যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টেক উদ্যোক্তা ও রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যার দায়ে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টায়রেস হাসপিল (২৫) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আজ সোমবার (২৬ জুন) নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানহাটনের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ফাহিমকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগে হাসপিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনো তার সাজা ঘোষণা করেননি বিচারকেরা।
মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে হাসপিলের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ আমলে নেন বিচারকেরা। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, টেজার ব্যবহার করে ফাহিমকে অক্ষম করে ফেলা, এরপর তার ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের কনডোতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা। তার বিরুদ্ধে নিহত ফাহিমের ৪ লাখ ডলার চুরি করে বিলাসী জীবনযাপনের চেষ্টার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, হত্যার পর হাসপিল বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে সালেহের দেহ খণ্ড খণ্ড করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে সেগুলো অ্যাপার্টমেন্টে ছড়িয়ে রেখেছিল।
এক মাসব্যাপী বিচারের সময় হাসপিল আদালতে দাঁড়িয়ে ফাহিমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
হাসপিল জানায়, হত্যার সময় ঘটনাস্থলে তিনি একটি কালো প্লাস্টিকের শিল্ড মাস্ক, বেসবল ক্যাপ ও সানগ্লাস পরে ছিল। তার বক্তব্য অনুযায়ী, লিফট থেকে নামার পরই সে ফাহিমকে পেছন থেকে টেজার করেছিল। এরপর সে একটি ছুরি বের করে ফাহিমের ঘাড়ে আঘাত করতে শুরু করে। ফাহিম তখন চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘তুমি কী করছ?’
হাসপিলের আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে দাবি করেছিলেন, হাসপিল তার ফরাসি বান্ধবীকে খুশি করার জন্য দামি উপহার কিনতে নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল যে চুরির কথা প্রকাশ পেলে বান্ধবী তাকে ছেড়ে চলে যেত। তবে বিচারকেরা তাঁর এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। তারা হাসপিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর হাসপিলের সাজা ঘোষণা করা হবে। তাকে ২৫ বছর থেকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজকের রায় ফাহিম সালেহের প্রিয়জনদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ফাহিমের শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘাড় ও কাঁধে ছুরির আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জুলাই ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে।
ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তার বাবা সালেহ উদ্দিন চট্টগ্রামের আর মা নোয়াখালীর বাসিন্দা। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করতেন ফাহিম। ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে যৌথভাবে ‘পাঠাও অ্যাপ’ চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ছাড়াও নাইজেরিয়ায় ‘গোকান্ডা’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টেক উদ্যোক্তা ও রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যার দায়ে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টায়রেস হাসপিল (২৫) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আজ সোমবার (২৬ জুন) নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানহাটনের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ফাহিমকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগে হাসপিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনো তার সাজা ঘোষণা করেননি বিচারকেরা।
মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে হাসপিলের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ আমলে নেন বিচারকেরা। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, টেজার ব্যবহার করে ফাহিমকে অক্ষম করে ফেলা, এরপর তার ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের কনডোতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা। তার বিরুদ্ধে নিহত ফাহিমের ৪ লাখ ডলার চুরি করে বিলাসী জীবনযাপনের চেষ্টার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, হত্যার পর হাসপিল বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে সালেহের দেহ খণ্ড খণ্ড করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে সেগুলো অ্যাপার্টমেন্টে ছড়িয়ে রেখেছিল।
এক মাসব্যাপী বিচারের সময় হাসপিল আদালতে দাঁড়িয়ে ফাহিমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
হাসপিল জানায়, হত্যার সময় ঘটনাস্থলে তিনি একটি কালো প্লাস্টিকের শিল্ড মাস্ক, বেসবল ক্যাপ ও সানগ্লাস পরে ছিল। তার বক্তব্য অনুযায়ী, লিফট থেকে নামার পরই সে ফাহিমকে পেছন থেকে টেজার করেছিল। এরপর সে একটি ছুরি বের করে ফাহিমের ঘাড়ে আঘাত করতে শুরু করে। ফাহিম তখন চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘তুমি কী করছ?’
হাসপিলের আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে দাবি করেছিলেন, হাসপিল তার ফরাসি বান্ধবীকে খুশি করার জন্য দামি উপহার কিনতে নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল যে চুরির কথা প্রকাশ পেলে বান্ধবী তাকে ছেড়ে চলে যেত। তবে বিচারকেরা তাঁর এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। তারা হাসপিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর হাসপিলের সাজা ঘোষণা করা হবে। তাকে ২৫ বছর থেকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজকের রায় ফাহিম সালেহের প্রিয়জনদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ফাহিমের শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘাড় ও কাঁধে ছুরির আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জুলাই ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে।
ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তার বাবা সালেহ উদ্দিন চট্টগ্রামের আর মা নোয়াখালীর বাসিন্দা। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করতেন ফাহিম। ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে যৌথভাবে ‘পাঠাও অ্যাপ’ চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ছাড়াও নাইজেরিয়ায় ‘গোকান্ডা’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৫ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