শাহ বিলিয়া জুলফিকার

১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। হাজার হাজার প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করলেও খুব অল্পসংখ্যক প্রার্থীই উত্তীর্ণ হন। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রিলিতে সফল হতে হয়। তাই প্রিলির শেষ সময়ের প্রস্তুতি খুবই কৌশলগত ও সুসংগঠিত হওয়া প্রয়োজন। শেষ সময়ে একজন পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতি নিয়ে জানাচ্ছেন ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. শরীফুল ইসলাম। তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
নতুন কিছু না পড়া, রিভিশনে জোর দিন
পরীক্ষার মাত্র কিছুদিন আগে সম্পূর্ণ নতুন কোনো বিষয় শুরু করা উচিত নয়। এতে বিভ্রান্তি ও চাপ বাড়ে। বরং আগে যা পড়েছেন, তা-ই পরিকল্পনা করে রিভিশন করুন। বারবার রিভিশন করলে পুরোনো পড়া মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জমা হয়। চেষ্টা করবেন, অপশন ছাড়া উত্তর মুখস্থ করে ফেলতে।
সময় ব্যবস্থাপনায় কঠোর হতে হবে
শেষ সময়ে প্রতিটি ঘণ্টাই মূল্যবান। তাই প্রতিদিনের পড়াশোনাকে সময়ভিত্তিক পরিকল্পনায় ভাগ করুন। কোন বিষয় কতক্ষণ পড়বেন, আগে থেকেই নির্ধারণ করুন। প্রতিদিন একটি করে মডেল টেস্ট দিন এবং সেটির জন্য আলাদা সময় রাখুন। পড়াশোনা ও রিভিশনের জন্য ঘড়ি ব্যবহার করুন—এতে সময় নষ্ট হবে না। মোবাইল যথাসম্ভব কম ব্যবহার করুন।
অগ্রাধিকার ঠিক করুন
এ পর্যায়ে দুর্বল বিষয় বা জটিল টপিকের পেছনে অতিরিক্ত সময় দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং যেসব বিষয় থেকে বেশি মার্কস নিশ্চিত করা যায়, আগে সেগুলো রিভিশন করুন। সহজ ও নিজের শক্তিশালী বিষয়গুলোকে ‘সেফ জোন’ বানান। গুরুত্বপূর্ণ টপিককে আগে কভার করুন। যেমন গণিতের বেসিক সূত্র, ইংরেজির ব্যাকরণ, সাধারণ বিজ্ঞানের সাধারণ তথ্য, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ইত্যাদি।
প্রশ্নব্যাংক ও মডেল টেস্ট অনুশীলন
আগের বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করা অত্যন্ত কার্যকর একটি কাজ হতে পারে। কারণ বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অনেক প্রশ্ন হুবহু কমন আসে বা একই ধরনের আসে। প্রশ্ন সমাধান করার সময় শুধু উত্তর মুখস্থ করবেন না, উত্তর কেন সঠিক তা ব্যাখ্যাসহ বোঝার চেষ্টা করুন। উত্তর করার সময় শুধু যেগুলো নিশ্চিত জানেন, সেগুলোই মার্ক করার অভ্যাস করুন। এতে নেগেটিভ মার্কিং এড়ানো সম্ভব হবে।
বিষয়ভিত্তিক রিভিশন কৌশল
বাংলা ও ইংরেজি: এ দুটো বিষয় থেকে অনেক নম্বর আসে, তাই এখানে তুলনামূলক বেশি সময় দিন। বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরণে কম সময়ে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও ভূগোল: এই অংশে সিলেবাস ছোট হওয়ায় অল্প পড়াশোনায় বেশি মার্কস পাওয়া যায়। তাই এগুলো আগে রিভিশন করুন।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: এ বিষয়ে ভালো প্রস্তুতি নিলে অনেক প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক অংশের জন্য নতুন করে কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই; বরং আগের পড়াই ভালোভাবে ঝালিয়ে নিন।
মানসিক দক্ষতা: শর্টকাট টেকনিক ও সূত্র ঝালাই করুন। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করে প্র্যাকটিস করুন।
গণিত: নতুন কঠিন টপিক না পড়ে সহজ ও মাঝারি স্তরের প্রশ্নগুলো বেশি বেশি অনুশীলন করুন। নবম-দশম শ্রেণির অঙ্কগুলো অবশ্যই রিভিশন দিন।
নৈতিকতা ও সুশাসন: বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ুন। পরীক্ষার হলে খুব ঠান্ডা মাথায় সতর্কতার সঙ্গে উত্তর করুন।
শারীরিক যত্ন
বিসিএস শুধু জ্ঞানের পরীক্ষা নয়, ধৈর্য ও সুস্থতারও পরীক্ষা। তাই শরীর খারাপ হলে পুরো প্রস্তুতিই ব্যাহত হবে। একটানা পড়বেন না; ছোট ছোট বিরতি নিন। সঠিক ভঙ্গিতে বসে পড়ুন, চোখ ও মেরুদণ্ডের যত্ন নিন। নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত সামান্য হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করুন।
মানসিক প্রস্তুতি
শেষ সময়ে অনেক প্রার্থী ভেবে বসেন—‘আমার প্রস্তুতি যথেষ্ট হয়নি।’ এভাবে হতাশ হওয়া স্বাভাবিক, তবে ক্ষতিকর। যতটুকু সম্ভব ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে হলে বসলে অনেক কিছুই মনে পড়বে এবং পরীক্ষায় সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারবেন। তাই নিজের প্রতি আস্থা রাখুন। মনে রাখবেন, বিসিএসের জন্য যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তা অন্য নিয়োগ পরীক্ষার জন্যও কাজে লাগবে।

১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। হাজার হাজার প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করলেও খুব অল্পসংখ্যক প্রার্থীই উত্তীর্ণ হন। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রিলিতে সফল হতে হয়। তাই প্রিলির শেষ সময়ের প্রস্তুতি খুবই কৌশলগত ও সুসংগঠিত হওয়া প্রয়োজন। শেষ সময়ে একজন পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতি নিয়ে জানাচ্ছেন ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. শরীফুল ইসলাম। তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
নতুন কিছু না পড়া, রিভিশনে জোর দিন
পরীক্ষার মাত্র কিছুদিন আগে সম্পূর্ণ নতুন কোনো বিষয় শুরু করা উচিত নয়। এতে বিভ্রান্তি ও চাপ বাড়ে। বরং আগে যা পড়েছেন, তা-ই পরিকল্পনা করে রিভিশন করুন। বারবার রিভিশন করলে পুরোনো পড়া মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জমা হয়। চেষ্টা করবেন, অপশন ছাড়া উত্তর মুখস্থ করে ফেলতে।
সময় ব্যবস্থাপনায় কঠোর হতে হবে
শেষ সময়ে প্রতিটি ঘণ্টাই মূল্যবান। তাই প্রতিদিনের পড়াশোনাকে সময়ভিত্তিক পরিকল্পনায় ভাগ করুন। কোন বিষয় কতক্ষণ পড়বেন, আগে থেকেই নির্ধারণ করুন। প্রতিদিন একটি করে মডেল টেস্ট দিন এবং সেটির জন্য আলাদা সময় রাখুন। পড়াশোনা ও রিভিশনের জন্য ঘড়ি ব্যবহার করুন—এতে সময় নষ্ট হবে না। মোবাইল যথাসম্ভব কম ব্যবহার করুন।
অগ্রাধিকার ঠিক করুন
এ পর্যায়ে দুর্বল বিষয় বা জটিল টপিকের পেছনে অতিরিক্ত সময় দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং যেসব বিষয় থেকে বেশি মার্কস নিশ্চিত করা যায়, আগে সেগুলো রিভিশন করুন। সহজ ও নিজের শক্তিশালী বিষয়গুলোকে ‘সেফ জোন’ বানান। গুরুত্বপূর্ণ টপিককে আগে কভার করুন। যেমন গণিতের বেসিক সূত্র, ইংরেজির ব্যাকরণ, সাধারণ বিজ্ঞানের সাধারণ তথ্য, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ইত্যাদি।
প্রশ্নব্যাংক ও মডেল টেস্ট অনুশীলন
আগের বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করা অত্যন্ত কার্যকর একটি কাজ হতে পারে। কারণ বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অনেক প্রশ্ন হুবহু কমন আসে বা একই ধরনের আসে। প্রশ্ন সমাধান করার সময় শুধু উত্তর মুখস্থ করবেন না, উত্তর কেন সঠিক তা ব্যাখ্যাসহ বোঝার চেষ্টা করুন। উত্তর করার সময় শুধু যেগুলো নিশ্চিত জানেন, সেগুলোই মার্ক করার অভ্যাস করুন। এতে নেগেটিভ মার্কিং এড়ানো সম্ভব হবে।
বিষয়ভিত্তিক রিভিশন কৌশল
বাংলা ও ইংরেজি: এ দুটো বিষয় থেকে অনেক নম্বর আসে, তাই এখানে তুলনামূলক বেশি সময় দিন। বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরণে কম সময়ে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও ভূগোল: এই অংশে সিলেবাস ছোট হওয়ায় অল্প পড়াশোনায় বেশি মার্কস পাওয়া যায়। তাই এগুলো আগে রিভিশন করুন।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: এ বিষয়ে ভালো প্রস্তুতি নিলে অনেক প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক অংশের জন্য নতুন করে কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই; বরং আগের পড়াই ভালোভাবে ঝালিয়ে নিন।
মানসিক দক্ষতা: শর্টকাট টেকনিক ও সূত্র ঝালাই করুন। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করে প্র্যাকটিস করুন।
গণিত: নতুন কঠিন টপিক না পড়ে সহজ ও মাঝারি স্তরের প্রশ্নগুলো বেশি বেশি অনুশীলন করুন। নবম-দশম শ্রেণির অঙ্কগুলো অবশ্যই রিভিশন দিন।
নৈতিকতা ও সুশাসন: বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ুন। পরীক্ষার হলে খুব ঠান্ডা মাথায় সতর্কতার সঙ্গে উত্তর করুন।
শারীরিক যত্ন
বিসিএস শুধু জ্ঞানের পরীক্ষা নয়, ধৈর্য ও সুস্থতারও পরীক্ষা। তাই শরীর খারাপ হলে পুরো প্রস্তুতিই ব্যাহত হবে। একটানা পড়বেন না; ছোট ছোট বিরতি নিন। সঠিক ভঙ্গিতে বসে পড়ুন, চোখ ও মেরুদণ্ডের যত্ন নিন। নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত সামান্য হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করুন।
মানসিক প্রস্তুতি
শেষ সময়ে অনেক প্রার্থী ভেবে বসেন—‘আমার প্রস্তুতি যথেষ্ট হয়নি।’ এভাবে হতাশ হওয়া স্বাভাবিক, তবে ক্ষতিকর। যতটুকু সম্ভব ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে হলে বসলে অনেক কিছুই মনে পড়বে এবং পরীক্ষায় সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারবেন। তাই নিজের প্রতি আস্থা রাখুন। মনে রাখবেন, বিসিএসের জন্য যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তা অন্য নিয়োগ পরীক্ষার জন্যও কাজে লাগবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৩ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১৯ ঘণ্টা আগে
অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।
২ দিন আগেসুরাইয়া ফেরদৌস ঋতু

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দক্ষতা, মেধা ও প্রস্তুতির সেরা ব্যবহার হয় ঠিক এই সময়েই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অনেকের জন্য চাপের। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক স্থিরতা থাকলে এটিই হতে পারে সাফল্যের মোড় ঘোরানোর সময়।
ভুল থেকে শেখাই শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি
যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছেন বা বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করেছেন, তাঁদের সবারই কিছু ভুল থাকে—বিষয়ভিত্তিক বা প্রশ্নভিত্তিক। শেষ সময়ে এই ভুলগুলোই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। ভুলগুলো চিহ্নিত করে টপিকভিত্তিক দ্রুত রিভিশন করলে মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখতে আরও সক্ষম হয়। সুপারফিসিয়াল রিভিশন বা দ্রুত চোখ বোলানো রিভিশনও শেষ মুহূর্তে দারুণ কাজ দেয়; কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের সিগন্যালকে আরও সক্রিয় করে। তাই এখন নতুন কিছু শেখার চেয়ে নিজের ভুল জানা এবং সেগুলো সংশোধন করাই বেশি যুক্তিসংগত।
নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে কৌশল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো নেগেটিভ মার্কিং। শেষ মুহূর্তে বাড়তি উত্তেজনায় অনেকেই কনফিউজিং প্রশ্নে ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এতে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কাটা নম্বরই বেশি হয়। তাই নিয়মটি পরিষ্কার—৫০% নিশ্চিত না হলে দাগানো নয়। আর ৭০-৮০% নিশ্চিত হলে তখন হিসাব করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শুধু জানার পরীক্ষা নয়; এটি হলো বুদ্ধি, স্থিরতা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণেরও পরীক্ষা।
মানসিক চাপ হলো সাফল্যের নীরব শত্রু
পরীক্ষার আগে চাপ অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাপ যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তবে এটি মেধাবী শিক্ষার্থীকেও দুর্বল করে দিতে পারে। ‘চান্স না পেলে কী হবে?’, ‘সবাই তো পারছে, আমি পারব তো?’— এমন ভাবনা আত্মবিশ্বাসকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা এই সময় সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা, চেষ্টা ও মানসিক প্রস্তুতিও ভিন্ন। তাই শেষ সময়ে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই আপনি সঠিক পথেই হাঁটছেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনোবল ধরে রাখে
ভর্তি পরীক্ষার চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা—সবই মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মন স্থির থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং পরীক্ষার হলে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। ভুল হওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ভুল দেখেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং ভাবতে হবে, আমি জানি, আমি পারি, এবং সেরা চেষ্টা আমি করব। ইতিবাচক মনোভাবই শেষ ধাপের লড়াইয়ে আপনাকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি
ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ভুয়া তথ্য—প্রশ্নপত্র ফাঁস, সময় পরিবর্তন, আসনসংখ্যা, নম্বর বণ্টন নিয়ে ভিত্তিহীন পোস্ট, কিংবা ‘নিশ্চিত প্রশ্ন’ নামে গুজব, এগুলো অনেকের মনকে অস্থির করে তোলে। যারা যাচাই না করে এসব শেয়ার করে, তারা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা বা শুধু সরকারি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় না এবং মানসিক চাপও কম থাকে।
শেষ মুহূর্তে যেসব বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত
শেষ সময়ে নিজেকে স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়; বরং পড়া বিষয়গুলো রিভিশন করলেই স্মৃতি আরও স্থায়ী হয়। নিয়মিত, হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত; কম খেয়ে দুর্বল হওয়া নয়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে সতেজ রাখে এবং স্বল্প সময় হাঁটা বা স্ট্রেচিং মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। পরিবারের সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বললে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দিলে অপ্রয়োজনীয় গুজব থেকে দূরে থাকা যায়। আর হালকা দোয়া-ইবাদত মনকে শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
শেষ কথা হলো, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বইয়ের নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিরও সমন্বয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং সেরাটুকু দিন। সাফল্য অবশ্যই আসবে। শুভকামনা প্রতিটি ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য।
অনুলিখন: তানজিল কাজী

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দক্ষতা, মেধা ও প্রস্তুতির সেরা ব্যবহার হয় ঠিক এই সময়েই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অনেকের জন্য চাপের। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক স্থিরতা থাকলে এটিই হতে পারে সাফল্যের মোড় ঘোরানোর সময়।
ভুল থেকে শেখাই শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি
যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছেন বা বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করেছেন, তাঁদের সবারই কিছু ভুল থাকে—বিষয়ভিত্তিক বা প্রশ্নভিত্তিক। শেষ সময়ে এই ভুলগুলোই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। ভুলগুলো চিহ্নিত করে টপিকভিত্তিক দ্রুত রিভিশন করলে মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখতে আরও সক্ষম হয়। সুপারফিসিয়াল রিভিশন বা দ্রুত চোখ বোলানো রিভিশনও শেষ মুহূর্তে দারুণ কাজ দেয়; কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের সিগন্যালকে আরও সক্রিয় করে। তাই এখন নতুন কিছু শেখার চেয়ে নিজের ভুল জানা এবং সেগুলো সংশোধন করাই বেশি যুক্তিসংগত।
নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে কৌশল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো নেগেটিভ মার্কিং। শেষ মুহূর্তে বাড়তি উত্তেজনায় অনেকেই কনফিউজিং প্রশ্নে ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এতে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কাটা নম্বরই বেশি হয়। তাই নিয়মটি পরিষ্কার—৫০% নিশ্চিত না হলে দাগানো নয়। আর ৭০-৮০% নিশ্চিত হলে তখন হিসাব করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শুধু জানার পরীক্ষা নয়; এটি হলো বুদ্ধি, স্থিরতা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণেরও পরীক্ষা।
মানসিক চাপ হলো সাফল্যের নীরব শত্রু
পরীক্ষার আগে চাপ অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাপ যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তবে এটি মেধাবী শিক্ষার্থীকেও দুর্বল করে দিতে পারে। ‘চান্স না পেলে কী হবে?’, ‘সবাই তো পারছে, আমি পারব তো?’— এমন ভাবনা আত্মবিশ্বাসকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা এই সময় সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা, চেষ্টা ও মানসিক প্রস্তুতিও ভিন্ন। তাই শেষ সময়ে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই আপনি সঠিক পথেই হাঁটছেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনোবল ধরে রাখে
ভর্তি পরীক্ষার চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা—সবই মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মন স্থির থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং পরীক্ষার হলে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। ভুল হওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ভুল দেখেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং ভাবতে হবে, আমি জানি, আমি পারি, এবং সেরা চেষ্টা আমি করব। ইতিবাচক মনোভাবই শেষ ধাপের লড়াইয়ে আপনাকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি
ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ভুয়া তথ্য—প্রশ্নপত্র ফাঁস, সময় পরিবর্তন, আসনসংখ্যা, নম্বর বণ্টন নিয়ে ভিত্তিহীন পোস্ট, কিংবা ‘নিশ্চিত প্রশ্ন’ নামে গুজব, এগুলো অনেকের মনকে অস্থির করে তোলে। যারা যাচাই না করে এসব শেয়ার করে, তারা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা বা শুধু সরকারি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় না এবং মানসিক চাপও কম থাকে।
শেষ মুহূর্তে যেসব বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত
শেষ সময়ে নিজেকে স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়; বরং পড়া বিষয়গুলো রিভিশন করলেই স্মৃতি আরও স্থায়ী হয়। নিয়মিত, হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত; কম খেয়ে দুর্বল হওয়া নয়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে সতেজ রাখে এবং স্বল্প সময় হাঁটা বা স্ট্রেচিং মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। পরিবারের সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বললে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দিলে অপ্রয়োজনীয় গুজব থেকে দূরে থাকা যায়। আর হালকা দোয়া-ইবাদত মনকে শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
শেষ কথা হলো, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বইয়ের নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিরও সমন্বয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং সেরাটুকু দিন। সাফল্য অবশ্যই আসবে। শুভকামনা প্রতিটি ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য।
অনুলিখন: তানজিল কাজী

১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। হাজার হাজার প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করলেও খুব অল্পসংখ্যক প্রার্থীই উত্তীর্ণ হন। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রিলিতে সফল হতে হয়...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১৯ ঘণ্টা আগে
অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিকসামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র ও ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিকসামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র ও ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। হাজার হাজার প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করলেও খুব অল্পসংখ্যক প্রার্থীই উত্তীর্ণ হন। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রিলিতে সফল হতে হয়...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৩ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১৯ ঘণ্টা আগে
অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে চলমান আন্দোলন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এ সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাব।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ—এই সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা স্কুলিং কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, কলেজগুলোয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানায়। গত রোববার ও গতকাল সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
আজ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা এল তাদের কাছ থেকে।
অপর দিকে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছে, স্কুলিং কাঠামোয় কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।
এমন বাস্তবতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। ২৫ ডিসেম্বর খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের কথা রয়েছে। আর প্রথম ব্যাচের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন বলেন, ‘আমরা বরাবরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল। বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যে সময়সীমা জানানো হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ এবং নবীনদের পাঠদান শুরু হবে। আমরা শুনেছি, চলতি মাসের মধ্যে অধ্যাদেশের আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হবে। আমরা সেই খসড়ায় গভীর দৃষ্টি রাখছি। শুনেছি, পূর্বের খসড়ায় বৃহৎ সংশোধনী আনা হচ্ছে। শিক্ষা সিন্ডিকেট তথা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশনে এমন সংশোধনী আনা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে।’
অধ্যাদেশে গুণগত শিক্ষার মান ও অধিকার সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে রবিন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশে যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সে অধ্যাদেশ ছুড়ে ফেলে দেবেন। শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে চলমান আন্দোলন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এ সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাব।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ—এই সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা স্কুলিং কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, কলেজগুলোয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানায়। গত রোববার ও গতকাল সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
আজ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা এল তাদের কাছ থেকে।
অপর দিকে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছে, স্কুলিং কাঠামোয় কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।
এমন বাস্তবতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। ২৫ ডিসেম্বর খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের কথা রয়েছে। আর প্রথম ব্যাচের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন বলেন, ‘আমরা বরাবরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল। বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যে সময়সীমা জানানো হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ এবং নবীনদের পাঠদান শুরু হবে। আমরা শুনেছি, চলতি মাসের মধ্যে অধ্যাদেশের আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হবে। আমরা সেই খসড়ায় গভীর দৃষ্টি রাখছি। শুনেছি, পূর্বের খসড়ায় বৃহৎ সংশোধনী আনা হচ্ছে। শিক্ষা সিন্ডিকেট তথা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশনে এমন সংশোধনী আনা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে।’
অধ্যাদেশে গুণগত শিক্ষার মান ও অধিকার সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে রবিন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশে যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সে অধ্যাদেশ ছুড়ে ফেলে দেবেন। শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। হাজার হাজার প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করলেও খুব অল্পসংখ্যক প্রার্থীই উত্তীর্ণ হন। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রিলিতে সফল হতে হয়...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৩ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি) প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।
অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশ সংশোধন করা হচ্ছে জানিয়ে বলেছে, এ প্রক্রিয়া ‘সময়সাপেক্ষ’।
আজ বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৩৮৮ জন শিক্ষার্থী ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসাশিক্ষা ইউনিটে ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন। বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোতে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর জন্য স্ব-স্ব কলেজের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন ছুটি শেষে ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষক প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সুধীজনসহ বিভিন্ন মহল হতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত প্রতিটি মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করে খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, পরিমার্জনের কাজ সম্পন্ন করে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিমার্জিত খসড়ার ওপর আন্তমন্ত্রণালয় সভা করা সম্ভব হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সাত কলেজের সম্পৃক্ততার ধরন বিষয়ে বাস্তবসম্মত, কার্যকর ও উপযোগী কাঠামো নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে।
এদিকে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুরের পর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনের সামনের সংযোগ সড়ক থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে হাইকোর্ট মোড় থেকে সচিবালয় অভিমুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট হয়। শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে গতকাল রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জানতে চাইলে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ ব্যাচের ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর আজ দুপুরে বলেন, ‘অধ্যাদেশ জারি হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ৷ দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
ওই খসড়া প্রকাশের পর কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভিন্ন অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। ওই সাত কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের একাংশ দ্রুত অধ্যাদেশের দাবি জানিয়েছেন এবং উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ ‘স্কুলিং’ কাঠামো বাতিল এবং কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি) প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।
অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশ সংশোধন করা হচ্ছে জানিয়ে বলেছে, এ প্রক্রিয়া ‘সময়সাপেক্ষ’।
আজ বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৩৮৮ জন শিক্ষার্থী ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসাশিক্ষা ইউনিটে ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন। বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোতে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর জন্য স্ব-স্ব কলেজের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন ছুটি শেষে ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষক প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সুধীজনসহ বিভিন্ন মহল হতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত প্রতিটি মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করে খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, পরিমার্জনের কাজ সম্পন্ন করে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিমার্জিত খসড়ার ওপর আন্তমন্ত্রণালয় সভা করা সম্ভব হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সাত কলেজের সম্পৃক্ততার ধরন বিষয়ে বাস্তবসম্মত, কার্যকর ও উপযোগী কাঠামো নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে।
এদিকে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুরের পর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনের সামনের সংযোগ সড়ক থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে হাইকোর্ট মোড় থেকে সচিবালয় অভিমুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট হয়। শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে গতকাল রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জানতে চাইলে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ ব্যাচের ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর আজ দুপুরে বলেন, ‘অধ্যাদেশ জারি হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ৷ দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
ওই খসড়া প্রকাশের পর কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভিন্ন অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। ওই সাত কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের একাংশ দ্রুত অধ্যাদেশের দাবি জানিয়েছেন এবং উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ ‘স্কুলিং’ কাঠামো বাতিল এবং কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।

১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। হাজার হাজার প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করলেও খুব অল্পসংখ্যক প্রার্থীই উত্তীর্ণ হন। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রিলিতে সফল হতে হয়...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সব
৩ ঘণ্টা আগে
ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর
১৯ ঘণ্টা আগে