পত্তি আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলির জন্য বিশেষভাবে ধারা ৩, ৬, ১০, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৬, ২৬ ক, ৬৪-৬৬, ৭০, ৭১, ৭৫-৭৭, ৮৫, ৮৫ক ও ৮৭-এর ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্ন প্রায় একই টপিক ঘিরে আসে। বিশেষ করে অগ্রক্রয়-সম্পর্কিত অধ্যায়টি থেকে প্রবলেমেটিক প্রশ্ন আসার প্রবণতা বেশি।
তাই অগ্রক্রয় টপিক-সম্পর্কিত সব আইনের তুলনামূলক আলোচনাগুলো অধ্যয়ন করা
জরুরি। লিখিত পরীক্ষায় ধারা ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ২০, ২৩, ২৬ ক, ৭০, ৭৭ ও ৮৫ এগুলোর ওপর ভালো ধারণা রাখতে হবে। এ ছাড়া ডেফিনেশন ও উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়গুলো থেকে নিয়মিতভাবে প্রশ্ন আসে।
৫. The Transfer of Property Act, 1882
এটি ডকট্রিনভিত্তিক একটি আইন। এই আইনটিতে প্রিলি ও রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রথমে বেয়ার অ্যাক্টের ধারাগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে, বিশেষ করে যেখানে উদাহরণ দেওয়া আছে। কারণ প্রবলেমেটিক প্রশ্ন সাধারণত সেই উদাহরণ থেকেই আসে। এই আইনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ডকট্রিনভিত্তিক পড়াশোনা। কোন ধারায় কোন ডকট্রিন প্রতিফলিত হয়েছে, তা উদাহরণসহ বুঝে পড়া জরুরি। বিক্রয়, রেহেন, ইজারা, চার্জ ও অ্যাকশনেবল ক্লেইমের সৃষ্টি, বৈশিষ্ট্য, পক্ষদের দায়দায়িত্ব ও পার্থক্য ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। ধারা ৩ থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসে, তাই এটি বিশেষভাবে পড়তে হবে।
পরীক্ষায় ভালো করতে ৫ করণীয়
■ বেয়ার অ্যাক্ট পড়ুন: প্রিলি পরীক্ষার জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট পড়া উচিত। ধারাগুলো, সংজ্ঞা এবং মূল ধারা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রায়ই সরাসরি
আইন থেকে আসে।
■ বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ: লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়া উচিত। এতে বোঝা যাবে কোন টপিক থেকে বারবার প্রশ্ন আসছে এবং আপনার প্রস্তুতি সেই অনুযায়ী সাজানো সম্ভব হবে। এটি আপনার সময় এবং পরিশ্রম সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।
■ খাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধি: লিখিত পরীক্ষায় খাতার সৌন্দর্য এবং প্রেজেন্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম, প্রয়োজনীয় ডকট্রিন উল্লেখ ও দু-তিনটি উদাহরণ খাতায় লিখুন। এ পদ্ধতি ছাড়া খাতার সৌন্দর্য ও প্রভাব বাড়ানো সম্ভব নয়।
■ প্রবলেমেটিক প্রশ্নে গুরুত্ব দিন: প্রবলেমেটিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারলে লিখিত পরীক্ষায় উচ্চ মার্কস পাওয়া যায়। তাই এ ধরনের প্রশ্নগুলোর প্রস্তুতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিন।
■ সাজানো ও গোছানো প্রস্তুতি: আপনার প্রস্তুতি যা-ই হোক, তা সাজানো ও গোছানো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলোমেলো পড়াশোনা থেকে ভালো লিখতে পারা কঠিন। তাই এখন থেকেই পড়াশোনার সবকিছু গুছিয়ে রাখা শুরু করুন।

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
১. চুক্তি আইন, ১৮৭২
চুক্তি আইন (Contract Act, 1872) এমন একটি বিষয়, যার নাম শুনলে অনেকেই ভয় পান। অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা এটা অগোছালো এবং কঠিন। কিন্তু বাস্তবে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্নগুলো বেশ সাধারণ ও মৌলিক ধারণাভিত্তিক হয়। তাই এই আইনটি বাদ না দিয়ে গুছিয়ে পড়লে প্রিলি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। প্রিলি পরীক্ষার জন্য সব ধারা মুখস্থ না করে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোতে ফোকাস করা উচিত। আর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ডকট্রিনগুলো বোঝায়, দু-একটি ল্যান্ডমার্ক কেস অধ্যয়ন, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন অনুশীলন, চুক্তির পক্ষদের অধিকার ও দায়দায়িত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের চুক্তির বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বুঝে নেওয়ায়। খাতার মান বাড়াতে দু-একটি ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম যোগ করা যেতে পারে, এতে উত্তরের উপস্থাপনা আরও আকর্ষণীয় হয়। গুরুত্বপূর্ণ ধারা: (2, 4, 5-7, 10, 11-36, 53-56, 58, 68-75, 124-126, 129, 130, 137, 138, 148-150, 151-169, 170-176, 179, 169-176, 182-191, 195, 197, 201-207, 211, 213, 214, 216, 218, 220, 223-225, 227-228, 235, 237)।
২. The Registration Act, 1908
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলি পরীক্ষায় এই আইন থেকে প্রশ্ন আসে সরাসরি বেয়ার অ্যাক্ট থেকে, তাই বেয়ার অ্যাক্ট ভালোভাবে পড়াই মূল কৌশল। বিশেষ করে ডেফিনেশনের ধারা ও এর উপধারাগুলো, কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক আর কোনটি নয়, কত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না করলে তার ফলাফল কী—এসব অংশে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি ও শাস্তিসম্পর্কিত ধারাগুলোও ভালোভাবে পড়া জরুরি। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য টপিকভিত্তিক পড়াশোনা সবচেয়ে কার্যকর। যেমন রেজিস্ট্রেশনের উদ্দেশ্য, কোন দলিলগুলো বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন (যেমন: একাধিক দলিলের মধ্যে কোনটি আগে প্রাধান্য পাবে), দলিল প্রেজেন্ট করার সময়সীমা, জমি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলে রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি, Power of Attorney, Will-সম্পর্কিত ধারা, রেজিস্ট্রেশন না করার ফলাফল এবং Registering Officer-এর
দায়িত্ব ও ক্ষমতা।
৩. The State Acquisition and Tenancy Act, 1950
সম্পত্তি আইন প্রস্তুতিতে The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কিছুটা জটিল আইন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে ধারা ২ থেকে। বিশেষ করে ২ (২, ৬, ৯, ৯ ক, ১১, ১২, ১৪, ১৬, ২০, ২২, ২৭, ৩০)। ধারা ২০ ভালোভাবে বুঝে পড়া জরুরি। ল্যান্ড সিলিং (এই অংশে Land Reforms Act ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের রেফারেন্সসহ পড়া উচিত), সাব-লেটিং (৭৫ ক, ৮১ ক, ৯৩ ধারা), সিকস্তি-পয়স্তি (ল্যান্ডমার্ক কেসসহ), রেকর্ড অব রাইটস, খাজনা ও খাজনার হার, রায়তের অধিকার ও বিলুপ্তি, মর্টগেজ, অগ্রক্রয়, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলেট ট্রাইব্যুনাল, আপিল-রিভিশন, আদিবাসীদের দ্বারা ভূমি হস্তান্তর, অ্যামালগামেশন, সাবডিভিশন, কনসলিডেশন ও নামজারি—এসব বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়া প্রয়োজন। প্রিলি পরীক্ষায় ফোকাস করতে হবে আপিল ও রিভিশনের সময়সীমা, ফোরাম, বিভিন্ন অথরিটির ক্ষমতা, দরখাস্তের প্রক্রিয়া, খাজনা নির্ধারণ ও মওকুফের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কারা, অগ্রক্রয়ের সময়সীমা, কোর্ট ফিসহ ৯৬ ধারার উপধারাগুলো ভালোভাবে পড়ে ফেলতে হবে।
