পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর
রাহুল শর্মা, ঢাকা
প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, ডিআইএর সক্ষমতা বাড়াতে দুই বছর মেয়াদি এই স্কিম বাস্তবায়ন করা হবে মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায়। এসইডিপি কর্তৃপক্ষ ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ’ শীর্ষক এই স্কিমের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। স্কিম বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত সম্মতি দিয়ে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে এসইডিপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্কিমটির কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। অবশ্য এসইডিপির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্কিমটির নথিপত্রে দেখা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ শীর্ষক স্কিম বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। এই খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সফটওয়্যার ও পরামর্শক সেবার সম্মানী ও বিশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই দুই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, প্রশাসনিক ব্যয়, মুদ্রণ, মনিহারি কেনাকাটাসহ অন্যান্য খাতে।
জানা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিমের আওতায় ৪৮ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে বাজেট ব্যবস্থাপনা, নিরীক্ষা ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণ, অডিট ও ইন্সপেকশন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, অ্যাডভান্সড আইসিটি, অটোমেটেড সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্মার্ট পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫টি মডিউল অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।
ডিআইএর মূল কাজ হলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডসহ যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি তদন্ত করে ডিআইএ।
১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর ডিআইএর যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ হাজার। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৯টি। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করার মতো সক্ষমতা ডিআইএর নেই। সংস্থাটির কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিযোগও উঠেছে।
ডিআইএ সূত্র বলছে, সম্প্রতি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিম বাস্তবায়নের উদ্যোগসহ নানা পদক্ষেপে গতি এসেছে ডিআইএর কার্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-ক্যাশ বুক ও পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর উদ্যোগ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ডিআইএর কয়েকজন শিক্ষা পরিদর্শক ও সহকারী শিক্ষা পরিদর্শককে ‘নজরদারিতে’ রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে। একই সঙ্গে ডিআইএর ‘বদনাম’ও ঘুচবে। কারণ, তখন নিরীক্ষা কার্যক্রমে অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সার্বিক বিষয়ে গতকাল বুধবার জানতে চাইলে ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘স্কিমটি অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনো কোনো সরকারি আদেশ পাওয়া যায়নি। আশা করছি, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে।’ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:
প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, ডিআইএর সক্ষমতা বাড়াতে দুই বছর মেয়াদি এই স্কিম বাস্তবায়ন করা হবে মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায়। এসইডিপি কর্তৃপক্ষ ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ’ শীর্ষক এই স্কিমের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। স্কিম বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত সম্মতি দিয়ে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে এসইডিপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্কিমটির কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। অবশ্য এসইডিপির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্কিমটির নথিপত্রে দেখা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ শীর্ষক স্কিম বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। এই খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সফটওয়্যার ও পরামর্শক সেবার সম্মানী ও বিশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই দুই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, প্রশাসনিক ব্যয়, মুদ্রণ, মনিহারি কেনাকাটাসহ অন্যান্য খাতে।
জানা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিমের আওতায় ৪৮ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে বাজেট ব্যবস্থাপনা, নিরীক্ষা ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণ, অডিট ও ইন্সপেকশন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, অ্যাডভান্সড আইসিটি, অটোমেটেড সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্মার্ট পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫টি মডিউল অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।
ডিআইএর মূল কাজ হলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডসহ যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি তদন্ত করে ডিআইএ।
১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর ডিআইএর যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ হাজার। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৯টি। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করার মতো সক্ষমতা ডিআইএর নেই। সংস্থাটির কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিযোগও উঠেছে।
ডিআইএ সূত্র বলছে, সম্প্রতি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিম বাস্তবায়নের উদ্যোগসহ নানা পদক্ষেপে গতি এসেছে ডিআইএর কার্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-ক্যাশ বুক ও পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর উদ্যোগ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ডিআইএর কয়েকজন শিক্ষা পরিদর্শক ও সহকারী শিক্ষা পরিদর্শককে ‘নজরদারিতে’ রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে। একই সঙ্গে ডিআইএর ‘বদনাম’ও ঘুচবে। কারণ, তখন নিরীক্ষা কার্যক্রমে অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সার্বিক বিষয়ে গতকাল বুধবার জানতে চাইলে ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘স্কিমটি অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনো কোনো সরকারি আদেশ পাওয়া যায়নি। আশা করছি, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে।’ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ১০২ জন, যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৯৭৪ জন কম। ২ হাজার ৬৮২টি মাদ্রাসার এসব পরীক্ষার্থী ৪৫৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষায় অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ
১ ঘণ্টা আগেএবার এইচএসসিতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৩০২, মোট কেন্দ্র ছিল ২ হাজার ৮০০টি। গত বছর মোট প্রতিষ্ঠান ছিল ৯ হাজার ১৯৭টি, কেন্দ্র ছিল ২ হাজার ৬৯৫টি। শতভাগ পাস করেছে ৯৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
২ ঘণ্টা আগেজিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ জন এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে