নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ মার্চ মারা যান সুলতানা জেসমিন। হাসপাতালের প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, সুলতানা জেসমিন মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘জেসমিনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মাথার ডানপাশে একটু আঘাতের চিহ্ন ছিল। র্যাব বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পড়ে গিয়ে জেসমিন আঘাত পেয়েছেন।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘প্রথমে জেসমিনকে হাসপাতালের নিউরোসার্জারির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। এর আগে তাঁর মাথার সিটিস্ক্যানও করানো হয়। এতে তাঁর মাথায় “ইন্ট্রাক্র্যানিয়েল হেমারেজ” (অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ) ধরা পড়ে। পরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করছে, আটকের পর নির্যাতনে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘সেটা তো আমরা দেখিনি। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা বলতে পারবেন। তবে তাঁর উচ্চ ডায়াবেটিস পাওয়া গিয়েছিল। পড়ে গেলে যে ধরনের আঘাত হয়, সে রকমই একটা আঘাত ছিল।’
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে জেসমিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের তিনজন চিকিৎসকের একটি বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। আজ সোমবার হাইকোর্ট জেসমিনের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তলব করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেছেন, হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ওই প্রতিবেদন পুলিশকে দেননি। সেটা চিকিৎসকদেরই দিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে জানি না। কোনো কাগজপত্রও পাইনি। হাইকোর্ট যদি এ রকম আদেশ দেন তাহলে সিনিয়র স্যারদের সাথে আলাপ করব। তারপর সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে হাইকোর্টে নিয়ে যাব।’
ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগেই। আমরা মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এর মধ্যে হার্টের পরীক্ষাও করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে। রিপোর্টগুলো পেলে তখন একটা মন্তব্য দিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব। এই প্রক্রিয়ায় অন্তত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।’
জেসমিনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন কিংবা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নে ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই রিপোর্ট প্রস্তুতও হয়নি। তাই বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত হলে যত প্রশ্ন থাকবে করবেন, সবকিছুরই তখন উত্তর দিতে পারব। এই মুহূর্তে আর বেশি কিছু না।’
সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ২২ মার্চ সকালে জেসমিন অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁর নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যান। সেদিন দুপুর পৌনে ২টার পর তারা জানতে পারেন, জেসমিন নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর কিছুক্ষণ পর জেসমিনকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। ২৪ মার্চ সকালে জেসমিন আইসিইউতে মারা যান। পরদিন ২৫ মার্চ নওগাঁয় মরদেহ দাফন করা হয়। ১৭ বছর আগে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে জেসমিন নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর মা ষড়যন্ত্রের শিকার। র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের কারণে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব-৫–এর রাজশাহীর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের বলেছেন, আটকের পরপরই জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি দাবি করেন, জেসমিনকে র্যাবের কোনো ক্যাম্পেও নেওয়া হয়নি। আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ মার্চ মারা যান সুলতানা জেসমিন। হাসপাতালের প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, সুলতানা জেসমিন মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘জেসমিনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মাথার ডানপাশে একটু আঘাতের চিহ্ন ছিল। র্যাব বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পড়ে গিয়ে জেসমিন আঘাত পেয়েছেন।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘প্রথমে জেসমিনকে হাসপাতালের নিউরোসার্জারির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। এর আগে তাঁর মাথার সিটিস্ক্যানও করানো হয়। এতে তাঁর মাথায় “ইন্ট্রাক্র্যানিয়েল হেমারেজ” (অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ) ধরা পড়ে। পরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করছে, আটকের পর নির্যাতনে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘সেটা তো আমরা দেখিনি। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা বলতে পারবেন। তবে তাঁর উচ্চ ডায়াবেটিস পাওয়া গিয়েছিল। পড়ে গেলে যে ধরনের আঘাত হয়, সে রকমই একটা আঘাত ছিল।’
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে জেসমিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের তিনজন চিকিৎসকের একটি বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। আজ সোমবার হাইকোর্ট জেসমিনের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তলব করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেছেন, হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ওই প্রতিবেদন পুলিশকে দেননি। সেটা চিকিৎসকদেরই দিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে জানি না। কোনো কাগজপত্রও পাইনি। হাইকোর্ট যদি এ রকম আদেশ দেন তাহলে সিনিয়র স্যারদের সাথে আলাপ করব। তারপর সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে হাইকোর্টে নিয়ে যাব।’
ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগেই। আমরা মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এর মধ্যে হার্টের পরীক্ষাও করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে। রিপোর্টগুলো পেলে তখন একটা মন্তব্য দিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব। এই প্রক্রিয়ায় অন্তত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।’
জেসমিনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন কিংবা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নে ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই রিপোর্ট প্রস্তুতও হয়নি। তাই বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত হলে যত প্রশ্ন থাকবে করবেন, সবকিছুরই তখন উত্তর দিতে পারব। এই মুহূর্তে আর বেশি কিছু না।’
সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ২২ মার্চ সকালে জেসমিন অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁর নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যান। সেদিন দুপুর পৌনে ২টার পর তারা জানতে পারেন, জেসমিন নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর কিছুক্ষণ পর জেসমিনকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। ২৪ মার্চ সকালে জেসমিন আইসিইউতে মারা যান। পরদিন ২৫ মার্চ নওগাঁয় মরদেহ দাফন করা হয়। ১৭ বছর আগে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে জেসমিন নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর মা ষড়যন্ত্রের শিকার। র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের কারণে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব-৫–এর রাজশাহীর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের বলেছেন, আটকের পরপরই জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি দাবি করেন, জেসমিনকে র্যাবের কোনো ক্যাম্পেও নেওয়া হয়নি। আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ মার্চ মারা যান সুলতানা জেসমিন। হাসপাতালের প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, সুলতানা জেসমিন মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘জেসমিনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মাথার ডানপাশে একটু আঘাতের চিহ্ন ছিল। র্যাব বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পড়ে গিয়ে জেসমিন আঘাত পেয়েছেন।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘প্রথমে জেসমিনকে হাসপাতালের নিউরোসার্জারির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। এর আগে তাঁর মাথার সিটিস্ক্যানও করানো হয়। এতে তাঁর মাথায় “ইন্ট্রাক্র্যানিয়েল হেমারেজ” (অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ) ধরা পড়ে। পরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করছে, আটকের পর নির্যাতনে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘সেটা তো আমরা দেখিনি। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা বলতে পারবেন। তবে তাঁর উচ্চ ডায়াবেটিস পাওয়া গিয়েছিল। পড়ে গেলে যে ধরনের আঘাত হয়, সে রকমই একটা আঘাত ছিল।’