৪. The Non-Agricultural Tenancy Act, 1949
এটি সম্পত্তি আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলির জন্য বিশেষভাবে ধারা ৩, ৬, ১০, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৬, ২৬ ক, ৬৪-৬৬, ৭০, ৭১, ৭৫-৭৭, ৮৫, ৮৫ক ও ৮৭-এর ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্ন প্রায় একই টপিক ঘিরে আসে। বিশেষ করে অগ্রক্রয়-সম্পর্কিত অধ্যায়টি থেকে প্রবলেমেটিক প্রশ্ন আসার প্রবণতা বেশি।
তাই অগ্রক্রয় টপিক-সম্পর্কিত সব আইনের তুলনামূলক আলোচনাগুলো অধ্যয়ন করা
জরুরি। লিখিত পরীক্ষায় ধারা ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ২০, ২৩, ২৬ ক, ৭০, ৭৭ ও ৮৫ এগুলোর ওপর ভালো ধারণা রাখতে হবে। এ ছাড়া ডেফিনেশন ও উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়গুলো থেকে নিয়মিতভাবে প্রশ্ন আসে।
৫. The Transfer of Property Act, 1882
এটি ডকট্রিনভিত্তিক একটি আইন। এই আইনটিতে প্রিলি ও রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রথমে বেয়ার অ্যাক্টের ধারাগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে, বিশেষ করে যেখানে উদাহরণ দেওয়া আছে। কারণ প্রবলেমেটিক প্রশ্ন সাধারণত সেই উদাহরণ থেকেই আসে। এই আইনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ডকট্রিনভিত্তিক পড়াশোনা। কোন ধারায় কোন ডকট্রিন প্রতিফলিত হয়েছে, তা উদাহরণসহ বুঝে পড়া জরুরি। বিক্রয়, রেহেন, ইজারা, চার্জ ও অ্যাকশনেবল ক্লেইমের সৃষ্টি, বৈশিষ্ট্য, পক্ষদের দায়দায়িত্ব ও পার্থক্য ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। ধারা ৩ থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসে, তাই এটি বিশেষভাবে পড়তে হবে।
পরীক্ষায় ভালো করতে ৫ করণীয়
■ বেয়ার অ্যাক্ট পড়ুন: প্রিলি পরীক্ষার জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট পড়া উচিত। ধারাগুলো, সংজ্ঞা এবং মূল ধারা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রায়ই সরাসরি
আইন থেকে আসে।
■ বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ: লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়া উচিত। এতে বোঝা যাবে কোন টপিক থেকে বারবার প্রশ্ন আসছে এবং আপনার প্রস্তুতি সেই অনুযায়ী সাজানো সম্ভব হবে। এটি আপনার সময় এবং পরিশ্রম সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।
■ খাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধি: লিখিত পরীক্ষায় খাতার সৌন্দর্য এবং প্রেজেন্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম, প্রয়োজনীয় ডকট্রিন উল্লেখ ও দু-তিনটি উদাহরণ খাতায় লিখুন। এ পদ্ধতি ছাড়া খাতার সৌন্দর্য ও প্রভাব বাড়ানো সম্ভব নয়।
■ প্রবলেমেটিক প্রশ্নে গুরুত্ব দিন: প্রবলেমেটিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারলে লিখিত পরীক্ষায় উচ্চ মার্কস পাওয়া যায়। তাই এ ধরনের প্রশ্নগুলোর প্রস্তুতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিন।
■ সাজানো ও গোছানো প্রস্তুতি: আপনার প্রস্তুতি যা-ই হোক, তা সাজানো ও গোছানো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলোমেলো পড়াশোনা থেকে ভালো লিখতে পারা কঠিন। তাই এখন থেকেই পড়াশোনার সবকিছু গুছিয়ে রাখা শুরু করুন।

২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে