Ajker Patrika

উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার: জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার: জরিপ

দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে নানাভাবে ‘বৈষম্যের শিকার’ হচ্ছেন। বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীদের ৫১ শতাংশ ছাত্রী ও ৪৯ শতাংশ ছাত্র। পাবলিক বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) ‘বৈষম্যের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সমীক্ষার ফল তুলে ধরা হয়। আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের টিম লিডার ফারজানা আক্তার লাবনী সমীক্ষার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।

২০২৫ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা স্নাতক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মোট ১ হাজার ১৭৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনলাইনে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়।

অংশগ্রহণকারীদের ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ছিলেন পাবলিক বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২২ শতাংশ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ছিলেন।

সমীক্ষার তথ্য বলছে, বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীদের ৫৬ শতাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের; আর ১৯ শতাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ৫ শতাংশ মেডিকেল কলেজের। স্নাতকের শেষ দুই বছর অর্থাৎ তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন।

আঁচল ফাউন্ডেশন বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া ১ হাজার ১৭৩ জনের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ছিলেন ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ, পুরুষ শিক্ষার্থী ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। তাঁদের ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ছিলেন ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ছিল ২৩ থেকে ২৬ বছর বয়সের শিক্ষার্থী, যা ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২৭ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ৩০ বছরের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। অনলাইনে পাঠানো প্রশ্নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা এ জরিপে অংশ নিয়েছিলেন।

জরিপে যে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার বলে দাবি করছেন, তাঁদের প্রায় ৬০ শতাংশ বলছেন, তাঁরা পরীক্ষায় ফলাফলের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। প্রায় ৩০ শতাংশের দাবি, তাঁরা লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের শিকার ও ১৯ শতাংশ ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করছেন। শারীরিক অক্ষমতার জন্য প্রায় ৭ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ও জাতিগত পার্থক্যের কারণে ৯ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছেন। এ ছাড়া অর্থনৈতিক কারণে প্রায় ২৩ শতাংশ, শারীরিক অবয়বের কারণে ২৯ শতাংশ এবং রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীর বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে, যা মোট হিসাবের ৬০ শতাংশ। ১৯ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বা ডরমিটরিতে এবং ৩৭ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইভেন্টে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হতে হয়েছে ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থীকে। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৪৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ৫০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন বন্ধুবান্ধবদের আড্ডায় তাঁদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন প্রায় ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর। এর বাইরে লাইব্রেরি, ক্যাফে, পরীক্ষার হলেও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষার্থী।

নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার দাবি করা ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৪৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ৫০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

সমীক্ষার তথ্য-উপাত্ত বলছে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন সহপাঠীদের দ্বারা, যা প্রায় ৫৮ শতাংশ। শিক্ষক কর্তৃক এ ধরনের আচরণের শিকার হতে হয়েছেন ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে। ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী বৈষম্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। প্রায় ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দায়ী করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে।

জরিপের তথ্য বলছে, বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশই মানসিক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন। এঁদের মাঝে ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, এ ধরনের আচরণের প্রভাব তাঁদের ওপর গুরুতরভাবে পড়েছে, মোটামুটি প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৬ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন কোনো প্রভাব পড়েনি।

বৈষম্যের শিকার হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৭৫ শতাংশই জানান, তাঁরা কোনো ধরনের অভিযোগ দেননি।

জরিপের তথ্য বলছে, বৈষম্যের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা, যেমন—কাউন্সেলিং, থেরাপি ইত্যাদির শরণাপন্ন হয়েছেন। অবশিষ্ট ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থীই জানিয়েছেন, তাঁরা কোনো ধরনের সেবা গ্রহণ করেননি।

এসব সমীক্ষার ফলের ভিত্তিতে আঁচল ফাউন্ডেশন সাত প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এগুলো হলো—মেন্টরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ; ছয় মাস অন্তর শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং করা; বৈষম্য ও হয়রানি প্রতিরোধে মনিটরিং টিম গঠন ও কঠোর আইন প্রয়োগ; অভিযোগ সেল গঠন; শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে সম্পর্ক তৈরি; ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টার চালু এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা।

