সপ্তর্ষি মণ্ডল

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
কোচিং, প্রাইভেট বা যেকোনো প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা কেবল নিজের সময় ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষা দেওয়ার মনোভাব তৈরির জন্য। পরবর্তী দুই মাস অনেক পরীক্ষা, প্রতিযোগিতায় পার করলেও এই কয়েকটা দিন এগুলো আর না করাই শ্রেয়। তবে প্রতিদিন সকাল ১০টায় একটা ১০০ নম্বরের প্রশ্ন সমাধান করলে ১০ মার্চের পরীক্ষায় ঠিক সকাল ১০টায় পরীক্ষার ভয়টা অনেকাংশেই কমে যাবে।
সবার আগে সুস্থতা
পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, পানি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ভর্তির আগে আমরা অনেকেই রাত জেগে পড়ে সকালে অনেক দেরিতে উঠি। কিন্তু ১০ মার্চের পরীক্ষাটি কিন্তু সকাল ১০টায়। তো এই শেষ সপ্তাহটি অভ্যাস করতে হবে রাতে ১২টায় ঘুমিয়ে সকাল ৬টার মধ্যে উঠতে। ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কারণ, প্রস্তুতি তোমার শেষ, এখন শুধু সেটার যথাযথ প্রয়োগ দরকার। এর জন্য সুস্থ শরীর ও মনের বিকল্প নেই।
এখন কঠিন টপিক নয়
পরীক্ষার আগের এই কয়েকটা দিন শুধু পাঠ্যবই পড়াই শ্রেয়। গুরুত্বপূর্ণ ছক বৈশিষ্ট্য, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, সব বিষয়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন—এগুলো থাকবে রিভিশনের তালিকায়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ—বিষয়গুলো রিভিশন করতে হবে। ইংরেজি বিগত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএসের প্রশ্ন এ-সম্পর্কিত টপিকই পড়া উচিত। বাদ দিতে হবে কঠিন টপিক। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের চ্যাপ্টারগুলোতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে হবে
মেডিকেল পরীক্ষার সঙ্গে আমাদের অনেক আবেগ, পরিবারের প্রত্যাশা, নিজেকে প্রমাণ করার আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে থাকে। আবার মাত্র ১ ঘণ্টার একটা পরীক্ষায় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি থাকলেও মানসিক চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। চাপের মধ্যেও পরীক্ষা ভালোভাবে দেওয়ার জন্য নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
ভাবতে হবে ব্যর্থতার বিকল্প
এক ঘণ্টার একটা পরীক্ষা অনেক কিছুই নির্ধারণ করে কিন্তু কখনোই এটা নিশ্চিতভাবে একটা মানুষের যোগ্যতা বা অযোগ্যতার মানদণ্ড না। হাতে অনেক অপশন আছে যেমন:
আমরা কেউ জানি না, আজকে একটা ব্যর্থতা, হয়তো কালকে অনেক বড় একটা সাফল্যের পথ খুলে দিতে পারে।
পরীক্ষার আগের দিন
স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা মাথায় শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই পড়তে হবে। রাত ১০টার পরে আর পড়তে না যাওয়াই ভালো। বাবা-মা পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটাও বা ফোনে কথা বলো। নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করো, নিজেকে উৎসাহ দাও। পরীক্ষার আগের রাতে পুরোনো পড়া মনে করতে যাওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনীয় কলম, পেনসিল, অ্যাডমিট কার্ড—ওগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে নাও।
ঘুমাতে যাও তাড়াতাড়ি। ঘুম না এলে চুপচাপ শুয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করো। তোমার আগামীকালের পরীক্ষাটি তোমার জীবনের একটা অংশমাত্র। আর তোমার সৎ পরিশ্রম কখনোই বিফল হবে না।
পরীক্ষার দিন করণীয়
সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ো। গোসল করে একটা পরিপাটি ও আরামদায়ক পোশাক পরো। এই পোশাকটিও তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। পরীক্ষার আগে ভারী খাবার না খেয়ে রোজকার স্বাভাবিক নাশতা করো, তবে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। হলের জন্য সঙ্গে দুটো চকলেট রাখো। পরীক্ষার শুরুর আগে খেতে পারো। গ্লুকোজ ব্রেনকে শক্তি জোগায়। হলে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পৌঁছাবে। সেই অনুযায়ী দূরত্ব ও যানজটের হিসাব মাথায় রেখে হাতের সময় নিয়ে বের হতে হবে। পরীক্ষার হলের ভিড়ে ভয় পাওয়া যাবে না। প্রত্যেকে ঠিক তোমার মতোই। রুম ও সিট নম্বর খুঁজে বসে আগে চেক করো বেঞ্চ ঠিক আছে কি না। সমস্যা থাকলে আগেই হলের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে জানাও। আশপাশের কারও সঙ্গে বেশি কথা না বলা ভালো। তবে হালকা কথা বলা অনেক সময় টেনশন কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা আনতে সাহায্য করে। পরীক্ষার পরিদর্শক অফিসারদের নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ঘড়ি যদি বেশি দূরে থাকে পরিদর্শকের কাছে কয়েক বার করে সময় জিজ্ঞেস করতে পারো। এক ঘণ্টার ১০০টা এমসিকিউ দাগানোর মূল হাতিয়ার সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা।
প্রশ্ন পেলে যা করবে
যেকোনো সহজ একটা প্রশ্ন দিয়ে একেক করে দাগানো শুরু করবে। প্রশ্ন আর ওএমআরের সিরিয়াল খেয়াল রাখতে হবে। প্রশ্নটা সমাধান করবে তিনটি পর্যায়ে।
সপ্তর্ষি মণ্ডল, শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
কোচিং, প্রাইভেট বা যেকোনো প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা কেবল নিজের সময় ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষা দেওয়ার মনোভাব তৈরির জন্য। পরবর্তী দুই মাস অনেক পরীক্ষা, প্রতিযোগিতায় পার করলেও এই কয়েকটা দিন এগুলো আর না করাই শ্রেয়। তবে প্রতিদিন সকাল ১০টায় একটা ১০০ নম্বরের প্রশ্ন সমাধান করলে ১০ মার্চের পরীক্ষায় ঠিক সকাল ১০টায় পরীক্ষার ভয়টা অনেকাংশেই কমে যাবে।
সবার আগে সুস্থতা
পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, পানি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ভর্তির আগে আমরা অনেকেই রাত জেগে পড়ে সকালে অনেক দেরিতে উঠি। কিন্তু ১০ মার্চের পরীক্ষাটি কিন্তু সকাল ১০টায়। তো এই শেষ সপ্তাহটি অভ্যাস করতে হবে রাতে ১২টায় ঘুমিয়ে সকাল ৬টার মধ্যে উঠতে। ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কারণ, প্রস্তুতি তোমার শেষ, এখন শুধু সেটার যথাযথ প্রয়োগ দরকার। এর জন্য সুস্থ শরীর ও মনের বিকল্প নেই।
এখন কঠিন টপিক নয়
পরীক্ষার আগের এই কয়েকটা দিন শুধু পাঠ্যবই পড়াই শ্রেয়। গুরুত্বপূর্ণ ছক বৈশিষ্ট্য, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, সব বিষয়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন—এগুলো থাকবে রিভিশনের তালিকায়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ—বিষয়গুলো রিভিশন করতে হবে। ইংরেজি বিগত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএসের প্রশ্ন এ-সম্পর্কিত টপিকই পড়া উচিত। বাদ দিতে হবে কঠিন টপিক। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের চ্যাপ্টারগুলোতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে হবে
মেডিকেল পরীক্ষার সঙ্গে আমাদের অনেক আবেগ, পরিবারের প্রত্যাশা, নিজেকে প্রমাণ করার আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে থাকে। আবার মাত্র ১ ঘণ্টার একটা পরীক্ষায় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি থাকলেও মানসিক চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। চাপের মধ্যেও পরীক্ষা ভালোভাবে দেওয়ার জন্য নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
ভাবতে হবে ব্যর্থতার বিকল্প
এক ঘণ্টার একটা পরীক্ষা অনেক কিছুই নির্ধারণ করে কিন্তু কখনোই এটা নিশ্চিতভাবে একটা মানুষের যোগ্যতা বা অযোগ্যতার মানদণ্ড না। হাতে অনেক অপশন আছে যেমন:
আমরা কেউ জানি না, আজকে একটা ব্যর্থতা, হয়তো কালকে অনেক বড় একটা সাফল্যের পথ খুলে দিতে পারে।
পরীক্ষার আগের দিন
স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা মাথায় শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই পড়তে হবে। রাত ১০টার পরে আর পড়তে না যাওয়াই ভালো। বাবা-মা পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটাও বা ফোনে কথা বলো। নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করো, নিজেকে উৎসাহ দাও। পরীক্ষার আগের রাতে পুরোনো পড়া মনে করতে যাওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনীয় কলম, পেনসিল, অ্যাডমিট কার্ড—ওগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে নাও।
ঘুমাতে যাও তাড়াতাড়ি। ঘুম না এলে চুপচাপ শুয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করো। তোমার আগামীকালের পরীক্ষাটি তোমার জীবনের একটা অংশমাত্র। আর তোমার সৎ পরিশ্রম কখনোই বিফল হবে না।
পরীক্ষার দিন করণীয়
সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ো। গোসল করে একটা পরিপাটি ও আরামদায়ক পোশাক পরো। এই পোশাকটিও তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। পরীক্ষার আগে ভারী খাবার না খেয়ে রোজকার স্বাভাবিক নাশতা করো, তবে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। হলের জন্য সঙ্গে দুটো চকলেট রাখো। পরীক্ষার শুরুর আগে খেতে পারো। গ্লুকোজ ব্রেনকে শক্তি জোগায়। হলে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পৌঁছাবে। সেই অনুযায়ী দূরত্ব ও যানজটের হিসাব মাথায় রেখে হাতের সময় নিয়ে বের হতে হবে। পরীক্ষার হলের ভিড়ে ভয় পাওয়া যাবে না। প্রত্যেকে ঠিক তোমার মতোই। রুম ও সিট নম্বর খুঁজে বসে আগে চেক করো বেঞ্চ ঠিক আছে কি না। সমস্যা থাকলে আগেই হলের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে জানাও। আশপাশের কারও সঙ্গে বেশি কথা না বলা ভালো। তবে হালকা কথা বলা অনেক সময় টেনশন কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা আনতে সাহায্য করে। পরীক্ষার পরিদর্শক অফিসারদের নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ঘড়ি যদি বেশি দূরে থাকে পরিদর্শকের কাছে কয়েক বার করে সময় জিজ্ঞেস করতে পারো। এক ঘণ্টার ১০০টা এমসিকিউ দাগানোর মূল হাতিয়ার সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা।
প্রশ্ন পেলে যা করবে
যেকোনো সহজ একটা প্রশ্ন দিয়ে একেক করে দাগানো শুরু করবে। প্রশ্ন আর ওএমআরের সিরিয়াল খেয়াল রাখতে হবে। প্রশ্নটা সমাধান করবে তিনটি পর্যায়ে।
সপ্তর্ষি মণ্ডল, শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
সপ্তর্ষি মণ্ডল

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
কোচিং, প্রাইভেট বা যেকোনো প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা কেবল নিজের সময় ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষা দেওয়ার মনোভাব তৈরির জন্য। পরবর্তী দুই মাস অনেক পরীক্ষা, প্রতিযোগিতায় পার করলেও এই কয়েকটা দিন এগুলো আর না করাই শ্রেয়। তবে প্রতিদিন সকাল ১০টায় একটা ১০০ নম্বরের প্রশ্ন সমাধান করলে ১০ মার্চের পরীক্ষায় ঠিক সকাল ১০টায় পরীক্ষার ভয়টা অনেকাংশেই কমে যাবে।
সবার আগে সুস্থতা
পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, পানি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ভর্তির আগে আমরা অনেকেই রাত জেগে পড়ে সকালে অনেক দেরিতে উঠি। কিন্তু ১০ মার্চের পরীক্ষাটি কিন্তু সকাল ১০টায়। তো এই শেষ সপ্তাহটি অভ্যাস করতে হবে রাতে ১২টায় ঘুমিয়ে সকাল ৬টার মধ্যে উঠতে। ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কারণ, প্রস্তুতি তোমার শেষ, এখন শুধু সেটার যথাযথ প্রয়োগ দরকার। এর জন্য সুস্থ শরীর ও মনের বিকল্প নেই।
এখন কঠিন টপিক নয়
পরীক্ষার আগের এই কয়েকটা দিন শুধু পাঠ্যবই পড়াই শ্রেয়। গুরুত্বপূর্ণ ছক বৈশিষ্ট্য, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, সব বিষয়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন—এগুলো থাকবে রিভিশনের তালিকায়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ—বিষয়গুলো রিভিশন করতে হবে। ইংরেজি বিগত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএসের প্রশ্ন এ-সম্পর্কিত টপিকই পড়া উচিত। বাদ দিতে হবে কঠিন টপিক। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের চ্যাপ্টারগুলোতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে হবে
মেডিকেল পরীক্ষার সঙ্গে আমাদের অনেক আবেগ, পরিবারের প্রত্যাশা, নিজেকে প্রমাণ করার আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে থাকে। আবার মাত্র ১ ঘণ্টার একটা পরীক্ষায় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি থাকলেও মানসিক চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। চাপের মধ্যেও পরীক্ষা ভালোভাবে দেওয়ার জন্য নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
ভাবতে হবে ব্যর্থতার বিকল্প
এক ঘণ্টার একটা পরীক্ষা অনেক কিছুই নির্ধারণ করে কিন্তু কখনোই এটা নিশ্চিতভাবে একটা মানুষের যোগ্যতা বা অযোগ্যতার মানদণ্ড না। হাতে অনেক অপশন আছে যেমন:
আমরা কেউ জানি না, আজকে একটা ব্যর্থতা, হয়তো কালকে অনেক বড় একটা সাফল্যের পথ খুলে দিতে পারে।
পরীক্ষার আগের দিন
স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা মাথায় শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই পড়তে হবে। রাত ১০টার পরে আর পড়তে না যাওয়াই ভালো। বাবা-মা পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটাও বা ফোনে কথা বলো। নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করো, নিজেকে উৎসাহ দাও। পরীক্ষার আগের রাতে পুরোনো পড়া মনে করতে যাওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনীয় কলম, পেনসিল, অ্যাডমিট কার্ড—ওগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে নাও।
ঘুমাতে যাও তাড়াতাড়ি। ঘুম না এলে চুপচাপ শুয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করো। তোমার আগামীকালের পরীক্ষাটি তোমার জীবনের একটা অংশমাত্র। আর তোমার সৎ পরিশ্রম কখনোই বিফল হবে না।
পরীক্ষার দিন করণীয়
সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ো। গোসল করে একটা পরিপাটি ও আরামদায়ক পোশাক পরো। এই পোশাকটিও তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। পরীক্ষার আগে ভারী খাবার না খেয়ে রোজকার স্বাভাবিক নাশতা করো, তবে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। হলের জন্য সঙ্গে দুটো চকলেট রাখো। পরীক্ষার শুরুর আগে খেতে পারো। গ্লুকোজ ব্রেনকে শক্তি জোগায়। হলে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পৌঁছাবে। সেই অনুযায়ী দূরত্ব ও যানজটের হিসাব মাথায় রেখে হাতের সময় নিয়ে বের হতে হবে। পরীক্ষার হলের ভিড়ে ভয় পাওয়া যাবে না। প্রত্যেকে ঠিক তোমার মতোই। রুম ও সিট নম্বর খুঁজে বসে আগে চেক করো বেঞ্চ ঠিক আছে কি না। সমস্যা থাকলে আগেই হলের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে জানাও। আশপাশের কারও সঙ্গে বেশি কথা না বলা ভালো। তবে হালকা কথা বলা অনেক সময় টেনশন কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা আনতে সাহায্য করে। পরীক্ষার পরিদর্শক অফিসারদের নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ঘড়ি যদি বেশি দূরে থাকে পরিদর্শকের কাছে কয়েক বার করে সময় জিজ্ঞেস করতে পারো। এক ঘণ্টার ১০০টা এমসিকিউ দাগানোর মূল হাতিয়ার সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা।
প্রশ্ন পেলে যা করবে
যেকোনো সহজ একটা প্রশ্ন দিয়ে একেক করে দাগানো শুরু করবে। প্রশ্ন আর ওএমআরের সিরিয়াল খেয়াল রাখতে হবে। প্রশ্নটা সমাধান করবে তিনটি পর্যায়ে।
সপ্তর্ষি মণ্ডল, শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
কোচিং, প্রাইভেট বা যেকোনো প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা কেবল নিজের সময় ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষা দেওয়ার মনোভাব তৈরির জন্য। পরবর্তী দুই মাস অনেক পরীক্ষা, প্রতিযোগিতায় পার করলেও এই কয়েকটা দিন এগুলো আর না করাই শ্রেয়। তবে প্রতিদিন সকাল ১০টায় একটা ১০০ নম্বরের প্রশ্ন সমাধান করলে ১০ মার্চের পরীক্ষায় ঠিক সকাল ১০টায় পরীক্ষার ভয়টা অনেকাংশেই কমে যাবে।
সবার আগে সুস্থতা
পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, পানি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ভর্তির আগে আমরা অনেকেই রাত জেগে পড়ে সকালে অনেক দেরিতে উঠি। কিন্তু ১০ মার্চের পরীক্ষাটি কিন্তু সকাল ১০টায়। তো এই শেষ সপ্তাহটি অভ্যাস করতে হবে রাতে ১২টায় ঘুমিয়ে সকাল ৬টার মধ্যে উঠতে। ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কারণ, প্রস্তুতি তোমার শেষ, এখন শুধু সেটার যথাযথ প্রয়োগ দরকার। এর জন্য সুস্থ শরীর ও মনের বিকল্প নেই।
এখন কঠিন টপিক নয়
পরীক্ষার আগের এই কয়েকটা দিন শুধু পাঠ্যবই পড়াই শ্রেয়। গুরুত্বপূর্ণ ছক বৈশিষ্ট্য, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, সব বিষয়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন—এগুলো থাকবে রিভিশনের তালিকায়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ—বিষয়গুলো রিভিশন করতে হবে। ইংরেজি বিগত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএসের প্রশ্ন এ-সম্পর্কিত টপিকই পড়া উচিত। বাদ দিতে হবে কঠিন টপিক। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের চ্যাপ্টারগুলোতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে হবে
মেডিকেল পরীক্ষার সঙ্গে আমাদের অনেক আবেগ, পরিবারের প্রত্যাশা, নিজেকে প্রমাণ করার আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে থাকে। আবার মাত্র ১ ঘণ্টার একটা পরীক্ষায় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি থাকলেও মানসিক চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। চাপের মধ্যেও পরীক্ষা ভালোভাবে দেওয়ার জন্য নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
ভাবতে হবে ব্যর্থতার বিকল্প
এক ঘণ্টার একটা পরীক্ষা অনেক কিছুই নির্ধারণ করে কিন্তু কখনোই এটা নিশ্চিতভাবে একটা মানুষের যোগ্যতা বা অযোগ্যতার মানদণ্ড না। হাতে অনেক অপশন আছে যেমন:
আমরা কেউ জানি না, আজকে একটা ব্যর্থতা, হয়তো কালকে অনেক বড় একটা সাফল্যের পথ খুলে দিতে পারে।
পরীক্ষার আগের দিন
স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা মাথায় শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই পড়তে হবে। রাত ১০টার পরে আর পড়তে না যাওয়াই ভালো। বাবা-মা পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটাও বা ফোনে কথা বলো। নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করো, নিজেকে উৎসাহ দাও। পরীক্ষার আগের রাতে পুরোনো পড়া মনে করতে যাওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনীয় কলম, পেনসিল, অ্যাডমিট কার্ড—ওগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে নাও।
ঘুমাতে যাও তাড়াতাড়ি। ঘুম না এলে চুপচাপ শুয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করো। তোমার আগামীকালের পরীক্ষাটি তোমার জীবনের একটা অংশমাত্র। আর তোমার সৎ পরিশ্রম কখনোই বিফল হবে না।
পরীক্ষার দিন করণীয়
সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ো। গোসল করে একটা পরিপাটি ও আরামদায়ক পোশাক পরো। এই পোশাকটিও তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। পরীক্ষার আগে ভারী খাবার না খেয়ে রোজকার স্বাভাবিক নাশতা করো, তবে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। হলের জন্য সঙ্গে দুটো চকলেট রাখো। পরীক্ষার শুরুর আগে খেতে পারো। গ্লুকোজ ব্রেনকে শক্তি জোগায়। হলে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পৌঁছাবে। সেই অনুযায়ী দূরত্ব ও যানজটের হিসাব মাথায় রেখে হাতের সময় নিয়ে বের হতে হবে। পরীক্ষার হলের ভিড়ে ভয় পাওয়া যাবে না। প্রত্যেকে ঠিক তোমার মতোই। রুম ও সিট নম্বর খুঁজে বসে আগে চেক করো বেঞ্চ ঠিক আছে কি না। সমস্যা থাকলে আগেই হলের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে জানাও। আশপাশের কারও সঙ্গে বেশি কথা না বলা ভালো। তবে হালকা কথা বলা অনেক সময় টেনশন কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা আনতে সাহায্য করে। পরীক্ষার পরিদর্শক অফিসারদের নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ঘড়ি যদি বেশি দূরে থাকে পরিদর্শকের কাছে কয়েক বার করে সময় জিজ্ঞেস করতে পারো। এক ঘণ্টার ১০০টা এমসিকিউ দাগানোর মূল হাতিয়ার সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা।
প্রশ্ন পেলে যা করবে
যেকোনো সহজ একটা প্রশ্ন দিয়ে একেক করে দাগানো শুরু করবে। প্রশ্ন আর ওএমআরের সিরিয়াল খেয়াল রাখতে হবে। প্রশ্নটা সমাধান করবে তিনটি পর্যায়ে।
সপ্তর্ষি মণ্ডল, শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৭ ঘণ্টা আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের এ কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
০৫ মার্চ ২০২৩
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের এ কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
০৫ মার্চ ২০২৩
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেমো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের এ কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
০৫ মার্চ ২০২৩
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৭ ঘণ্টা আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। স্বপ্নের এই অগ্রযাত্রায় নিজেকে সাবলীলভাবে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এই প্রস্তুতি তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। তাই হাতের এ কয়টা দিন তোমরা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করো।
০৫ মার্চ ২০২৩
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
৭ ঘণ্টা আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
১৮ ঘণ্টা আগে