প্রতিনিধি, কুবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ১২তম হওয়ার ঘটনায় গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেটে শিক্ষক মাহবুবুল হককে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানের অভিযোগে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর সিন্ডিকেট এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
ঘটনাটি তদন্তে উচ্চতর তদন্ত কমিটি সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপ এবং গোয়েন্দা তথ্যসহ নানা উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে শিক্ষক মাহবুবকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানা গেছে।
তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ কল রেকর্ড সংগ্রহ করতে পারে না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি একটি বিবৃতিতে এটি জানায়।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের তথ্যদাতা খুঁজতে গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি; যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।’
এ ছাড়া ৩ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, উচ্চতর এ তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ আমলে নিয়ে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, বিটিআরসি কর্তৃক প্রাপ্ত কল লিস্ট এবং তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে প্রাপ্ত সব তথ্য বিশ্লেষণ করে কিছু পরামর্শ প্রদান করে, যেগুলো ৮০তম সিন্ডিকেটে বিজ্ঞ সিন্ডিকেট সদস্যদের সম্মুখে পর্যালোচনা হয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার হল পরিদর্শক ও ‘বি’ ইউনিটের ইউনিট প্রধানের গাফিলতি এবং গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহে বি-ইউনিটের প্রবেশপত্র বাছাই কমিটির সদস্যসচিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এভাবে কল রেকর্ড যাচাই এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া যায় কি না, এমন প্রসঙ্গে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো পারেই না, নিরাপত্তা বাহিনীও পারে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া কারও কল রেকর্ড চেক করবে, ট্র্যাক করবে এমন কোনো আইনই নেই। সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে, নাগরিকের প্রাইভেসি থাকবে ৷ বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের কল রেকর্ড যদি চেক করতে হয়, তবে সেটা কোর্ট অর্ডারের মাধ্যমে আসতে হবে ৷ তদন্ত কমিটি যেটা করেছে, সেটা আরেকটা প্রাইভেসি লঙ্ঘন ও ক্রিমিনাল অফেন্স।’
মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার ব্যাপারে শাস্তির সুপারিশ প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বা চাকরির শর্তে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়াকে চাকরিচ্যুতি বা কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে যদি দেওয়া না থাকে, সেটার ওপর ভিত্তি করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না৷’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাখ্যা না থাকায় ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮’ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরকারি চাকরিবিধি-২০১৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের মধ্যে ফেলতে চাইলে সেখানেও পড়বে না। এটা প্রকারান্তরে মিডিয়ার জন্যও হুমকি। মিডিয়া তথ্য তাহলে কোথায় পাবে। কেউ না কেউ তো দেবে।’
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া যোগ করেন, তথ্য যদি উনি প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে ওনাকে তথ্য সুরক্ষা আইন-২০১১–এর সেকশন ৫ অনুযায়ী সুরক্ষা দিতে হবে। এই আইন অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে যদি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটা ক্রিমিনাল অফেন্স হবে।
এ ব্যাপারে উচ্চতর তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ–সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য আমাদের তদন্ত কমিটির কাছে সরবরাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কল লিস্টসহ কবে কার সঙ্গে কখন কীভাবে কথা হয়েছে, এসব ডকুমেন্ট আমরা পেয়েছি। তার ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি অ্যানালাইসিস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। তবে এ বিষয় নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। সবাই শিক্ষক, আমি সবাইকে বারবার বলেছি, এর সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।’
তদন্ত কমিটির কাছে তথ্য সরবরাহের ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবিরের সঙ্গে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ১২তম হওয়ার ঘটনায় গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেটে শিক্ষক মাহবুবুল হককে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানের অভিযোগে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর সিন্ডিকেট এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
ঘটনাটি তদন্তে উচ্চতর তদন্ত কমিটি সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপ এবং গোয়েন্দা তথ্যসহ নানা উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে শিক্ষক মাহবুবকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানা গেছে।
তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ কল রেকর্ড সংগ্রহ করতে পারে না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি একটি বিবৃতিতে এটি জানায়।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের তথ্যদাতা খুঁজতে গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি; যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।’
এ ছাড়া ৩ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, উচ্চতর এ তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ আমলে নিয়ে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, বিটিআরসি কর্তৃক প্রাপ্ত কল লিস্ট এবং তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে প্রাপ্ত সব তথ্য বিশ্লেষণ করে কিছু পরামর্শ প্রদান করে, যেগুলো ৮০তম সিন্ডিকেটে বিজ্ঞ সিন্ডিকেট সদস্যদের সম্মুখে পর্যালোচনা হয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার হল পরিদর্শক ও ‘বি’ ইউনিটের ইউনিট প্রধানের গাফিলতি এবং গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহে বি-ইউনিটের প্রবেশপত্র বাছাই কমিটির সদস্যসচিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এভাবে কল রেকর্ড যাচাই এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া যায় কি না, এমন প্রসঙ্গে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো পারেই না, নিরাপত্তা বাহিনীও পারে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া কারও কল রেকর্ড চেক করবে, ট্র্যাক করবে এমন কোনো আইনই নেই। সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে, নাগরিকের প্রাইভেসি থাকবে ৷ বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের কল রেকর্ড যদি চেক করতে হয়, তবে সেটা কোর্ট অর্ডারের মাধ্যমে আসতে হবে ৷ তদন্ত কমিটি যেটা করেছে, সেটা আরেকটা প্রাইভেসি লঙ্ঘন ও ক্রিমিনাল অফেন্স।’
মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার ব্যাপারে শাস্তির সুপারিশ প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বা চাকরির শর্তে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়াকে চাকরিচ্যুতি বা কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে যদি দেওয়া না থাকে, সেটার ওপর ভিত্তি করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না৷’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাখ্যা না থাকায় ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮’ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরকারি চাকরিবিধি-২০১৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের মধ্যে ফেলতে চাইলে সেখানেও পড়বে না। এটা প্রকারান্তরে মিডিয়ার জন্যও হুমকি। মিডিয়া তথ্য তাহলে কোথায় পাবে। কেউ না কেউ তো দেবে।’
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া যোগ করেন, তথ্য যদি উনি প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে ওনাকে তথ্য সুরক্ষা আইন-২০১১–এর সেকশন ৫ অনুযায়ী সুরক্ষা দিতে হবে। এই আইন অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে যদি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটা ক্রিমিনাল অফেন্স হবে।
এ ব্যাপারে উচ্চতর তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ–সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য আমাদের তদন্ত কমিটির কাছে সরবরাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কল লিস্টসহ কবে কার সঙ্গে কখন কীভাবে কথা হয়েছে, এসব ডকুমেন্ট আমরা পেয়েছি। তার ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি অ্যানালাইসিস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। তবে এ বিষয় নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। সবাই শিক্ষক, আমি সবাইকে বারবার বলেছি, এর সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।’
তদন্ত কমিটির কাছে তথ্য সরবরাহের ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবিরের সঙ্গে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিনিধি, কুবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ১২তম হওয়ার ঘটনায় গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেটে শিক্ষক মাহবুবুল হককে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানের অভিযোগে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর সিন্ডিকেট এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
ঘটনাটি তদন্তে উচ্চতর তদন্ত কমিটি সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপ এবং গোয়েন্দা তথ্যসহ নানা উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে শিক্ষক মাহবুবকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানা গেছে।
তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ কল রেকর্ড সংগ্রহ করতে পারে না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি একটি বিবৃতিতে এটি জানায়।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের তথ্যদাতা খুঁজতে গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি; যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।’
এ ছাড়া ৩ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, উচ্চতর এ তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ আমলে নিয়ে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, বিটিআরসি কর্তৃক প্রাপ্ত কল লিস্ট এবং তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে প্রাপ্ত সব তথ্য বিশ্লেষণ করে কিছু পরামর্শ প্রদান করে, যেগুলো ৮০তম সিন্ডিকেটে বিজ্ঞ সিন্ডিকেট সদস্যদের সম্মুখে পর্যালোচনা হয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার হল পরিদর্শক ও ‘বি’ ইউনিটের ইউনিট প্রধানের গাফিলতি এবং গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহে বি-ইউনিটের প্রবেশপত্র বাছাই কমিটির সদস্যসচিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এভাবে কল রেকর্ড যাচাই এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া যায় কি না, এমন প্রসঙ্গে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো পারেই না, নিরাপত্তা বাহিনীও পারে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া কারও কল রেকর্ড চেক করবে, ট্র্যাক করবে এমন কোনো আইনই নেই। সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে, নাগরিকের প্রাইভেসি থাকবে ৷ বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের কল রেকর্ড যদি চেক করতে হয়, তবে সেটা কোর্ট অর্ডারের মাধ্যমে আসতে হবে ৷ তদন্ত কমিটি যেটা করেছে, সেটা আরেকটা প্রাইভেসি লঙ্ঘন ও ক্রিমিনাল অফেন্স।’
মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার ব্যাপারে শাস্তির সুপারিশ প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বা চাকরির শর্তে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়াকে চাকরিচ্যুতি বা কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে যদি দেওয়া না থাকে, সেটার ওপর ভিত্তি করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না৷’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাখ্যা না থাকায় ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮’ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরকারি চাকরিবিধি-২০১৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের মধ্যে ফেলতে চাইলে সেখানেও পড়বে না। এটা প্রকারান্তরে মিডিয়ার জন্যও হুমকি। মিডিয়া তথ্য তাহলে কোথায় পাবে। কেউ না কেউ তো দেবে।’
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া যোগ করেন, তথ্য যদি উনি প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে ওনাকে তথ্য সুরক্ষা আইন-২০১১–এর সেকশন ৫ অনুযায়ী সুরক্ষা দিতে হবে। এই আইন অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে যদি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটা ক্রিমিনাল অফেন্স হবে।
এ ব্যাপারে উচ্চতর তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ–সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য আমাদের তদন্ত কমিটির কাছে সরবরাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কল লিস্টসহ কবে কার সঙ্গে কখন কীভাবে কথা হয়েছে, এসব ডকুমেন্ট আমরা পেয়েছি। তার ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি অ্যানালাইসিস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। তবে এ বিষয় নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। সবাই শিক্ষক, আমি সবাইকে বারবার বলেছি, এর সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।’
