
বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিগত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোরে সে দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানীর তাপমাত্রাও ৪০-এর আশপাশেই থাকছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিন গরমজনিত মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না।
একই পরিস্থিতি চলছে এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকায়। এসব অঞ্চলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ হিসাবে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ছিল। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কারণে এক দিকে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ, অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে বাড়িতেও সেভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর প্রবণতা না কমায় জলবায়ু ক্রমেই উষ্ণ হয়ে উঠছে। ফলস্বরূপ তাপপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে এবং তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখা হবে, নাকি বাড়িতে শীতল পরিবেশে থাকতে উৎসাহিত করা হবে—এ নিয়ে একটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।
এই দুইয়ের মধ্যে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তার একটা নেতিবাচক ফলাফল রয়েছে। যেখানে জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে স্কুলে যাওয়ার বয়সী প্রায় ১৭ শতাংশ শিশু এরই মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের বাইরে রয়েছে। অর্থাৎ এই শিশুরা কখনোই স্কুলে যায় না। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই অনুপাতটি অনেক বেশি। যেমন সাব-সাহারা আফ্রিকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে, যেখানে উত্তর আমেরিকায় এ অনুপাত মাত্র ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া উন্নয়নশীল বিশ্বের শিশুদের সাধারণ মান পরীক্ষার স্কোর উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৈশ্বিক বৈষম্যও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যকার শিখন ব্যবধান বাড়িয়ে তুলতে পারে এই তাপমাত্রার বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনকি ধনী দেশগুলোতেও ধনী ও দরিদ্র এলাকার মধ্যে এই ব্যবধান বাড়তে পারে। কিন্তু এত গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠালে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
দক্ষিণ সুদানে এ বছর মার্চের শেষের দিকে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গেলে প্রায় ২২ লাখ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফিলিপাইন ও ভারতের হাজার হাজার স্কুল এপ্রিলের শেষের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ দুই দেশে ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ।
আজ বুধবার কম্বোডিয়ায় দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এড়াতে সব সরকারি স্কুলকে খোলা রাখার সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর স্কুল খোলা নাকি বন্ধ রাখা হবে— এ নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অভিভাবকেরা। যদিও অনেক জেলাতে তাপমাত্রা বিপজ্জনক স্তরে উঠে গেছে।
অলাভজনক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশের অনেক বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক পাখা নেই, বায়ু চলাচলের (ভেন্টিলেশন) অবস্থা ভালো নয়। অনেক বিদ্যালয়ের ছাদ টিনের। ফলে গনগনে রোদের মধ্যে শ্রেণিকক্ষগুলো আরও গরম হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যেও যদি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যায়, তাহলেও কিন্তু তাদের শিখনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রা মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্রিয়াকলাপকে ধীর গতির করে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ ও প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা কমে যায়।
২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষার বছরে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকে, তবে তারা পরীক্ষায় আরও খারাপ ফল করে।
আমেরিকান ইকোনমিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ শূন্য দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ হলে সেই বছরের শিখন ১ শতাংশ কমে যায়। গবেষণার সহলেখক বোস্টন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ জশ গুডম্যান বলেন, তবে গবেষণার অধীন যেসব বিদ্যালয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছিল, সেগুলোতে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ মার্কিন বিদ্যালয়ে অন্তত আংশিক এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে। এর বাইরের বিদ্যালয়গুলো সাধারণত দরিদ্র এলাকাগুলোতে অবস্থিত। এসব বিদ্যালয় এরই মধ্যে ধনী এলাকাগুলোর চেয়ে শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
গুডম্যান এবং তাঁর সহকর্মীরা তাপমাত্রার সঙ্গে শিখন পরিস্থিতির একই সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা অন্যান্য দেশের সাধারণ পরীক্ষার তথ্য তুলনা করে দেখেন। গুডম্যান বলেন, এই অঞ্চলগুলোতে শিক্ষার্থীরা যে বছর বেশি তাপমাত্রা অনুভব করে, দেখা গেছে, সে বছর তারা শিখেছে কম।
এ ছাড়া অন্যান্য গবেষণার পর্যবেক্ষণেও দেখা যায়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এমনকি অনাগত শিশুর শিখনকেও প্রভাবিত করতে পারে।
২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেসব শিশু জরায়ুতে থাকা অবস্থায় এবং জীবনের প্রথম সময়ে (শৈশব-কৈশোর) গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রার সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকে, তারা পরবর্তী জীবনে কম সময় স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
গুডম্যান বলছেন, এসবই উদ্বেগজনক। কারণ, বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরই মধ্যে উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলো অত্যন্ত গরম জলবায়ুর দিকে যাচ্ছে। এসব দেশ নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোর চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গুডম্যান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন গরম এবং শীতপ্রধান দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষার ব্যবধান বাড়িয়ে দেবে। কিছু উন্নত দেশ এরই মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
গত মার্চে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ঘোষণা করেছে, জর্ডানে ২০২৬ সালের মধ্যে ৩০টি তাপপ্রতিরোধী স্কুল নির্মাণ করবে তারা। সংস্থাটি বলছে, জর্ডানে সামনে প্রচণ্ড গরমের দিন বাড়বে। সেই সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এটি।
ইউএসএআইডি বলেছে, গরমের মধ্যেও বিদ্যালয়ের পাঠদান চালু রাখতে সাহায্য করার জন্য প্যাসিভ কুলিং সিস্টেম এবং এয়ারকন্ডিশনার ব্যবস্থা বসাতে ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সংখ্যা বেড়েছে। যদিও মাত্র কয়েকটি দেশই এই ধরনের ডেটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে।
মার্কিন বিদ্যালয়গুলো এখন অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে প্রতিবছর গড়ে ছয় থেকে সাত দিন ক্লাস বাতিল করছে। যেখানে এক দশক আগে এটি ছিল প্রায় তিন থেকে চার দিন। ২০২১ সালে বিদ্যালয় এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা দিয়ে একটি গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া পল চিনভস্কি এ তথ্য দিয়েছেন।
সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশে গত বছর ছয়-সাত দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তবে এ বছর, তিন থেকে চার সপ্তাহ বন্ধ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ায় মে মাস সাধারণ সবচেয়ে উষ্ণ থাকে।

বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিগত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোরে সে দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানীর তাপমাত্রাও ৪০-এর আশপাশেই থাকছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিন গরমজনিত মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না।
একই পরিস্থিতি চলছে এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকায়। এসব অঞ্চলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ হিসাবে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ছিল। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কারণে এক দিকে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ, অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে বাড়িতেও সেভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর প্রবণতা না কমায় জলবায়ু ক্রমেই উষ্ণ হয়ে উঠছে। ফলস্বরূপ তাপপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে এবং তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখা হবে, নাকি বাড়িতে শীতল পরিবেশে থাকতে উৎসাহিত করা হবে—এ নিয়ে একটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।
এই দুইয়ের মধ্যে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তার একটা নেতিবাচক ফলাফল রয়েছে। যেখানে জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে স্কুলে যাওয়ার বয়সী প্রায় ১৭ শতাংশ শিশু এরই মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের বাইরে রয়েছে। অর্থাৎ এই শিশুরা কখনোই স্কুলে যায় না। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই অনুপাতটি অনেক বেশি। যেমন সাব-সাহারা আফ্রিকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে, যেখানে উত্তর আমেরিকায় এ অনুপাত মাত্র ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া উন্নয়নশীল বিশ্বের শিশুদের সাধারণ মান পরীক্ষার স্কোর উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৈশ্বিক বৈষম্যও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যকার শিখন ব্যবধান বাড়িয়ে তুলতে পারে এই তাপমাত্রার বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনকি ধনী দেশগুলোতেও ধনী ও দরিদ্র এলাকার মধ্যে এই ব্যবধান বাড়তে পারে। কিন্তু এত গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠালে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
দক্ষিণ সুদানে এ বছর মার্চের শেষের দিকে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গেলে প্রায় ২২ লাখ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফিলিপাইন ও ভারতের হাজার হাজার স্কুল এপ্রিলের শেষের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ দুই দেশে ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ।
আজ বুধবার কম্বোডিয়ায় দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এড়াতে সব সরকারি স্কুলকে খোলা রাখার সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর স্কুল খোলা নাকি বন্ধ রাখা হবে— এ নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অভিভাবকেরা। যদিও অনেক জেলাতে তাপমাত্রা বিপজ্জনক স্তরে উঠে গেছে।
অলাভজনক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশের অনেক বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক পাখা নেই, বায়ু চলাচলের (ভেন্টিলেশন) অবস্থা ভালো নয়। অনেক বিদ্যালয়ের ছাদ টিনের। ফলে গনগনে রোদের মধ্যে শ্রেণিকক্ষগুলো আরও গরম হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যেও যদি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যায়, তাহলেও কিন্তু তাদের শিখনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রা মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্রিয়াকলাপকে ধীর গতির করে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ ও প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা কমে যায়।
২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষার বছরে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকে, তবে তারা পরীক্ষায় আরও খারাপ ফল করে।
আমেরিকান ইকোনমিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ শূন্য দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ হলে সেই বছরের শিখন ১ শতাংশ কমে যায়। গবেষণার সহলেখক বোস্টন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ জশ গুডম্যান বলেন, তবে গবেষণার অধীন যেসব বিদ্যালয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছিল, সেগুলোতে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ মার্কিন বিদ্যালয়ে অন্তত আংশিক এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে। এর বাইরের বিদ্যালয়গুলো সাধারণত দরিদ্র এলাকাগুলোতে অবস্থিত। এসব বিদ্যালয় এরই মধ্যে ধনী এলাকাগুলোর চেয়ে শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
গুডম্যান এবং তাঁর সহকর্মীরা তাপমাত্রার সঙ্গে শিখন পরিস্থিতির একই সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা অন্যান্য দেশের সাধারণ পরীক্ষার তথ্য তুলনা করে দেখেন। গুডম্যান বলেন, এই অঞ্চলগুলোতে শিক্ষার্থীরা যে বছর বেশি তাপমাত্রা অনুভব করে, দেখা গেছে, সে বছর তারা শিখেছে কম।
এ ছাড়া অন্যান্য গবেষণার পর্যবেক্ষণেও দেখা যায়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এমনকি অনাগত শিশুর শিখনকেও প্রভাবিত করতে পারে।
২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেসব শিশু জরায়ুতে থাকা অবস্থায় এবং জীবনের প্রথম সময়ে (শৈশব-কৈশোর) গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রার সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকে, তারা পরবর্তী জীবনে কম সময় স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
গুডম্যান বলছেন, এসবই উদ্বেগজনক। কারণ, বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরই মধ্যে উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলো অত্যন্ত গরম জলবায়ুর দিকে যাচ্ছে। এসব দেশ নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোর চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গুডম্যান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন গরম এবং শীতপ্রধান দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষার ব্যবধান বাড়িয়ে দেবে। কিছু উন্নত দেশ এরই মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
গত মার্চে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ঘোষণা করেছে, জর্ডানে ২০২৬ সালের মধ্যে ৩০টি তাপপ্রতিরোধী স্কুল নির্মাণ করবে তারা। সংস্থাটি বলছে, জর্ডানে সামনে প্রচণ্ড গরমের দিন বাড়বে। সেই সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এটি।
ইউএসএআইডি বলেছে, গরমের মধ্যেও বিদ্যালয়ের পাঠদান চালু রাখতে সাহায্য করার জন্য প্যাসিভ কুলিং সিস্টেম এবং এয়ারকন্ডিশনার ব্যবস্থা বসাতে ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সংখ্যা বেড়েছে। যদিও মাত্র কয়েকটি দেশই এই ধরনের ডেটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে।
মার্কিন বিদ্যালয়গুলো এখন অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে প্রতিবছর গড়ে ছয় থেকে সাত দিন ক্লাস বাতিল করছে। যেখানে এক দশক আগে এটি ছিল প্রায় তিন থেকে চার দিন। ২০২১ সালে বিদ্যালয় এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা দিয়ে একটি গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া পল চিনভস্কি এ তথ্য দিয়েছেন।
সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশে গত বছর ছয়-সাত দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তবে এ বছর, তিন থেকে চার সপ্তাহ বন্ধ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ায় মে মাস সাধারণ সবচেয়ে উষ্ণ থাকে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।

সারা বিশ্বে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখা হবে, নাকি বাড়িতে শীতল পরিবেশে থাকতে উৎসাহিত করা হবে—এ নিয়ে একটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।
০১ মে ২০২৪
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান

‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

সারা বিশ্বে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখা হবে, নাকি বাড়িতে শীতল পরিবেশে থাকতে উৎসাহিত করা হবে—এ নিয়ে একটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।
০১ মে ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম

স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)

স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)

সারা বিশ্বে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখা হবে, নাকি বাড়িতে শীতল পরিবেশে থাকতে উৎসাহিত করা হবে—এ নিয়ে একটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।
০১ মে ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।

সারা বিশ্বে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখা হবে, নাকি বাড়িতে শীতল পরিবেশে থাকতে উৎসাহিত করা হবে—এ নিয়ে একটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।
০১ মে ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১ দিন আগে
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১ দিন আগে