আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাহিত্য তত্ত্ব ও দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য চলতি বছর নরওয়ে সরকারের হলবার্গ পুরস্কার পেয়েছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। গত ১৩ মার্চ প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে হলবার্গ প্রাইজ কর্তৃপক্ষ।
গায়ত্রী স্পিভাকের নাম ঘোষণা করে তাঁর সম্পর্কে হলবার্গ কমিটির সভাপতি হেইকে ক্রিগার বলেন, ‘একজন সমাজমনস্ক বুদ্ধিজীবী ও কর্মী হিসেবে, স্পিভাক প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে কার্যকর বিকল্প তৈরি করতে সৃজনশীল চিন্তা ও স্থানীয় উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে চান তিনি।’
ক্রিগার আরও বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক এসেন্সিয়ালিজম’ ও ‘গ্লোবাল ক্রিটিক্যালিটি’–এর মতো ধারাগুলো এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। স্পিভাকের কাজ পাঠক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের চিন্তা করতে উৎসাহিত করে, যা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়। পশ্চিমা চিন্তার মূল কাঠামোকে সমালোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বৈশ্বিক আধুনিকতার কেন্দ্র ও প্রান্ত—দুই দিকেই নতুন নতুন সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের পথ খুলে দিয়েছেন।
গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
গায়ত্রী তাঁর দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে তুলনামূলক সাহিত্য, অনুবাদ, উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়ন (পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজ), রাজনৈতিক দর্শন এবং নারীবাদী তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর বহুল আলোচিত প্রবন্ধ ‘ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক?’ (১৯৮৮) উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছে। সেটিতে মূলত পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়েছে, পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রান্তিক গোষ্ঠীর সংগ্রামকে।
এ ছাড়া তাঁর আরও কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—ডেথ অব ডিসিপ্লিন (২২০৩), ক্রিটিক অব পোস্ট কলোনিয়াল রিজন (১৯৯৯), অ্যান এস্থেটিক এডুকেশন ইন দ্য এরা অব গ্লোবালাইজেশন (২০১২), এথিকস অ্যান্ড পলিটিকস ইন টেগোর, কোয়েৎজি অ্যান্ড সার্টেইন সিনস অব টিচিং (২০১৮)।
শুধু তাত্ত্বিক চিন্তা নন, গায়ত্রী স্পিভাক একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও। তিনি বিভিন্ন দেশে প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করছেন। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে শিক্ষামূলক প্রকল্প প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন।
উল্লেখ্য, হলবার্গ পুরস্কার একটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। নরওয়ে সরকার প্রতি বছর শিল্প, মানবিকবিদ্যা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট গবেষকদের এই পুরস্কার দেয়। এটি ড্যানিশ–নরওয়েজীয় লেখক ও শিক্ষাবিদ লুডভিগ হলবার্গ (১৬৮৪–১৭৫৪)–এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ৬০ লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোন বা প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বিজয়ীর গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। হলবার্গ পুরস্কারের বিজয়ীর নাম প্রতি বছর মার্চ মাসে ঘোষণা করা হয়। জুন মাসে নরওয়ের বার্গেন শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়।

