প্রতিনিধি, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মোটরসাইকেল, দোকানের তালা কেটে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা, জানালার গ্রিল কেটে ঘরের ভেতর থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ইত্যাদি চুরি হওয়াটা এখন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে পড়েছে। হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে চোরের হাত থেকে কিছুই বাঁচছে না। গবাদিপশু থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল সবই চুরি যাচ্ছে। কিন্তু এখন অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও শঙ্কা দুইই বেড়ে চলেছে।
গত কয়েক দিন ধরে চুরি ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। গবাদিপশু, মোটরসাইকেল, নিত্যপণ্য, নগদ টাকা, বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি হচ্ছে। বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ কিছুই বাদ যাচ্ছে না চোরের উপদ্রব থেকে। ভুক্তভোগীর তালিকায় কে নেই? ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক—সব শ্রেণির মানুষই শিকার হচ্ছেন।
তবে অজ্ঞাত এই চোর বা চোর চক্রের নজর মোটরসাইকেলের ওপরই বেশ। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। মোটরসাইকেলগুলো কোনটি রাস্তা বা বাজারে পার্কিং অবস্থা থেকে, কোনটি রাতের বেলা ঘরের বারান্দার গ্রিল ও তালা কেটে, আবার কোনোটি দোকানপাট বা মসজিদের সামনে থেকে চুরি হয়েছে।
হালুয়াঘাট সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াহাবের বাসার তালা ভেঙে গতকাল বুধবার ১২৫ সিসি সুজকি মোটরসাইকেল চুরি করা হয়। তিনি মৌখিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ চোর শনাক্তের চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করেন আবদুল ওয়াহাব।
একই দিনে জনতা ভ্যারাইটিজ স্টোর থেকে তালা কেটে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, বিক্রির জন্য রাখা ৪ হাজার টাকা সমমূল্যের মিনিট কার্ড চুরি যায়। এর কয়েক দিন আগে সাংবাদিক লিটনের মোটরসাইকেল চুরির কথাও এখানে উল্লেখযোগ্য।
ভুক্তভোগী জনতা ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক হুমায়ুন কবির বলেন, রাতে দোকানের ক্যাশবাক্সে নগদ ৮ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ৪ হাজার টাকার সমমূল্যের মিনিট কার্ড ছিল। এগুলো চোর নিয়ে গেছে। এক রকম আতঙ্কে আছি।
একদিনে সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা গত ৩১ জুলাইয়ের। ওই দিন হালুয়াঘাট শহরের পাঁচটি দোকান থেকে চুরি হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৬ আগস্ট রাতে পৌরসভার উত্তর খয়রাকুড়ি থেকে হালুয়াঘাট শহীদস্মৃতি সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক স্বপন কুমার ধরের বাসার তিনটি তালা ভেঙে ১১০ সিসির হোন্ডা লিভো ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল চুরি হয়।
উদ্বেগজনকভাবে চুরি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে শহরবাসী। এ ঘটনায় থানায় বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ চোরদের এখনো চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বপন কুমার ধর। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়েও পাননি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই ধরনের অভিযোগ জানিয়েছেন আরও অনেকে। চুরির ঘটনাগুলো তদন্ত করে চোর শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন শহরবাসী।
চুরি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হালুয়াঘাট ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। সমিতির অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় আমরা বাজারে পর্যাপ্ত পাহারাদারের ব্যবস্থা করতে পারছি না। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘সম্প্রতি চুরি বৃদ্ধির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। চুরি ঠেকাতে রাতে টহল জোরদারসহ আমরা আমাদের তৎপরতা বাড়িয়েছি। তা ছাড়া চোরের সংঘবদ্ধ চক্রটিকে ধরার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মোটরসাইকেল, দোকানের তালা কেটে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা, জানালার গ্রিল কেটে ঘরের ভেতর থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ইত্যাদি চুরি হওয়াটা এখন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে পড়েছে। হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে চোরের হাত থেকে কিছুই বাঁচছে না। গবাদিপশু থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল সবই চুরি যাচ্ছে। কিন্তু এখন অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও শঙ্কা দুইই বেড়ে চলেছে।
গত কয়েক দিন ধরে চুরি ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। গবাদিপশু, মোটরসাইকেল, নিত্যপণ্য, নগদ টাকা, বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি হচ্ছে। বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ কিছুই বাদ যাচ্ছে না চোরের উপদ্রব থেকে। ভুক্তভোগীর তালিকায় কে নেই? ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক—সব শ্রেণির মানুষই শিকার হচ্ছেন।
তবে অজ্ঞাত এই চোর বা চোর চক্রের নজর মোটরসাইকেলের ওপরই বেশ। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। মোটরসাইকেলগুলো কোনটি রাস্তা বা বাজারে পার্কিং অবস্থা থেকে, কোনটি রাতের বেলা ঘরের বারান্দার গ্রিল ও তালা কেটে, আবার কোনোটি দোকানপাট বা মসজিদের সামনে থেকে চুরি হয়েছে।
হালুয়াঘাট সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াহাবের বাসার তালা ভেঙে গতকাল বুধবার ১২৫ সিসি সুজকি মোটরসাইকেল চুরি করা হয়। তিনি মৌখিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ চোর শনাক্তের চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করেন আবদুল ওয়াহাব।
একই দিনে জনতা ভ্যারাইটিজ স্টোর থেকে তালা কেটে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, বিক্রির জন্য রাখা ৪ হাজার টাকা সমমূল্যের মিনিট কার্ড চুরি যায়। এর কয়েক দিন আগে সাংবাদিক লিটনের মোটরসাইকেল চুরির কথাও এখানে উল্লেখযোগ্য।
ভুক্তভোগী জনতা ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক হুমায়ুন কবির বলেন, রাতে দোকানের ক্যাশবাক্সে নগদ ৮ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ৪ হাজার টাকার সমমূল্যের মিনিট কার্ড ছিল। এগুলো চোর নিয়ে গেছে। এক রকম আতঙ্কে আছি।
একদিনে সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা গত ৩১ জুলাইয়ের। ওই দিন হালুয়াঘাট শহরের পাঁচটি দোকান থেকে চুরি হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৬ আগস্ট রাতে পৌরসভার উত্তর খয়রাকুড়ি থেকে হালুয়াঘাট শহীদস্মৃতি সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক স্বপন কুমার ধরের বাসার তিনটি তালা ভেঙে ১১০ সিসির হোন্ডা লিভো ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল চুরি হয়।
উদ্বেগজনকভাবে চুরি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে শহরবাসী। এ ঘটনায় থানায় বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ চোরদের এখনো চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বপন কুমার ধর। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়েও পাননি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই ধরনের অভিযোগ জানিয়েছেন আরও অনেকে। চুরির ঘটনাগুলো তদন্ত করে চোর শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন শহরবাসী।
চুরি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হালুয়াঘাট ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। সমিতির অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় আমরা বাজারে পর্যাপ্ত পাহারাদারের ব্যবস্থা করতে পারছি না। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘সম্প্রতি চুরি বৃদ্ধির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। চুরি ঠেকাতে রাতে টহল জোরদারসহ আমরা আমাদের তৎপরতা বাড়িয়েছি। তা ছাড়া চোরের সংঘবদ্ধ চক্রটিকে ধরার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৯ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে