নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। জেসমিনকে আটকের পরদিন ২৩ মার্চ তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। তাঁর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন এনামুল হক। এর আগেও এক নারী এভাবে প্রতারিত হয়ে ঢাকায় তাঁর নামে মামলা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তখন তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার সকালে এনামুল হকের দপ্তরে তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মামলা করতে তাঁর বিলম্ব হয়েছে।’ অবশ্য মামলার এজাহারেও একই কথা বলেছেন তিনি।
মামলার এজাহারে এনামুল হক উল্লেখ করেছেন, চাঁদপুরের হাইমচর থানার গাজীবাড়ি এলাকার মো. আল-আমিন (৩২) ও নওগাঁর সুলতানা জেসমিন (৪০) তাঁর নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করে আসছিলেন। গত ২০ মার্চ অফিসের উচ্চমান সহকারীর মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিনি আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এরপর ২২ মার্চ অফিশিয়াল কাজে নওগাঁর উদ্দেশে রওনা হন। নওগাঁ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাবের একটি টহল দলকে দেখতে পেয়ে তিনি ঘটনা খুলে বলেন। এরপর র্যাবের দল তাঁকে সঙ্গে নিয়েই জেসমিনকে আটক করতে যায়। সেদিন ১১টা ৫০ মিনিটে নওগাঁর মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। সেখানেই কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। তিনি স্বীকার করেন, আল-আমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে তিনি যোগসাজশ করে এনামুল হকের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি বানিয়ে প্রতারণা করছেন। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই সুলতানা জেসমিন অসুস্থবোধ করেন। তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেওয়া হয়।
এনামুল হকের বক্তব্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়। এ ব্যাপারে গত বছরের মার্চে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। তবে কবে কোন থানায় সেই জিডি করা হয়েছিল সে তথ্য তিনি দিতে চাননি।
এদিকে সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার এজাহারে দাবি করেছেন, তাঁর নাম ও ছবি ব্যবহার করে নতুন আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল।
এনামুল হক জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকেই আল-আমিন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এই আল-আমিন জেসমিনের সঙ্গে তাঁর নামের ভুয়া আইডি থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক পরিচয় দিয়ে ‘ব্যক্তিগত’ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। দুজনের মেসেঞ্জারের কথোপকথনে বিষয়টিও র্যাবের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।
স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হকের দাবি, আল-আমিন তাঁর পরিচয় ব্যবহার করে অন্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান ফেসবুকে। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন। তবে আল-আমিন নিজে টাকা না নিয়ে জেসমিনের ব্যাংক হিসাবে টাকা নিতে শুরু করেন। এই টাকা তুলে জেসমিন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আল-আমিনের কাছে পাঠাতেন। এই সবকিছুর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, জেসমিনও আগে জানতেন না যে তাঁর কথা হয় হ্যাকার আল-আমিনের সঙ্গে। তিনিও প্রতারিত হন। একপর্যায়ে আল-আমিন নিজেই জেসমিনকে জানিয়ে দেন যে, তিনি আসলে এনামুল হক নন, একজন হ্যাকার। কিন্তু তখন আর জেসমিনের এই প্রতারকের কাছ থেকে দূরে সরে আসার কোনো পথ ছিল না।
এনামুল হক জানান, জেসমিনের ব্যাংক হিসাব পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এতে ১৯ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এই টাকা গেছে আল-আমিনের কাছে।
গত বছর প্রতারণার মামলা হয় ঢাকায়
যুগ্মসচিব এনামুল হক জানিয়েছেন, তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করার পরই চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা শুরু করেন আল-আমিন। এ ব্যাপারে ছন্দা জোয়ার্দার নামে প্রতারণার শিকার এক নারী গত বছরের অক্টোবরে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই নারী জানতেন না যে ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী আল-আমিন। তিনি ভেবেছিলেন যুগ্মসচিব এনামুল হকের সঙ্গেই তাঁর কথা হয়। তাই তিনি এনামুল হককে আসামি করে ওই মামলা করেন। এই মামলায় রোমানা ফেরদৌস নামের আরেক নারীকেও আসামি করা হয়। প্রতারক আল-আমিন রোমানার মাধ্যমে টাকা নিয়েছিলেন ছন্দার কাছ থেকে। রোমানা আল-আমিনের হয়ে ছন্দার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। একইভাবে নওগাঁর জেসমিনকে ব্যবহার করে টাকা সংগ্রহ করেছেন আল-আমিন।
এনামুল হক জানান, ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন নিয়েছেন। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। টাকা গ্রহণকারী রোমানাকেও তিনি চেনেন না। এখন আল-আমিন গ্রেপ্তার হলে সবকিছু পরিষ্কার হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
আল-আমিনকে খুঁজছে র্যাব
হ্যাকার ও প্রতারক আল-আমিনের খোঁজ শুরু করেছে র্যাব। র্যাব-৫-এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা আল-আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারব।’
জেসমিনকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘র্যাব আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করে। জেসমিনকে নির্যাতন করার কোনো কারণ নেই। কারণ, তিনি যে প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত তা প্রমাণ হয়েছে আগেই। তিনি তা স্বীকারও করেছিলেন।’
এনামুল হক মামলা করার আগেই জেসমিনকে আটক করা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। র্যাব অতি উৎসাহী তৎপরতা দেখিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়ে জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘একজন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা যদি এভাবে হেনস্তার শিকার হন, অপরাধ না করেও মামলায় পড়ে হয়রানি হন, তখন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখতে হয়। তা ছাড়া মামলা না থাকলে যে কাউকে আটক করা যাবে না, তা নয়। কেউ অপহরণের শিকার হলেও তো আমরা খবর পেলেই উদ্ধার করি। পরে মামলা হয়।’
আরও খবর পড়ুন:

র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। জেসমিনকে আটকের পরদিন ২৩ মার্চ তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। তাঁর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন এনামুল হক। এর আগেও এক নারী এভাবে প্রতারিত হয়ে ঢাকায় তাঁর নামে মামলা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তখন তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার সকালে এনামুল হকের দপ্তরে তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মামলা করতে তাঁর বিলম্ব হয়েছে।’ অবশ্য মামলার এজাহারেও একই কথা বলেছেন তিনি।
মামলার এজাহারে এনামুল হক উল্লেখ করেছেন, চাঁদপুরের হাইমচর থানার গাজীবাড়ি এলাকার মো. আল-আমিন (৩২) ও নওগাঁর সুলতানা জেসমিন (৪০) তাঁর নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করে আসছিলেন। গত ২০ মার্চ অফিসের উচ্চমান সহকারীর মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিনি আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এরপর ২২ মার্চ অফিশিয়াল কাজে নওগাঁর উদ্দেশে রওনা হন। নওগাঁ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাবের একটি টহল দলকে দেখতে পেয়ে তিনি ঘটনা খুলে বলেন। এরপর র্যাবের দল তাঁকে সঙ্গে নিয়েই জেসমিনকে আটক করতে যায়। সেদিন ১১টা ৫০ মিনিটে নওগাঁর মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। সেখানেই কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। তিনি স্বীকার করেন, আল-আমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে তিনি যোগসাজশ করে এনামুল হকের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি বানিয়ে প্রতারণা করছেন। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই সুলতানা জেসমিন অসুস্থবোধ করেন। তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেওয়া হয়।
এনামুল হকের বক্তব্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়। এ ব্যাপারে গত বছরের মার্চে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। তবে কবে কোন থানায় সেই জিডি করা হয়েছিল সে তথ্য তিনি দিতে চাননি।
এদিকে সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার এজাহারে দাবি করেছেন, তাঁর নাম ও ছবি ব্যবহার করে নতুন আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল।
এনামুল হক জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকেই আল-আমিন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এই আল-আমিন জেসমিনের সঙ্গে তাঁর নামের ভুয়া আইডি থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক পরিচয় দিয়ে ‘ব্যক্তিগত’ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। দুজনের মেসেঞ্জারের কথোপকথনে বিষয়টিও র্যাবের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।
স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হকের দাবি, আল-আমিন তাঁর পরিচয় ব্যবহার করে অন্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান ফেসবুকে। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন। তবে আল-আমিন নিজে টাকা না নিয়ে জেসমিনের ব্যাংক হিসাবে টাকা নিতে শুরু করেন। এই টাকা তুলে জেসমিন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আল-আমিনের কাছে পাঠাতেন। এই সবকিছুর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, জেসমিনও আগে জানতেন না যে তাঁর কথা হয় হ্যাকার আল-আমিনের সঙ্গে। তিনিও প্রতারিত হন। একপর্যায়ে আল-আমিন নিজেই জেসমিনকে জানিয়ে দেন যে, তিনি আসলে এনামুল হক নন, একজন হ্যাকার। কিন্তু তখন আর জেসমিনের এই প্রতারকের কাছ থেকে দূরে সরে আসার কোনো পথ ছিল না।
এনামুল হক জানান, জেসমিনের ব্যাংক হিসাব পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এতে ১৯ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এই টাকা গেছে আল-আমিনের কাছে।
গত বছর প্রতারণার মামলা হয় ঢাকায়
যুগ্মসচিব এনামুল হক জানিয়েছেন, তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করার পরই চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা শুরু করেন আল-আমিন। এ ব্যাপারে ছন্দা জোয়ার্দার নামে প্রতারণার শিকার এক নারী গত বছরের অক্টোবরে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই নারী জানতেন না যে ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী আল-আমিন। তিনি ভেবেছিলেন যুগ্মসচিব এনামুল হকের সঙ্গেই তাঁর কথা হয়। তাই তিনি এনামুল হককে আসামি করে ওই মামলা করেন। এই মামলায় রোমানা ফেরদৌস নামের আরেক নারীকেও আসামি করা হয়। প্রতারক আল-আমিন রোমানার মাধ্যমে টাকা নিয়েছিলেন ছন্দার কাছ থেকে। রোমানা আল-আমিনের হয়ে ছন্দার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। একইভাবে নওগাঁর জেসমিনকে ব্যবহার করে টাকা সংগ্রহ করেছেন আল-আমিন।
এনামুল হক জানান, ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন নিয়েছেন। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। টাকা গ্রহণকারী রোমানাকেও তিনি চেনেন না। এখন আল-আমিন গ্রেপ্তার হলে সবকিছু পরিষ্কার হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
আল-আমিনকে খুঁজছে র্যাব
হ্যাকার ও প্রতারক আল-আমিনের খোঁজ শুরু করেছে র্যাব। র্যাব-৫-এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা আল-আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারব।’
জেসমিনকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘র্যাব আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করে। জেসমিনকে নির্যাতন করার কোনো কারণ নেই। কারণ, তিনি যে প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত তা প্রমাণ হয়েছে আগেই। তিনি তা স্বীকারও করেছিলেন।’
এনামুল হক মামলা করার আগেই জেসমিনকে আটক করা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। র্যাব অতি উৎসাহী তৎপরতা দেখিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়ে জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘একজন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা যদি এভাবে হেনস্তার শিকার হন, অপরাধ না করেও মামলায় পড়ে হয়রানি হন, তখন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখতে হয়। তা ছাড়া মামলা না থাকলে যে কাউকে আটক করা যাবে না, তা নয়। কেউ অপহরণের শিকার হলেও তো আমরা খবর পেলেই উদ্ধার করি। পরে মামলা হয়।’
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। জেসমিনকে আটকের পরদিন ২৩ মার্চ তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন তিনি। তাঁর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন এনামুল হক। এর আগেও এক না
২৮ মার্চ ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। জেসমিনকে আটকের পরদিন ২৩ মার্চ তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন তিনি। তাঁর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন এনামুল হক। এর আগেও এক না
২৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। জেসমিনকে আটকের পরদিন ২৩ মার্চ তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন তিনি। তাঁর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন এনামুল হক। এর আগেও এক না
২৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। জেসমিনকে আটকের পরদিন ২৩ মার্চ তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন তিনি। তাঁর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন এনামুল হক। এর আগেও এক না
২৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে