চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
স্ত্রীর সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে গ্রাম্য কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। চুয়াডাঙ্গায় কবিরাজ রাজ্জাক শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের রুবেল মিয়া (২৩) এবং একই এলাকার সোহেল রানা (২০)।
এর আগে ১ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশের একটি মাঠ থেকে রাজ্জাক শেখ রাজাই (৫০) নামে ওই কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘হত্যার শিকার রাজ্জাক শেখ রাজাই গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হন। গত ৩১ মে সন্ধ্যায় ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসার কথা বলে রুবেল ও তাঁর স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজের কাছে বরজের নির্জন জায়গায় নিয়ে যান।
এ সময় রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। কিছুক্ষণ পরে রুবেল বরজে এসে ভিকটিম রাজ্জাক ও স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পান। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫-৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও স্ত্রী বরজ থেকে ফিরে আসেন। এ সময় স্ত্রীকে দেখে অনৈতিক কোনো কাজ করেছেন বলে সন্দেহ করেন রুবেল। পরে রুবেল বাড়িতে এসে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করেন, ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসা দেওয়ার নামে তাঁর সম্ভ্রমহানি করেছেন।
পরে ওই রাতে আসামি রুবেল তাঁর সহযোগী অপর আসামি সোহেল রানাকে সঙ্গে কবিরাজ রাজ্জাককে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জিন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে মোটরসাইকেলে করে পুরোনো ভান্ডারদহে নিয়ে যান। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আসামি রুবেল মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের গলায় পোঁচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জবাই করে ভিকটিমের মৃতদেহ রাস্তার পাশে গাছপালা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।’
স্ত্রীর সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে গ্রাম্য কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। চুয়াডাঙ্গায় কবিরাজ রাজ্জাক শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের রুবেল মিয়া (২৩) এবং একই এলাকার সোহেল রানা (২০)।
এর আগে ১ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশের একটি মাঠ থেকে রাজ্জাক শেখ রাজাই (৫০) নামে ওই কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘হত্যার শিকার রাজ্জাক শেখ রাজাই গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হন। গত ৩১ মে সন্ধ্যায় ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসার কথা বলে রুবেল ও তাঁর স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজের কাছে বরজের নির্জন জায়গায় নিয়ে যান।
এ সময় রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। কিছুক্ষণ পরে রুবেল বরজে এসে ভিকটিম রাজ্জাক ও স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পান। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫-৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও স্ত্রী বরজ থেকে ফিরে আসেন। এ সময় স্ত্রীকে দেখে অনৈতিক কোনো কাজ করেছেন বলে সন্দেহ করেন রুবেল। পরে রুবেল বাড়িতে এসে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্বীকার করেন, ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ চিকিৎসা দেওয়ার নামে তাঁর সম্ভ্রমহানি করেছেন।
পরে ওই রাতে আসামি রুবেল তাঁর সহযোগী অপর আসামি সোহেল রানাকে সঙ্গে কবিরাজ রাজ্জাককে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জিন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে মোটরসাইকেলে করে পুরোনো ভান্ডারদহে নিয়ে যান। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আসামি রুবেল মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের গলায় পোঁচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জবাই করে ভিকটিমের মৃতদেহ রাস্তার পাশে গাছপালা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