সাহিত্য তত্ত্ব ও দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য চলতি বছর নরওয়ে সরকারের হলবার্গ পুরস্কার পেয়েছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। গত ১৩ মার্চ প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে হলবার্গ প্রাইজ কর্তৃপক্ষ।
গায়ত্রী স্পিভাকের নাম ঘোষণা করে তাঁর সম্পর্কে হলবার্গ কমিটির সভাপতি হেইকে ক্রিগার বলেন, ‘একজন সমাজমনস্ক বুদ্ধিজীবী ও কর্মী হিসেবে, স্পিভাক প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে কার্যকর বিকল্প তৈরি করতে সৃজনশীল চিন্তা ও স্থানীয় উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে চান তিনি।’
ক্রিগার আরও বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক এসেন্সিয়ালিজম’ ও ‘গ্লোবাল ক্রিটিক্যালিটি’–এর মতো ধারাগুলো এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। স্পিভাকের কাজ পাঠক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের চিন্তা করতে উৎসাহিত করে, যা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়। পশ্চিমা চিন্তার মূল কাঠামোকে সমালোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বৈশ্বিক আধুনিকতার কেন্দ্র ও প্রান্ত—দুই দিকেই নতুন নতুন সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের পথ খুলে দিয়েছেন।
গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
গায়ত্রী তাঁর দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে তুলনামূলক সাহিত্য, অনুবাদ, উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়ন (পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজ), রাজনৈতিক দর্শন এবং নারীবাদী তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর বহুল আলোচিত প্রবন্ধ ‘ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক?’ (১৯৮৮) উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছে। সেটিতে মূলত পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়েছে, পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রান্তিক গোষ্ঠীর সংগ্রামকে।
এ ছাড়া তাঁর আরও কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—ডেথ অব ডিসিপ্লিন (২২০৩), ক্রিটিক অব পোস্ট কলোনিয়াল রিজন (১৯৯৯), অ্যান এস্থেটিক এডুকেশন ইন দ্য এরা অব গ্লোবালাইজেশন (২০১২), এথিকস অ্যান্ড পলিটিকস ইন টেগোর, কোয়েৎজি অ্যান্ড সার্টেইন সিনস অব টিচিং (২০১৮)।
শুধু তাত্ত্বিক চিন্তা নন, গায়ত্রী স্পিভাক একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও। তিনি বিভিন্ন দেশে প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করছেন। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে শিক্ষামূলক প্রকল্প প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন।
উল্লেখ্য, হলবার্গ পুরস্কার একটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। নরওয়ে সরকার প্রতি বছর শিল্প, মানবিকবিদ্যা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট গবেষকদের এই পুরস্কার দেয়। এটি ড্যানিশ–নরওয়েজীয় লেখক ও শিক্ষাবিদ লুডভিগ হলবার্গ (১৬৮৪–১৭৫৪)–এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ৬০ লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোন বা প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বিজয়ীর গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। হলবার্গ পুরস্কারের বিজয়ীর নাম প্রতি বছর মার্চ মাসে ঘোষণা করা হয়। জুন মাসে নরওয়ের বার্গেন শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাহিত্য তত্ত্ব ও দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য চলতি বছর নরওয়ে সরকারের হলবার্গ পুরস্কার পেয়েছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। গত ১৩ মার্চ প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে হলবার্গ প্রাইজ কর্তৃপক্ষ।
গায়ত্রী স্পিভাকের নাম ঘোষণা করে তাঁর সম্পর্কে হলবার্গ কমিটির সভাপতি হেইকে ক্রিগার বলেন, ‘একজন সমাজমনস্ক বুদ্ধিজীবী ও কর্মী হিসেবে, স্পিভাক প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে কার্যকর বিকল্প তৈরি করতে সৃজনশীল চিন্তা ও স্থানীয় উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে চান তিনি।’
ক্রিগার আরও বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক এসেন্সিয়ালিজম’ ও ‘গ্লোবাল ক্রিটিক্যালিটি’–এর মতো ধারাগুলো এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। স্পিভাকের কাজ পাঠক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের চিন্তা করতে উৎসাহিত করে, যা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়। পশ্চিমা চিন্তার মূল কাঠামোকে সমালোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বৈশ্বিক আধুনিকতার কেন্দ্র ও প্রান্ত—দুই দিকেই নতুন নতুন সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের পথ খুলে দিয়েছেন।
গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
গায়ত্রী তাঁর দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে তুলনামূলক সাহিত্য, অনুবাদ, উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়ন (পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজ), রাজনৈতিক দর্শন এবং নারীবাদী তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর বহুল আলোচিত প্রবন্ধ ‘ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক?’ (১৯৮৮) উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছে। সেটিতে মূলত পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়েছে, পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রান্তিক গোষ্ঠীর সংগ্রামকে।
এ ছাড়া তাঁর আরও কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—ডেথ অব ডিসিপ্লিন (২২০৩), ক্রিটিক অব পোস্ট কলোনিয়াল রিজন (১৯৯৯), অ্যান এস্থেটিক এডুকেশন ইন দ্য এরা অব গ্লোবালাইজেশন (২০১২), এথিকস অ্যান্ড পলিটিকস ইন টেগোর, কোয়েৎজি অ্যান্ড সার্টেইন সিনস অব টিচিং (২০১৮)।
শুধু তাত্ত্বিক চিন্তা নন, গায়ত্রী স্পিভাক একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও। তিনি বিভিন্ন দেশে প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করছেন। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে শিক্ষামূলক প্রকল্প প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন।
উল্লেখ্য, হলবার্গ পুরস্কার একটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। নরওয়ে সরকার প্রতি বছর শিল্প, মানবিকবিদ্যা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট গবেষকদের এই পুরস্কার দেয়। এটি ড্যানিশ–নরওয়েজীয় লেখক ও শিক্ষাবিদ লুডভিগ হলবার্গ (১৬৮৪–১৭৫৪)–এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ৬০ লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোন বা প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বিজয়ীর গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। হলবার্গ পুরস্কারের বিজয়ীর নাম প্রতি বছর মার্চ মাসে ঘোষণা করা হয়। জুন মাসে নরওয়ের বার্গেন শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়।

সাহিত্য তত্ত্ব ও দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য চলতি বছর নরওয়ে সরকারের হলবার্গ পুরস্কার পেয়েছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। গত ১৩ মার্চ প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে হলবার্গ প্রাইজ কর্তৃপক্ষ।
গায়ত্রী স্পিভাকের নাম ঘোষণা করে তাঁর সম্পর্কে হলবার্গ কমিটির সভাপতি হেইকে ক্রিগার বলেন, ‘একজন সমাজমনস্ক বুদ্ধিজীবী ও কর্মী হিসেবে, স্পিভাক প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে কার্যকর বিকল্প তৈরি করতে সৃজনশীল চিন্তা ও স্থানীয় উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে চান তিনি।’
ক্রিগার আরও বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক এসেন্সিয়ালিজম’ ও ‘গ্লোবাল ক্রিটিক্যালিটি’–এর মতো ধারাগুলো এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। স্পিভাকের কাজ পাঠক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের চিন্তা করতে উৎসাহিত করে, যা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়। পশ্চিমা চিন্তার মূল কাঠামোকে সমালোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বৈশ্বিক আধুনিকতার কেন্দ্র ও প্রান্ত—দুই দিকেই নতুন নতুন সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের পথ খুলে দিয়েছেন।
গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
গায়ত্রী তাঁর দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে তুলনামূলক সাহিত্য, অনুবাদ, উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়ন (পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজ), রাজনৈতিক দর্শন এবং নারীবাদী তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর বহুল আলোচিত প্রবন্ধ ‘ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক?’ (১৯৮৮) উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছে। সেটিতে মূলত পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়েছে, পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রান্তিক গোষ্ঠীর সংগ্রামকে।
এ ছাড়া তাঁর আরও কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—ডেথ অব ডিসিপ্লিন (২২০৩), ক্রিটিক অব পোস্ট কলোনিয়াল রিজন (১৯৯৯), অ্যান এস্থেটিক এডুকেশন ইন দ্য এরা অব গ্লোবালাইজেশন (২০১২), এথিকস অ্যান্ড পলিটিকস ইন টেগোর, কোয়েৎজি অ্যান্ড সার্টেইন সিনস অব টিচিং (২০১৮)।
শুধু তাত্ত্বিক চিন্তা নন, গায়ত্রী স্পিভাক একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও। তিনি বিভিন্ন দেশে প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করছেন। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে শিক্ষামূলক প্রকল্প প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন।
উল্লেখ্য, হলবার্গ পুরস্কার একটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। নরওয়ে সরকার প্রতি বছর শিল্প, মানবিকবিদ্যা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট গবেষকদের এই পুরস্কার দেয়। এটি ড্যানিশ–নরওয়েজীয় লেখক ও শিক্ষাবিদ লুডভিগ হলবার্গ (১৬৮৪–১৭৫৪)–এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ৬০ লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোন বা প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বিজয়ীর গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। হলবার্গ পুরস্কারের বিজয়ীর নাম প্রতি বছর মার্চ মাসে ঘোষণা করা হয়। জুন মাসে নরওয়ের বার্গেন শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়।

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
২০ মিনিট আগে
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’
২২ মিনিট আগে
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি অনন্য ও সময়োপযোগী বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংঘাত ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগে
মেরিটাইমবিষয়ক উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের প্রথম ‘বিশেষায়িত’ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’। ব্লু ইকোনমি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ৩৭তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রিও
১ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।
শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।
বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।
পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’
একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।
এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।
শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।
বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।
পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’
একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।
এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
১৭ মার্চ ২০২৫
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’
২২ মিনিট আগে
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি অনন্য ও সময়োপযোগী বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংঘাত ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগে
মেরিটাইমবিষয়ক উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের প্রথম ‘বিশেষায়িত’ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’। ব্লু ইকোনমি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ৩৭তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রিও
১ ঘণ্টা আগেরাকিবুল ইসলাম

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’ নামে পরিচিত টাঙ্গুয়ার হাওর তার স্বচ্ছ জলরাশি, ভাসমান গাছপালা এবং দূরের পাহাড়ঘেরা দৃশ্যে এক জীবন্ত ছবির মতো মনে হয়েছে সবার কাছে।
নৌকায় হাওরের বিস্তীর্ণ জলরাশি পাড়ি দিয়ে জবিসাসের সদস্যরা ঘুরে দেখেন ওয়াচ টাওয়ারের আশপাশ, লাকমা বিলসহ বিভিন্ন এলাকা। ভাসমান গাছের সারি, সূর্যের ঝিকিমিকি আলো আর পাখির কলরব তাদের মুগ্ধ করে। হাওরের স্বচ্ছ জলে গোসল ছিল ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। কেউ জলে ভেসে গান গাইছিলেন, কেউবা ক্যামেরায় ধরে রাখছিলেন মুহূর্তগুলো। সহসভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘হাওরের জলে নামার পর মনে হচ্ছিল, যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক হয়ে গেছি।’
এরপর দলটি পৌঁছে যায় তাহিরপুরে, যেখানে মেঘালয়ের পাহাড়ের পাদদেশে প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছে তার রূপ। বড়হিলে দাঁড়িয়ে তাঁরা উপভোগ করেন পাহাড় আর জলের মেলবন্ধন। স্থানীয় বাজারে নানা পিঠা ও চায়ের স্বাদে তাঁদের ভ্রমণ আরও আনন্দময় হয়েওঠে। স্থানীয় মানুষের আন্তরিকতা আর সরল জীবনযাত্রা সবাইকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।
সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, ‘এই ভ্রমণ আমাদের পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে; প্রকৃতির এত কাছে এসে আমরা জীবনের আসল আনন্দ খুঁজে পেয়েছি।’
রাতে হাওরের ম্লান চাঁদের আলোয় ফিরে আসার পথে সবাই অনুভব করেন, প্রকৃতির সান্নিধ্যই মনের ক্লান্তি দূর করে, আর জীবনকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দেয়। টাঙ্গুয়ার হাওর ও তাহিরপুরের এই যাত্রা তাই জবিসাসের সবার মনে থেকে যাবে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি হয়ে।

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’ নামে পরিচিত টাঙ্গুয়ার হাওর তার স্বচ্ছ জলরাশি, ভাসমান গাছপালা এবং দূরের পাহাড়ঘেরা দৃশ্যে এক জীবন্ত ছবির মতো মনে হয়েছে সবার কাছে।
নৌকায় হাওরের বিস্তীর্ণ জলরাশি পাড়ি দিয়ে জবিসাসের সদস্যরা ঘুরে দেখেন ওয়াচ টাওয়ারের আশপাশ, লাকমা বিলসহ বিভিন্ন এলাকা। ভাসমান গাছের সারি, সূর্যের ঝিকিমিকি আলো আর পাখির কলরব তাদের মুগ্ধ করে। হাওরের স্বচ্ছ জলে গোসল ছিল ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। কেউ জলে ভেসে গান গাইছিলেন, কেউবা ক্যামেরায় ধরে রাখছিলেন মুহূর্তগুলো। সহসভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘হাওরের জলে নামার পর মনে হচ্ছিল, যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক হয়ে গেছি।’
এরপর দলটি পৌঁছে যায় তাহিরপুরে, যেখানে মেঘালয়ের পাহাড়ের পাদদেশে প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছে তার রূপ। বড়হিলে দাঁড়িয়ে তাঁরা উপভোগ করেন পাহাড় আর জলের মেলবন্ধন। স্থানীয় বাজারে নানা পিঠা ও চায়ের স্বাদে তাঁদের ভ্রমণ আরও আনন্দময় হয়েওঠে। স্থানীয় মানুষের আন্তরিকতা আর সরল জীবনযাত্রা সবাইকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।
সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, ‘এই ভ্রমণ আমাদের পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে; প্রকৃতির এত কাছে এসে আমরা জীবনের আসল আনন্দ খুঁজে পেয়েছি।’
রাতে হাওরের ম্লান চাঁদের আলোয় ফিরে আসার পথে সবাই অনুভব করেন, প্রকৃতির সান্নিধ্যই মনের ক্লান্তি দূর করে, আর জীবনকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দেয়। টাঙ্গুয়ার হাওর ও তাহিরপুরের এই যাত্রা তাই জবিসাসের সবার মনে থেকে যাবে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি হয়ে।

গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
১৭ মার্চ ২০২৫
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
২০ মিনিট আগে
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি অনন্য ও সময়োপযোগী বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংঘাত ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগে
মেরিটাইমবিষয়ক উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের প্রথম ‘বিশেষায়িত’ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’। ব্লু ইকোনমি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ৩৭তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রিও
১ ঘণ্টা আগেমো. আশিকুর রহমান

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি অনন্য ও সময়োপযোগী বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংঘাত ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই বিভাগ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসেও (বিইউপি) একই নামে পাঠদান শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান।
যাত্রা ও বিকাশ
দেশে এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ৮ জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে শুধু মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। পরে স্নাতক পর্যায়ে পাঠদান শুরু হয় এবং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী চালু করা হয় প্রফেশনাল স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম।
পাঠ্য বিষয়ের বৈচিত্র্য
বিভাগটির পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে আধুনিক বিশ্বের মানবিক ও কূটনৈতিক বাস্তবতা অনুযায়ী। এখানে পড়ানো হয় শান্তি ও সংঘর্ষ তত্ত্ব, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন, কনফ্লিক্ট রেজল্যুশন, সামাজিক আন্দোলন, পরিবেশ ও কূটনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক। জাতিসংঘের কাঠামো, শরণার্থী সংকট, বৈশ্বিক সংঘাত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার নীতিমালা নিয়ে হয় বিস্তৃত আলোচনা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ফিল্ড রিসার্চ ও ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতাও অর্জনের সুযোগ পান।
কর্মজীবনের সুযোগ
পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। জাতিসংঘ ও তার বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান—ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ব্র্যাক, কেয়ার বাংলাদেশ, অক্সফাম, অ্যাকশনএইড, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, অধিকার এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের মতো মানবাধিকার ও উন্নয়নমূলক সংগঠনে তাঁরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ও ব্যাংক খাতেও তাঁদের কর্মক্ষেত্র ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সম্ভাবনা
এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পিস রিসার্চ একটি স্বতন্ত্র একাডেমিক ডিসিপ্লিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অসলো এবং স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি অনন্য ও সময়োপযোগী বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংঘাত ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই বিভাগ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসেও (বিইউপি) একই নামে পাঠদান শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান।
যাত্রা ও বিকাশ
দেশে এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ৮ জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে শুধু মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। পরে স্নাতক পর্যায়ে পাঠদান শুরু হয় এবং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী চালু করা হয় প্রফেশনাল স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম।
পাঠ্য বিষয়ের বৈচিত্র্য
বিভাগটির পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে আধুনিক বিশ্বের মানবিক ও কূটনৈতিক বাস্তবতা অনুযায়ী। এখানে পড়ানো হয় শান্তি ও সংঘর্ষ তত্ত্ব, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন, কনফ্লিক্ট রেজল্যুশন, সামাজিক আন্দোলন, পরিবেশ ও কূটনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক। জাতিসংঘের কাঠামো, শরণার্থী সংকট, বৈশ্বিক সংঘাত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার নীতিমালা নিয়ে হয় বিস্তৃত আলোচনা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ফিল্ড রিসার্চ ও ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতাও অর্জনের সুযোগ পান।
কর্মজীবনের সুযোগ
পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। জাতিসংঘ ও তার বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান—ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ব্র্যাক, কেয়ার বাংলাদেশ, অক্সফাম, অ্যাকশনএইড, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, অধিকার এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের মতো মানবাধিকার ও উন্নয়নমূলক সংগঠনে তাঁরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ও ব্যাংক খাতেও তাঁদের কর্মক্ষেত্র ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সম্ভাবনা
এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পিস রিসার্চ একটি স্বতন্ত্র একাডেমিক ডিসিপ্লিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অসলো এবং স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।

গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
১৭ মার্চ ২০২৫
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
২০ মিনিট আগে
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’
২২ মিনিট আগে
মেরিটাইমবিষয়ক উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের প্রথম ‘বিশেষায়িত’ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’। ব্লু ইকোনমি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ৩৭তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রিও
১ ঘণ্টা আগেসাদিকুর রহমান সাদি

মেরিটাইমবিষয়ক উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের প্রথম ‘বিশেষায়িত’ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’। ব্লু ইকোনমি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ৩৭তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রিও দেওয়া হচ্ছে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি আবেদন শুরু হবে ২৮ অক্টোবর। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষায় এবারও সেকেন্ড টাইম ও নেগেটিভ মার্কিং রাখা হয়েছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধু নৈর্ব্যত্তিক পদ্ধতিতে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ২০২৬ সালের মে মাসে। আগ্রহীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ বা ২০২৩ সালে মাধ্যমিক (বা সমমান) এবং ২০২৪ বা ২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক (বা সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ, চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
যোগ্যতা ও পরীক্ষার বিষয়
১. আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স
(ক) বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
(খ) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের ৫টি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো দুটি বিষয়ে ‘এ’ গ্রেড এবং অন্য সব বিষয়ে ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
২. ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
(ক) বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
(খ) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত এ চারটি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো ২টিতে ‘এ’ গ্রেড থাকতে হবে। অন্য সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
৩. মেরিটাইম গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি
(ক) যেকোনো শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০সহ উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
৪. শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
ক) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০সহ উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
আসন সংখ্যা
গত বছরের ভর্তি তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪টি অনুষদের ৫টি বিভাগে মোট ২০০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ফ্যাকাল্টি অব আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের দুই বিভাগের মধ্যে বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি বিভাগে ৪০টি এবং বিএসসি (অনার্স) ইন ফিশারিজ বিভাগে ৪০টি আসন রয়েছে।
ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি, ফ্যাকাল্টি অব মেরিটাইম গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি অনুষদের এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল বিভাগে ৪০টি এবং ফ্যাকাল্টি অব শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস বিভাগে ৪০টি আসন রয়েছে।

মেরিটাইমবিষয়ক উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের প্রথম ‘বিশেষায়িত’ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’। ব্লু ইকোনমি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ৩৭তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রিও দেওয়া হচ্ছে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি আবেদন শুরু হবে ২৮ অক্টোবর। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষায় এবারও সেকেন্ড টাইম ও নেগেটিভ মার্কিং রাখা হয়েছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধু নৈর্ব্যত্তিক পদ্ধতিতে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ২০২৬ সালের মে মাসে। আগ্রহীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ বা ২০২৩ সালে মাধ্যমিক (বা সমমান) এবং ২০২৪ বা ২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক (বা সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ, চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
যোগ্যতা ও পরীক্ষার বিষয়
১. আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স
(ক) বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
(খ) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের ৫টি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো দুটি বিষয়ে ‘এ’ গ্রেড এবং অন্য সব বিষয়ে ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
২. ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
(ক) বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
(খ) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত এ চারটি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো ২টিতে ‘এ’ গ্রেড থাকতে হবে। অন্য সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
৩. মেরিটাইম গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি
(ক) যেকোনো শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০সহ উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
৪. শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
ক) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০সহ উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
আসন সংখ্যা
গত বছরের ভর্তি তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪টি অনুষদের ৫টি বিভাগে মোট ২০০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ফ্যাকাল্টি অব আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের দুই বিভাগের মধ্যে বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি বিভাগে ৪০টি এবং বিএসসি (অনার্স) ইন ফিশারিজ বিভাগে ৪০টি আসন রয়েছে।
ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি, ফ্যাকাল্টি অব মেরিটাইম গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি অনুষদের এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল বিভাগে ৪০টি এবং ফ্যাকাল্টি অব শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস বিভাগে ৪০টি আসন রয়েছে।

গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
১৭ মার্চ ২০২৫
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
২০ মিনিট আগে
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’
২২ মিনিট আগে
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি অনন্য ও সময়োপযোগী বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংঘাত ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগে