অনলাইন ডেস্ক
একসময় স্লেটের ওপর চক ঘষে হাতেখড়ি হয়েছে শিশুদের। আর এখনকার প্রজন্মের শিশুদের হাতেখড়ি হয় ডিজিটাল স্ক্রিনে। এখন আগের চর্চায় ফিরে যাওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করছেন শিক্ষাবিদেরা। এ বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় শিক্ষার্থীদের টানা হাতের লেখা শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার স্কুল কর্তৃপক্ষ। কম্পিউটারের যুগে এ ধরনের লেখার কৌশল এখন প্রায় হারিয়ে গেছে বললেই চলে।
সাবেক প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক শ্যারন কোয়ার্ক সিলভার প্রস্তাবিত অ্যাসেম্বলি বিল ৪৪৬ গত অক্টোবরে আইন হিসেবে পাস হয়। এ আইন অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ২৬ লাখ শিক্ষার্থীকে টানা হাতের লেখার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ শ্রেণিগুলোতে সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা পড়ে, আর টানা হাতের লেখা শেখার জন্য তৃতীয় শ্রেণি বা এর ওপরের শ্রেণিকে উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা হাতের লেখা শেখার ফলে শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, বুঝে বুঝে পড়ার ক্ষমতা তৈরি হয় এবং নিয়ন্ত্রিত নড়াচড়ার দক্ষতার উন্নতি হয়। অনেক শিক্ষাবিদ শিশুদের ঐতিহাসিক নথি এবং আগের প্রজন্মের লেখা পারিবারিক চিঠি পড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের শহর ফুলারটনে অবস্থিত অরেঞ্জথর্প এলিমেন্টারি স্কুলের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষিকা পামেলা কেলার বলেন, ১ জানুয়ারি এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই তিনি শিশুদের টানা হাতের লেখা শেখাচ্ছেন।
এ ধরনের হাতের লেখার কাজটি জটিল হওয়ায় অনেক শিশুই আপত্তি করে। তবে কেলারও তা সামলে নিতে পারেন।
কেলার বলেন, ‘আমরা তাদের বলি, এটি তোমাদের আরও বুদ্ধিমান করে তুলবে। টানা হাতের লেখা তোমাদের মস্তিষ্কের সঙ্গে অন্য রকম সংযোগ তৈরি করবে এবং তোমরা পরের স্তরে যেতে পারবে। এ কথা বললেই শিশুরা উৎসাহিত হয়। কারণ, তারা বুদ্ধিমান হতে চায়। তারা শিখতে চায়।’
চলতি সপ্তাহে টানা হাতের লেখা শেখানোর সময় কেলার তাঁর শিক্ষার্থীদের সহজ কিছু কৌশল শিখিয়ে দেন। যেমন—হাতটা আরাম করে রাখো, আলতো করে লিখো, প্রয়োজনে বারবার ইরেজার ব্যবহার করো। এ ছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে উৎসাহ দেন।
কেলার বলেন, সম্প্রতি শিশুরা স্কুল লাইব্রেরিতে গিয়ে ১৭৮৭ সালে লেখা মার্কিন সংবিধানের ছবি দেখে বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তারা বলে, ‘এটা টানা হাতে লেখা!’
কেলারের অনেক শিক্ষার্থীই এ বিষয়টিকে কঠিন মনে করে, বিশেষ করে ইংরেজি অক্ষর জি (Z), এরপরও তারা এভাবে লেখাটা উপভোগ করে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ৯ বছর বয়সী সোফি গার্দিয়া বলে, ‘আমার এটা দারুণ পছন্দ! আমার মনে হয়, এ রকম লেখা বেশ সুন্দর আর নতুন নতুন বর্ণ শেখা তো মজার বিষয়!’
কম্পিউটার কিবোর্ড ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের জনপ্রিয়তার সঙ্গে টানা হাতের লেখা হারিয়ে যাচ্ছে। অলাভজনক হাতের লেখা প্রশিক্ষণ প্রচার সংস্থা হ্যান্ডরাইটিং কালেকটিভের প্রতিষ্ঠাতা ক্যাথলিন রাইট বলেন, ‘শিক্ষকেরা কোনো বর্ণ কীভাবে লিখতে হয় তা শেখানো একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষক প্রশিক্ষণের কলেজেও শিক্ষকদের হাতের লেখা শেখানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না।’
তবে আশার কথা হলো, টানা হাতের লেখা আবার ফিরে আসছে। ক্যালিফোর্নিয়ার আইনসভার জাতীয় সম্মেলনের লরেন জেন্ডিলের মতে, ২০১৪ সালের পর ক্যালিফোর্নিয়া ২২তম অঙ্গরাজ্য, যেখানে টানা হাতের লেখা অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে এবং টানা হাতের লেখা নির্দেশনা বিল বাস্তবায়নে ১৪তম। ২০২৪ সালে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে টানা হাতের লেখার বিল পাস করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি অফিস অব এডুকেশনের রিডিং ল্যাঙ্গুয়েজ আর্টস প্রকল্পের পরিচালক লেসলি জোরোয়া বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, টানা হাতের লেখা শেখা বেশ কয়েকটি দক্ষতা অর্জনে সহায়ক। এ দক্ষতাগুলো সম্মিলিতভাবে শিশুর বিকাশ ত্বরান্বিত করে।
জোরোয়া বলেন, ‘আপনি যখন টানা হাতের লেখা চর্চা করেন, তখন আপনি মস্তিষ্কের বিভিন্ন নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। এর ফলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন স্নায়ু সংযোগ তৈরি হয়। এটি বর্ণ কীভাবে গঠিত হয়, এমন তথ্য সংরক্ষণেও সাহায্য করে। আপনি বর্ণটি লেখার সময়, বর্ণটি যে শব্দ তৈরি করে এবং এটি পরবর্তী বর্ণের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হয় সে সম্পর্কে ভাবতে থাকেন।’
একসময় স্লেটের ওপর চক ঘষে হাতেখড়ি হয়েছে শিশুদের। আর এখনকার প্রজন্মের শিশুদের হাতেখড়ি হয় ডিজিটাল স্ক্রিনে। এখন আগের চর্চায় ফিরে যাওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করছেন শিক্ষাবিদেরা। এ বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় শিক্ষার্থীদের টানা হাতের লেখা শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার স্কুল কর্তৃপক্ষ। কম্পিউটারের যুগে এ ধরনের লেখার কৌশল এখন প্রায় হারিয়ে গেছে বললেই চলে।
সাবেক প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক শ্যারন কোয়ার্ক সিলভার প্রস্তাবিত অ্যাসেম্বলি বিল ৪৪৬ গত অক্টোবরে আইন হিসেবে পাস হয়। এ আইন অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ২৬ লাখ শিক্ষার্থীকে টানা হাতের লেখার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ শ্রেণিগুলোতে সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা পড়ে, আর টানা হাতের লেখা শেখার জন্য তৃতীয় শ্রেণি বা এর ওপরের শ্রেণিকে উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা হাতের লেখা শেখার ফলে শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, বুঝে বুঝে পড়ার ক্ষমতা তৈরি হয় এবং নিয়ন্ত্রিত নড়াচড়ার দক্ষতার উন্নতি হয়। অনেক শিক্ষাবিদ শিশুদের ঐতিহাসিক নথি এবং আগের প্রজন্মের লেখা পারিবারিক চিঠি পড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের শহর ফুলারটনে অবস্থিত অরেঞ্জথর্প এলিমেন্টারি স্কুলের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষিকা পামেলা কেলার বলেন, ১ জানুয়ারি এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই তিনি শিশুদের টানা হাতের লেখা শেখাচ্ছেন।
এ ধরনের হাতের লেখার কাজটি জটিল হওয়ায় অনেক শিশুই আপত্তি করে। তবে কেলারও তা সামলে নিতে পারেন।
কেলার বলেন, ‘আমরা তাদের বলি, এটি তোমাদের আরও বুদ্ধিমান করে তুলবে। টানা হাতের লেখা তোমাদের মস্তিষ্কের সঙ্গে অন্য রকম সংযোগ তৈরি করবে এবং তোমরা পরের স্তরে যেতে পারবে। এ কথা বললেই শিশুরা উৎসাহিত হয়। কারণ, তারা বুদ্ধিমান হতে চায়। তারা শিখতে চায়।’
চলতি সপ্তাহে টানা হাতের লেখা শেখানোর সময় কেলার তাঁর শিক্ষার্থীদের সহজ কিছু কৌশল শিখিয়ে দেন। যেমন—হাতটা আরাম করে রাখো, আলতো করে লিখো, প্রয়োজনে বারবার ইরেজার ব্যবহার করো। এ ছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে উৎসাহ দেন।
কেলার বলেন, সম্প্রতি শিশুরা স্কুল লাইব্রেরিতে গিয়ে ১৭৮৭ সালে লেখা মার্কিন সংবিধানের ছবি দেখে বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তারা বলে, ‘এটা টানা হাতে লেখা!’
কেলারের অনেক শিক্ষার্থীই এ বিষয়টিকে কঠিন মনে করে, বিশেষ করে ইংরেজি অক্ষর জি (Z), এরপরও তারা এভাবে লেখাটা উপভোগ করে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ৯ বছর বয়সী সোফি গার্দিয়া বলে, ‘আমার এটা দারুণ পছন্দ! আমার মনে হয়, এ রকম লেখা বেশ সুন্দর আর নতুন নতুন বর্ণ শেখা তো মজার বিষয়!’
কম্পিউটার কিবোর্ড ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের জনপ্রিয়তার সঙ্গে টানা হাতের লেখা হারিয়ে যাচ্ছে। অলাভজনক হাতের লেখা প্রশিক্ষণ প্রচার সংস্থা হ্যান্ডরাইটিং কালেকটিভের প্রতিষ্ঠাতা ক্যাথলিন রাইট বলেন, ‘শিক্ষকেরা কোনো বর্ণ কীভাবে লিখতে হয় তা শেখানো একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষক প্রশিক্ষণের কলেজেও শিক্ষকদের হাতের লেখা শেখানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না।’
তবে আশার কথা হলো, টানা হাতের লেখা আবার ফিরে আসছে। ক্যালিফোর্নিয়ার আইনসভার জাতীয় সম্মেলনের লরেন জেন্ডিলের মতে, ২০১৪ সালের পর ক্যালিফোর্নিয়া ২২তম অঙ্গরাজ্য, যেখানে টানা হাতের লেখা অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে এবং টানা হাতের লেখা নির্দেশনা বিল বাস্তবায়নে ১৪তম। ২০২৪ সালে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে টানা হাতের লেখার বিল পাস করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি অফিস অব এডুকেশনের রিডিং ল্যাঙ্গুয়েজ আর্টস প্রকল্পের পরিচালক লেসলি জোরোয়া বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, টানা হাতের লেখা শেখা বেশ কয়েকটি দক্ষতা অর্জনে সহায়ক। এ দক্ষতাগুলো সম্মিলিতভাবে শিশুর বিকাশ ত্বরান্বিত করে।
জোরোয়া বলেন, ‘আপনি যখন টানা হাতের লেখা চর্চা করেন, তখন আপনি মস্তিষ্কের বিভিন্ন নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। এর ফলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন স্নায়ু সংযোগ তৈরি হয়। এটি বর্ণ কীভাবে গঠিত হয়, এমন তথ্য সংরক্ষণেও সাহায্য করে। আপনি বর্ণটি লেখার সময়, বর্ণটি যে শব্দ তৈরি করে এবং এটি পরবর্তী বর্ণের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হয় সে সম্পর্কে ভাবতে থাকেন।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে রিক্রুটমেন্ট কর্মসূচির আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। আজ শনিবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক
১ ঘণ্টা আগে২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে দেশসেরা হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী হালিমাতুস সাদিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়। বাবা মো. রহমান কবির ও মা নাসিমা আক্তার দুজনই পেশায় শিক্ষক। সাদিয়া শিক্ষক পরিবারে বেড়ে উঠলেও ছোটবেলা...
১১ ঘণ্টা আগে