পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রতারণার অভিযোগে এলজিইডির রোলার চালক পরিচয় দেওয়া শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবুকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় করা দলিল জালিয়াতির মামলায় তাঁকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবু ‘সুবসতি’ নামে একটি সংস্থায় ২০১২ সাল থেকে কেয়ারটেকারের দায়িত্বে ছিলেন। কিছুদিন বিশ্বস্তভাবে দায়িত্ব পালনের পর নিজেই সংস্থার সভাপতি ও সহসভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। পরে প্রায় সাড়ে এগারো একর জমি ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বেচে দেন। সুবসতির জমির দলিল জাল করার অভিযোগে ২০২১ সালে ২৫ নভেম্বর সংস্থাটির ডিভিশনাল কো-অর্ডিটের মো. সুরুজ্জামান নবাব দেবীগঞ্জ থানায় চারজনের নামে মামলা করেন। আসামিরা হলেন—শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবু, ক্রেতা সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকি, দলিলের সাক্ষী মো. রফিকুল ইসলাম, যোগসাজশকারী মো. আব্দুস সাত্তার। পরে উচ্চ আদালত গত বছরের ৭ ডিসেম্বর সাবুকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালত পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত জামিন দেন।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। গত ৩১ মে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আজ সাবু স্থায়ী জামিন চাইলে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবু (৫৫) নিজেকে কখনো এলজিইডির রোড রোলার ড্রাইভার আবার কখনো পরিচয় দেন সুবসতির প্রভাবশালী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে। জাল দলিল বানিয়ে অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়াই তাঁর পেশা। এ জন্য গড়ে তুলেছেন প্রতারণার চক্র। পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত এই চক্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি খামার গড়ার উদ্দেশ্যে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ চরতিস্তাপাড়া ও ডোমার থানার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে জমি কেনে বেসরকারি সংস্থা ‘সুবসতি’। কৃষি খামার ও সংস্থাটির সম্পত্তি দেখভালের জন্য ২০১২ সালে কেয়ারটেকার পদে সাবুকে নিয়োগ দেয় সুবসতি। সংস্থাটির কর্তাব্যক্তিদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সুবসতির সাবেক এবং বর্তমান সভাপতি, সহসভাপতির স্বাক্ষর জাল করে জনৈক মো. সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকির কাছে সাড়ে ১১ একর জমি বিক্রি করে দেন শফিকুল ইসলাম সাবু। এ ছাড়া সংস্থার জমির মালিক সেজে অহেদ আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে লিজ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ১৪ লাখ টাকা। সংস্থার জমি দখল করে বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘সুবসতি’র রংপুর ডিভিশনের কো-অর্ডিনেটর মো. সুরুজ্জামান বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম একজন প্রতারক। আমি মামলা করার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। সুবসতির জমি জালিয়াতি করে অন্যত্র বিক্রি করেছেন, এ ছাড়া আমার নামে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা করেন সাবু। কাঁঠালতলি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তিনি।’
প্রতারণার অভিযোগে এলজিইডির রোলার চালক পরিচয় দেওয়া শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবুকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় করা দলিল জালিয়াতির মামলায় তাঁকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবু ‘সুবসতি’ নামে একটি সংস্থায় ২০১২ সাল থেকে কেয়ারটেকারের দায়িত্বে ছিলেন। কিছুদিন বিশ্বস্তভাবে দায়িত্ব পালনের পর নিজেই সংস্থার সভাপতি ও সহসভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। পরে প্রায় সাড়ে এগারো একর জমি ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বেচে দেন। সুবসতির জমির দলিল জাল করার অভিযোগে ২০২১ সালে ২৫ নভেম্বর সংস্থাটির ডিভিশনাল কো-অর্ডিটের মো. সুরুজ্জামান নবাব দেবীগঞ্জ থানায় চারজনের নামে মামলা করেন। আসামিরা হলেন—শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবু, ক্রেতা সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকি, দলিলের সাক্ষী মো. রফিকুল ইসলাম, যোগসাজশকারী মো. আব্দুস সাত্তার। পরে উচ্চ আদালত গত বছরের ৭ ডিসেম্বর সাবুকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালত পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত জামিন দেন।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। গত ৩১ মে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আজ সাবু স্থায়ী জামিন চাইলে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সাবু (৫৫) নিজেকে কখনো এলজিইডির রোড রোলার ড্রাইভার আবার কখনো পরিচয় দেন সুবসতির প্রভাবশালী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে। জাল দলিল বানিয়ে অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়াই তাঁর পেশা। এ জন্য গড়ে তুলেছেন প্রতারণার চক্র। পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত এই চক্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি খামার গড়ার উদ্দেশ্যে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ চরতিস্তাপাড়া ও ডোমার থানার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে জমি কেনে বেসরকারি সংস্থা ‘সুবসতি’। কৃষি খামার ও সংস্থাটির সম্পত্তি দেখভালের জন্য ২০১২ সালে কেয়ারটেকার পদে সাবুকে নিয়োগ দেয় সুবসতি। সংস্থাটির কর্তাব্যক্তিদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সুবসতির সাবেক এবং বর্তমান সভাপতি, সহসভাপতির স্বাক্ষর জাল করে জনৈক মো. সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকির কাছে সাড়ে ১১ একর জমি বিক্রি করে দেন শফিকুল ইসলাম সাবু। এ ছাড়া সংস্থার জমির মালিক সেজে অহেদ আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে লিজ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ১৪ লাখ টাকা। সংস্থার জমি দখল করে বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘সুবসতি’র রংপুর ডিভিশনের কো-অর্ডিনেটর মো. সুরুজ্জামান বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম একজন প্রতারক। আমি মামলা করার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। সুবসতির জমি জালিয়াতি করে অন্যত্র বিক্রি করেছেন, এ ছাড়া আমার নামে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা করেন সাবু। কাঁঠালতলি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তিনি।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