প্রতিনিধি, সিলেট
অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে গত বছরের মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় হলগুলো।
দীর্ঘ দেড় বছরে বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের দুইটি ও ছেলেদের জন্য তিনটি আবাসিক হল খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, শতভাগ ভ্যাকসিন নেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। বন্ধকালীন সময়ে আবাসিক হলগুলোতে অবকাঠামোগত সংস্কার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে টাইলস স্থাপন, রং করা, বৈদ্যুতিক সংযোগ মেরামত, ক্যানটিন ও ডাইনিং সংস্কার, ফুলের গাছ লাগিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ নানারকম সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এসব সংস্কার কাজ অনেকটা শেষের দিকে। তাই অক্টোবরে অনুমতি পেলে হল খুলে দিতে প্রস্তুত থাকবে প্রশাসন।
হল খুলে দেওয়ার প্রস্তুতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের প্রভোস্টরা জানিয়েছেন, তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এস এম হাসান জাকিরুল ইসলাম জানান, আবাসিক হলে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে। শৌচাগার গুলোতে টাইলস স্থাপন, ক্যানটিন-ডাইনিং মেরামত, সম্পূর্ণ হলে রং করা ও বিদ্যুতের সংযোগগুলোকে মেরামত করা হয়েছে। এ ছাড়াও হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকশ ফুল গাছ রোপণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই হল খুলে দেওয়া হবে। তবে এতে বৈধ শিক্ষার্থী ও সবাইকে অবশ্যই ভ্যাকসিন কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুননেসা ছাত্রীহলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক আফরিন লিজা জানান, মেয়েদের হলের সংস্কার কাজ শেষের দিকে। ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষার দিকে বেশি নজর দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব আসন থেকে সিনিয়র ছাত্রীরা বিদায় নিয়ে গেছে তাঁদের আসনে গণ রুমের ছাত্রীদের যথাযথ আসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা আছে। দুটি অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তাররা আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় আমাদের মেডিকেল টিম সর্বদা চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রস্তুত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আকাশ বলেন, অনেক দিন ধরে হল বন্ধ। বাড়িতে বা মেসে হলের আনন্দ পাওয়া যায় না। আশা করছি দ্রুত হলে ফিরতে পারব।
শহিদ জননী জাহানারা ইমাম হলের আবাসিক ছাত্রী জান্নাতুল আঁখি বলেন, অনেক দিন হলো কারও সঙ্গে দেখা নেই। ক্যানটিনে একসঙ্গে খাওয়া হয় না। রাতজুড়ে একসঙ্গে গল্পও করা হয় না। হলের ছোঁয়া আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই দ্রুত হলে ফিরতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেওয়া হবে। প্রতিটি হলের সামনে জীবাণুনাশক ব্যবস্থাসহ হাত ধোয়ার বেসিন থাকবে। চলতি মাসে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন নেওয়া শেষ হবে। তাই আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আবাসিক হল গুলো খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হলে কোনো অবৈধ ও অছাত্র স্থান পাবে না।
অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে গত বছরের মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় হলগুলো।
দীর্ঘ দেড় বছরে বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের দুইটি ও ছেলেদের জন্য তিনটি আবাসিক হল খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, শতভাগ ভ্যাকসিন নেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। বন্ধকালীন সময়ে আবাসিক হলগুলোতে অবকাঠামোগত সংস্কার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে টাইলস স্থাপন, রং করা, বৈদ্যুতিক সংযোগ মেরামত, ক্যানটিন ও ডাইনিং সংস্কার, ফুলের গাছ লাগিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ নানারকম সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এসব সংস্কার কাজ অনেকটা শেষের দিকে। তাই অক্টোবরে অনুমতি পেলে হল খুলে দিতে প্রস্তুত থাকবে প্রশাসন।
হল খুলে দেওয়ার প্রস্তুতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের প্রভোস্টরা জানিয়েছেন, তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এস এম হাসান জাকিরুল ইসলাম জানান, আবাসিক হলে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে। শৌচাগার গুলোতে টাইলস স্থাপন, ক্যানটিন-ডাইনিং মেরামত, সম্পূর্ণ হলে রং করা ও বিদ্যুতের সংযোগগুলোকে মেরামত করা হয়েছে। এ ছাড়াও হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকশ ফুল গাছ রোপণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই হল খুলে দেওয়া হবে। তবে এতে বৈধ শিক্ষার্থী ও সবাইকে অবশ্যই ভ্যাকসিন কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুননেসা ছাত্রীহলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক আফরিন লিজা জানান, মেয়েদের হলের সংস্কার কাজ শেষের দিকে। ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষার দিকে বেশি নজর দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব আসন থেকে সিনিয়র ছাত্রীরা বিদায় নিয়ে গেছে তাঁদের আসনে গণ রুমের ছাত্রীদের যথাযথ আসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা আছে। দুটি অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তাররা আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় আমাদের মেডিকেল টিম সর্বদা চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রস্তুত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আকাশ বলেন, অনেক দিন ধরে হল বন্ধ। বাড়িতে বা মেসে হলের আনন্দ পাওয়া যায় না। আশা করছি দ্রুত হলে ফিরতে পারব।
শহিদ জননী জাহানারা ইমাম হলের আবাসিক ছাত্রী জান্নাতুল আঁখি বলেন, অনেক দিন হলো কারও সঙ্গে দেখা নেই। ক্যানটিনে একসঙ্গে খাওয়া হয় না। রাতজুড়ে একসঙ্গে গল্পও করা হয় না। হলের ছোঁয়া আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই দ্রুত হলে ফিরতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেওয়া হবে। প্রতিটি হলের সামনে জীবাণুনাশক ব্যবস্থাসহ হাত ধোয়ার বেসিন থাকবে। চলতি মাসে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন নেওয়া শেষ হবে। তাই আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আবাসিক হল গুলো খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হলে কোনো অবৈধ ও অছাত্র স্থান পাবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রমজান মাসের করা রুটিন অনুযায়ী সকল ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে সেমিস্টার ও মিডটার্ম পরীক্ষা সশরীরে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে...
১০ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
১১ ঘণ্টা আগেস্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হলো SAT (Scholastic Assessment Test)। এটি মূলত ইংরেজি পড়া, লেখা এবং গণিতে দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য SAT স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
১৭ ঘণ্টা আগেইতালির ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১৭ ঘণ্টা আগে