মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সম্পর্কে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর লেখা বইয়ের নাম বলুন।
উত্তর: দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সে-তুঙ এর দেশে (১৯৬৩)।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর সম্মাননা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পথ রচনায় মওলানা ভাসানীর অবদান সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন এমনকি স্বাধীনতার ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছেন, যেমন তিনি ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ভাষার অধিকার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা কি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের গোলাম?’ পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে মওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার—এসব বিষয় তুলে ধরেন। একইভাবে তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে যে ২১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১৯ দফায় তিনি বলেছেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও সার্বভৌমিক করা হইবে এবং দেশ রক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সমস্ত বিষয় পূর্ববঙ্গ সরকারের হাতে আনয়ন করা হইবে।’ বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে চিহ্নিত ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মূল বক্তব্যে ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের ১৯ দফারই প্রতিফলন। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পল্টনের জনসভায় বক্তৃতার পাশাপাশি ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মওলানা ভাসানী সরাসরি স্বাধীনতার কথা বলেছেন। ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলনে’ খুব গুরুত্ব দিয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বাধীনতার কথা বলেন। ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলনের সুবিশাল জনসভায় ভাসানী বলেছিলেন, ‘এভাবেই যদি পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর শাসন-শোষণ চলতে থাকে, তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পূর্ব বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি আসসালামু আলাইকুম জানাবে। তোমাদের পথ তোমরা দেখো, আমাদের পথ আমরা দেখব।’
একইভাবে ১৯৬৯ সালে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনামলের সময়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মওলানা ভাসানী কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক করতে চেষ্টা করছেন এবং এই কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার কথা বারবার বলতে থাকেন। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার শাসনামলে এসব কৃষক সম্মেলনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে শাহপুরে, ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে সন্তোষে এবং একই বছরের এপ্রিলে মহিপুরে। এসব কৃষক সম্মেলনে মওলানা ভাসানী বলছেন, ‘আমাদের ভাগ্য আমাদেরই গড়ে নিতে হবে। পিন্ডির গোলামি ছিন্ন করতে হবে।’
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর কারাবরণ সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারাবরণ হলো, ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। এরপর পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পান। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। খাদ্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তিনি ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ১৬ মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে আইয়ুব খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১২ অক্টোবর মওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকায় ৪ বছর ১০ মাস কারারুদ্ধ থাকেন।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর লেখা বইয়ের নাম বলুন।
উত্তর: দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সে-তুঙ এর দেশে (১৯৬৩)।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর সম্মাননা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পথ রচনায় মওলানা ভাসানীর অবদান সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন এমনকি স্বাধীনতার ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছেন, যেমন তিনি ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ভাষার অধিকার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা কি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের গোলাম?’ পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে মওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার—এসব বিষয় তুলে ধরেন। একইভাবে তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে যে ২১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১৯ দফায় তিনি বলেছেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও সার্বভৌমিক করা হইবে এবং দেশ রক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সমস্ত বিষয় পূর্ববঙ্গ সরকারের হাতে আনয়ন করা হইবে।’ বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে চিহ্নিত ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মূল বক্তব্যে ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের ১৯ দফারই প্রতিফলন। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পল্টনের জনসভায় বক্তৃতার পাশাপাশি ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মওলানা ভাসানী সরাসরি স্বাধীনতার কথা বলেছেন। ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলনে’ খুব গুরুত্ব দিয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বাধীনতার কথা বলেন। ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলনের সুবিশাল জনসভায় ভাসানী বলেছিলেন, ‘এভাবেই যদি পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর শাসন-শোষণ চলতে থাকে, তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পূর্ব বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি আসসালামু আলাইকুম জানাবে। তোমাদের পথ তোমরা দেখো, আমাদের পথ আমরা দেখব।’
একইভাবে ১৯৬৯ সালে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনামলের সময়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মওলানা ভাসানী কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক করতে চেষ্টা করছেন এবং এই কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার কথা বারবার বলতে থাকেন। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার শাসনামলে এসব কৃষক সম্মেলনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে শাহপুরে, ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে সন্তোষে এবং একই বছরের এপ্রিলে মহিপুরে। এসব কৃষক সম্মেলনে মওলানা ভাসানী বলছেন, ‘আমাদের ভাগ্য আমাদেরই গড়ে নিতে হবে। পিন্ডির গোলামি ছিন্ন করতে হবে।’
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর কারাবরণ সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারাবরণ হলো, ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। এরপর পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পান। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। খাদ্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তিনি ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ১৬ মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে আইয়ুব খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১২ অক্টোবর মওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকায় ৪ বছর ১০ মাস কারারুদ্ধ থাকেন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সম্পর্কে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর লেখা বইয়ের নাম বলুন।
উত্তর: দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সে-তুঙ এর দেশে (১৯৬৩)।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর সম্মাননা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পথ রচনায় মওলানা ভাসানীর অবদান সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন এমনকি স্বাধীনতার ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছেন, যেমন তিনি ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ভাষার অধিকার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা কি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের গোলাম?’ পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে মওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার—এসব বিষয় তুলে ধরেন। একইভাবে তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে যে ২১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১৯ দফায় তিনি বলেছেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও সার্বভৌমিক করা হইবে এবং দেশ রক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সমস্ত বিষয় পূর্ববঙ্গ সরকারের হাতে আনয়ন করা হইবে।’ বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে চিহ্নিত ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মূল বক্তব্যে ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের ১৯ দফারই প্রতিফলন। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পল্টনের জনসভায় বক্তৃতার পাশাপাশি ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মওলানা ভাসানী সরাসরি স্বাধীনতার কথা বলেছেন। ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলনে’ খুব গুরুত্ব দিয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বাধীনতার কথা বলেন। ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলনের সুবিশাল জনসভায় ভাসানী বলেছিলেন, ‘এভাবেই যদি পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর শাসন-শোষণ চলতে থাকে, তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পূর্ব বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি আসসালামু আলাইকুম জানাবে। তোমাদের পথ তোমরা দেখো, আমাদের পথ আমরা দেখব।’
