নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাসের অনুমোদন বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মূলনীতির পরিপন্থী বলে জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ (২০২৩-২০২৫) এবং সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাসের অনুমোদন বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মূলনীতির পরিপন্থী। কেননা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় ট্রাস্টের অধীন অলাভজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। যে কোনো মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করার রেওয়াজ থাকলেও, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। শিক্ষানুরাগী উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি।
জানা যায়, বর্তমানে তিনটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা বা স্টাডি ক্যাম্পাস রয়েছে দেশে। এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। এ অবস্থার মধ্যে আরও দুটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা অনুমোদনে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো—যুক্তরাজ্যভিত্তিক লিডস ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটির স্টাডি সেন্টার এবং মালয়েশিয়াভিত্তিক মাহসা বিশ্ববিদ্যালয়।
সভায় বছরে তিন সেমিস্টারে পাঠদান পরিচালনার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন তাঁর প্রস্তাবে বলেন, দুই সেমিস্টার বা তিন সেমিস্টার কোনটি চালাতে চান, এ বিষয়ে সবাইকে একমত প্রকাশ করতে হবে। এ সময় সবাই তিন সেমিস্টার পরিচালনার পক্ষে মতামত দেন এবং সর্বসম্মতভাবে বছরে তিন সেমিস্টারে পাঠদান পরিচালনায় সম্মত হন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায়, এ খাতের প্রকৃত সমস্যাগুলো যেমন তুলে ধরা সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করা হয়। বলা হয়, আলোচনা ছাড়া কর্তৃপক্ষের নতুন সিদ্ধান্তসমূহ প্রকৃত পক্ষে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি করছে।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসিতে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ নেই। যার কারণে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না। এতে সিদ্ধান্ত হয়, সদস্য সংখ্যা বাড়াতে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিশনের সদস্য করার বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরা হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন সদস্য রয়েছে। অথচ ইউজিসিতে তা নেই।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিস আহমেদ।
মতবিনিময় সভায় দেশের ৭০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্যরা অংশ নেন এবং মতামত তুলে ধরেন। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী ও অধ্যাপক শফিক সিদ্দীক, যুগ্ম মহাসচিব ইশতিয়াক আবেদীন, কোষাধ্যক্ষ কে বি এম মঈন উদ্দিন চিশতীসহ আরও অনেকে।
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাসের অনুমোদন বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মূলনীতির পরিপন্থী বলে জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ (২০২৩-২০২৫) এবং সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাসের অনুমোদন বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মূলনীতির পরিপন্থী। কেননা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় ট্রাস্টের অধীন অলাভজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। যে কোনো মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করার রেওয়াজ থাকলেও, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। শিক্ষানুরাগী উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি।
জানা যায়, বর্তমানে তিনটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা বা স্টাডি ক্যাম্পাস রয়েছে দেশে। এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। এ অবস্থার মধ্যে আরও দুটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা অনুমোদনে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো—যুক্তরাজ্যভিত্তিক লিডস ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটির স্টাডি সেন্টার এবং মালয়েশিয়াভিত্তিক মাহসা বিশ্ববিদ্যালয়।
সভায় বছরে তিন সেমিস্টারে পাঠদান পরিচালনার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন তাঁর প্রস্তাবে বলেন, দুই সেমিস্টার বা তিন সেমিস্টার কোনটি চালাতে চান, এ বিষয়ে সবাইকে একমত প্রকাশ করতে হবে। এ সময় সবাই তিন সেমিস্টার পরিচালনার পক্ষে মতামত দেন এবং সর্বসম্মতভাবে বছরে তিন সেমিস্টারে পাঠদান পরিচালনায় সম্মত হন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায়, এ খাতের প্রকৃত সমস্যাগুলো যেমন তুলে ধরা সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করা হয়। বলা হয়, আলোচনা ছাড়া কর্তৃপক্ষের নতুন সিদ্ধান্তসমূহ প্রকৃত পক্ষে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি করছে।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসিতে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ নেই। যার কারণে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না। এতে সিদ্ধান্ত হয়, সদস্য সংখ্যা বাড়াতে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিশনের সদস্য করার বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরা হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন সদস্য রয়েছে। অথচ ইউজিসিতে তা নেই।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিস আহমেদ।
মতবিনিময় সভায় দেশের ৭০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্যরা অংশ নেন এবং মতামত তুলে ধরেন। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী ও অধ্যাপক শফিক সিদ্দীক, যুগ্ম মহাসচিব ইশতিয়াক আবেদীন, কোষাধ্যক্ষ কে বি এম মঈন উদ্দিন চিশতীসহ আরও অনেকে।
স্টেট ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সুজা) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. কাইয়ুম হোসেন (বাংলা ট্রিবিউন) এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ফারদিন আলম (নাগরিক টিভি, কানাডা)।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিনই আমরা নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিই। এই যেমন কি পরব, কোথায় যাব, কাকে বিশ্বাস করব কিংবা কোন পেশা বেছে নেব। কিন্তু এসব সিদ্ধান্তে যুক্তির চেয়ে আবেগ বা সামাজিক চাপ কতটা প্রভাব ফেলে?
১০ ঘণ্টা আগেছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
১ দিন আগে১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
১ দিন আগে