নড়াইল প্রতিনিধি
কিশোরী প্রেমিকার ফোনকল পেয়ে রাতেই বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে দেখা করতে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজ শেখ (১৬)। টের পেয়ে তাকে ধাওয়া করেন প্রেমিকার বাবা সবুর শেখ (৫৩)। অন্ধকারের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সিরাজ। ওই অবস্থাই তাকে পেটান। এরপর মৃত ভেবে পুকুরে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন সবুর শেখ। বাড়িতে ফেরার পর সন্দেহ হওয়ায় রাতেই পুকুর থেকে তুলে ছুরি দিয়ে গলা কাটেন সবুর শেখ। কিন্তু এবার ধরা পড়ার ভয় পেয়ে বসে। পরদিন লাশ তুলে দুই কিলোমিটার দূরে নিয়ে অ্যাসিড দিয়ে মুখমণ্ডল ঝলসে দেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে সিরাজ শেখকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সবুর শেখ। তাঁর স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা কোদাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সিরাজ লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের ইকরাম শেখের ছেলে। সে চরদৌলতপুর সরস্বতী একাডেমি থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এর আগে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখের বিকৃত লাশ নিখোঁজের চার দিন পর গত বুধবার (১০ মে) বিকেলে লংকারচর গ্রামের মিরু শেখের বাড়ির পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার আগের রাত অর্থাৎ ৬ মে রাতে নিখোঁজ হয় সিরাজ শেখ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের সবুর শেখ (৫৩), তাঁর স্ত্রী শাহিনা বেগম (৪৭), ছেলে জাহিদুল শেখ (২০) এবং সিরাজ শেখের মেয়ে ও ওই কিশোরের প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার পুলিশ।
স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ৬ মে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে প্রেমিকার কল পেয়ে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে দেখা করতে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজ শেখ। ঘটনা জানতে পেরে সিরাজ শেখকে ধাওয়া করেন প্রেমিকার বাবা সবুর শেখ। দৌড়ে পালানোর সময় মেহগনিগাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যায় সিরাজ। তখন কোদালের গোড়া দিয়ে সিরাজের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন সবুর শেখ।
সিরাজ একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মারা গেছে ভেবে ওই রাতেই তার নিথর দেহ সবুর শেখ ঘাড়ে করে বাড়ির পাশে পুকুরের কচুরিপানার নিচে ঢেকে রাখেন। পরে বাড়ি আসার পরও কিশোর বেঁচে আছে বলে সবুরের সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পর ছুরি নিয়ে আবার সেখানে গিয়ে সিরাজের দেহ কচুরিপানার নিচ থেকে বের করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটেন সবুর।
পরের দিন ৭ মে (রোববার) গভীর রাতে ঘরে থাকা ব্যাটারির অ্যাসিড নিয়ে সিরাজের মরদেহ পুকুর থেকে উঠিয়ে বিলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মিরু শেখের বাগানে নিয়ে যান। লাশটি যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে সে জন্য মরদেহ বাগানে ফেলে ব্যাটারির অ্যাসিড ঢেলে সিরাজের মুখমণ্ডল ঝলসে দেন সবুর শেখ।
ওসি মো. নাসির উদ্দিন জানান, মামলা রুজুর ১৫ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম তদন্তপূর্বক হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত চার আসামিকে আদালতে হাজির করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন সবুর শেখ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরী প্রেমিকার ফোনকল পেয়ে রাতেই বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে দেখা করতে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজ শেখ (১৬)। টের পেয়ে তাকে ধাওয়া করেন প্রেমিকার বাবা সবুর শেখ (৫৩)। অন্ধকারের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সিরাজ। ওই অবস্থাই তাকে পেটান। এরপর মৃত ভেবে পুকুরে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন সবুর শেখ। বাড়িতে ফেরার পর সন্দেহ হওয়ায় রাতেই পুকুর থেকে তুলে ছুরি দিয়ে গলা কাটেন সবুর শেখ। কিন্তু এবার ধরা পড়ার ভয় পেয়ে বসে। পরদিন লাশ তুলে দুই কিলোমিটার দূরে নিয়ে অ্যাসিড দিয়ে মুখমণ্ডল ঝলসে দেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে সিরাজ শেখকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সবুর শেখ। তাঁর স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা কোদাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সিরাজ লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের ইকরাম শেখের ছেলে। সে চরদৌলতপুর সরস্বতী একাডেমি থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এর আগে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখের বিকৃত লাশ নিখোঁজের চার দিন পর গত বুধবার (১০ মে) বিকেলে লংকারচর গ্রামের মিরু শেখের বাড়ির পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার আগের রাত অর্থাৎ ৬ মে রাতে নিখোঁজ হয় সিরাজ শেখ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের সবুর শেখ (৫৩), তাঁর স্ত্রী শাহিনা বেগম (৪৭), ছেলে জাহিদুল শেখ (২০) এবং সিরাজ শেখের মেয়ে ও ওই কিশোরের প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার পুলিশ।
স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ৬ মে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে প্রেমিকার কল পেয়ে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে দেখা করতে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজ শেখ। ঘটনা জানতে পেরে সিরাজ শেখকে ধাওয়া করেন প্রেমিকার বাবা সবুর শেখ। দৌড়ে পালানোর সময় মেহগনিগাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যায় সিরাজ। তখন কোদালের গোড়া দিয়ে সিরাজের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন সবুর শেখ।
সিরাজ একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মারা গেছে ভেবে ওই রাতেই তার নিথর দেহ সবুর শেখ ঘাড়ে করে বাড়ির পাশে পুকুরের কচুরিপানার নিচে ঢেকে রাখেন। পরে বাড়ি আসার পরও কিশোর বেঁচে আছে বলে সবুরের সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পর ছুরি নিয়ে আবার সেখানে গিয়ে সিরাজের দেহ কচুরিপানার নিচ থেকে বের করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটেন সবুর।
পরের দিন ৭ মে (রোববার) গভীর রাতে ঘরে থাকা ব্যাটারির অ্যাসিড নিয়ে সিরাজের মরদেহ পুকুর থেকে উঠিয়ে বিলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মিরু শেখের বাগানে নিয়ে যান। লাশটি যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে সে জন্য মরদেহ বাগানে ফেলে ব্যাটারির অ্যাসিড ঢেলে সিরাজের মুখমণ্ডল ঝলসে দেন সবুর শেখ।
ওসি মো. নাসির উদ্দিন জানান, মামলা রুজুর ১৫ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম তদন্তপূর্বক হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত চার আসামিকে আদালতে হাজির করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন সবুর শেখ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