তদন্ত কমিটির কাছে তথ্য সরবরাহের ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবিরের সঙ্গে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ১২তম হওয়ার ঘটনায় গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেটে শিক্ষক মাহবুবুল হককে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানের অভিযোগে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর সিন্ডিকেট এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
ঘটনাটি তদন্তে উচ্চতর তদন্ত কমিটি সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপ এবং গোয়েন্দা তথ্যসহ নানা উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে শিক্ষক মাহবুবকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানা গেছে।
তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ কল রেকর্ড সংগ্রহ করতে পারে না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি একটি বিবৃতিতে এটি জানায়।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের তথ্যদাতা খুঁজতে গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি; যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।’
এ ছাড়া ৩ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, উচ্চতর এ তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ আমলে নিয়ে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, বিটিআরসি কর্তৃক প্রাপ্ত কল লিস্ট এবং তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে প্রাপ্ত সব তথ্য বিশ্লেষণ করে কিছু পরামর্শ প্রদান করে, যেগুলো ৮০তম সিন্ডিকেটে বিজ্ঞ সিন্ডিকেট সদস্যদের সম্মুখে পর্যালোচনা হয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার হল পরিদর্শক ও ‘বি’ ইউনিটের ইউনিট প্রধানের গাফিলতি এবং গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহে বি-ইউনিটের প্রবেশপত্র বাছাই কমিটির সদস্যসচিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এভাবে কল রেকর্ড যাচাই এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া যায় কি না, এমন প্রসঙ্গে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো পারেই না, নিরাপত্তা বাহিনীও পারে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া কারও কল রেকর্ড চেক করবে, ট্র্যাক করবে এমন কোনো আইনই নেই। সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে, নাগরিকের প্রাইভেসি থাকবে ৷ বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের কল রেকর্ড যদি চেক করতে হয়, তবে সেটা কোর্ট অর্ডারের মাধ্যমে আসতে হবে ৷ তদন্ত কমিটি যেটা করেছে, সেটা আরেকটা প্রাইভেসি লঙ্ঘন ও ক্রিমিনাল অফেন্স।’
মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার ব্যাপারে শাস্তির সুপারিশ প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বা চাকরির শর্তে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়াকে চাকরিচ্যুতি বা কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে যদি দেওয়া না থাকে, সেটার ওপর ভিত্তি করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না৷’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাখ্যা না থাকায় ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮’ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরকারি চাকরিবিধি-২০১৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের মধ্যে ফেলতে চাইলে সেখানেও পড়বে না। এটা প্রকারান্তরে মিডিয়ার জন্যও হুমকি। মিডিয়া তথ্য তাহলে কোথায় পাবে। কেউ না কেউ তো দেবে।’
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া যোগ করেন, তথ্য যদি উনি প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে ওনাকে তথ্য সুরক্ষা আইন-২০১১–এর সেকশন ৫ অনুযায়ী সুরক্ষা দিতে হবে। এই আইন অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে যদি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটা ক্রিমিনাল অফেন্স হবে।
এ ব্যাপারে উচ্চতর তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ–সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য আমাদের তদন্ত কমিটির কাছে সরবরাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কল লিস্টসহ কবে কার সঙ্গে কখন কীভাবে কথা হয়েছে, এসব ডকুমেন্ট আমরা পেয়েছি। তার ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি অ্যানালাইসিস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। তবে এ বিষয় নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। সবাই শিক্ষক, আমি সবাইকে বারবার বলেছি, এর সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।’
তদন্ত কমিটির কাছে তথ্য সরবরাহের ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবিরের সঙ্গে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী, আচরণ বিধিমালা প্রকাশ ৫ নভেম্বর, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ৫ নভেম্বর, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৬ নভেম্বর, ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ নভেম্বর, জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ ১৩, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল ১৭ ও ১৮ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর।
এ ছাড়া জকসু নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে গণনা করা হবে। ভোট গণনার ওপর ভিত্তি করে ২২ অথবা ২৩ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তফসিল নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবস, শহীদ দিবস, শীতকালীন ছুটি—সব বিবেচনা করে এ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সব বিবেচনায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী, আচরণ বিধিমালা প্রকাশ ৫ নভেম্বর, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ৫ নভেম্বর, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৬ নভেম্বর, ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ নভেম্বর, জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ ১৩, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল ১৭ ও ১৮ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর।
এ ছাড়া জকসু নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে গণনা করা হবে। ভোট গণনার ওপর ভিত্তি করে ২২ অথবা ২৩ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তফসিল নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবস, শহীদ দিবস, শীতকালীন ছুটি—সব বিবেচনা করে এ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সব বিবেচনায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব।’

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়
০৭ জুলাই ২০২১
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়
০৭ জুলাই ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়
০৭ জুলাই ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ২৬ সেকেন্ড আগেও মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কল রেকর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা গণমাধ্যমকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়
০৭ জুলাই ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে