মো. আশিকুর রহমান
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে শিক্ষার ভবিষ্যৎ নতুন এক দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মেধার মতো চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম একটি প্রযুক্তি। যা শিক্ষাক্ষেত্রেও একটি বিপ্লবের সূচনা করেছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার বিভিন্নভাবে হতে পারে—
ব্যক্তিগত শিক্ষার অভিজ্ঞতা
এআই শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী পড়াশোনার উপকরণ প্রস্তুত করতে সক্ষম। বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গতিতে শেখে, আর তাদের এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কাস্টমাইজড লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এআই শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স ট্র্যাক করে, তাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর ওপর কাজ করার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি বা টিপস প্রদান করতে পারে।
স্মার্ট টিউটরিং সিস্টেম
বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলের পঠনপাঠন কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়ক হিসেবে এআই টিউটরিং সিস্টেম কাজ করতে পারে। এই সিস্টেমগুলো শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করতে পারে এবং তাদের শিখন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে। এ ক্ষেত্রে, এআই শিক্ষকের মতো কাজ না করলেও, এটি শিক্ষকের সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ইন্টেলিজেন্ট অ্যাসেসমেন্ট
এআই দ্বারা পরিচালিত মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ে আরও কার্যকরী হতে পারে। এখানে মানুষের পক্ষে যেকোনো ভুল বা পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা কমে যাবে এবং শিক্ষার্থীর প্রকৃত সক্ষমতা অনুযায়ী ফলাফল নির্ধারণ হবে। এআইভিত্তিক সিস্টেম শিক্ষার্থীর প্রতিটি অধ্যায় বা বিষয়ে পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে দ্রুত ও নির্ভুল মূল্যায়ন করতে সক্ষম।
প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার
এআই ছাড়াও প্রযুক্তির আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার। বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা পাওয়া সহজ হয়েছে। ই-লার্নিং এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে যে কেউ, যেকোনো জায়গা থেকে নিজের শিক্ষার মান উন্নত করতে পারছে।
অনলাইন লার্নিং ও কোর্স
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোর্স অফার করছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পারছে। এই প্রবণতা কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মহামারির সময়েই নয়, বরং তার পরেও বেড়েছে। মাইনড ভ্যালি, কুরসেরা, উডেমি, ইডএক্স ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন কোর্স প্রদান করছে, যেগুলো কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আটকে না থেকে, শিক্ষার্থীদের যেকোনো জায়গা থেকে শেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলটি (AR) শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাস্তবজীবন থেকে একটি ভার্চুয়াল পরিবেশে পড়াশোনা বা শিক্ষার প্রয়োগ শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তুলছে। এটি তাদের হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং জটিল ধারণাগুলো সহজ করে শেখাতে সহায়তা করে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কে পরিবর্তন
শিক্ষকেরা দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষার মূল শক্তি হলেও, প্রযুক্তির আগমন তাদের ভূমিকা কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এখন তাঁরা শুধু তথ্য প্রদানকারী নয়, বরং সহায়ক, পথপ্রদর্শক এবং মেন্টরের ভূমিকায় কাজ করছেন। এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং অন্যান্য টুলস শিক্ষকদের এমন দক্ষতা প্রদান করেছে, যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স অনুসারে তাদের শেখার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পারেন।
শিক্ষকের জন্য প্রযুক্তির সহায়ক টুলস
শিক্ষকেরা এখন এআই এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আরও গভীরভাবে মনোযোগ দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষকদের জন্য সেন্ট্রালাইজড ডেটাবেইস তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তারা সহজেই শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রেস ট্র্যাক করতে পারেন। এই তথ্যের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি সমর্থন
প্রযুক্তি এবং এআই শিক্ষার্থীদের শুধু শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং মোটিভেশন বজায় রাখতেও সহায়ক। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, যেমন mindfulness অ্যাপ্লিকেশন ও স্টাডি প্ল্যানিং টুলস শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করছে এবং পড়াশোনায় তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি করছে।
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও শিক্ষার অসমতা
প্রযুক্তির এই বিস্তার শিক্ষায় কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। প্রথমত, পৃথিবীর সব জায়গায় এখনো সমানভাবে প্রযুক্তি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, প্রযুক্তির অভাব এবং আর্থিক সমস্যা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অন্যদিকে এআই প্রযুক্তির একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিশেষত যখন এটি শুদ্ধ শিক্ষার প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করে।
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে শিক্ষার ভবিষ্যৎ নতুন এক দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মেধার মতো চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম একটি প্রযুক্তি। যা শিক্ষাক্ষেত্রেও একটি বিপ্লবের সূচনা করেছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার বিভিন্নভাবে হতে পারে—
ব্যক্তিগত শিক্ষার অভিজ্ঞতা
এআই শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী পড়াশোনার উপকরণ প্রস্তুত করতে সক্ষম। বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গতিতে শেখে, আর তাদের এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কাস্টমাইজড লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এআই শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স ট্র্যাক করে, তাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর ওপর কাজ করার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি বা টিপস প্রদান করতে পারে।
স্মার্ট টিউটরিং সিস্টেম
বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলের পঠনপাঠন কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়ক হিসেবে এআই টিউটরিং সিস্টেম কাজ করতে পারে। এই সিস্টেমগুলো শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করতে পারে এবং তাদের শিখন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে। এ ক্ষেত্রে, এআই শিক্ষকের মতো কাজ না করলেও, এটি শিক্ষকের সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ইন্টেলিজেন্ট অ্যাসেসমেন্ট
এআই দ্বারা পরিচালিত মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ে আরও কার্যকরী হতে পারে। এখানে মানুষের পক্ষে যেকোনো ভুল বা পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা কমে যাবে এবং শিক্ষার্থীর প্রকৃত সক্ষমতা অনুযায়ী ফলাফল নির্ধারণ হবে। এআইভিত্তিক সিস্টেম শিক্ষার্থীর প্রতিটি অধ্যায় বা বিষয়ে পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে দ্রুত ও নির্ভুল মূল্যায়ন করতে সক্ষম।
প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার
এআই ছাড়াও প্রযুক্তির আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার। বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা পাওয়া সহজ হয়েছে। ই-লার্নিং এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে যে কেউ, যেকোনো জায়গা থেকে নিজের শিক্ষার মান উন্নত করতে পারছে।
অনলাইন লার্নিং ও কোর্স
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোর্স অফার করছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পারছে। এই প্রবণতা কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মহামারির সময়েই নয়, বরং তার পরেও বেড়েছে। মাইনড ভ্যালি, কুরসেরা, উডেমি, ইডএক্স ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন কোর্স প্রদান করছে, যেগুলো কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আটকে না থেকে, শিক্ষার্থীদের যেকোনো জায়গা থেকে শেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলটি (AR) শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাস্তবজীবন থেকে একটি ভার্চুয়াল পরিবেশে পড়াশোনা বা শিক্ষার প্রয়োগ শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তুলছে। এটি তাদের হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং জটিল ধারণাগুলো সহজ করে শেখাতে সহায়তা করে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কে পরিবর্তন
শিক্ষকেরা দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষার মূল শক্তি হলেও, প্রযুক্তির আগমন তাদের ভূমিকা কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এখন তাঁরা শুধু তথ্য প্রদানকারী নয়, বরং সহায়ক, পথপ্রদর্শক এবং মেন্টরের ভূমিকায় কাজ করছেন। এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং অন্যান্য টুলস শিক্ষকদের এমন দক্ষতা প্রদান করেছে, যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স অনুসারে তাদের শেখার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পারেন।
শিক্ষকের জন্য প্রযুক্তির সহায়ক টুলস
শিক্ষকেরা এখন এআই এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আরও গভীরভাবে মনোযোগ দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষকদের জন্য সেন্ট্রালাইজড ডেটাবেইস তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তারা সহজেই শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রেস ট্র্যাক করতে পারেন। এই তথ্যের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি সমর্থন
প্রযুক্তি এবং এআই শিক্ষার্থীদের শুধু শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং মোটিভেশন বজায় রাখতেও সহায়ক। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, যেমন mindfulness অ্যাপ্লিকেশন ও স্টাডি প্ল্যানিং টুলস শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করছে এবং পড়াশোনায় তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি করছে।
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও শিক্ষার অসমতা
প্রযুক্তির এই বিস্তার শিক্ষায় কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। প্রথমত, পৃথিবীর সব জায়গায় এখনো সমানভাবে প্রযুক্তি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, প্রযুক্তির অভাব এবং আর্থিক সমস্যা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অন্যদিকে এআই প্রযুক্তির একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিশেষত যখন এটি শুদ্ধ শিক্ষার প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করে।
মো. আশিকুর রহমান
