Ajker Patrika

যৌন হয়রানির গ্লানি সহ্য করতে না পেরে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ২৭
যৌন হয়রানির গ্লানি সহ্য করতে না পেরে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানির শিকার অষ্টম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম। 

মিলির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঘাপাড়া গ্রামের তিন সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম প্রায় এক বছর ধরে ওই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত ৭ নভেম্বর স্থানীয় স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল সে। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে শাহিনুর রহমানের সঙ্গে দেখা হয় তার। পরে তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন করলে সে চিৎকার করে। পরে সে পালিয়ে যায়। 

ঘটনার পরদিন শিক্ষার্থীর বাবা বাঘাপাড়া গ্রামের মিলন আকন্দ বাদী হয়ে রফিকুল ও শারিনুরকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার পর পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে, গত ১৪ নভেম্বর জয়পুরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে জবানবন্দিও দেয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহারুল আলম। 

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, `গত ৮ নভেম্বর ক্ষেতলালের বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমান নামে দুজনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার না হলেও ঘটনার ১০ দিন পর আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।' 

শিক্ষার্থীর বাবা আরও বলেন, `আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। সে স্কুলে যাতায়াত করলে ভালো থাকবে—এই ভেবে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অনেক অনুরোধ করে মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি করান। কিন্তু কে জানে স্কুলে ভর্তি করার কারণেই মেয়েটাকে এভাবে জীবন দিতে হবে! মামলা করলাম, কিন্তু আসামিরা ধরা পড়েনি। মেয়ের এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমি আমার মেয়ের নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।' 

শিক্ষার্থীর চাচা ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, `আসামিরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো আমাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। ওই ঘটনার পর থেকে আমার ভাতিজি স্বাভাবিক হতে পারেনি।' 

এ নিয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করা হলেও তদন্তে আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আবার মামলা হবে। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত