মীর রাকিব হাসান
উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, তুলনামূলক কম খরচ, সহজ ভিসাপ্রক্রিয়া এবং পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ—সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য নিউজিল্যান্ড। এখানে পড়াশোনার পর হাইকোর্টের প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার হিসেবে নিযুক্ত ও সলিসিটর মাসুদ আলমের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মীর রাকিব হাসান।
বিশ্বের চতুর্থ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত নিউজিল্যান্ড ইংরেজি ভাষাভিত্তিক একটি নিরাপদ ও বৈচিত্র্যময় সমাজ। ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডসহ দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিত ভালো অবস্থানে থাকে। পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বায়োটেকনোলজির মতো ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ বেশ বিস্তৃত। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ থাকায় মেধাবীদের জন্য এটি হয়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় গন্তব্য।
ভর্তি ও আবেদনপ্রক্রিয়া
প্রতিবছর দুটি ইনটেক থাকে; ফেব্রুয়ারি-মার্চ ও জুলাই-আগস্ট। বসন্ত ইনটেক সবচেয়ে জনপ্রিয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রোলিং ইনটেক’ ব্যবস্থাও রয়েছে, যেখানে আসন খালি থাকা পর্যন্ত আবেদন করা যায়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট কোর্স ও সময়সূচি দেখে নেওয়া উচিত।
স্টুডেন্ট ভিসা
শিক্ষার্থী ভিসা পেতে সাধারণত ছয় সপ্তাহ লাগে। বর্তমানে ভিসা স্টিকার না দিয়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। ইমিগ্রেশন অ্যাকাউন্ট থেকে ভিসা স্ট্যাটাস দেখা যায়।
টিউশন ফি ও খরচ
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে বার্ষিক খরচ ২০-৪০ হাজার ডলার (১৪-২৮ লাখ টাকা)। মাস্টার্সে তা ২০-৪৫ হাজার ডলার (১৫-৩৩ লাখ টাকা)। ডক্টরাল পর্যায়ে তুলনামূলকভাবে খরচ কম—৬ হাজার ৭০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ ডলার (৫-৭ লাখ টাকা)। এমবিএতে সর্বোচ্চ খরচ হয়; ৩১-৫৫ হাজার ডলার পর্যন্ত (২৩-৪০ লাখ টাকা)।
জীবনযাত্রার ব্যয়
শহরভেদে খরচের তারতম্য রয়েছে। ওয়েলিংটনে মাসিক ব্যয় প্রায় ৪ হাজার ৪০০ ডলার, অকল্যান্ডে ৪ হাজার ১৫ ডলার, ক্রাইস্টচার্চে ৩ হাজার ৮৮৪ ডলার এবং হ্যামিল্টনে ৩ হাজার ১৮২ ডলার। এর মধ্যে বাসাভাড়া, খাবার, ইউটিলিটি বিল, মোবাইল ইন্টারনেট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
স্কলারশিপের সুযোগ
নিউজিল্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড: সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার।
খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ
কল সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, লাইব্রেরি বা খুচরা বিক্রয়ের কাজ করে ঘণ্টায় ২১-২৬ ডলার আয় করা যায়। টিউটর হিসেবে কাজ করলে প্রতি ঘণ্টায় ৩০-৩৫ ডলার পাওয়া যায়।
জনপ্রিয় বিষয়সমূহ
ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা, আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, সমাজবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও
হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিবেশ, কৃষি, বায়োটেকনোলজি ও টেক ইনোভেশনে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। অনেক প্রজেক্টে সরাসরি অংশ নিতে পারেন শিক্ষার্থীরা।
পড়ালেখার পর কাজ
ডিগ্রির ধরন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ১-৩ বছর কাজ করার সুযোগ পান, যা স্থায়ীভাবে বসবাসের পথও তৈরি করতে পারে।
নিরাপদ পরিবেশ
নিউজিল্যান্ড একটি নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব দেশ। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পড়াশোনার পরিবেশকে করেছে স্বস্তিদায়ক।
কিছু সতর্কতা
তৃতীয় পক্ষের ওপর ভরসা না করে, নিজে ভালোভাবে গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, তিনি সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কি না, যাচাই করে নিন।
উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, তুলনামূলক কম খরচ, সহজ ভিসাপ্রক্রিয়া এবং পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ—সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য নিউজিল্যান্ড। এখানে পড়াশোনার পর হাইকোর্টের প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার হিসেবে নিযুক্ত ও সলিসিটর মাসুদ আলমের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মীর রাকিব হাসান।
বিশ্বের চতুর্থ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত নিউজিল্যান্ড ইংরেজি ভাষাভিত্তিক একটি নিরাপদ ও বৈচিত্র্যময় সমাজ। ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডসহ দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিত ভালো অবস্থানে থাকে। পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বায়োটেকনোলজির মতো ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ বেশ বিস্তৃত। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ থাকায় মেধাবীদের জন্য এটি হয়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় গন্তব্য।
ভর্তি ও আবেদনপ্রক্রিয়া
প্রতিবছর দুটি ইনটেক থাকে; ফেব্রুয়ারি-মার্চ ও জুলাই-আগস্ট। বসন্ত ইনটেক সবচেয়ে জনপ্রিয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রোলিং ইনটেক’ ব্যবস্থাও রয়েছে, যেখানে আসন খালি থাকা পর্যন্ত আবেদন করা যায়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট কোর্স ও সময়সূচি দেখে নেওয়া উচিত।
স্টুডেন্ট ভিসা
শিক্ষার্থী ভিসা পেতে সাধারণত ছয় সপ্তাহ লাগে। বর্তমানে ভিসা স্টিকার না দিয়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। ইমিগ্রেশন অ্যাকাউন্ট থেকে ভিসা স্ট্যাটাস দেখা যায়।
টিউশন ফি ও খরচ
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে বার্ষিক খরচ ২০-৪০ হাজার ডলার (১৪-২৮ লাখ টাকা)। মাস্টার্সে তা ২০-৪৫ হাজার ডলার (১৫-৩৩ লাখ টাকা)। ডক্টরাল পর্যায়ে তুলনামূলকভাবে খরচ কম—৬ হাজার ৭০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ ডলার (৫-৭ লাখ টাকা)। এমবিএতে সর্বোচ্চ খরচ হয়; ৩১-৫৫ হাজার ডলার পর্যন্ত (২৩-৪০ লাখ টাকা)।
জীবনযাত্রার ব্যয়
শহরভেদে খরচের তারতম্য রয়েছে। ওয়েলিংটনে মাসিক ব্যয় প্রায় ৪ হাজার ৪০০ ডলার, অকল্যান্ডে ৪ হাজার ১৫ ডলার, ক্রাইস্টচার্চে ৩ হাজার ৮৮৪ ডলার এবং হ্যামিল্টনে ৩ হাজার ১৮২ ডলার। এর মধ্যে বাসাভাড়া, খাবার, ইউটিলিটি বিল, মোবাইল ইন্টারনেট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
স্কলারশিপের সুযোগ
নিউজিল্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড: সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার।
খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ
কল সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, লাইব্রেরি বা খুচরা বিক্রয়ের কাজ করে ঘণ্টায় ২১-২৬ ডলার আয় করা যায়। টিউটর হিসেবে কাজ করলে প্রতি ঘণ্টায় ৩০-৩৫ ডলার পাওয়া যায়।
জনপ্রিয় বিষয়সমূহ
ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা, আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, সমাজবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও
হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিবেশ, কৃষি, বায়োটেকনোলজি ও টেক ইনোভেশনে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। অনেক প্রজেক্টে সরাসরি অংশ নিতে পারেন শিক্ষার্থীরা।
পড়ালেখার পর কাজ
ডিগ্রির ধরন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ১-৩ বছর কাজ করার সুযোগ পান, যা স্থায়ীভাবে বসবাসের পথও তৈরি করতে পারে।
নিরাপদ পরিবেশ
নিউজিল্যান্ড একটি নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব দেশ। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পড়াশোনার পরিবেশকে করেছে স্বস্তিদায়ক।
কিছু সতর্কতা
তৃতীয় পক্ষের ওপর ভরসা না করে, নিজে ভালোভাবে গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, তিনি সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কি না, যাচাই করে নিন।
বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সাবার আগে ৩০ নম্বরের ব্যাকরণের কথা আসে। এখানে মোট ৬টি প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫। সব প্রশ্নে একটি বর্ণনামূলক এবং এর অথবায় একটি করে নির্ণয়মূলক প্রশ্ন থাকে। আমার মনে হয়, নির্ণয়মূলক প্রশ্নের উত্তর করা ভালো।
৩ ঘণ্টা আগেস্বপ্ন, সাধনা আর বন্ধুত্বে ভর করে উচ্চশিক্ষার নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন যমজ বোন নুসরাত বিনতে জামান ও ইসরাত বিনতে জামান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় নুসরাত সুযোগ পেয়েছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে।
৫ ঘণ্টা আগেআধুনিক যুগের তরুণ উদ্ভাবকেরা যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন, তখন তা নিঃসন্দেহে এক অনন্য গর্বের বিষয়। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা জিনিয়াস অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ জয় করে সেই গর্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বাংলাদেশের দুই প্রতিভাবান শিক্ষার্থী।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের নদী-নালা, পুকুর-ডোবায় ছড়িয়ে পড়া কচুরিপানা এত দিন ছিল পরিচিত এক জলজ আগাছা। কিন্তু এখন, একদল তরুণের হাত ধরে সেই কচুরিপানা পরিণত হয়েছে টেকসই পণ্যের কাঁচামালে।
৫ ঘণ্টা আগে