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে জেসমিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের তিনজন চিকিৎসকের একটি বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। আজ সোমবার হাইকোর্ট জেসমিনের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তলব করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেছেন, হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ওই প্রতিবেদন পুলিশকে দেননি। সেটা চিকিৎসকদেরই দিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে জানি না। কোনো কাগজপত্রও পাইনি। হাইকোর্ট যদি এ রকম আদেশ দেন তাহলে সিনিয়র স্যারদের সাথে আলাপ করব। তারপর সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে হাইকোর্টে নিয়ে যাব।’
ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগেই। আমরা মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এর মধ্যে হার্টের পরীক্ষাও করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে। রিপোর্টগুলো পেলে তখন একটা মন্তব্য দিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব। এই প্রক্রিয়ায় অন্তত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।’
জেসমিনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন কিংবা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নে ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই রিপোর্ট প্রস্তুতও হয়নি। তাই বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত হলে যত প্রশ্ন থাকবে করবেন, সবকিছুরই তখন উত্তর দিতে পারব। এই মুহূর্তে আর বেশি কিছু না।’
সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ২২ মার্চ সকালে জেসমিন অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁর নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যান। সেদিন দুপুর পৌনে ২টার পর তারা জানতে পারেন, জেসমিন নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর কিছুক্ষণ পর জেসমিনকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। ২৪ মার্চ সকালে জেসমিন আইসিইউতে মারা যান। পরদিন ২৫ মার্চ নওগাঁয় মরদেহ দাফন করা হয়। ১৭ বছর আগে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে জেসমিন নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর মা ষড়যন্ত্রের শিকার। র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের কারণে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব-৫–এর রাজশাহীর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের বলেছেন, আটকের পরপরই জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি দাবি করেন, জেসমিনকে র্যাবের কোনো ক্যাম্পেও নেওয়া হয়নি। আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ মার্চ মারা যান সুলতানা জেসমিন। হাসপাতালের প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, সুলতানা জেসমিন মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘জেসমিনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মাথার ডানপাশে একটু আঘাতের চিহ্ন ছিল। র্যাব বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পড়ে গিয়ে জেসমিন আঘাত পেয়েছেন।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘প্রথমে জেসমিনকে হাসপাতালের নিউরোসার্জারির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। এর আগে তাঁর মাথার সিটিস্ক্যানও করানো হয়। এতে তাঁর মাথায় “ইন্ট্রাক্র্যানিয়েল হেমারেজ” (অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ) ধরা পড়ে। পরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করছে, আটকের পর নির্যাতনে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘সেটা তো আমরা দেখিনি। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা বলতে পারবেন। তবে তাঁর উচ্চ ডায়াবেটিস পাওয়া গিয়েছিল। পড়ে গেলে যে ধরনের আঘাত হয়, সে রকমই একটা আঘাত ছিল।’
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে জেসমিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের তিনজন চিকিৎসকের একটি বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। আজ সোমবার হাইকোর্ট জেসমিনের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তলব করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেছেন, হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ওই প্রতিবেদন পুলিশকে দেননি। সেটা চিকিৎসকদেরই দিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে জানি না। কোনো কাগজপত্রও পাইনি। হাইকোর্ট যদি এ রকম আদেশ দেন তাহলে সিনিয়র স্যারদের সাথে আলাপ করব। তারপর সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করে হাইকোর্টে নিয়ে যাব।’
ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে কয়েক দিন সময় লাগেই। আমরা মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এর মধ্যে হার্টের পরীক্ষাও করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে। রিপোর্টগুলো পেলে তখন একটা মন্তব্য দিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব। এই প্রক্রিয়ায় অন্তত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।’
জেসমিনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন কিংবা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নে ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই রিপোর্ট প্রস্তুতও হয়নি। তাই বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত হলে যত প্রশ্ন থাকবে করবেন, সবকিছুরই তখন উত্তর দিতে পারব। এই মুহূর্তে আর বেশি কিছু না।’
সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ২২ মার্চ সকালে জেসমিন অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁর নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যান। সেদিন দুপুর পৌনে ২টার পর তারা জানতে পারেন, জেসমিন নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর কিছুক্ষণ পর জেসমিনকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। ২৪ মার্চ সকালে জেসমিন আইসিইউতে মারা যান। পরদিন ২৫ মার্চ নওগাঁয় মরদেহ দাফন করা হয়। ১৭ বছর আগে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে জেসমিন নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর মা ষড়যন্ত্রের শিকার। র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের কারণে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব-৫–এর রাজশাহীর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের বলেছেন, আটকের পরপরই জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি দাবি করেন, জেসমিনকে র্যাবের কোনো ক্যাম্পেও নেওয়া হয়নি। আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২৭ মার্চ ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২৭ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২৭ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যু ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে র্যাব বলছে, আটকের পরপরই ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২৭ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে