Ajker Patrika

হাতীবান্ধায় মাদ্রাসার ১৮ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
Thumbnail image

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মাদ্রাসা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। তাঁর নাম আব্দুল আউয়াল। 

গতকাল শুক্রবার রাতে, স্থানীয়রা মাদ্রাসা ঘেরাও করলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভাইয়ের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান আউয়াল। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেয়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, আউয়াল গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন করে আসছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানানোর পর পরিবারের লোকজন শুক্রবার মাদ্রাসায় আসে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পড়েন ওই শিক্ষক। পরে স্থানীয়রা মাদ্রাসা ঘেরাও করে আউয়ালের শাস্তির দাবি জানায়। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করে আসছেন। শিশুরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বিষয়টি আমাদের জানায়। আমরা বিষয়টি জানতে মাদ্রাসায় আসি। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আকবর হোসেন বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। 

তারা জানান, আমরা মীমাংসায় রাজি না হলে আকবর আমাদের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর ভাই আব্দুল আউয়ালকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তাঁরা ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু পুলিশও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলে চলে যায়। 

মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি বড় হুজুর তাদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের লোকজন মাদ্রাসা আসলে বড় হুজুর পালিয়ে যান।’ 

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বড় ভাই আকবর হোসেন বলেন, ‘মাদ্রাসা ছাত্রদের দাবি আমার ভাই তাদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। কিন্তু আমার ভাই ছাত্রদের ভালোভাবেই পড়াশোনা করান, তবে ছাত্রদের ছুটি কম দেন। তাই তারা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে।’ 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘ওই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত