
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
সোমবার (১২ আগস্ট) গোয়েন্দা প্রধান আটক হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সানাউল্লাহ জিও নিউজকে বলেন, এটি একটি ‘খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা এবং আমি মনে করি না যে এই স্তরে এর আগে এমন কোনো উদাহরণ আছে।’
তিনি বলেন, সরকার সচেতন যে, সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য বিষয়েও তাঁর নাম উঠে এসেছে। এই পর্যায়ে এমন পদক্ষেপ আসবে মানুষ এমনটি ভাবতেই পারেনি। এই পদক্ষেপটি জবাবদিহির ব্যবস্থার জন্য সেনাবাহিনীর সুনাম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেই মনে করেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজ শো ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’–এ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অবসর নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে জেনারেল ফয়েজের অবশ্যই একটি হাত রয়েছে। সবকিছু জেনেও তিনি বিরত থাকতে পারেননি এবং জল ঘোলা করতে চেয়েছিলেন। যে ব্যক্তি পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়তে অপরিমেয় এবং সীমাহীন শক্তি প্রয়োগ করেন, তাঁদের জন্যই ব্যবস্থায় ক্ষত তৈরি হয়।’
খাজা আসিফ বলেন, জেনারেল হামিদ অবসর নেওয়ার পর ‘সরাসরি আরও বেশি’ করে ভূমিকা রেখেছিলেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তারে গত বছর যে দেশব্যাপী সংঘাত শুরু হয়েছিল তার উল্লেখ করে তিনি সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ‘৯ মে যা ঘটেছিল তাতে ভূমিকা থাকতে পারে’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না। তবে ঘটনাগুলোতে তাঁর দিকেই আঙুল উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা গেছে, জেনারেল হামিদ তাড়াহুড়ো করে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে হাইকমান্ডের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। ২০১৯ সালের জুনে তাঁকে আইএসআই প্রধান করা হয়।
২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে আইএসআই–এর নতুন প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনী এবং পিটিআই সরকারের মধ্যে কথিত টানাপোড়েনের মধ্যে জেনারেল হামিদ অন্যতম কুশীলব ছিলেন।
সেনাবাহিনী ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ঘোষণা দেয়, জেনারেল হামিদকে পেশোয়ার কর্পস কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমের নিয়োগের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। ফলে ওই সময় বেসামরিক–সামরিক প্রশাসনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বিলম্বের পরে পিএমও অবশেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর নতুন আইএসআই প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। ইমরান খান পরে বলেছিলেন, তিনি কখনই ‘নিজের লোককে সেনাপ্রধান বানাতে’ চাননি। তিনি সেনাবাহিনীর বিষয়ে ‘কখনো হস্তক্ষেপ করেননি’।
২০২২ সালের নভেম্বরে দুটি শীর্ষ সামরিক অফিসের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সের অন্তর্ভুক্ত করা কিছু নাম অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের কাছে এসেছিল। ওই তালিকায় ছয়জন সিনিয়র জেনারেলের মধ্যে জেনারেল হামিদের নামও ছিল।
বাহাওয়ালপুর কর্পস কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে জেনারেল হামিদ পেশোয়ারে একই পদে কাজ করেছিলেন। সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান এক দশক ধরে দেশের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে অনেক বিতর্কের বিষয় হয়ে রয়েছেন।
জেনারেল হামিদের নাম প্রথম জনসাধারণের নজরে আসে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। একটি গোপন সমঝোতার মাধ্যমে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের ফৈজাবাদ অবস্থান কর্মসূচি শেষ করতে সহায়তা করেছিলেন জেনারেল হামিদ।
ঘটনার একটি স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিলেন, আইএসআই, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, সামরিক গোয়েন্দা এবং আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এসব সংস্থার কখনো নিজ নিজ পরিমণ্ডল অতিক্রম করা উচিত নয়।
পিএমএল–এন (মুসলিম লীগ–এন) নেতা নওয়াজ শরীফ এবং তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ গত বছর তাঁর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, জেনারেল হামিদ তাঁদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং পিটিআই–এর অনুগত সেট–আপকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে, প্রাক্তন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বিচারক শওকত আজিজ সিদ্দিকী একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই সংস্থার লোকরা বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এজেন্সিগুলো নির্বাচনের আগে নওয়াজ এবং মরিয়মকে ভোটের বাইরে রাখতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরে ওই বিচারককে বরখাস্ত করা হয়।
যাইহোক, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, ওই বিচারক তাঁর অপসারণের ঘটনায় বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জেনারেলের পাশাপাশি কিছু প্রাক্তন বিচারকের নামও উল্লেখ করেছিলেন।
সাবেক বিচারপতির পক্ষে সিনিয়র কৌঁসুলি হামিদ খান তাঁর আবেদনে বিবাদী হিসেবে নাম দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি সংশোধিত আবেদন করেন। সেখানে সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, জেনারেল হামিদ, তিন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার-ইরফান রামায়, ফয়সাল মারওয়াত এবং তাহির ওয়াফির নাম ছিল। সেই সঙ্গে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি আনোয়ার খান কাসি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার আরবাব মুহাম্মদ আরিফের নামও ছিল।
জেনারেল হামিদ পিটিশনের প্রতিক্রিয়ায় নওয়াজ এবং মরিয়মের আটক দীর্ঘায়িত করার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনে তাঁর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিচারক বিনা কারণে তাঁকে এই মামলায় টেনে এনেছেন।
এ ছাড়া তৎকালীন মানবাধিকার মন্ত্রী রিয়াজ পিরজাদা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাবি করেছিলেন, জেনারেল হামিদ নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) দেশে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন।
২০২৩ সালের মে মাসে, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফয়সাল ভাওদা জেনারেল হামিদকে আল–কাদির ট্রাস্ট মামলার মাস্টারমাইন্ড এবং সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী ৫ হাজার কোটি রুপি বৈধ করার শর্তে বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি রুপি এবং বিপুল জমি পেয়েছিলেন। পিটিআই সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যে সেই অর্থ ধরা পড়ে এবং দেশে ফেরত আনা হয়।
যে মামলায় জেনারেল হামিদ সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন সেই মামলার এজাহার অনুসারে, ২০১৭ সালের ১২ মে পাকিস্তান রেঞ্জারস এবং আইএসআই–এর কর্মকর্তারা টপ সিটির অফিসে এবং সংস্থার মালিক মইজের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সোনা এবং হিরার অলংকার, নগদ অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। কথিত সন্ত্রাসবাদের মামলায় তাঁরা এ অভিযান চালান।
এজাহারে আরও বলা হয়, জেনারেল হামিদের ভাই সরদার নাজাফ এ ঘটনায় মধ্যস্থতা করেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। মইজ পরে বেকসুর খালাস পান। এজাহারে আরও দাবি করা হয়, জেনারেল হামিদ মইজের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই—সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার—একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন।
বৈঠকের সময় জেনারেল হামিদ আবেদনকারীকে বলেছিলেন, অভিযানের সময় ৪০০ তোলা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছাড়া কিছু জিনিসপত্র তিনি ফিরিয়ে দেবেন। এ ছাড়া আইএসআই–এর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার নাঈম ফখর এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার গাফফার অভিযোগকারীকে নগদ ৪ কোটি রুপি দিতে এবং কয়েক মাসের জন্য একটি বেসরকারি এএপি টিভি নেটওয়ার্ককে স্পনসর করতে জোর জবরদস্তি করেন।
সাবেক আইএসআই কর্মকর্তা ইরতাজা হারুন, সর্দার নাজাফ, ওয়াসিম তাবিশ, জাহিদ মেহমুদ মালিক এবং মোহাম্মদ মুনিরও ওই হাউজিং সোসাইটির অবৈধ দখলে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
সোমবার (১২ আগস্ট) গোয়েন্দা প্রধান আটক হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সানাউল্লাহ জিও নিউজকে বলেন, এটি একটি ‘খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা এবং আমি মনে করি না যে এই স্তরে এর আগে এমন কোনো উদাহরণ আছে।’
তিনি বলেন, সরকার সচেতন যে, সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য বিষয়েও তাঁর নাম উঠে এসেছে। এই পর্যায়ে এমন পদক্ষেপ আসবে মানুষ এমনটি ভাবতেই পারেনি। এই পদক্ষেপটি জবাবদিহির ব্যবস্থার জন্য সেনাবাহিনীর সুনাম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেই মনে করেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজ শো ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’–এ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অবসর নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে জেনারেল ফয়েজের অবশ্যই একটি হাত রয়েছে। সবকিছু জেনেও তিনি বিরত থাকতে পারেননি এবং জল ঘোলা করতে চেয়েছিলেন। যে ব্যক্তি পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়তে অপরিমেয় এবং সীমাহীন শক্তি প্রয়োগ করেন, তাঁদের জন্যই ব্যবস্থায় ক্ষত তৈরি হয়।’
খাজা আসিফ বলেন, জেনারেল হামিদ অবসর নেওয়ার পর ‘সরাসরি আরও বেশি’ করে ভূমিকা রেখেছিলেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তারে গত বছর যে দেশব্যাপী সংঘাত শুরু হয়েছিল তার উল্লেখ করে তিনি সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ‘৯ মে যা ঘটেছিল তাতে ভূমিকা থাকতে পারে’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না। তবে ঘটনাগুলোতে তাঁর দিকেই আঙুল উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা গেছে, জেনারেল হামিদ তাড়াহুড়ো করে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে হাইকমান্ডের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। ২০১৯ সালের জুনে তাঁকে আইএসআই প্রধান করা হয়।
২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে আইএসআই–এর নতুন প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনী এবং পিটিআই সরকারের মধ্যে কথিত টানাপোড়েনের মধ্যে জেনারেল হামিদ অন্যতম কুশীলব ছিলেন।
সেনাবাহিনী ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ঘোষণা দেয়, জেনারেল হামিদকে পেশোয়ার কর্পস কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমের নিয়োগের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। ফলে ওই সময় বেসামরিক–সামরিক প্রশাসনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বিলম্বের পরে পিএমও অবশেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর নতুন আইএসআই প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। ইমরান খান পরে বলেছিলেন, তিনি কখনই ‘নিজের লোককে সেনাপ্রধান বানাতে’ চাননি। তিনি সেনাবাহিনীর বিষয়ে ‘কখনো হস্তক্ষেপ করেননি’।
২০২২ সালের নভেম্বরে দুটি শীর্ষ সামরিক অফিসের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সের অন্তর্ভুক্ত করা কিছু নাম অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের কাছে এসেছিল। ওই তালিকায় ছয়জন সিনিয়র জেনারেলের মধ্যে জেনারেল হামিদের নামও ছিল।
বাহাওয়ালপুর কর্পস কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে জেনারেল হামিদ পেশোয়ারে একই পদে কাজ করেছিলেন। সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান এক দশক ধরে দেশের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে অনেক বিতর্কের বিষয় হয়ে রয়েছেন।
জেনারেল হামিদের নাম প্রথম জনসাধারণের নজরে আসে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। একটি গোপন সমঝোতার মাধ্যমে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের ফৈজাবাদ অবস্থান কর্মসূচি শেষ করতে সহায়তা করেছিলেন জেনারেল হামিদ।
ঘটনার একটি স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিলেন, আইএসআই, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, সামরিক গোয়েন্দা এবং আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এসব সংস্থার কখনো নিজ নিজ পরিমণ্ডল অতিক্রম করা উচিত নয়।
পিএমএল–এন (মুসলিম লীগ–এন) নেতা নওয়াজ শরীফ এবং তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ গত বছর তাঁর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, জেনারেল হামিদ তাঁদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং পিটিআই–এর অনুগত সেট–আপকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে, প্রাক্তন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বিচারক শওকত আজিজ সিদ্দিকী একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই সংস্থার লোকরা বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এজেন্সিগুলো নির্বাচনের আগে নওয়াজ এবং মরিয়মকে ভোটের বাইরে রাখতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরে ওই বিচারককে বরখাস্ত করা হয়।
যাইহোক, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, ওই বিচারক তাঁর অপসারণের ঘটনায় বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জেনারেলের পাশাপাশি কিছু প্রাক্তন বিচারকের নামও উল্লেখ করেছিলেন।
সাবেক বিচারপতির পক্ষে সিনিয়র কৌঁসুলি হামিদ খান তাঁর আবেদনে বিবাদী হিসেবে নাম দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি সংশোধিত আবেদন করেন। সেখানে সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, জেনারেল হামিদ, তিন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার-ইরফান রামায়, ফয়সাল মারওয়াত এবং তাহির ওয়াফির নাম ছিল। সেই সঙ্গে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি আনোয়ার খান কাসি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার আরবাব মুহাম্মদ আরিফের নামও ছিল।
জেনারেল হামিদ পিটিশনের প্রতিক্রিয়ায় নওয়াজ এবং মরিয়মের আটক দীর্ঘায়িত করার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনে তাঁর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিচারক বিনা কারণে তাঁকে এই মামলায় টেনে এনেছেন।
এ ছাড়া তৎকালীন মানবাধিকার মন্ত্রী রিয়াজ পিরজাদা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাবি করেছিলেন, জেনারেল হামিদ নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) দেশে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন।
২০২৩ সালের মে মাসে, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফয়সাল ভাওদা জেনারেল হামিদকে আল–কাদির ট্রাস্ট মামলার মাস্টারমাইন্ড এবং সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী ৫ হাজার কোটি রুপি বৈধ করার শর্তে বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি রুপি এবং বিপুল জমি পেয়েছিলেন। পিটিআই সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যে সেই অর্থ ধরা পড়ে এবং দেশে ফেরত আনা হয়।
যে মামলায় জেনারেল হামিদ সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন সেই মামলার এজাহার অনুসারে, ২০১৭ সালের ১২ মে পাকিস্তান রেঞ্জারস এবং আইএসআই–এর কর্মকর্তারা টপ সিটির অফিসে এবং সংস্থার মালিক মইজের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সোনা এবং হিরার অলংকার, নগদ অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। কথিত সন্ত্রাসবাদের মামলায় তাঁরা এ অভিযান চালান।
এজাহারে আরও বলা হয়, জেনারেল হামিদের ভাই সরদার নাজাফ এ ঘটনায় মধ্যস্থতা করেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। মইজ পরে বেকসুর খালাস পান। এজাহারে আরও দাবি করা হয়, জেনারেল হামিদ মইজের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই—সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার—একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন।
বৈঠকের সময় জেনারেল হামিদ আবেদনকারীকে বলেছিলেন, অভিযানের সময় ৪০০ তোলা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছাড়া কিছু জিনিসপত্র তিনি ফিরিয়ে দেবেন। এ ছাড়া আইএসআই–এর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার নাঈম ফখর এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার গাফফার অভিযোগকারীকে নগদ ৪ কোটি রুপি দিতে এবং কয়েক মাসের জন্য একটি বেসরকারি এএপি টিভি নেটওয়ার্ককে স্পনসর করতে জোর জবরদস্তি করেন।
সাবেক আইএসআই কর্মকর্তা ইরতাজা হারুন, সর্দার নাজাফ, ওয়াসিম তাবিশ, জাহিদ মেহমুদ মালিক এবং মোহাম্মদ মুনিরও ওই হাউজিং সোসাইটির অবৈধ দখলে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
সোমবার (১২ আগস্ট) গোয়েন্দা প্রধান আটক হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সানাউল্লাহ জিও নিউজকে বলেন, এটি একটি ‘খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা এবং আমি মনে করি না যে এই স্তরে এর আগে এমন কোনো উদাহরণ আছে।’
তিনি বলেন, সরকার সচেতন যে, সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য বিষয়েও তাঁর নাম উঠে এসেছে। এই পর্যায়ে এমন পদক্ষেপ আসবে মানুষ এমনটি ভাবতেই পারেনি। এই পদক্ষেপটি জবাবদিহির ব্যবস্থার জন্য সেনাবাহিনীর সুনাম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেই মনে করেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজ শো ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’–এ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অবসর নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে জেনারেল ফয়েজের অবশ্যই একটি হাত রয়েছে। সবকিছু জেনেও তিনি বিরত থাকতে পারেননি এবং জল ঘোলা করতে চেয়েছিলেন। যে ব্যক্তি পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়তে অপরিমেয় এবং সীমাহীন শক্তি প্রয়োগ করেন, তাঁদের জন্যই ব্যবস্থায় ক্ষত তৈরি হয়।’
খাজা আসিফ বলেন, জেনারেল হামিদ অবসর নেওয়ার পর ‘সরাসরি আরও বেশি’ করে ভূমিকা রেখেছিলেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তারে গত বছর যে দেশব্যাপী সংঘাত শুরু হয়েছিল তার উল্লেখ করে তিনি সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ‘৯ মে যা ঘটেছিল তাতে ভূমিকা থাকতে পারে’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না। তবে ঘটনাগুলোতে তাঁর দিকেই আঙুল উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা গেছে, জেনারেল হামিদ তাড়াহুড়ো করে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে হাইকমান্ডের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। ২০১৯ সালের জুনে তাঁকে আইএসআই প্রধান করা হয়।
২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে আইএসআই–এর নতুন প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনী এবং পিটিআই সরকারের মধ্যে কথিত টানাপোড়েনের মধ্যে জেনারেল হামিদ অন্যতম কুশীলব ছিলেন।
সেনাবাহিনী ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ঘোষণা দেয়, জেনারেল হামিদকে পেশোয়ার কর্পস কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমের নিয়োগের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। ফলে ওই সময় বেসামরিক–সামরিক প্রশাসনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বিলম্বের পরে পিএমও অবশেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর নতুন আইএসআই প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। ইমরান খান পরে বলেছিলেন, তিনি কখনই ‘নিজের লোককে সেনাপ্রধান বানাতে’ চাননি। তিনি সেনাবাহিনীর বিষয়ে ‘কখনো হস্তক্ষেপ করেননি’।
২০২২ সালের নভেম্বরে দুটি শীর্ষ সামরিক অফিসের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সের অন্তর্ভুক্ত করা কিছু নাম অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের কাছে এসেছিল। ওই তালিকায় ছয়জন সিনিয়র জেনারেলের মধ্যে জেনারেল হামিদের নামও ছিল।
বাহাওয়ালপুর কর্পস কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে জেনারেল হামিদ পেশোয়ারে একই পদে কাজ করেছিলেন। সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান এক দশক ধরে দেশের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে অনেক বিতর্কের বিষয় হয়ে রয়েছেন।
জেনারেল হামিদের নাম প্রথম জনসাধারণের নজরে আসে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। একটি গোপন সমঝোতার মাধ্যমে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের ফৈজাবাদ অবস্থান কর্মসূচি শেষ করতে সহায়তা করেছিলেন জেনারেল হামিদ।
ঘটনার একটি স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিলেন, আইএসআই, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, সামরিক গোয়েন্দা এবং আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এসব সংস্থার কখনো নিজ নিজ পরিমণ্ডল অতিক্রম করা উচিত নয়।
পিএমএল–এন (মুসলিম লীগ–এন) নেতা নওয়াজ শরীফ এবং তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ গত বছর তাঁর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, জেনারেল হামিদ তাঁদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং পিটিআই–এর অনুগত সেট–আপকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে, প্রাক্তন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বিচারক শওকত আজিজ সিদ্দিকী একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই সংস্থার লোকরা বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এজেন্সিগুলো নির্বাচনের আগে নওয়াজ এবং মরিয়মকে ভোটের বাইরে রাখতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরে ওই বিচারককে বরখাস্ত করা হয়।
যাইহোক, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, ওই বিচারক তাঁর অপসারণের ঘটনায় বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জেনারেলের পাশাপাশি কিছু প্রাক্তন বিচারকের নামও উল্লেখ করেছিলেন।
সাবেক বিচারপতির পক্ষে সিনিয়র কৌঁসুলি হামিদ খান তাঁর আবেদনে বিবাদী হিসেবে নাম দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি সংশোধিত আবেদন করেন। সেখানে সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, জেনারেল হামিদ, তিন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার-ইরফান রামায়, ফয়সাল মারওয়াত এবং তাহির ওয়াফির নাম ছিল। সেই সঙ্গে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি আনোয়ার খান কাসি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার আরবাব মুহাম্মদ আরিফের নামও ছিল।
জেনারেল হামিদ পিটিশনের প্রতিক্রিয়ায় নওয়াজ এবং মরিয়মের আটক দীর্ঘায়িত করার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনে তাঁর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিচারক বিনা কারণে তাঁকে এই মামলায় টেনে এনেছেন।
এ ছাড়া তৎকালীন মানবাধিকার মন্ত্রী রিয়াজ পিরজাদা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাবি করেছিলেন, জেনারেল হামিদ নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) দেশে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন।
২০২৩ সালের মে মাসে, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফয়সাল ভাওদা জেনারেল হামিদকে আল–কাদির ট্রাস্ট মামলার মাস্টারমাইন্ড এবং সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী ৫ হাজার কোটি রুপি বৈধ করার শর্তে বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি রুপি এবং বিপুল জমি পেয়েছিলেন। পিটিআই সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যে সেই অর্থ ধরা পড়ে এবং দেশে ফেরত আনা হয়।
যে মামলায় জেনারেল হামিদ সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন সেই মামলার এজাহার অনুসারে, ২০১৭ সালের ১২ মে পাকিস্তান রেঞ্জারস এবং আইএসআই–এর কর্মকর্তারা টপ সিটির অফিসে এবং সংস্থার মালিক মইজের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সোনা এবং হিরার অলংকার, নগদ অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। কথিত সন্ত্রাসবাদের মামলায় তাঁরা এ অভিযান চালান।
এজাহারে আরও বলা হয়, জেনারেল হামিদের ভাই সরদার নাজাফ এ ঘটনায় মধ্যস্থতা করেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। মইজ পরে বেকসুর খালাস পান। এজাহারে আরও দাবি করা হয়, জেনারেল হামিদ মইজের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই—সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার—একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন।
বৈঠকের সময় জেনারেল হামিদ আবেদনকারীকে বলেছিলেন, অভিযানের সময় ৪০০ তোলা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছাড়া কিছু জিনিসপত্র তিনি ফিরিয়ে দেবেন। এ ছাড়া আইএসআই–এর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার নাঈম ফখর এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার গাফফার অভিযোগকারীকে নগদ ৪ কোটি রুপি দিতে এবং কয়েক মাসের জন্য একটি বেসরকারি এএপি টিভি নেটওয়ার্ককে স্পনসর করতে জোর জবরদস্তি করেন।
সাবেক আইএসআই কর্মকর্তা ইরতাজা হারুন, সর্দার নাজাফ, ওয়াসিম তাবিশ, জাহিদ মেহমুদ মালিক এবং মোহাম্মদ মুনিরও ওই হাউজিং সোসাইটির অবৈধ দখলে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
সোমবার (১২ আগস্ট) গোয়েন্দা প্রধান আটক হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সানাউল্লাহ জিও নিউজকে বলেন, এটি একটি ‘খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা এবং আমি মনে করি না যে এই স্তরে এর আগে এমন কোনো উদাহরণ আছে।’
তিনি বলেন, সরকার সচেতন যে, সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য বিষয়েও তাঁর নাম উঠে এসেছে। এই পর্যায়ে এমন পদক্ষেপ আসবে মানুষ এমনটি ভাবতেই পারেনি। এই পদক্ষেপটি জবাবদিহির ব্যবস্থার জন্য সেনাবাহিনীর সুনাম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেই মনে করেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজ শো ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’–এ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অবসর নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে জেনারেল ফয়েজের অবশ্যই একটি হাত রয়েছে। সবকিছু জেনেও তিনি বিরত থাকতে পারেননি এবং জল ঘোলা করতে চেয়েছিলেন। যে ব্যক্তি পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়তে অপরিমেয় এবং সীমাহীন শক্তি প্রয়োগ করেন, তাঁদের জন্যই ব্যবস্থায় ক্ষত তৈরি হয়।’
খাজা আসিফ বলেন, জেনারেল হামিদ অবসর নেওয়ার পর ‘সরাসরি আরও বেশি’ করে ভূমিকা রেখেছিলেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তারে গত বছর যে দেশব্যাপী সংঘাত শুরু হয়েছিল তার উল্লেখ করে তিনি সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ‘৯ মে যা ঘটেছিল তাতে ভূমিকা থাকতে পারে’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না। তবে ঘটনাগুলোতে তাঁর দিকেই আঙুল উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা গেছে, জেনারেল হামিদ তাড়াহুড়ো করে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে হাইকমান্ডের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। ২০১৯ সালের জুনে তাঁকে আইএসআই প্রধান করা হয়।
২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে আইএসআই–এর নতুন প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনী এবং পিটিআই সরকারের মধ্যে কথিত টানাপোড়েনের মধ্যে জেনারেল হামিদ অন্যতম কুশীলব ছিলেন।
সেনাবাহিনী ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ঘোষণা দেয়, জেনারেল হামিদকে পেশোয়ার কর্পস কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আঞ্জুমের নিয়োগের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। ফলে ওই সময় বেসামরিক–সামরিক প্রশাসনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বিলম্বের পরে পিএমও অবশেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর নতুন আইএসআই প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। ইমরান খান পরে বলেছিলেন, তিনি কখনই ‘নিজের লোককে সেনাপ্রধান বানাতে’ চাননি। তিনি সেনাবাহিনীর বিষয়ে ‘কখনো হস্তক্ষেপ করেননি’।
২০২২ সালের নভেম্বরে দুটি শীর্ষ সামরিক অফিসের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সের অন্তর্ভুক্ত করা কিছু নাম অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের কাছে এসেছিল। ওই তালিকায় ছয়জন সিনিয়র জেনারেলের মধ্যে জেনারেল হামিদের নামও ছিল।
বাহাওয়ালপুর কর্পস কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে জেনারেল হামিদ পেশোয়ারে একই পদে কাজ করেছিলেন। সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান এক দশক ধরে দেশের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে অনেক বিতর্কের বিষয় হয়ে রয়েছেন।
জেনারেল হামিদের নাম প্রথম জনসাধারণের নজরে আসে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। একটি গোপন সমঝোতার মাধ্যমে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের ফৈজাবাদ অবস্থান কর্মসূচি শেষ করতে সহায়তা করেছিলেন জেনারেল হামিদ।
ঘটনার একটি স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিলেন, আইএসআই, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, সামরিক গোয়েন্দা এবং আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এসব সংস্থার কখনো নিজ নিজ পরিমণ্ডল অতিক্রম করা উচিত নয়।
পিএমএল–এন (মুসলিম লীগ–এন) নেতা নওয়াজ শরীফ এবং তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ গত বছর তাঁর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, জেনারেল হামিদ তাঁদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং পিটিআই–এর অনুগত সেট–আপকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে, প্রাক্তন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বিচারক শওকত আজিজ সিদ্দিকী একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই সংস্থার লোকরা বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এজেন্সিগুলো নির্বাচনের আগে নওয়াজ এবং মরিয়মকে ভোটের বাইরে রাখতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরে ওই বিচারককে বরখাস্ত করা হয়।
যাইহোক, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, ওই বিচারক তাঁর অপসারণের ঘটনায় বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জেনারেলের পাশাপাশি কিছু প্রাক্তন বিচারকের নামও উল্লেখ করেছিলেন।
সাবেক বিচারপতির পক্ষে সিনিয়র কৌঁসুলি হামিদ খান তাঁর আবেদনে বিবাদী হিসেবে নাম দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি সংশোধিত আবেদন করেন। সেখানে সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, জেনারেল হামিদ, তিন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার-ইরফান রামায়, ফয়সাল মারওয়াত এবং তাহির ওয়াফির নাম ছিল। সেই সঙ্গে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি আনোয়ার খান কাসি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার আরবাব মুহাম্মদ আরিফের নামও ছিল।
জেনারেল হামিদ পিটিশনের প্রতিক্রিয়ায় নওয়াজ এবং মরিয়মের আটক দীর্ঘায়িত করার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনে তাঁর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিচারক বিনা কারণে তাঁকে এই মামলায় টেনে এনেছেন।
এ ছাড়া তৎকালীন মানবাধিকার মন্ত্রী রিয়াজ পিরজাদা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাবি করেছিলেন, জেনারেল হামিদ নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) দেশে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন।
২০২৩ সালের মে মাসে, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফয়সাল ভাওদা জেনারেল হামিদকে আল–কাদির ট্রাস্ট মামলার মাস্টারমাইন্ড এবং সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী ৫ হাজার কোটি রুপি বৈধ করার শর্তে বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি রুপি এবং বিপুল জমি পেয়েছিলেন। পিটিআই সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যে সেই অর্থ ধরা পড়ে এবং দেশে ফেরত আনা হয়।
যে মামলায় জেনারেল হামিদ সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন সেই মামলার এজাহার অনুসারে, ২০১৭ সালের ১২ মে পাকিস্তান রেঞ্জারস এবং আইএসআই–এর কর্মকর্তারা টপ সিটির অফিসে এবং সংস্থার মালিক মইজের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সোনা এবং হিরার অলংকার, নগদ অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। কথিত সন্ত্রাসবাদের মামলায় তাঁরা এ অভিযান চালান।
এজাহারে আরও বলা হয়, জেনারেল হামিদের ভাই সরদার নাজাফ এ ঘটনায় মধ্যস্থতা করেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। মইজ পরে বেকসুর খালাস পান। এজাহারে আরও দাবি করা হয়, জেনারেল হামিদ মইজের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই—সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার—একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন।
বৈঠকের সময় জেনারেল হামিদ আবেদনকারীকে বলেছিলেন, অভিযানের সময় ৪০০ তোলা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছাড়া কিছু জিনিসপত্র তিনি ফিরিয়ে দেবেন। এ ছাড়া আইএসআই–এর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার নাঈম ফখর এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার গাফফার অভিযোগকারীকে নগদ ৪ কোটি রুপি দিতে এবং কয়েক মাসের জন্য একটি বেসরকারি এএপি টিভি নেটওয়ার্ককে স্পনসর করতে জোর জবরদস্তি করেন।
সাবেক আইএসআই কর্মকর্তা ইরতাজা হারুন, সর্দার নাজাফ, ওয়াসিম তাবিশ, জাহিদ মেহমুদ মালিক এবং মোহাম্মদ মুনিরও ওই হাউজিং সোসাইটির অবৈধ দখলে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
১৩ আগস্ট ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
১৩ আগস্ট ২০২৪
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
১৩ আগস্ট ২০২৪
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছরই। ওই সময় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রানা সানাউল্লাহ খান। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ সহকারী।
১৩ আগস্ট ২০২৪
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে