Ajker Patrika

ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে ভুয়া এসআই গ্রেপ্তার

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৭: ৩১
ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে ভুয়া এসআই গ্রেপ্তার

রংপুরের কাউনিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে সোহেল রানা (২৭) নামে এক ভুয়া উপপরিদর্শককে (এসআই) গ্রেপ্তার করেছে হারাগাছ থানা-পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হারাগাছ পৌরসভার বানুপাড়া কলেজ মাঠ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামি সোহেল রানা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারি ইউনিয়নের ছিরাগাওচুলকা গ্ৰামের ফজলুর রহমানের ছেলে।

মামলার বাদী ওই গৃহবধূ জানান, প্রায় দুই বছর আগে সোহেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তাঁর। এ সময় নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দেন সোহেল। মোবাইল ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে সোহেলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। এ সময় তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিডিওকলে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন সোহেল। এরপর নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন এবং নতুন নতুন ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি।

একইভাবে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোহেল হাতীবান্ধা থেকে হারাগাছে আসেন এবং ধর্ষণের ভিডিও পরিবারের কাছে দেখানোর ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে নিজ বাড়িতেই ধর্ষণ করেন। এরপর গত সোমবার রাত ১১টার দিকে আবারও হারাগাছে গিয়ে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সোহেল। এ সময় তাঁর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে গৃহবধূর স্বামী এসে সোহেলকে আটক করেন। গতকাল বিকেলে পৌর কাউন্সিলরের পরামর্শে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রাতেই ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সোহেল রানাকে আসামি করে শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান কবির বলেন, সোহেল নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে বাদী জানিয়েছেন। তবে সোহেল কোনো এসআই নন। তিনি ভুয়া পরিচয় দিয়েছিলেন কি না, তা তদন্ত করে জানা যাবে। আজ দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

এসআই আরও বলেন, গতকাল রাতেই শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে সোহেল রানাকে আসামি করে শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। আজ দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত