মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সম্পর্কে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর লেখা বইয়ের নাম বলুন।
উত্তর: দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সে-তুঙ এর দেশে (১৯৬৩)।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর সম্মাননা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পথ রচনায় মওলানা ভাসানীর অবদান সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন এমনকি স্বাধীনতার ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছেন, যেমন তিনি ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ভাষার অধিকার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা কি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের গোলাম?’ পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে মওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার—এসব বিষয় তুলে ধরেন। একইভাবে তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে যে ২১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১৯ দফায় তিনি বলেছেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও সার্বভৌমিক করা হইবে এবং দেশ রক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সমস্ত বিষয় পূর্ববঙ্গ সরকারের হাতে আনয়ন করা হইবে।’ বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে চিহ্নিত ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মূল বক্তব্যে ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের ১৯ দফারই প্রতিফলন। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পল্টনের জনসভায় বক্তৃতার পাশাপাশি ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মওলানা ভাসানী সরাসরি স্বাধীনতার কথা বলেছেন। ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলনে’ খুব গুরুত্ব দিয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বাধীনতার কথা বলেন। ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলনের সুবিশাল জনসভায় ভাসানী বলেছিলেন, ‘এভাবেই যদি পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর শাসন-শোষণ চলতে থাকে, তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পূর্ব বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি আসসালামু আলাইকুম জানাবে। তোমাদের পথ তোমরা দেখো, আমাদের পথ আমরা দেখব।’
একইভাবে ১৯৬৯ সালে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনামলের সময়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মওলানা ভাসানী কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক করতে চেষ্টা করছেন এবং এই কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার কথা বারবার বলতে থাকেন। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার শাসনামলে এসব কৃষক সম্মেলনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে শাহপুরে, ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে সন্তোষে এবং একই বছরের এপ্রিলে মহিপুরে। এসব কৃষক সম্মেলনে মওলানা ভাসানী বলছেন, ‘আমাদের ভাগ্য আমাদেরই গড়ে নিতে হবে। পিন্ডির গোলামি ছিন্ন করতে হবে।’
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর কারাবরণ সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারাবরণ হলো, ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। এরপর পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পান। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। খাদ্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তিনি ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ১৬ মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে আইয়ুব খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১২ অক্টোবর মওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকায় ৪ বছর ১০ মাস কারারুদ্ধ থাকেন।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর লেখা বইয়ের নাম বলুন।
উত্তর: দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২), মাও সে-তুঙ এর দেশে (১৯৬৩)।
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর সম্মাননা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পথ রচনায় মওলানা ভাসানীর অবদান সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তর: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন এমনকি স্বাধীনতার ইস্যু সামনে নিয়ে এসেছেন, যেমন তিনি ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ভাষার অধিকার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা কি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের গোলাম?’ পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে মওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার—এসব বিষয় তুলে ধরেন। একইভাবে তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে যে ২১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেখানে ১৯ দফায় তিনি বলেছেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও সার্বভৌমিক করা হইবে এবং দেশ রক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সমস্ত বিষয় পূর্ববঙ্গ সরকারের হাতে আনয়ন করা হইবে।’ বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে চিহ্নিত ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মূল বক্তব্যে ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের ১৯ দফারই প্রতিফলন। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পল্টনের জনসভায় বক্তৃতার পাশাপাশি ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মওলানা ভাসানী সরাসরি স্বাধীনতার কথা বলেছেন। ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলনে’ খুব গুরুত্ব দিয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বাধীনতার কথা বলেন। ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলনের সুবিশাল জনসভায় ভাসানী বলেছিলেন, ‘এভাবেই যদি পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর শাসন-শোষণ চলতে থাকে, তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পূর্ব বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি আসসালামু আলাইকুম জানাবে। তোমাদের পথ তোমরা দেখো, আমাদের পথ আমরা দেখব।’
একইভাবে ১৯৬৯ সালে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসনামলের সময়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মওলানা ভাসানী কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক করতে চেষ্টা করছেন এবং এই কৃষক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার কথা বারবার বলতে থাকেন। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার শাসনামলে এসব কৃষক সম্মেলনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে শাহপুরে, ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে সন্তোষে এবং একই বছরের এপ্রিলে মহিপুরে। এসব কৃষক সম্মেলনে মওলানা ভাসানী বলছেন, ‘আমাদের ভাগ্য আমাদেরই গড়ে নিতে হবে। পিন্ডির গোলামি ছিন্ন করতে হবে।’
প্রশ্ন: মওলানা ভাসানীর কারাবরণ সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারাবরণ হলো, ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। এরপর পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পান। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। খাদ্যের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তিনি ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে ১৬ মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে আইয়ুব খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১২ অক্টোবর মওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকায় ৪ বছর ১০ মাস কারারুদ্ধ থাকেন।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সরাসরি সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ‘ইউসিবিডি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ইয়ার (ইউআইএফওয়াই)’ শীর্ষক একটি প্রোগ্রাম...
১ দিন আগেমাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ৫ শিক্ষক একসঙ্গে অধ্যাপক হয়েছেন।
১ দিন আগে