একইভাবে ১৯৬৯ সালে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনামলের সময়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মওলানা ভাসানী কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক করতে চেষ্টা করছেন এবং এই কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার কথা বারবার বলতে থাকেন। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার শাসনামলে এসব কৃষক সম্মেলনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে শাহপুরে, ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে সন্তোষে এবং একই বছরের এপ্রিলে মহিপুরে। এসব কৃষক সম্মেলনে মওলানা ভাসানী বলছেন, ‘আমাদের ভাগ্য আমাদেরই গড়ে নিতে হবে। পিন্ডির গোলামি ছিন্ন করতে হবে।’
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর কারাবরণ সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারাবরণ হলো, ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। এরপর পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পান। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। খাদ্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তিনি ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ১৬ মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে আইয়ুব খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১২ অক্টোবর মওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকায় ৪ বছর ১০ মাস কারারুদ্ধ থাকেন।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর লেখা বইয়ের নাম বলুন।
উত্তর: দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সে-তুঙ এর দেশে (১৯৬৩)।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর সম্মাননা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পথ রচনায় মওলানা ভাসানীর অবদান সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন এমনকি স্বাধীনতার ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছেন, যেমন তিনি ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ভাষার অধিকার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা কি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের গোলাম?’ পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে মওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার—এসব বিষয় তুলে ধরেন। একইভাবে তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে যে ২১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১৯ দফায় তিনি বলেছেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও সার্বভৌমিক করা হইবে এবং দেশ রক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সমস্ত বিষয় পূর্ববঙ্গ সরকারের হাতে আনয়ন করা হইবে।’ বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে চিহ্নিত ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মূল বক্তব্যে ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের ১৯ দফারই প্রতিফলন। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পল্টনের জনসভায় বক্তৃতার পাশাপাশি ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মওলানা ভাসানী সরাসরি স্বাধীনতার কথা বলেছেন। ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলনে’ খুব গুরুত্ব দিয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বাধীনতার কথা বলেন। ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলনের সুবিশাল জনসভায় ভাসানী বলেছিলেন, ‘এভাবেই যদি পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর শাসন-শোষণ চলতে থাকে, তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পূর্ব বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি আসসালামু আলাইকুম জানাবে। তোমাদের পথ তোমরা দেখো, আমাদের পথ আমরা দেখব।’
একইভাবে ১৯৬৯ সালে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনামলের সময়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মওলানা ভাসানী কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক করতে চেষ্টা করছেন এবং এই কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার কথা বারবার বলতে থাকেন। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার শাসনামলে এসব কৃষক সম্মেলনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে শাহপুরে, ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে সন্তোষে এবং একই বছরের এপ্রিলে মহিপুরে। এসব কৃষক সম্মেলনে মওলানা ভাসানী বলছেন, ‘আমাদের ভাগ্য আমাদেরই গড়ে নিতে হবে। পিন্ডির গোলামি ছিন্ন করতে হবে।’
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর কারাবরণ সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারাবরণ হলো, ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। এরপর পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পান। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। খাদ্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তিনি ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ১৬ মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে আইয়ুব খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১২ অক্টোবর মওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকায় ৪ বছর ১০ মাস কারারুদ্ধ থাকেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।
গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল রোববার অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে সতর্ক করে নোটিশ জারি করে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস ত্যাগ করার সময় নিজ নিজ রুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার বন্ধ করা ও এসির প্লাগ খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
নোটিশটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।
গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ১৬ অক্টোবর আগুন লাগে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায়, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নেভানো যায়।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি।
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।
এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।
যোগ্য দেশের তালিকা
বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।
আবেদনের যোগ্যতা
রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।
যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই বৃত্তি। অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সক্রিয় থাকবে।
এই বৃত্তির আওতায় মেডিসিন ছাড়া যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। যাঁরা যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রায় ৯ শতাব্দী পুরোনো। যার সূচনা হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৩০টির বেশি স্বতন্ত্র কলেজ ও হল রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
অক্সফোর্ডের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। যার আওতায় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করা হবে। বৃত্তির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে—টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ, থাকবে ডিগ্রি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। প্রতিবছর শিক্ষার্থীকে নিজ দেশের জন্য একটি রিটার্ন বিমান টিকিট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আবাসন ও জীবনযাপনের সব খরচ বহন করবে বৃত্তি কর্তৃপক্ষ।
যোগ্য দেশের তালিকা
বৃত্তিটির জন্য বিশ্বের যেসব দেশের স্থায়ী নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বহু দেশ। যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, মিসর, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া।
আবেদনের যোগ্যতা
রিচ অক্সফোর্ড স্কলারশিপের যোগ্যতার শর্তাবলি হলো—আবেদনকারীকে অবশ্যই উল্লেখিত তালিকাভুক্ত দেশগুলোর (যেমন বাংলাদেশসহ) নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই বৃত্তি শুধু তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে ভর্তির অফার পেয়েছেন এবং যাঁদের একাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা অত্যন্ত উচ্চমানের। মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি, জীববিজ্ঞান, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশলবিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, আইন, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেসরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিস থেকে বের হওয়ার আগে রুমের বৈদ্যুতিক সুইচগুলো ও এসির প্লাগ বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক
২ দিন আগে