Ajker Patrika

পীরগঞ্জ স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলা, ওসির বদলি

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
পীরগঞ্জ স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলা, ওসির বদলি

রংপুরের পীরগঞ্জের খেতাবেরপাড়া পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশকে মারধর এবং ছাত্র হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শিক্ষক আনোয়ারুল হককে।

গতকাল বুধবার রাতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী তালুকদার বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেছেন। এদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়ালকে বুধবার রাতে বদলি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এবং তারই সহকারী শিক্ষক আনোয়ারুল হকের মধ্যে বিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী তালুকদার এবং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেবেন না বলে শিক্ষক আনোয়ারুল হক মানুষকে সংঘবদ্ধ করেন। প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতিও বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন।

একপর্যায়ে গত ১০ অক্টোবর পূজার ছুটির পর বিদ্যালয় খুললে ওই সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে খেতাবেরপাড়ার মানুষ লাঠিসোঁটা বিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান নেন। সঙ্গে প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতিরও লোকজন অবস্থান নেন। বেলা ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক মোটরসাইকেল নিয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে আসা মাত্রই লোকজন তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। তাঁকে হত্যা করতে ধারালো বল্লম ছুড়ে মারলে প্রধান শিক্ষক সরে যান। এ সময় প্রধান শিক্ষকের পেছনে ঘটনা দেখতে আসা বিদ্যালয়টির অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রমজান আলী আকাশের গলায় বল্লমটি ঢুকে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এ সময় থানার ওসি আব্দুল আউয়ালসহ পুলিশের ছয়জন সদস্যকেও বেদম পেটানো হয়। পরে পুলিশ ১১ জনকে আটক করে। পরদিন মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আকাশের গ্রামের বাড়ি চৈত্রকোল ইউনিয়নের অনন্তরামপুর গ্রামে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ, নিহত ছাত্রের মা গোলাপী বেগম এবং প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে করা পৃথক পৃথক ৩ মামলার প্রধান আসামি সহকারী শিক্ষক আনোয়ারুল হকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্যদিকে পীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়ালকে বদলি করে রংপুরের মিঠাপুকুরে সার্কেল-ডি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। মিঠাপুকুর থানার ওসি জাকির হোসেনকে পীরগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

 এ ব্যাপারে পুলিশের রংপুর সার্কেল-ডি এর এএসপি কামরুজ্জামান বলেন, ‘খেতাবেরপাড়া স্কুলের ঘটনাটি খুবই হৃদয় বিদারক। নিষ্পাপ ছাত্র হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। নিরপরাধ কোনো মানুষকে হয়রানি না করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত