কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকারের বিরুদ্ধে নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অফিসের ভেতরে এক সেবাগ্রহীতা নারীর পক্ষ থেকে এ অভিযোগ আসছে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার জেলা আঞ্চলিক অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর উপস্থিত লোকজন ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে আটক করা হয়নি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী ঘটনার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রায় দেড় মাস আগে তিনি একটি পাসপোর্টের আবেদন করেন। তাঁর স্বামী বিদেশে অবস্থান করায় তিনি নিজেই এই আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনে সমস্যা আছে জানিয়ে পাসপোর্ট কর্মকর্তা মোত্তালেব সরকার তাঁকে ফোন দিয়ে অফিসে আসতে বলেন।’
ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার তিনি পাসপোর্ট অফিসে এসে মোত্তালেব সরকারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি (মোত্তালেব সরকার) তাঁকে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে যেতে বলেন। কারণ হিসেবে ওই কক্ষে তাঁর আবেদনপত্র সংশোধন করতে হবে বলে জানান অভিযুক্ত কর্মকর্তা। পরে ওই নারী তৃতীয় তলার কক্ষে গেলে মোত্তালেব সরকার রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেন এবং তাঁকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে অফিসে উপস্থিত অন্য লোকজন গিয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন।’
জানা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান। পরে কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলেও অভিযুক্ত মোত্তালেব সরকারকে আটক করা হয়নি।
এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর স্বভাবই এ রকম, উনি ডিভোর্সি মহিলা।’
ওই নারীর স্বভাব এ রকম আপনি কীভাবে জানলেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা ভুক্তভোগী নারীকে দায়ী করে বলেন, ‘স্বভাব এমন না হলে এটা করল কীভাবে!’
ভুক্তভোগী নারীকে ফোন দিয়ে অফিসে আসার কথা স্বীকার করে মোত্তালেব সরকার বলেন, ‘অফিস থেকে ফোন দিয়ে তাঁর সনদ জমা ও স্বাক্ষর দিতে বলা হয়েছে। উনি আজ এসে সেগুলো দিয়ে আবার ফিরে এসে ২৫ তারিখের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার দাবি করেন। পরে তিনি এই সিনক্রিয়েট করেন।’
ওই নারীকে কেন তৃতীয় তলায় পাঠিয়ে আপনি কক্ষে প্রবেশ করলেন—এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ওই কক্ষে যাইনি।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর থানায় গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীকে একটি কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তিনি লিখিত অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে এ ঘটনায় কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে কি না, আমরা তা-ও খতিয়ে দেখছি। কারণ ওই নারীর সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন দালালের যোগসাজশের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।’
থানায় উপস্থিত ভুক্তভোগী নারীর কাছে অভিযোগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি খুব মানসিক চাপে আছি। লিখিত অভিযোগ করব কি না, তা ভেবে পাচ্ছি না। তবে আমি যা বলেছি তা সব সত্য।’
কুড়িগ্রাম জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকারের বিরুদ্ধে নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অফিসের ভেতরে এক সেবাগ্রহীতা নারীর পক্ষ থেকে এ অভিযোগ আসছে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার জেলা আঞ্চলিক অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর উপস্থিত লোকজন ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে আটক করা হয়নি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী ঘটনার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রায় দেড় মাস আগে তিনি একটি পাসপোর্টের আবেদন করেন। তাঁর স্বামী বিদেশে অবস্থান করায় তিনি নিজেই এই আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনে সমস্যা আছে জানিয়ে পাসপোর্ট কর্মকর্তা মোত্তালেব সরকার তাঁকে ফোন দিয়ে অফিসে আসতে বলেন।’
ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার তিনি পাসপোর্ট অফিসে এসে মোত্তালেব সরকারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি (মোত্তালেব সরকার) তাঁকে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে যেতে বলেন। কারণ হিসেবে ওই কক্ষে তাঁর আবেদনপত্র সংশোধন করতে হবে বলে জানান অভিযুক্ত কর্মকর্তা। পরে ওই নারী তৃতীয় তলার কক্ষে গেলে মোত্তালেব সরকার রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেন এবং তাঁকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে অফিসে উপস্থিত অন্য লোকজন গিয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন।’
জানা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান। পরে কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলেও অভিযুক্ত মোত্তালেব সরকারকে আটক করা হয়নি।
এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর স্বভাবই এ রকম, উনি ডিভোর্সি মহিলা।’
ওই নারীর স্বভাব এ রকম আপনি কীভাবে জানলেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা ভুক্তভোগী নারীকে দায়ী করে বলেন, ‘স্বভাব এমন না হলে এটা করল কীভাবে!’
ভুক্তভোগী নারীকে ফোন দিয়ে অফিসে আসার কথা স্বীকার করে মোত্তালেব সরকার বলেন, ‘অফিস থেকে ফোন দিয়ে তাঁর সনদ জমা ও স্বাক্ষর দিতে বলা হয়েছে। উনি আজ এসে সেগুলো দিয়ে আবার ফিরে এসে ২৫ তারিখের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার দাবি করেন। পরে তিনি এই সিনক্রিয়েট করেন।’
ওই নারীকে কেন তৃতীয় তলায় পাঠিয়ে আপনি কক্ষে প্রবেশ করলেন—এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ওই কক্ষে যাইনি।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর থানায় গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীকে একটি কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তিনি লিখিত অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে এ ঘটনায় কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে কি না, আমরা তা-ও খতিয়ে দেখছি। কারণ ওই নারীর সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন দালালের যোগসাজশের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।’
থানায় উপস্থিত ভুক্তভোগী নারীর কাছে অভিযোগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি খুব মানসিক চাপে আছি। লিখিত অভিযোগ করব কি না, তা ভেবে পাচ্ছি না। তবে আমি যা বলেছি তা সব সত্য।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