রাহুল শর্মা, ঢাকা
এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ১১টি বোর্ড মিলিয়ে ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। তখন থেকে এইচএসসিতে পাসের হার আর কখনো ৫৯ শতাংশের নিচে নামেনি। এর আগে অবশ্য ২০০৪ সালে ফল আরও খারাপ হয়। তখন পাসের হার ছিল মাত্র ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এবারের গড় পাসের হার গত বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ কম। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এবারের পাসের হার এত নিচু হওয়ার কারণ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।
ফল ও সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, মূলত তিনটি কারণে এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ কমেছে। প্রথমত, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে কলেজে ক্লাস কম পেয়েছে। দ্বিতীয়ত, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান ও আইসিটিতে পাসের হার ছিল তুলনামূলক কম। তৃতীয়ত, উত্তরপত্র মূল্যায়নে ‘কড়াকড়ি’; যাকে কেউ কেউ বলছেন ‘যথাযথ মূল্যায়ন’। এ ছাড়া শিক্ষকসংকটসহ নানা সমস্যা গ্রামাঞ্চলের পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফলের এই অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই ফলকে বাস্তবতার প্রতিফলন বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার সময় দেখি, যে পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে মাত্রার দক্ষতা থাকা উচিত, তা নেই। এর কারণ হলো, শিক্ষায় নানা সংকট রয়েছে। যেমন আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের যে ধরনের একাডেমিক যোগ্যতা থাকার কথা, তা নেই। মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছেন না। শিক্ষা নিয়ে সরকারের নীতি পরিবর্তন করতে হবে।’
এবারের ফল শিক্ষার প্রকৃত চিত্র বলে মনে করেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারও। গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি, যেখানে সংখ্যাই সত্য হয়ে উঠেছিল; পাসের হারই যেন সাফল্যের প্রতীক, জিপিএ-৫-এর সংখ্যা ছিল তৃপ্তির মানদণ্ড। ফল “ভালো” দেখাতে গিয়ে আমরা অজান্তেই শিক্ষার প্রকৃত সংকট আড়াল করেছি। আমি সেই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই।’
ফল ধসের কয়েকটি কারণ
২০০৫ সালের এইচএসসির মাত্র ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ গড় হারের পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই পাসের হার বেড়েছে। কখনো সামান্য কমবেশি হয়েছে। কিন্তু এবার এসেছে বড় ধাক্কা। গড় পাস এবার গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বিপুলভাবে কমেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর সংখ্যাটি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১।
ফল খারাপের পেছনের কারণ জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা বরাবরই খারাপ করে। হিসাববিজ্ঞানও কঠিন বিষয়। এসব বিষয়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো শিক্ষক নেই। শিক্ষকের অভাবসহ কিছু কারণ রয়েছে। আমরা এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
একই সুরে কথা বলেছেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ইংরেজিসহ কয়েকটি বিষয়ে খারাপ ফলের প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক ফলাফলে। এ ছাড়া দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান, আইসিটি বিষয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে ভালো করতে পারেনি। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থিতিশীল সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া ফল খারাপের অন্যতম কারণ।’
মানবিক ও বাণিজ্যে ধরাশায়ী শিক্ষার্থীরা
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও তুলনামূলক ভালো করেছে। তার তুলনায় মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের ফল এবার বেশ খারাপ হয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। সেখানে বাণিজ্য বিভাগে পাসের হার মাত্র ৫৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ আর মানবিকে মাত্র ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। মানবিক বিভাগে ইংরেজিতেই বেশি খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা।
৫ লাখ ফেল, কমেছে জিপিএ-৫
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফেল করেছে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলের সংখ্যা বেশি। তথ্য বলছে, মোট ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৪৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। আর মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। সব মিলিয়ে এবার ফেল করেছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ হাজার ৯৭ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী।
এবারও এগিয়ে মেয়েরা
সার্বিক ফল অনুযায়ী এবারও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে। এবার মেয়েদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ছেলেদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও এগিয়ে মেয়েরা। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন।
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল
চলতি বছর দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬৫। আর শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। এবার মোট ৩৪৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি।
পাসে শীর্ষে মাদ্রাসা, নিচে কুমিল্লা বোর্ড
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর সবচেয়ে কম পাস করেছে কুমিল্লা বোর্ডে, ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা আর পিছিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড।
ফলের তথ্য বলছে, ঢাকা বোর্ডে ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, যশোরে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বরিশালে ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সিলেটে ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, দিনাজপুরে ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ পাস করেছে।
এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ১১টি বোর্ড মিলিয়ে ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। তখন থেকে এইচএসসিতে পাসের হার আর কখনো ৫৯ শতাংশের নিচে নামেনি। এর আগে অবশ্য ২০০৪ সালে ফল আরও খারাপ হয়। তখন পাসের হার ছিল মাত্র ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এবারের গড় পাসের হার গত বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ কম। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এবারের পাসের হার এত নিচু হওয়ার কারণ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।
ফল ও সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, মূলত তিনটি কারণে এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ কমেছে। প্রথমত, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে কলেজে ক্লাস কম পেয়েছে। দ্বিতীয়ত, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান ও আইসিটিতে পাসের হার ছিল তুলনামূলক কম। তৃতীয়ত, উত্তরপত্র মূল্যায়নে ‘কড়াকড়ি’; যাকে কেউ কেউ বলছেন ‘যথাযথ মূল্যায়ন’। এ ছাড়া শিক্ষকসংকটসহ নানা সমস্যা গ্রামাঞ্চলের পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফলের এই অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই ফলকে বাস্তবতার প্রতিফলন বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার সময় দেখি, যে পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে মাত্রার দক্ষতা থাকা উচিত, তা নেই। এর কারণ হলো, শিক্ষায় নানা সংকট রয়েছে। যেমন আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের যে ধরনের একাডেমিক যোগ্যতা থাকার কথা, তা নেই। মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছেন না। শিক্ষা নিয়ে সরকারের নীতি পরিবর্তন করতে হবে।’
এবারের ফল শিক্ষার প্রকৃত চিত্র বলে মনে করেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারও। গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি, যেখানে সংখ্যাই সত্য হয়ে উঠেছিল; পাসের হারই যেন সাফল্যের প্রতীক, জিপিএ-৫-এর সংখ্যা ছিল তৃপ্তির মানদণ্ড। ফল “ভালো” দেখাতে গিয়ে আমরা অজান্তেই শিক্ষার প্রকৃত সংকট আড়াল করেছি। আমি সেই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই।’
ফল ধসের কয়েকটি কারণ
২০০৫ সালের এইচএসসির মাত্র ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ গড় হারের পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই পাসের হার বেড়েছে। কখনো সামান্য কমবেশি হয়েছে। কিন্তু এবার এসেছে বড় ধাক্কা। গড় পাস এবার গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বিপুলভাবে কমেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর সংখ্যাটি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১।
ফল খারাপের পেছনের কারণ জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা বরাবরই খারাপ করে। হিসাববিজ্ঞানও কঠিন বিষয়। এসব বিষয়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো শিক্ষক নেই। শিক্ষকের অভাবসহ কিছু কারণ রয়েছে। আমরা এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
একই সুরে কথা বলেছেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ইংরেজিসহ কয়েকটি বিষয়ে খারাপ ফলের প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক ফলাফলে। এ ছাড়া দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান, আইসিটি বিষয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে ভালো করতে পারেনি। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থিতিশীল সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া ফল খারাপের অন্যতম কারণ।’
মানবিক ও বাণিজ্যে ধরাশায়ী শিক্ষার্থীরা
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও তুলনামূলক ভালো করেছে। তার তুলনায় মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের ফল এবার বেশ খারাপ হয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। সেখানে বাণিজ্য বিভাগে পাসের হার মাত্র ৫৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ আর মানবিকে মাত্র ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। মানবিক বিভাগে ইংরেজিতেই বেশি খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা।
৫ লাখ ফেল, কমেছে জিপিএ-৫
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফেল করেছে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলের সংখ্যা বেশি। তথ্য বলছে, মোট ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৪৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। আর মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। সব মিলিয়ে এবার ফেল করেছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ হাজার ৯৭ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী।
এবারও এগিয়ে মেয়েরা
সার্বিক ফল অনুযায়ী এবারও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে। এবার মেয়েদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ছেলেদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও এগিয়ে মেয়েরা। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন।
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল
চলতি বছর দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬৫। আর শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। এবার মোট ৩৪৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি।
পাসে শীর্ষে মাদ্রাসা, নিচে কুমিল্লা বোর্ড
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর সবচেয়ে কম পাস করেছে কুমিল্লা বোর্ডে, ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা আর পিছিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড।
ফলের তথ্য বলছে, ঢাকা বোর্ডে ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, যশোরে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বরিশালে ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সিলেটে ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, দিনাজপুরে ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ পাস করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব, প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
১৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির। গত বুধবারের এই ভোটে ২৬টি পদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদকসহ (জিএস) ২৪টি পদে জয় পেয়েছে তারা। ভোটে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলেও সফলতা আসেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনটি হলের ব্যালটের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় গণনা শুরুর সময় থেকে ১৪ ঘণ্টা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রেসক্লাবে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর মধ্যে আমরাও (প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা) যদি অনশন কর্মসূচি শুরু করি, তাহলে বড় ঝামেলা সৃষ্টি হবে। সার্বিক বিবেচনায় ঐক্য পরিষদের নেতারা অনশন কর্মসূচি
১৬ ঘণ্টা আগে