ভার্চুয়াল এ সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সাইকিয়াট্রিস্ট সায়েদুল ইসলাম সাঈদ, ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী হাবিবুর রহমান, পার্সপেক্টিভের নির্বাহী সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজসহ আরও অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ নিয়ে সভা ২৫ ডিসেম্বর, নতুন বছরে প্রথম দিন ক্লাস শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ১৩
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে নানা স্লোগান দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে নানা স্লোগান দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি) প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।

অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশ সংশোধন করা হচ্ছে জানিয়ে বলেছে, এ প্রক্রিয়া ‘সময়সাপেক্ষ’।

আজ বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৩৮৮ জন শিক্ষার্থী ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসাশিক্ষা ইউনিটে ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন। বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোতে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর জন্য স্ব-স্ব কলেজের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন ছুটি শেষে ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষক প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সুধীজনসহ বিভিন্ন মহল হতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত প্রতিটি মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করে খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, পরিমার্জনের কাজ সম্পন্ন করে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিমার্জিত খসড়ার ওপর আন্তমন্ত্রণালয় সভা করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সাত কলেজের সম্পৃক্ততার ধরন বিষয়ে বাস্তবসম্মত, কার্যকর ও উপযোগী কাঠামো নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে।

এদিকে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুরের পর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনের সামনের সংযোগ সড়ক থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে হাইকোর্ট মোড় থেকে সচিবালয় অভিমুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট হয়। শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে গতকাল রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

জানতে চাইলে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ ব্যাচের ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর আজ দুপুরে বলেন, ‘অধ্যাদেশ জারি হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ৷ দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।

ওই খসড়া প্রকাশের পর কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভিন্ন অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। ওই সাত কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের একাংশ দ্রুত অধ্যাদেশের দাবি জানিয়েছেন এবং উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ ‘স্কুলিং’ কাঠামো বাতিল এবং কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘এসটিআই’ সম্মেলন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৮
৭ম আই-ইইই ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে ডিআরইউয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
৭ম আই-ইইই ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে ডিআরইউয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিল্পের জন্য টেকসই প্রযুক্তির উন্নয়নে আন্তর্জাতিক গবেষকদের সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে সপ্তম আই-ইইই ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আগামী ১১-১২ ডিসেম্বর পূর্বাচলের আমেরিকান সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকেরা।

আয়োজকেরা জানান, এ বছর সম্মেলনে এআই সহযোগিতা, সাইবার সিকিউরিটি, রেজিলিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, আইওটি ও উন্নত অটোমেশন, গ্রিন টেকনোলজি, সার্কুলার ইকোনমি, পোস্ট-প্যান্ডেমিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশনসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে মূল বক্তব্য, গবেষণা উপস্থাপনা, কর্মশালা ও প্যানেল আলোচনা হবে।

আয়োজক আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে প্রথম এসটিআই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে ২০টির বেশি দেশের গবেষক অংশ নিলেও ২০২৪ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০।

সংবাদ সম্মেলনে জিইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব ও সম্ভাব্য কর্মহীনতার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে লাগসই শিল্পপ্রযুক্তি ও গবেষণানির্ভর সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিল্প খাত ও নীতিনির্ধারকদের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মানবিক উদ্ভাবন ও বাস্তব প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া দরকার। গ্রিন ইউনিভার্সিটি সে দিকটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তা ছাড়া প্রতি বছরই সম্মেলনের গবেষণা প্রবন্ধ আই-ইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মেলনের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ও সম্মেলনের পাবলিকেশন চেয়ার ড. মো. আহসান হাবীব জানান, টেকসই শিল্পপ্রযুক্তির গবেষণা ও প্রয়োগ বৃদ্ধিতেই এসটিআই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইলেকট্রনিকস, রোবোটিকস, সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতের গবেষণাকে শিল্পে প্রয়োগযোগ্য করে তোলাই এ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য।

জিইউবির তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম শিহাব উদ্দিন বলেন, এবারের সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে ৪৩৪টি গবেষণা পেপার জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিত সেরা গবেষণাপত্রগুলোকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং সেগুলো আই-ইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সিংয়ে প্রকাশিত হবে।

তিনি জানান, ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা। ১২ ডিসেম্বর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান।

সম্মেলনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কি-নোট স্পিকার, শিল্প খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জিইউবি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. মো. অলিউর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

শিক্ষা ডেস্ক
শিক্ষকদের সঙ্গে ৫৪তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষকদের সঙ্গে ৫৪তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগে ফল সেমিস্টার–২০২৫-এ ভর্তি হওয়া ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের উদ্যোগে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বনমায়া প্রাঙ্গণে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান জামিল। শুরুতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের পক্ষ থেকে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াদুস সালেহীন শৌভিক ও সাবাবা খাদিজা হক।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গ্রেগরি জন সাইমন, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক অমিত চক্রবর্তী, বিভাগের প্রভাষক ইহা অবাপ্তি, মেহেরাবুল হক রাফি, মেহেরুন নাহার, ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবের সভাপতি তামান্না ইয়াসমিন মারিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইশরাক আলমসহ প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগ একটি সৃজনশীল ও সম্ভাবনাময় শিক্ষাক্ষেত্র, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়। চার বছরের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পাঠের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাতির প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য তারা নবীনদের উৎসাহিত করেন। শিক্ষার্থীদের যেকোনো ইতিবাচক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাসও দেন শিক্ষকেরা।

নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, এমন আন্তরিক ও প্রাণবন্ত আয়োজন তাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শিক্ষকবৃন্দের দিকনির্দেশনা এবং জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। তারা প্রত্যাশা করেন যে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন শেষে দক্ষ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবেন।

আলোচনা পর্ব শেষে নবীন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান, নৃত্যসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘নব্যপ্রভা’-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডের দ্বার খুলেছে। দেশটির অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণা করেছে সম্মানজনক বৃত্তি কর্মসূচি। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই বৃত্তি হতে পারে ইউরোপে পড়াশোনার এক স্বর্ণালী সুযোগ।

ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। ১৬৪০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিতভাবে শীর্ষস্থান দখল করা এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানসম্মত শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।

সুযোগ-সুবিধা: ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কিতে পড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এই বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের টিউশন ফির ৫০ বা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন। সাধারণত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক টিউশন ফি ১৩ হাজার থেকে ১৮ হাজার ইউরোর মধ্যে হয়ে থাকে, যা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথ আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

আবেদনের যোগ্যতা: বৃত্তিটির জন্য আবেদনে আগ্রহী প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের দেশের শিক্ষার্থী হতে হবে। আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তিযোগ্য হতে হবে। প্রার্থীকে ফিনল্যান্ডে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় স্টুডেন্ট ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিটের শর্তও পূরণ করতে হবে। প্রার্থীর অবশ্যই ভালো ফলসহ স্নাতক (ব্যাচেলর) ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাঁদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য: ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কির স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে ডিগ্রির ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ (টোয়েফল বা আইইএলটিএস), পরিচয় নিশ্চিত করতে পাসপোর্টের কপি এবং নিজের শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার বিস্তারিত তুলে ধরতে একটি হালনাগাদ জীবনবৃত্তান্ত। এসব নথি সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে জমা দিয়ে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো: বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান ও পরিবেশ বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মানবিক ও ভাষাবিজ্ঞান, আইন অনুষদ, শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে অন্তত ৫-৭টি বিভাগ। বৃত্তির শর্ত ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনুযায়ী নিজের পছন্দের অনুষদ ও বিভাগ বেছে নেওয়া যাবে।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ জানুয়ারি, ২০২৬

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত