ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পিএইচডি করছেন সুভাশিস রায় দীপ্ত। এ বছর গ্রীষ্মের ছুটিতে আমাজন সায়েন্সে অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ইন্টার্ন হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
নাদিম মজিদ
বাংলাদেশে আপনার পড়াশোনা নিয়ে বলুন?
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
দেশে পড়াশোনা করার সময় কখনো প্রচলিত একাডেমিকে পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজে গুরুত্ব দিয়েছি। এইচএসসিতে পড়ার সময় আমি নটর ডেম সায়েন্স ক্লাবের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। বিএসসি করার সময় ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, যুক্তরাষ্ট্র এবং পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। এমআইএসটি কম্পিউটার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম এবং কয়েকটি হ্যাকাথনে অংশ নিয়েছিলাম। আমি পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলেও আপনাদেরকে একাডেমিক পড়াশোনাকে এড়িয়ে যেতে বলব না। সাধারণত, যে কারও উচিত পাশাপাশি উভয় ক্ষেত্রে ভালো করার জন্য চেষ্টা করা।
আমাজন সায়েন্সে আপনি কোন সেকশনে ইন্টার্নশিপ করছেন, কী কী কাজ আপনাকে করতে হয়?
আমি বর্তমানে আমাজন সায়েন্সে সামার ইন্টার্নশিপ করছি। এটি ১৪ সপ্তাহের ইন্টার্নশিপ। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে আমি কাজ করছি। আমি অ্যালেক্সা এআই টিমের একজন সদস্য। একজন রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে আমার প্রাথমিক দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে অ্যালেক্সার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করা। যেমন কনভারসেশনের উত্তর দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করা, পারফরম্যান্স বাড়ানো এবং খরচ কমানো।
এখানে ইন্টার্নশিপ করে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?
সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি পাচ্ছি, তা হলো নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে সফলতার জন্য জ্ঞানের পাশাপাশি নেটওয়ার্কিংও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আসার আগে আমি মনে করতাম, সফলতার জন্য জ্ঞান থাকাটাই যথেষ্ট। কিন্তু এখানে কাজ করে বুঝতে পেরেছি, অনেক মানুষই জ্ঞানের সমান লেভেলের মধ্যে আটকে রয়েছেন। এ পর্যায়ে এসে ওপরের দিকে যাওয়ার জন্য নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে আর্থিক সুবিধাও বেশ ভালো পেয়েছি। যদিও এটি প্রাথমিক লক্ষ্য নয়।
আমাজন সায়েন্সে ইন্টার্নশিপে সুযোগ পাওয়ার পদ্ধতি কী কী?
সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নেই। এটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। উচ্চপর্যায়ে ইন্টার্নশিপের প্রাথমিক ইন্টারভিউ কল পাওয়ার জন্য আমার বিভিন্ন প্রকাশনা কাজে লেগেছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এখানে ইন্টারভিউ কলে সুযোগ পাওয়ার চেয়ে ইন্টারভিউতে পাস করা আরও কঠিন। সাধারণত এখানে কর্মরত কেউ রেফার করলে ইন্টারভিউ কল দ্রুত পাওয়া যায়। আমার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ছিল একটি কোডিং ইন্টারভিউ এবং দুটি মেশিন লার্নিং ইন্টারভিউ। প্রতিটিই আমাজনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়েছিলেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইন্টারভিউ নিশ্চিত করতে চাইলে নেটওয়ার্ক থাকা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং রোল-নির্দিষ্ট রিজিউম থাকা প্রয়োজন। আর ইন্টারভিউতে সফলতা পাওয়ার জন্য আপনার কারিগরি জ্ঞান, সফট স্কিল, সর্বোপরি ভাগ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে তাদের কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ইন্টার্নশিপ পাওয়াটা খুব চ্যালেঞ্জিং; কিন্তু অসম্ভব নয়। আমি কয়েকজনকে জানি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি গুগলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন। আমাজনে আমি একজন ইন্টার্নকে পেয়েছি, যিনি সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের পরিবেশ এবং প্রযুক্তি অবকাঠামো যেকোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।
তারপরও একজন বাংলাদেশি বিদেশে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে সে বিষয়ে ভালো জ্ঞান অর্জন করা, নিজেকে প্রকাশ করার জন্য সুযোগ খোঁজা এবং সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওয়ার্কিংয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী?
এখনো ঠিক করিনি। বিএসসি করার সময় আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভালো পাঁচটি কোম্পানির একটিতে কাজ করা। তারপর আমি যত বড় হচ্ছি, আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরও পরিণত হচ্ছে। বর্তমানে আমার লক্ষ্য হলো, ডিসটিংকশনের সঙ্গে পিএইচডি সম্পন্ন করা। আমার প্যাশন এবং লক্ষ্যের সঙ্গে যায়—এমন ইন্ডাস্ট্রিতে গবেষক হিসেবে যোগ দেওয়া। তাই আরও পাঁচ বছর না যাওয়ার আগপর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে আপনার পড়াশোনা নিয়ে বলুন?
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
দেশে পড়াশোনা করার সময় কখনো প্রচলিত একাডেমিকে পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজে গুরুত্ব দিয়েছি। এইচএসসিতে পড়ার সময় আমি নটর ডেম সায়েন্স ক্লাবের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। বিএসসি করার সময় ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, যুক্তরাষ্ট্র এবং পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। এমআইএসটি কম্পিউটার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম এবং কয়েকটি হ্যাকাথনে অংশ নিয়েছিলাম। আমি পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলেও আপনাদেরকে একাডেমিক পড়াশোনাকে এড়িয়ে যেতে বলব না। সাধারণত, যে কারও উচিত পাশাপাশি উভয় ক্ষেত্রে ভালো করার জন্য চেষ্টা করা।
আমাজন সায়েন্সে আপনি কোন সেকশনে ইন্টার্নশিপ করছেন, কী কী কাজ আপনাকে করতে হয়?
আমি বর্তমানে আমাজন সায়েন্সে সামার ইন্টার্নশিপ করছি। এটি ১৪ সপ্তাহের ইন্টার্নশিপ। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে আমি কাজ করছি। আমি অ্যালেক্সা এআই টিমের একজন সদস্য। একজন রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে আমার প্রাথমিক দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে অ্যালেক্সার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করা। যেমন কনভারসেশনের উত্তর দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করা, পারফরম্যান্স বাড়ানো এবং খরচ কমানো।
এখানে ইন্টার্নশিপ করে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?
সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি পাচ্ছি, তা হলো নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে সফলতার জন্য জ্ঞানের পাশাপাশি নেটওয়ার্কিংও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আসার আগে আমি মনে করতাম, সফলতার জন্য জ্ঞান থাকাটাই যথেষ্ট। কিন্তু এখানে কাজ করে বুঝতে পেরেছি, অনেক মানুষই জ্ঞানের সমান লেভেলের মধ্যে আটকে রয়েছেন। এ পর্যায়ে এসে ওপরের দিকে যাওয়ার জন্য নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে আর্থিক সুবিধাও বেশ ভালো পেয়েছি। যদিও এটি প্রাথমিক লক্ষ্য নয়।
আমাজন সায়েন্সে ইন্টার্নশিপে সুযোগ পাওয়ার পদ্ধতি কী কী?
সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নেই। এটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। উচ্চপর্যায়ে ইন্টার্নশিপের প্রাথমিক ইন্টারভিউ কল পাওয়ার জন্য আমার বিভিন্ন প্রকাশনা কাজে লেগেছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এখানে ইন্টারভিউ কলে সুযোগ পাওয়ার চেয়ে ইন্টারভিউতে পাস করা আরও কঠিন। সাধারণত এখানে কর্মরত কেউ রেফার করলে ইন্টারভিউ কল দ্রুত পাওয়া যায়। আমার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ছিল একটি কোডিং ইন্টারভিউ এবং দুটি মেশিন লার্নিং ইন্টারভিউ। প্রতিটিই আমাজনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়েছিলেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইন্টারভিউ নিশ্চিত করতে চাইলে নেটওয়ার্ক থাকা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং রোল-নির্দিষ্ট রিজিউম থাকা প্রয়োজন। আর ইন্টারভিউতে সফলতা পাওয়ার জন্য আপনার কারিগরি জ্ঞান, সফট স্কিল, সর্বোপরি ভাগ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে তাদের কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ইন্টার্নশিপ পাওয়াটা খুব চ্যালেঞ্জিং; কিন্তু অসম্ভব নয়। আমি কয়েকজনকে জানি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি গুগলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন। আমাজনে আমি একজন ইন্টার্নকে পেয়েছি, যিনি সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের পরিবেশ এবং প্রযুক্তি অবকাঠামো যেকোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।
তারপরও একজন বাংলাদেশি বিদেশে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে সে বিষয়ে ভালো জ্ঞান অর্জন করা, নিজেকে প্রকাশ করার জন্য সুযোগ খোঁজা এবং সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওয়ার্কিংয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী?
এখনো ঠিক করিনি। বিএসসি করার সময় আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভালো পাঁচটি কোম্পানির একটিতে কাজ করা। তারপর আমি যত বড় হচ্ছি, আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরও পরিণত হচ্ছে। বর্তমানে আমার লক্ষ্য হলো, ডিসটিংকশনের সঙ্গে পিএইচডি সম্পন্ন করা। আমার প্যাশন এবং লক্ষ্যের সঙ্গে যায়—এমন ইন্ডাস্ট্রিতে গবেষক হিসেবে যোগ দেওয়া। তাই আরও পাঁচ বছর না যাওয়ার আগপর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পিএইচডি করছেন সুভাশিস রায় দীপ্ত। এ বছর গ্রীষ্মের ছুটিতে আমাজন সায়েন্সে অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ইন্টার্ন হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
নাদিম মজিদ
বাংলাদেশে আপনার পড়াশোনা নিয়ে বলুন?
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
দেশে পড়াশোনা করার সময় কখনো প্রচলিত একাডেমিকে পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজে গুরুত্ব দিয়েছি। এইচএসসিতে পড়ার সময় আমি নটর ডেম সায়েন্স ক্লাবের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। বিএসসি করার সময় ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, যুক্তরাষ্ট্র এবং পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। এমআইএসটি কম্পিউটার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম এবং কয়েকটি হ্যাকাথনে অংশ নিয়েছিলাম। আমি পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলেও আপনাদেরকে একাডেমিক পড়াশোনাকে এড়িয়ে যেতে বলব না। সাধারণত, যে কারও উচিত পাশাপাশি উভয় ক্ষেত্রে ভালো করার জন্য চেষ্টা করা।
আমাজন সায়েন্সে আপনি কোন সেকশনে ইন্টার্নশিপ করছেন, কী কী কাজ আপনাকে করতে হয়?
আমি বর্তমানে আমাজন সায়েন্সে সামার ইন্টার্নশিপ করছি। এটি ১৪ সপ্তাহের ইন্টার্নশিপ। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে আমি কাজ করছি। আমি অ্যালেক্সা এআই টিমের একজন সদস্য। একজন রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে আমার প্রাথমিক দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে অ্যালেক্সার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করা। যেমন কনভারসেশনের উত্তর দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করা, পারফরম্যান্স বাড়ানো এবং খরচ কমানো।
এখানে ইন্টার্নশিপ করে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?
সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি পাচ্ছি, তা হলো নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে সফলতার জন্য জ্ঞানের পাশাপাশি নেটওয়ার্কিংও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আসার আগে আমি মনে করতাম, সফলতার জন্য জ্ঞান থাকাটাই যথেষ্ট। কিন্তু এখানে কাজ করে বুঝতে পেরেছি, অনেক মানুষই জ্ঞানের সমান লেভেলের মধ্যে আটকে রয়েছেন। এ পর্যায়ে এসে ওপরের দিকে যাওয়ার জন্য নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে আর্থিক সুবিধাও বেশ ভালো পেয়েছি। যদিও এটি প্রাথমিক লক্ষ্য নয়।
আমাজন সায়েন্সে ইন্টার্নশিপে সুযোগ পাওয়ার পদ্ধতি কী কী?
সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নেই। এটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। উচ্চপর্যায়ে ইন্টার্নশিপের প্রাথমিক ইন্টারভিউ কল পাওয়ার জন্য আমার বিভিন্ন প্রকাশনা কাজে লেগেছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এখানে ইন্টারভিউ কলে সুযোগ পাওয়ার চেয়ে ইন্টারভিউতে পাস করা আরও কঠিন। সাধারণত এখানে কর্মরত কেউ রেফার করলে ইন্টারভিউ কল দ্রুত পাওয়া যায়। আমার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ছিল একটি কোডিং ইন্টারভিউ এবং দুটি মেশিন লার্নিং ইন্টারভিউ। প্রতিটিই আমাজনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়েছিলেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইন্টারভিউ নিশ্চিত করতে চাইলে নেটওয়ার্ক থাকা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং রোল-নির্দিষ্ট রিজিউম থাকা প্রয়োজন। আর ইন্টারভিউতে সফলতা পাওয়ার জন্য আপনার কারিগরি জ্ঞান, সফট স্কিল, সর্বোপরি ভাগ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে তাদের কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ইন্টার্নশিপ পাওয়াটা খুব চ্যালেঞ্জিং; কিন্তু অসম্ভব নয়। আমি কয়েকজনকে জানি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি গুগলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন। আমাজনে আমি একজন ইন্টার্নকে পেয়েছি, যিনি সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের পরিবেশ এবং প্রযুক্তি অবকাঠামো যেকোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।
তারপরও একজন বাংলাদেশি বিদেশে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে সে বিষয়ে ভালো জ্ঞান অর্জন করা, নিজেকে প্রকাশ করার জন্য সুযোগ খোঁজা এবং সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওয়ার্কিংয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী?
এখনো ঠিক করিনি। বিএসসি করার সময় আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভালো পাঁচটি কোম্পানির একটিতে কাজ করা। তারপর আমি যত বড় হচ্ছি, আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরও পরিণত হচ্ছে। বর্তমানে আমার লক্ষ্য হলো, ডিসটিংকশনের সঙ্গে পিএইচডি সম্পন্ন করা। আমার প্যাশন এবং লক্ষ্যের সঙ্গে যায়—এমন ইন্ডাস্ট্রিতে গবেষক হিসেবে যোগ দেওয়া। তাই আরও পাঁচ বছর না যাওয়ার আগপর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে আপনার পড়াশোনা নিয়ে বলুন?
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
দেশে পড়াশোনা করার সময় কখনো প্রচলিত একাডেমিকে পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজে গুরুত্ব দিয়েছি। এইচএসসিতে পড়ার সময় আমি নটর ডেম সায়েন্স ক্লাবের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। বিএসসি করার সময় ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, যুক্তরাষ্ট্র এবং পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। এমআইএসটি কম্পিউটার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম এবং কয়েকটি হ্যাকাথনে অংশ নিয়েছিলাম। আমি পড়াশোনার চেয়ে সহশিক্ষামূলক কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলেও আপনাদেরকে একাডেমিক পড়াশোনাকে এড়িয়ে যেতে বলব না। সাধারণত, যে কারও উচিত পাশাপাশি উভয় ক্ষেত্রে ভালো করার জন্য চেষ্টা করা।
আমাজন সায়েন্সে আপনি কোন সেকশনে ইন্টার্নশিপ করছেন, কী কী কাজ আপনাকে করতে হয়?
আমি বর্তমানে আমাজন সায়েন্সে সামার ইন্টার্নশিপ করছি। এটি ১৪ সপ্তাহের ইন্টার্নশিপ। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে আমি কাজ করছি। আমি অ্যালেক্সা এআই টিমের একজন সদস্য। একজন রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে আমার প্রাথমিক দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে অ্যালেক্সার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করা। যেমন কনভারসেশনের উত্তর দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করা, পারফরম্যান্স বাড়ানো এবং খরচ কমানো।
এখানে ইন্টার্নশিপ করে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?
সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি পাচ্ছি, তা হলো নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে সফলতার জন্য জ্ঞানের পাশাপাশি নেটওয়ার্কিংও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আসার আগে আমি মনে করতাম, সফলতার জন্য জ্ঞান থাকাটাই যথেষ্ট। কিন্তু এখানে কাজ করে বুঝতে পেরেছি, অনেক মানুষই জ্ঞানের সমান লেভেলের মধ্যে আটকে রয়েছেন। এ পর্যায়ে এসে ওপরের দিকে যাওয়ার জন্য নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে আর্থিক সুবিধাও বেশ ভালো পেয়েছি। যদিও এটি প্রাথমিক লক্ষ্য নয়।
আমাজন সায়েন্সে ইন্টার্নশিপে সুযোগ পাওয়ার পদ্ধতি কী কী?
সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নেই। এটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। উচ্চপর্যায়ে ইন্টার্নশিপের প্রাথমিক ইন্টারভিউ কল পাওয়ার জন্য আমার বিভিন্ন প্রকাশনা কাজে লেগেছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এখানে ইন্টারভিউ কলে সুযোগ পাওয়ার চেয়ে ইন্টারভিউতে পাস করা আরও কঠিন। সাধারণত এখানে কর্মরত কেউ রেফার করলে ইন্টারভিউ কল দ্রুত পাওয়া যায়। আমার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ছিল একটি কোডিং ইন্টারভিউ এবং দুটি মেশিন লার্নিং ইন্টারভিউ। প্রতিটিই আমাজনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়েছিলেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইন্টারভিউ নিশ্চিত করতে চাইলে নেটওয়ার্ক থাকা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং রোল-নির্দিষ্ট রিজিউম থাকা প্রয়োজন। আর ইন্টারভিউতে সফলতা পাওয়ার জন্য আপনার কারিগরি জ্ঞান, সফট স্কিল, সর্বোপরি ভাগ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে তাদের কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ইন্টার্নশিপ পাওয়াটা খুব চ্যালেঞ্জিং; কিন্তু অসম্ভব নয়। আমি কয়েকজনকে জানি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি গুগলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন। আমাজনে আমি একজন ইন্টার্নকে পেয়েছি, যিনি সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের পরিবেশ এবং প্রযুক্তি অবকাঠামো যেকোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।
তারপরও একজন বাংলাদেশি বিদেশে ইন্টার্নশিপ করতে চাইলে সে বিষয়ে ভালো জ্ঞান অর্জন করা, নিজেকে প্রকাশ করার জন্য সুযোগ খোঁজা এবং সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওয়ার্কিংয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী?
এখনো ঠিক করিনি। বিএসসি করার সময় আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভালো পাঁচটি কোম্পানির একটিতে কাজ করা। তারপর আমি যত বড় হচ্ছি, আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরও পরিণত হচ্ছে। বর্তমানে আমার লক্ষ্য হলো, ডিসটিংকশনের সঙ্গে পিএইচডি সম্পন্ন করা। আমার প্যাশন এবং লক্ষ্যের সঙ্গে যায়—এমন ইন্ডাস্ট্রিতে গবেষক হিসেবে যোগ দেওয়া। তাই আরও পাঁচ বছর না যাওয়ার আগপর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৪ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৪ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
১৬ আগস্ট ২০২৫‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৪ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৪ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
১৬ আগস্ট ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৪ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
১৬ আগস্ট ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৪ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
আমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
১৬ আগস্ট ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১৪ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১৪ ঘণ্টা আগে