রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রায়হান আলী। জীবনে কখনো স্কুলেই যাননি। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, তিনি এখন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান দাখিল পরীক্ষার্থী।
শুধু রায়হানই নন। এমন বেশ কয়েকজন ভুয়া দাখিল শিক্ষার্থীর সন্ধান মিলেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীর তালিকায়। তাঁদের কেউ কলেজে পড়েন, কেউ অন্য স্কুলে। আবার না জানিয়েই নিবন্ধন ও পরীক্ষার ফরম পূরণ করার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসাটিতে শুরু থেকে শিক্ষার্থীর সংকট। এ কারণে এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। চলতি দাখিল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখাতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ধুনকুন্ডি আয়েশা মওলা বক্স দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও কেন্দ্র সচিবের তথ্য মতে, এবার মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার চূড়ান্ত তালিকায় শিক্ষার্থী রয়েছে ২২ জন। এর মধ্যে অন্তত ১০ জনের হদিস মিলেছে, যারা ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষার্থী নয়।
মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকার পাড়ার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী রায়হান আলীর বাবা লোকমান হোসেন বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই আমার ছেলে প্রতিবন্ধী। সে কোনো দিন স্কুলেই যায়নি। তার দাখিল পরীক্ষার্থী হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
চূড়ান্ত তালিকায় থাকা পশ্চিমপাড়ার মো. জয়নালের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান বলে, ‘আমি মির্জাপুর ইউসুফ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ি। সেখান থেকেই এবার মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। আমি কখনো মাদ্রাসায় পড়িনি।’
একই কথা বলেছে পরীক্ষার্থীর তালিকায় থাকা ইউনুস আলীর ছেলে মো. জাকারিয়া ইসলাম।
গত বছর এসএসসি পাস করে এলাকার রহিমা নওশের অনার্স কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে নাহিদ সরকার। সেও রয়েছে ওই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর তালিকায়। নাহিদের চাচা আব্দুল খালিদ তরুন বলেন, ‘আমার ভাতিজা কলেজজের ছাত্র হয়েও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বিষয়টি জানার পর আমি তাকে শাসন করেছি। তাই শনিবার থেকে সে আর পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে না।’
গতকাল রোববার ধনকুন্ডি আয়েশা মওলা বক্স দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র হাজিরার তালিকা দেখে নাহিদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর সন্ধান মিলেছে যারা বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আর পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে না। এমন একজন পশ্চিম পাড়া রাজওয়ান আহমেদ আরাফাত। সে সামিট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র। তার বড়ভাই রাকিব এটি নিশ্চিত করেছেন। একই এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী আব্দুর রশিদের ছেলে মো. রাজু আহমেদ রহিমা নওশের অনার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে নিশ্চিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রতিবেশীরা।
এ বিষয়ে মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. জহুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। পরীক্ষার্থীদের বৈধ রেজিস্ট্রেশন থাকায় পরীক্ষা হলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে প্রতিষ্ঠানটি এটা করেছে তাদের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৌখিক উপস্থাপনের মাধ্যমে ওই ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব না। সব তথ্য লিখিতভাবে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা করলে সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব হবে।’
শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রায়হান আলী। জীবনে কখনো স্কুলেই যাননি। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, তিনি এখন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান দাখিল পরীক্ষার্থী।
শুধু রায়হানই নন। এমন বেশ কয়েকজন ভুয়া দাখিল শিক্ষার্থীর সন্ধান মিলেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীর তালিকায়। তাঁদের কেউ কলেজে পড়েন, কেউ অন্য স্কুলে। আবার না জানিয়েই নিবন্ধন ও পরীক্ষার ফরম পূরণ করার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসাটিতে শুরু থেকে শিক্ষার্থীর সংকট। এ কারণে এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। চলতি দাখিল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখাতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ধুনকুন্ডি আয়েশা মওলা বক্স দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও কেন্দ্র সচিবের তথ্য মতে, এবার মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার চূড়ান্ত তালিকায় শিক্ষার্থী রয়েছে ২২ জন। এর মধ্যে অন্তত ১০ জনের হদিস মিলেছে, যারা ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষার্থী নয়।
মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকার পাড়ার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী রায়হান আলীর বাবা লোকমান হোসেন বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই আমার ছেলে প্রতিবন্ধী। সে কোনো দিন স্কুলেই যায়নি। তার দাখিল পরীক্ষার্থী হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
চূড়ান্ত তালিকায় থাকা পশ্চিমপাড়ার মো. জয়নালের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান বলে, ‘আমি মির্জাপুর ইউসুফ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ি। সেখান থেকেই এবার মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। আমি কখনো মাদ্রাসায় পড়িনি।’
একই কথা বলেছে পরীক্ষার্থীর তালিকায় থাকা ইউনুস আলীর ছেলে মো. জাকারিয়া ইসলাম।
গত বছর এসএসসি পাস করে এলাকার রহিমা নওশের অনার্স কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে নাহিদ সরকার। সেও রয়েছে ওই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর তালিকায়। নাহিদের চাচা আব্দুল খালিদ তরুন বলেন, ‘আমার ভাতিজা কলেজজের ছাত্র হয়েও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বিষয়টি জানার পর আমি তাকে শাসন করেছি। তাই শনিবার থেকে সে আর পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে না।’
গতকাল রোববার ধনকুন্ডি আয়েশা মওলা বক্স দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র হাজিরার তালিকা দেখে নাহিদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর সন্ধান মিলেছে যারা বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আর পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে না। এমন একজন পশ্চিম পাড়া রাজওয়ান আহমেদ আরাফাত। সে সামিট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র। তার বড়ভাই রাকিব এটি নিশ্চিত করেছেন। একই এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী আব্দুর রশিদের ছেলে মো. রাজু আহমেদ রহিমা নওশের অনার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে নিশ্চিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রতিবেশীরা।
এ বিষয়ে মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. জহুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। পরীক্ষার্থীদের বৈধ রেজিস্ট্রেশন থাকায় পরীক্ষা হলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে প্রতিষ্ঠানটি এটা করেছে তাদের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৌখিক উপস্থাপনের মাধ্যমে ওই ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব না। সব তথ্য লিখিতভাবে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা করলে সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব হবে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