পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার শহরের এআর কর্নার সংলগ্ন ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজ’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খেয়ে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৪০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে নান্না বিরিয়ানি হাউজের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত রেস্টুরেন্টের মালিকের শাস্তি ও ভেজালমুক্ত খাদ্য পরিবেশনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান নেওয়ার পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরে যায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলে, গত শনিবার কলেজের ফরিদা আবাসিক ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এ জন্য ৪২ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার দেওয়া হয়। রাতে সেগুলো খেয়ে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ১৫ জনের অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীদের বলে, আজ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল অনেকের। অসুস্থতার কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজের এমন কাণ্ডের তাদের শিক্ষাজীবনই হুমকির মধ্যে পড়ে গেল। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজের ব্যবস্থাপক সজিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা প্রায় ২০০ মানুষের জন্য বিরিয়ানির আয়োজন ও বিক্রি করেছি। কিন্তু কেউ অভিযোগ দেয়নি। এখন এই শিক্ষার্থীরা কীভাবে অসুস্থ হলো আমরা বলতে পারছি না।’
এর আগেও প্রায় ৭০ জন এই রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানির সঙ্গে আদৌ সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে সজিব হোসেন বলেন, ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু মানুষের নজর কাড়তে ব্যবহার করেছি। এর আগে ৭০ জন অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আমার মনে নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফরিদা হলের প্রভোস্ট কামাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিরিয়ানি খেয়েই একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে আমরা বিষয়টি জানালে পাবনার খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে লোক আসে। তাঁরা আমাদের এখানে এসে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঘটনার বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নতুন এসপি স্যারের আগমন নিয়ে ব্যস্ত আছি। তবে ঘটনা শুনেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাও বিষয়টি শুনেছি। এরই মধ্যে খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে লোক পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এসব হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনার শহরের এআর কর্নার সংলগ্ন ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজ’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খেয়ে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৪০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে নান্না বিরিয়ানি হাউজের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত রেস্টুরেন্টের মালিকের শাস্তি ও ভেজালমুক্ত খাদ্য পরিবেশনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান নেওয়ার পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরে যায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলে, গত শনিবার কলেজের ফরিদা আবাসিক ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এ জন্য ৪২ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার দেওয়া হয়। রাতে সেগুলো খেয়ে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ১৫ জনের অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীদের বলে, আজ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল অনেকের। অসুস্থতার কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজের এমন কাণ্ডের তাদের শিক্ষাজীবনই হুমকির মধ্যে পড়ে গেল। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজের ব্যবস্থাপক সজিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা প্রায় ২০০ মানুষের জন্য বিরিয়ানির আয়োজন ও বিক্রি করেছি। কিন্তু কেউ অভিযোগ দেয়নি। এখন এই শিক্ষার্থীরা কীভাবে অসুস্থ হলো আমরা বলতে পারছি না।’
এর আগেও প্রায় ৭০ জন এই রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানির সঙ্গে আদৌ সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে সজিব হোসেন বলেন, ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু মানুষের নজর কাড়তে ব্যবহার করেছি। এর আগে ৭০ জন অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আমার মনে নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফরিদা হলের প্রভোস্ট কামাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিরিয়ানি খেয়েই একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে আমরা বিষয়টি জানালে পাবনার খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে লোক আসে। তাঁরা আমাদের এখানে এসে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঘটনার বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নতুন এসপি স্যারের আগমন নিয়ে ব্যস্ত আছি। তবে ঘটনা শুনেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাও বিষয়টি শুনেছি। এরই মধ্যে খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে লোক পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এসব হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৬ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৮ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৯ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ দিন আগে