শাহ বিলিয়া জুলফিকার
বিশ্বব্যাপী চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার ক্রমাগত বিস্তৃত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত। বর্তমানে প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ মাত্র ১.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাজারের তুলনায় নগণ্য। তবে এই খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। ফলে দক্ষ লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে, কীভাবে একজন শিক্ষার্থী লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, কোথায় পড়বেন, কী কী বিষয় পড়ানো হয়, চাকরির সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কেমন—এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. শরীফুল ইসলাম।
কোথায় পড়বেন
বাংলাদেশে বর্তমানে চামড়া শিল্পসংক্রান্ত বিষয় পড়ার সুযোগ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিভাগে আসন সংখ্যা ৫০টি। তাছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রতিবছর ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির জন্য বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩.৫ জিপিএসহ মোট জিপি-৮। কুয়েটে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের স্নাতক পর্যায়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ন্যূনতম জিপিএ-৪ এবং উচ্চমাধ্যমিকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজি মিলিয়ে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ১৮ হতে হবে।
যা পড়ানো হয়
চামড়াশিল্পের পণ্যগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স খোলা হলেও তিনটি বিষয়ের পড়াশোনায় বেশ মিল রয়েছে। এখানে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে উচ্চ মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য যেমন জুতা, ব্যাগ উৎপাদনের জ্ঞান আহরণ করেন শিক্ষার্থীরা। তত্ত্বীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি হাতেকলমে শিক্ষালাভের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধ কয়েকটি ল্যাব।
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সম্ভাবনা
বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের ঐতিহ্য ও বৈশ্বিক বাজারে চাহিদার কারণে এই খাতে কর্মসংস্থানের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি বিষয় যেখানে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ, উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষার মাধ্যমে ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।
সরকারি চাকরি
বাংলাদেশে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সরকারি খাতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক সিনিয়র অফিসার (প্রকৌশল-লেদার টেকনোলজি) নিয়োগ দিয়ে থাকে। আবার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেও চাকরি করছেন অসংখ্য লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট।
বেসরকারি চাকরি
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের সুযোগ বেশি মূলত বেসরকারি সেক্টরে। বাংলাদেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন অ্যাপেক্স, বাটা, বে-এর মতো বড় বড় কোম্পানি লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও চর্ম প্রকৌশলীদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বায়িং হাউসগুলোতেও অনেক লেদার ইঞ্জিনিয়ারের কর্মসংস্থান হয়ে থাক।
উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যাঁরা উদ্যোক্তা হতে চান তাঁদের জন্যও অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী রয়েছে। বাংলাদেশে এই পণ্যের কাঁচামাল সহজলভ্য। যাঁরা নিজেদের উদ্যোগে কারখানা স্থাপন করতে চান, তাঁরা সহজেই চামড়া প্রক্রিয়াজাত, জুতা, ব্যাগ, বেল্ট ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করতে পারেন।
উচ্চশিক্ষার অবারিত সুযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েট উভয় প্রতিষ্ঠানে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি কোর্স চালু রয়েছে। অনেকেই কর্মজীবনে গিয়ে হিউম্যান রিসোর্স, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে এমবিএ করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন প্ল্যানিং ইত্যাদির ওপর এমএসসি/পিজিডি করছেন কেউ কেউ। দেশের বাইরে ভারত, ইতালি, চীন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে লেদার ইঞ্জিনিয়াররা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে-বিদেশে চামড়া সেক্টরে অবদান রাখছেন।
বেতন
রপ্তানিমুখী ট্যানারি ও জুতা ফ্যাক্টরিতে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক বেতন ২০-২৫ হাজার টাকা। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে বেতন বৃদ্ধি পায়। তবে বহুজাতিক সোর্সিং প্রতিষ্ঠান ডেকাথলন, টিম্বারল্যান্ড, অ্যাডিডাস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে প্রারম্ভিক বেতন আরও বেশি। বাংলাদেশ লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে মূল বেতন ২২,০০০ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
সমস্যা
বাংলাদেশের চামড়াশিল্প, বিশেষ করে ট্যানারিগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (LWG)-এর পরিবেশ সনদ না থাকায় কিছু বায়ার বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ব্যাপারে অনীহা প্রদর্শন করছে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরাও এখন অনেক সচেতন। ফলে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের সম্ভাবনা বরং উজ্জ্বলতর হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার ক্রমাগত বিস্তৃত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত। বর্তমানে প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ মাত্র ১.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাজারের তুলনায় নগণ্য। তবে এই খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। ফলে দক্ষ লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে, কীভাবে একজন শিক্ষার্থী লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, কোথায় পড়বেন, কী কী বিষয় পড়ানো হয়, চাকরির সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কেমন—এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. শরীফুল ইসলাম।
কোথায় পড়বেন
বাংলাদেশে বর্তমানে চামড়া শিল্পসংক্রান্ত বিষয় পড়ার সুযোগ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিভাগে আসন সংখ্যা ৫০টি। তাছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রতিবছর ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির জন্য বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩.৫ জিপিএসহ মোট জিপি-৮। কুয়েটে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের স্নাতক পর্যায়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ন্যূনতম জিপিএ-৪ এবং উচ্চমাধ্যমিকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজি মিলিয়ে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ১৮ হতে হবে।
যা পড়ানো হয়
চামড়াশিল্পের পণ্যগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স খোলা হলেও তিনটি বিষয়ের পড়াশোনায় বেশ মিল রয়েছে। এখানে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে উচ্চ মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য যেমন জুতা, ব্যাগ উৎপাদনের জ্ঞান আহরণ করেন শিক্ষার্থীরা। তত্ত্বীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি হাতেকলমে শিক্ষালাভের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধ কয়েকটি ল্যাব।
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সম্ভাবনা
বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের ঐতিহ্য ও বৈশ্বিক বাজারে চাহিদার কারণে এই খাতে কর্মসংস্থানের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি বিষয় যেখানে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ, উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষার মাধ্যমে ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।
সরকারি চাকরি
বাংলাদেশে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সরকারি খাতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক সিনিয়র অফিসার (প্রকৌশল-লেদার টেকনোলজি) নিয়োগ দিয়ে থাকে। আবার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেও চাকরি করছেন অসংখ্য লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট।
বেসরকারি চাকরি
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের সুযোগ বেশি মূলত বেসরকারি সেক্টরে। বাংলাদেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন অ্যাপেক্স, বাটা, বে-এর মতো বড় বড় কোম্পানি লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও চর্ম প্রকৌশলীদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বায়িং হাউসগুলোতেও অনেক লেদার ইঞ্জিনিয়ারের কর্মসংস্থান হয়ে থাক।
উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যাঁরা উদ্যোক্তা হতে চান তাঁদের জন্যও অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী রয়েছে। বাংলাদেশে এই পণ্যের কাঁচামাল সহজলভ্য। যাঁরা নিজেদের উদ্যোগে কারখানা স্থাপন করতে চান, তাঁরা সহজেই চামড়া প্রক্রিয়াজাত, জুতা, ব্যাগ, বেল্ট ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করতে পারেন।
উচ্চশিক্ষার অবারিত সুযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েট উভয় প্রতিষ্ঠানে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি কোর্স চালু রয়েছে। অনেকেই কর্মজীবনে গিয়ে হিউম্যান রিসোর্স, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে এমবিএ করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন প্ল্যানিং ইত্যাদির ওপর এমএসসি/পিজিডি করছেন কেউ কেউ। দেশের বাইরে ভারত, ইতালি, চীন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে লেদার ইঞ্জিনিয়াররা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে-বিদেশে চামড়া সেক্টরে অবদান রাখছেন।
বেতন
রপ্তানিমুখী ট্যানারি ও জুতা ফ্যাক্টরিতে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক বেতন ২০-২৫ হাজার টাকা। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে বেতন বৃদ্ধি পায়। তবে বহুজাতিক সোর্সিং প্রতিষ্ঠান ডেকাথলন, টিম্বারল্যান্ড, অ্যাডিডাস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে প্রারম্ভিক বেতন আরও বেশি। বাংলাদেশ লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে মূল বেতন ২২,০০০ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
সমস্যা
বাংলাদেশের চামড়াশিল্প, বিশেষ করে ট্যানারিগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (LWG)-এর পরিবেশ সনদ না থাকায় কিছু বায়ার বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ব্যাপারে অনীহা প্রদর্শন করছে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরাও এখন অনেক সচেতন। ফলে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের সম্ভাবনা বরং উজ্জ্বলতর হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার (আইআইইউএম) স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী। তিনি দেশটিতে বাংলাদেশিদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ, স্কলারশিপ এবং ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নিয়ে কথা বলেছেন...
৩ ঘণ্টা আগেফ্রান্সে প্যারিস-স্যাকলে বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ২০২৫-২৬-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে আসনসংখ্যা ১২০। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ১৬ শিক্ষার্থী। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নেই।
১ দিন আগেকিছু শব্দ বা ফ্রেজ বর্ণনার অবকাঠামো গঠন করে, গতি ও প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কথার বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগও তৈরি করে—যা বলা হয়েছে এবং যা বলা হবে। এদেরই বলা হয় ডিসকোর্স মার্কার। এ নিয়েই আমাদের আজকের পাঠদান।
২ দিন আগে