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে শিক্ষার ভবিষ্যৎ নতুন এক দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মেধার মতো চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম একটি প্রযুক্তি। যা শিক্ষাক্ষেত্রেও একটি বিপ্লবের সূচনা করেছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার বিভিন্নভাবে হতে পারে—
ব্যক্তিগত শিক্ষার অভিজ্ঞতা
এআই শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী পড়াশোনার উপকরণ প্রস্তুত করতে সক্ষম। বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গতিতে শেখে, আর তাদের এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কাস্টমাইজড লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এআই শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স ট্র্যাক করে, তাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর ওপর কাজ করার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি বা টিপস প্রদান করতে পারে।
স্মার্ট টিউটরিং সিস্টেম
বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলের পঠনপাঠন কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়ক হিসেবে এআই টিউটরিং সিস্টেম কাজ করতে পারে। এই সিস্টেমগুলো শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করতে পারে এবং তাদের শিখন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে। এ ক্ষেত্রে, এআই শিক্ষকের মতো কাজ না করলেও, এটি শিক্ষকের সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ইন্টেলিজেন্ট অ্যাসেসমেন্ট
এআই দ্বারা পরিচালিত মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ে আরও কার্যকরী হতে পারে। এখানে মানুষের পক্ষে যেকোনো ভুল বা পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা কমে যাবে এবং শিক্ষার্থীর প্রকৃত সক্ষমতা অনুযায়ী ফলাফল নির্ধারণ হবে। এআইভিত্তিক সিস্টেম শিক্ষার্থীর প্রতিটি অধ্যায় বা বিষয়ে পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে দ্রুত ও নির্ভুল মূল্যায়ন করতে সক্ষম।
প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার
এআই ছাড়াও প্রযুক্তির আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার। বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা পাওয়া সহজ হয়েছে। ই-লার্নিং এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে যে কেউ, যেকোনো জায়গা থেকে নিজের শিক্ষার মান উন্নত করতে পারছে।
অনলাইন লার্নিং ও কোর্স
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোর্স অফার করছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পারছে। এই প্রবণতা কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মহামারির সময়েই নয়, বরং তার পরেও বেড়েছে। মাইনড ভ্যালি, কুরসেরা, উডেমি, ইডএক্স ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন কোর্স প্রদান করছে, যেগুলো কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আটকে না থেকে, শিক্ষার্থীদের যেকোনো জায়গা থেকে শেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলটি (AR) শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাস্তবজীবন থেকে একটি ভার্চুয়াল পরিবেশে পড়াশোনা বা শিক্ষার প্রয়োগ শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তুলছে। এটি তাদের হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং জটিল ধারণাগুলো সহজ করে শেখাতে সহায়তা করে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কে পরিবর্তন
শিক্ষকেরা দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষার মূল শক্তি হলেও, প্রযুক্তির আগমন তাদের ভূমিকা কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এখন তাঁরা শুধু তথ্য প্রদানকারী নয়, বরং সহায়ক, পথপ্রদর্শক এবং মেন্টরের ভূমিকায় কাজ করছেন। এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং অন্যান্য টুলস শিক্ষকদের এমন দক্ষতা প্রদান করেছে, যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স অনুসারে তাদের শেখার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পারেন।
শিক্ষকের জন্য প্রযুক্তির সহায়ক টুলস
শিক্ষকেরা এখন এআই এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আরও গভীরভাবে মনোযোগ দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষকদের জন্য সেন্ট্রালাইজড ডেটাবেইস তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তারা সহজেই শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রেস ট্র্যাক করতে পারেন। এই তথ্যের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি সমর্থন
প্রযুক্তি এবং এআই শিক্ষার্থীদের শুধু শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং মোটিভেশন বজায় রাখতেও সহায়ক। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, যেমন mindfulness অ্যাপ্লিকেশন ও স্টাডি প্ল্যানিং টুলস শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করছে এবং পড়াশোনায় তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি করছে।
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও শিক্ষার অসমতা
প্রযুক্তির এই বিস্তার শিক্ষায় কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। প্রথমত, পৃথিবীর সব জায়গায় এখনো সমানভাবে প্রযুক্তি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, প্রযুক্তির অভাব এবং আর্থিক সমস্যা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অন্যদিকে এআই প্রযুক্তির একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিশেষত যখন এটি শুদ্ধ শিক্ষার প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করে।
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে শিক্ষার ভবিষ্যৎ নতুন এক দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মেধার মতো চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম একটি প্রযুক্তি। যা শিক্ষাক্ষেত্রেও একটি বিপ্লবের সূচনা করেছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার বিভিন্নভাবে হতে পারে—
ব্যক্তিগত শিক্ষার অভিজ্ঞতা
এআই শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী পড়াশোনার উপকরণ প্রস্তুত করতে সক্ষম। বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গতিতে শেখে, আর তাদের এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কাস্টমাইজড লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এআই শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স ট্র্যাক করে, তাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর ওপর কাজ করার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি বা টিপস প্রদান করতে পারে।
স্মার্ট টিউটরিং সিস্টেম
বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলের পঠনপাঠন কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়ক হিসেবে এআই টিউটরিং সিস্টেম কাজ করতে পারে। এই সিস্টেমগুলো শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করতে পারে এবং তাদের শিখন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে। এ ক্ষেত্রে, এআই শিক্ষকের মতো কাজ না করলেও, এটি শিক্ষকের সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ইন্টেলিজেন্ট অ্যাসেসমেন্ট
এআই দ্বারা পরিচালিত মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ে আরও কার্যকরী হতে পারে। এখানে মানুষের পক্ষে যেকোনো ভুল বা পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা কমে যাবে এবং শিক্ষার্থীর প্রকৃত সক্ষমতা অনুযায়ী ফলাফল নির্ধারণ হবে। এআইভিত্তিক সিস্টেম শিক্ষার্থীর প্রতিটি অধ্যায় বা বিষয়ে পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে দ্রুত ও নির্ভুল মূল্যায়ন করতে সক্ষম।
প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার
এআই ছাড়াও প্রযুক্তির আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার। বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা পাওয়া সহজ হয়েছে। ই-লার্নিং এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে যে কেউ, যেকোনো জায়গা থেকে নিজের শিক্ষার মান উন্নত করতে পারছে।
অনলাইন লার্নিং ও কোর্স
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোর্স অফার করছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পারছে। এই প্রবণতা কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মহামারির সময়েই নয়, বরং তার পরেও বেড়েছে। মাইনড ভ্যালি, কুরসেরা, উডেমি, ইডএক্স ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন কোর্স প্রদান করছে, যেগুলো কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আটকে না থেকে, শিক্ষার্থীদের যেকোনো জায়গা থেকে শেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও অগমেন্টেড রিয়েলটি (AR) শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাস্তবজীবন থেকে একটি ভার্চুয়াল পরিবেশে পড়াশোনা বা শিক্ষার প্রয়োগ শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তুলছে। এটি তাদের হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং জটিল ধারণাগুলো সহজ করে শেখাতে সহায়তা করে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কে পরিবর্তন
শিক্ষকেরা দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষার মূল শক্তি হলেও, প্রযুক্তির আগমন তাদের ভূমিকা কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এখন তাঁরা শুধু তথ্য প্রদানকারী নয়, বরং সহায়ক, পথপ্রদর্শক এবং মেন্টরের ভূমিকায় কাজ করছেন। এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং অন্যান্য টুলস শিক্ষকদের এমন দক্ষতা প্রদান করেছে, যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স অনুসারে তাদের শেখার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পারেন।
শিক্ষকের জন্য প্রযুক্তির সহায়ক টুলস
শিক্ষকেরা এখন এআই এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আরও গভীরভাবে মনোযোগ দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষকদের জন্য সেন্ট্রালাইজড ডেটাবেইস তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তারা সহজেই শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রেস ট্র্যাক করতে পারেন। এই তথ্যের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি সমর্থন
প্রযুক্তি এবং এআই শিক্ষার্থীদের শুধু শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং মোটিভেশন বজায় রাখতেও সহায়ক। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, যেমন mindfulness অ্যাপ্লিকেশন ও স্টাডি প্ল্যানিং টুলস শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করছে এবং পড়াশোনায় তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি করছে।
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও শিক্ষার অসমতা
প্রযুক্তির এই বিস্তার শিক্ষায় কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। প্রথমত, পৃথিবীর সব জায়গায় এখনো সমানভাবে প্রযুক্তি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, প্রযুক্তির অভাব এবং আর্থিক সমস্যা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অন্যদিকে এআই প্রযুক্তির একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিশেষত যখন এটি শুদ্ধ শিক্ষার প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
২৩ নভেম্বর ২০২৪‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
২৩ নভেম্বর ২০২৪২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
২৩ নভেম্বর ২০২৪২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
২৩ নভেম্বর ২০২৪২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৯ ঘণ্টা আগে